হ্যাপি হোলি ২০২৩
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Copyright Free Image Source: PixaBay
"সবাইকে দোল পূর্ণিমার অনেক শুভেচ্ছা"
হোলি আমাদের বাঙালিদের কাছে একটা উৎসবের মতো। শুধু বাঙালি বললে ভুল হবে, কারণ এটি গোটা হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে একটি প্রাচীন উৎসব। এই হোলি ভারতবর্ষে যুগ যুগ ধরে এখনো পর্যন্ত চলছে। তাই এই হোলিকে নানাভাবে নানা নামে সম্বোধন করে থাকে, যেমন হোলি শব্দটা তো আছেই তার সাথে দোলযাত্রা, বসন্ত উৎসব এইরকম আরো অনেক রকমের নাম আছে যা সবাই যার যার মতো পালন করে থাকে। হোলি শুরু হওয়ার আগের দিন একটা প্রাচীন প্রথা সবাই পালন করে থাকে আর সেটা হলো ‘হোলিকা দমন প্রথা’, তারপরের দিন এই হোলি শুরু হয়। এই হোলি বা বসন্ত উৎসব সাধারণত প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনে পালিত হয়ে থাকে কিন্তু আমাদের এখানে মার্চ মাস পড়লেই হোলির আগমন শুরু হয়ে যায়। সবাই হোলির রং খেলায় মেতে ওঠে, তবে এটা যার যার মতো সবাই একটুআদ্দুক রং মাখার মাধ্যমে পালন করে যায়। আর এইগুলো বেশিরভাগ দেখা যায় স্কুল, কলেজের স্টুডেন্টসদের মধ্যে।
আমিও একসময় কলেজ জীবনে থাকতে এইভাবে আগাম মেখেছি হা হা । এটা নরমাল বিষয়। হোলিতে আসলে রং মাখবো না এটা কখনো হয়না, আমি রং না মাখতে চাইলেও কেউ না কেউ এই দিনটাতে রং মাখিয়ে দেবে। আর এটা যেহেতু সবার কাছে একটা আনন্দের দিন আর প্রাচীন পরম্পরা তাই বাইরে বেরোলে কেউ রং মেরে দিলেও কিছু বলা যায় না। আজকেও রং মাখা হয়েছে, আর কালকেও রং মাখা হবে। আমি সাধারণত রং মাখা তেমন খেলি না, আর এই ২-৩ বছর হলো কোনো রং মাখিনি। আমার রং মাখতে তেমন একটা ইচ্ছা করে না, আবির হলে একটু মাখা যায় কারণ আবির জল দিয়ে দ্রুত ধুয়ে তোলা যায় কিন্তু রং একদমই সহজে ওঠে না, ৩-৪ দিন শরীর, মুখ এ রং এর ছাপ থেকে যায় সাবান দিয়ে ঘষলেও ।
আমার আসলে এই বছরও তেমন একটা রং মাখা বা কারো সাথে রং খেলার তেমন কোনো ইচ্ছা ছিল না তাই ঘুমিয়ে ছিলাম। কিন্তু বোন কখন সকালে এসে ঘুম চোখে ডেকে তুলে মাথায় ঢেলে দিয়েছে আবির। আর আমার রং মাখায় একটা সমস্যা আছে, যে এলার্জিতে একটু প্রব্লেম করে, আবির মাখাতেও আমার এলার্জিতে একটু প্রব্লেম করেছিল তবে সাময়িক সময়ের জন্য। আর আমি তেমন একটা খেলিনি বাড়িতে সবার সাথে একটু খেলেছি হোলি। যাইহোক, রং মাখিয়েই যখন দিয়েছে ভাবলাম যাই বাঁশি মুখে একটু হোলি মাতিয়ে আসি তারপর এসে একবারে ফ্রেশ হবো। সাথে রাস্তায় কয়েকজন স্কুল বন্ধুদের সাথে দেখা হলো, আর তারাও দিলো মাখিয়ে। রং খেলার সময় ফোনটা আর সাথে রাখিনি ফলে রং মাখার কোনো মুহূর্তের ছবি তোলা হয়নি আর।
এরপর সবাই বাড়ির ছাদে গিয়ে আধা ঘন্টার মতো রং খেললাম নিজেদের মধ্যে তারপর শেষ করে দিয়েছিলাম গতদিনের মতো মানে এই বছরের মতো, আজকে আর খেলবো না। তবে কালকে আরেকটা কাহিনী হয়েছে, সেটা হলো আমি যদিও জানতাম যে বাইরে সন্ধ্যার সময়ে বেরোলেও ওয়াটার গান দিয়ে রং মারার সম্ভাবনা আছে কারণ ছোট ছোট বাচ্চারা মজার ছলে খেলতে খেলতে গায় মেরেই দেয়। আমিও বেরিয়েছিলাম সন্ধ্যায় একটা দরকারি কাজে কিন্তু ফিরে আসার সময় স্টেশনে গায় মেরেই দিলো ওয়াটার গান দিয়ে হা হা। যাইহোক এই হোলির রেশ এই মাস যাবৎ এখনো কিছুদিন থাকবে, খেলাও হবে।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




