মান কচু ভর্তা রেসিপি 🥰
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আমি শাপলা দত্ত, বাংলাদেশ থেকে আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মান মাখা রেসিপি রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
মান আমার ভীষণ পছন্দের। মান কচু,কচু,ছড়াকচু,কচুরলতি,শাক এসব আমার ভীষন পছন্দের।
আমি বাজার গেলে এগুলো খুঁজি যদি পেয়ে যাই।খাগড়াছড়িতে থাকাকালীন সময়ে প্রতিসপ্তাহে কাঁচা বাজার করতে যেতাম কারণ উপজাতি মহিলাদের বাজারে টাটকা টাটকা সবজি পাওয়া যেত যা আমার ভীষণ পছন্দের। নিজে পছন্দ করে কিনতাম। তো একদিন দেখলাম বিশাল আকৃতির একটি মানকচু উঠেছে বাজারে। ইয়া লম্বা।আমাদের এলাকার বাজারে মান কচু বিক্রি হয় যে যখন যা কিনবে তাই কেটে দিয়ে দেন কিন্তুু পাহাড়ি অঞ্চলে দেখলাম ভিন্ন রকম।পাহাড়ি মহিলারা বিশাল লম্বা ঠিক যেন আখের মতো লম্বা মানকচু পুরাই নিয়ে বসে থাকেন এবং যখন যে কিনবেন মান কচু তখন মান কচুর গোড়া থেকে কেটে দেয়া শুরু করে দেন।যেহেতু আমার মান কচু আগা থেকে কচি মান কচুর কাঁঠ খাওয়া অভ্যাস তাই আমি চাইলাম আগার মান।কচু কিন্তুু উপজাতির ওই মহিলা সাফ বলে দিলেন মান কচু কিনলে গোড়া থেকেই কিনতে হবে।
গোড়া থেকে আমি তো কিনবো না কারণ গোড়ার মানকচু সহজে সিদ্ধ হতে চায় না।এতো বিশাল আকৃতির মান কচু বিক্রি হতে হতে আগায় আসতে কতো সময় লাগবে কে জানে।আর সাধের মান কচু খাওয়া হলো না আমর।ভীষণ লোভ লেগে গিয়েছিল মানকচুটি দেখে তাই এখনো মনে পড়ে সেই মান কচুর কথা।
আজকে মানকচু ভর্তা করার সময়ও চোখের সামনে ভেসে উঠছছিলো সেই মান কচুটি।
আজকে যে মানকচুর রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে এটি আমাদের বাড়ির মানকচু। অনেক সুস্বাদু মান কচুটি।
তো চলুন দেখা যাক মানকচু ভর্তা রেসিপিটি কেমন।
মান কচু |
---|
শুকনা মরিচ |
পেঁয়াজ কুচি |
সরিষার তেল |
লবন |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি মান কচুটি খন্ড খন্ড করে কেটে পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন মান কচু গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি। সব থেকে ভালো হয় যদি ভাত রান্না করার সময় ভাতের সাথে এই মানকচু গুলো সিদ্ধ করে নেয়া যায় তাহলে জলজলে হয় না।তবে আপনারা যেকোনো ভাবেই সিদ্ধ করে নিতে পারেন। আমি ভাতে দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন সিদ্ধ কচু গুলো ম্যাস করে নিয়েছি মোলায়েম করে।
চতুর্থ ধাপ
এখন শুকনা মরিচ ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
আগে থেকে পেঁয়াজ কুঁচি ও মরিচ লবন মেখে নিয়েছি সরিষার তেল দিয়ে। আমি মান কচুতে একটু ঝাল বেশি দিয়ে ঝাল ঝাল করে ভর্তা বানিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন মোলায়েম করে ম্যাস করে রাখা মান কচু গুলো মরিচ ও কাঁচা পেয়াজ দিয়ে মেখে নিয়েছি খুব ভালো করে।
সপ্তম ধাপ
ভালো ভাবে মান কচু ভর্তা হয়ে গেছে তাই পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে সাজিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিল আমার আজকের মজাদার মান কচু ভাতার রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। পছন্দ করেন কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন। তাছাড়া আর কি কি খাওয়া যায় মান কচুর তা অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। এর মত এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও নিরাপদে থাকবেন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আমার অনেক পছন্দের এবং লোভনীয় এই রেসিপিটি শেয়ার করে লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। মান কচু আমার অনেক পছন্দের। মান কচুতে বেশি করে ঝাল দিয়ে ভর্তা করে গরম ভাত দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ভর্তা রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপু বেশি করে ঝাল ঝাল করে মান কচু ভর্তা দিয়ে গরম ভাত ভীষণ সুস্বাদু হয় খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মান কচু আমারও পছন্দের একটি সবজি। তবে মান কচু আলু এবং বেগুন দিয়ে রান্না করলে আর সাথে যদি ছোট মাছ দেওয়া যায় তাহলে এই রেসিপিটা খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা আজকের মান কচুর ভর্তা রেসিপিটিও চমৎকার হয়েছে আপু। উপজাতিদের কাছে যে এত বড় মান করে পাওয়া যায় এটা তো জানতাম না কেবল আপনার থেকেই জানতে পারলাম। আপনার তৈরি করা মান কচুর ভর্তা রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে আমিও তৈরি করতে পারব। ধন্যবাদ এরকম লোভনীয় একটি ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কমেন্টের মাধ্যমে চমৎকার একটি রেসিপি শিখে নিতে পারলাম ভাইয়া ভত্তা ছাড়া মানুষ পশুর আর কিছু খাওয়া যায় এটা জানতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় খেয়েছি এখন খাওয়া হয় নাই, অনেকদিন পর মান কচু ভর্তা রেসিপি দেখতে পেলাম আপনার মাধ্যমে। দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগতেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপিটি সম্পূর্ণ করেছেন। আপনার এই রেসিপিটি বেশ সুন্দর ছিল ও দক্ষতা সম্পন্নভাবে আপনি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় মান কচু খেয়েছেন আর খান নি ন
জেনে অবাক হলাম আবার অবাক হওয়ার কিছু নেই কারন মান কচু বাজারে খুব কম পাওয়া যায়। সময় করে এভাবে ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
তারমানে মান কচুর ব্যাপারে আপনার ভালই অভিজ্ঞতা আছে। আপনি জানেন গোঁড়ার মানকচু সিদ্ধ হতে দেরি লাগে। খাগড়াছড়িতে থাকাকালীন আপনার মান কচুর অভিজ্ঞতা পরে ভালোই লাগলো। তাছাড়া আজকের রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া মানকচু সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞতা কারণ অনেক খেয়েছি এই কচু । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভর্তা জাতীয় খাবার গুলো খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া মান কচু ভর্তা আমার কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হবে। তাছাড়া যে কোনো ভর্তা রেসিপিতে একটু ঝাল বাড়িয়ে দিলে খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভর্জা জাতীয় খাবার গুলো আসলেই অনেক ভালো লাগে আর যেকোন ভর্তায় ঝাল বাড়িয়ে দিলে বেশি মজা হয়।
মান কচু ভর্তা রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যদি এটা রাইস কুকারের মধ্যে সিদ্ধ করা হয় পানির মত চোখ দিয়ে। এরপর ছানা করে খেলে খুবই ভালো লাগে। আশা করি আপনার এই রেসিপি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
মান কচু আপনারও ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
মান কচু ভর্তা করে খাওয়া যায়, তা তো জানতাম না দিদি। আমরা তো সব সময় মান কচু ভাজি কিংবা মাছের সাথে ঝোল রেসিপি করে খাই। এই প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম মান কচু ভর্তা করে খাওয়া যায়। শুকনো মরিচ দিয়ে এভাবে ঝাল ঝাল মান কচু ভর্তা করলে, খেতে বেশ সুস্বাদু হবে তা আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে। তাই আমিও চেষ্টা করব, পরবর্তীতে এমন মজার ভর্তা রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার জন্য। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর ছিল দিদি, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অবশ্যই মান কচু ঝাল ঝাল করে ভর্তা খেয়ে দেখবেন ভীষণ ভালো লাগবে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমিও রাজশাহী থাকতে যখন কিনেছি তখন যতটুকু চেয়েছি ওরা ততটুকু দিয়েছে। কিন্তু ঢাকায় আসার পর কিনতে গেলে আস্ত একটা কিনতে হয়। এজন্য খুব একটা কেনা হয় না। কিন্তু মান কচুর ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে। নারকেল দিয়ে ভর্তা করলে তো খুব মজা। আপনার আজকের মান কচুর ভর্তা দেখেই লোভ লেগে গেল আপু। গরম ভাতের সঙ্গে খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছিল।
আমার এলাকায় মান কচু কিনতে পাওয়া যায় না বল্লেই চলে তবে আমি বাড়িতে লাগাই এই কচু খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কচু ভর্তা এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি।তবে, কচুর ভাজি বেশ কয়েকবার খাওয়া হয়েছে। আপনি দেখছি আজকে মান কচু ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি মান কচু ভর্তা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছে। আপনি বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে এতো সুন্দর একটি ভর্তা রেসিপি সম্পন্ন করেছেন। ভর্তা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছিল।
মান কচু খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই দারুণ একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মান কচু ভর্তা বেশ মজার একটি রেসিপি। অনেকদিন আগে আমি এই রেসিপিটি খেয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই রেসিপিটি অনেক ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।