হোলি উৎসবে খুবই সুন্দর এবং আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। হোলি উৎসব একটি আনন্দময় দিন এবং পরিবারের সকল বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে খুবি সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন।অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করলেন।আপনি প্রথমে হোলি উৎসবে খেলা করতে চাননি কিন্তু পরে ঠিকই আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এরকম উৎসবমুখর পরিবেশ আসলে অনেক ভালো লাগে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হোলি এসেছে অথচ রং খেলবেন না তা কি করে হয়। তাইতো আপনার বোন আপনাকে আবির মাখিয়ে দিয়েছে। আসলে অনেক সময় এলার্জির কারণে অনেকের সমস্যা হয়। তবুও একটা দিন সবাই মিলে আনন্দ করার মাঝে আলাদা রকমের ভালো লাগা আছে। যাই বলুন না কেন দাদা হিন্দুর সম্প্রদায়ের পালন করা এই উৎসবটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। সবাই মিলে হোলি খেলা এবং আবির মাখানো সত্যি দারুন একটি বিষয়। স্কুল কলেজ জীবনে হয়তো আনন্দের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। আসলে বয়সের সাথে সাথে কেন জানি সবকিছু থেকে আমরা সরে আসতে শুরু করি। একটা সময় যেই বিষয়গুলোর উপর অনেক আগ্রহ ছিল পরবর্তীতে সেই বিষয়গুলোর বিশেষ দিনগুলোই মনে রাখতে পারি না। মনে হয় বুড়ো হয়ে যাচ্ছি দাদা 🤪। আমাদের এখানে পহেলা বৈশাখে এভাবে রং মাখানো হয়। যাই হোক যেহেতু ফোন নিয়ে বের হননি তাইতো রং খেলার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারলেন না। আশা করছি পরের বছর রং খেলবেন এবং পাশে থাকবে আমাদের মিষ্টি বৌদি 😃😃।
দাদা, প্রথমে হোলি না খেলতে চাইলেও পরে তো বেশ সবার সাথেই হোলি খেলেই নিলেন। আপনার বোন ভালই কাজ করেছে আপনাকে আবির মাখিয়ে দিয়ে, আর তাইতো আবিরের রঙ স্কুল বন্ধুদের হাতেও মাখিয়ে নিলেন। আবার সন্ধ্যার দিকে ওয়াটার গানের গুলিও খেলেন। বেশ তো ভালোই হোলির দিনটি রং মেখেই কাটিয়ে দিলেন । আমাদের এদিকেও পহেলা বৈশাখে বাইরে বেরোলে ছোট ছোট বাচ্চারা ওয়াটার গান নিয়ে সবাইকে গুলি মেরে দেয়। আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। যাইহোক দাদা, শুভ দোলযাত্রায় আবিরের রং মেখে হোলি খেলে দারুন সময় উপভোগ করেছেন, এবং সেই সময়টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই দাদা হলিতে রং না মাখলে কি হয়।হলি উৎসব একটি বড় উৎসব।অনেক বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন দাদা হলিতে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা আনন্দ বেশি করে থাকে।আপনি দুই তিন বছর রং মাখেন না।এবার আপনার বোন আগে এসেই আবির দিয়ে দিয়েছিল।কিন্তু এলার্জির সমস্যার জন্য একটু খারাপ লেগেছিল আপনার।সবাই মিলে বাসার সাদে বেশ আনন্দ করেছিলেন।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
‘হোলিকা দমন প্রথা’, সম্পর্কে আমার সেরকম কিছু জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমেই অনেক কিছু জানতে পারলাম। তবে এমনিতে হোলির দিন রং খেলা হয় এই বিষয়টা অবশ্যই জানা রয়েছে। যেহেতু হলি উৎসব রং খেলবেন না সেটা কি হয়। সকালে এসেই আপনার বোন মাথায় আবির ঢেলে দিয়েছে এটা শুনে ভালো লাগলো। কারণ এই দিনে আবির লাগাবে না এটা কি করে হয়। যদিও আমি শুনেছি এতে অনেকের এলার্জি আছে। আপনার ও দেখছি এই প্রবলেমটা রয়েছে। আবার সন্ধ্যেবেলায় দেখছি স্টেশনে ওয়াটার গান দিয়ে গায়ে মেরেই দিলো । তবে দিনটা বেশ ভালই কেটেছে আপনার।
হোলি উৎসবে দারুন আনন্দ করেছেন দেখছি। রং মাখাতে চাননি তাই সকাল থেকেই গায়ে আবিরের রং লেগে গেছে 😂
আপনার বোন কিন্তু দারুন কাজ করেছে, আরো বেশি করে লাগানো দরকার ছিলো 🤗
যাক পরবর্তীতে ছাদে গিয়ে বেশ রং মাখামাখি খেলেছেন, এই দিনে না খেললে হয় বলুন।
সবশেষে ওয়াটার গান দিয়ে রং মেরেছে দুষ্টু ছেলের দল 😍
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀
প্রথমেই দোল উৎসবের শুভেচ্ছা জানাই দাদা। আপনাদের জন্য তো এটা অনেক আনন্দের একটা উৎসব।‘হোলিকা দমন প্রথা’, সম্পর্কে আমার সেরকম কোন আইডিয়া ছিল না। আপনার পোস্ট পড়ে আজকে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। তবে আপনাদের হোলি উৎসবটা আমার ভীষণ ভালো লাগে। সবাই খুব সুন্দর রং নিয়ে খেলা করে। সেই দিনটা মূলত রঙিন হয়ে ওঠে। তবে এই দিনে রং না খেলে কোথায় যাবেন। বেশ ভালো লেগেছে আপনার বোন সকাল সকাল এসেই আবির ঢেলে দিল। তবে সব মিলিয়ে দিনটা বেশ ভালোই কাটিয়েছেন। পরবর্তী বছরেও আশা করি এই দিনটা খুব সুন্দর সময় কাটাবেন।
দাদা আপনাদের এই হোলি উৎসব আমার খুব ভাল লাগে। যদিও আমি টিভিতে দেখেছি বাস্তবে দেখার সুযোগ মেলেনি কখনও। আপনি আর আপনার পরিবার মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব ভাল লাগলো। আনন্দ উৎসবের কথা শুনলে নিজের মধ্যে ও আনন্দ কাজ করে আমার।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দেবার জন্য। অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই আপনাকে আর আপনার পরিবারের সবাই কে।
এই হলি উৎসবটা দেখতে ভালই লাগে। বেশিরভাগই টিভি সিরিয়ালগুলোতে দেখেছি বাস্তবে তেমন একটা দেখা হয়নি। আমাদের এদিকে মনে হয় অতটা পালন করা হত না আপনাদের দেশের মতো। তবে আমাদের দেশেও এখন বেশ ভালই পালন করে। যা চিন্তা করেছিলেন হলো তার উল্টা। আপনার বোন ঠিকই সকাল বেলায় এসে আবির লাগিয়ে হোলি উৎসব শুরু করে দিল। যেহেতু রং লেগেছে তাহলে আর বসে থেকে লাভ কি। এই সুযোগে আপনিও বেশ মজা করে নিলেন। পরের দিনের বিষয়টা বেশি মজা ছিল। রং মাখবেন না বলেও দেরি করে বের করে হয়েও লাভ হলো না। ঠিকই ওয়াটার গানের রঙ খেয়ে বাড়িতে ফিরতে হলো। যাই হোক বেশ আনন্দের একটি উৎসব আপনাদেরই হলি উৎসব। ভালো লাগে আমার কাছে খুব।