অবেলায় আলো
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার কোন ঠিক ঠিকানা নেই, এই কথাটা বলার একটাই কারণ তা হচ্ছে শীতকালের প্রেক্ষিতে বললাম। এদিকটাতে শীত নামেও বেশ দ্রুত আবার থেকেও যায় দীর্ঘদিন অবধি।
দেখুন না, সেই যে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে একটু আধটু করে শীত নেমেছিল, বলতে গেলে তা যেন এখন তীব্র প্রখর হয়েছে। জানুয়ারি মাস শেষ হতে চলছে, তাও যেন শীতের প্রকোপ কমছে না।
আবহাওয়ার যে অবস্থা, তাতে বোঝা যাচ্ছে হয়তো আরো মাস খানেক এমন অবস্থা থাকতে পারে। যদি আরো মাস খানেক এমন অবস্থা থাকে, তাহলে একটা বার চিন্তা করুন কত লম্বা সময় ধরে এই উত্তরবঙ্গে শীত স্থায়ী হয় ?
হয়তো কথাটা গুজব মনে হতে পারে, মনে হতে পারে আমি কিছুটা বাড়িয়ে বলছি , তবে ভাই যারা উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক অঞ্চলে থাকে তাদেরকে কথাগুলো বলিয়েন, আশা করা যায় নিজেই এর সত্যতা পেয়ে যাবেন।
গত ৩-৪ দিন থেকে এত পরিমাণ ঠান্ডা পড়েছে যে দিনের বেলা সূর্যের দেখা নেই, বাইরে কনকনে ঠান্ডা বাতাস , জনজীবন যেন একদম স্থবির হয়ে পড়েছে। যদিও প্রতিবছর এই সময় শীত অনেকটাই কমে যায়, তবে এবার তা যেন সম্পূর্ণ উল্টো।
শেষ সময়টাতে এসে মনে হচ্ছে, শীত আবার নতুন করে নামছে। একদম যা তা অবস্থা, চতুর্দিকে অসুখ-বিসুখ ছড়িয়ে যাচ্ছে এবং সবকিছুতেই প্রাণহীন অবস্থা। এমন অবস্থা আর সত্যিই ভালো লাগছে না, বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছে। দ্রুত অবসান দরকার এই আবহাওয়ার।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সেপ্টেম্বর মাস থেকে শীত পড়ে গেছে মানে বেশ তাড়াতাড়ি শীত পড়ে আপনাদের। তবে যেহেতু উত্তরবঙ্গ এই আবহাওয়াটা কিন্তু আশা করা যায়। আমি এতদিন জানতাম শীতকালে রোগ জ্বালা কম হয় আবার আপনাদের পোস্ট পড়ে দেখছি আপনারা বেশ ভালই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন হয়তো সর্দি কাশি এইসব লেগে থাকছে। শীতকাল যেমনই হোক রৌদ্র না বেরোলে একেবারেই ভালো লাগেনা।
রোদ না থাকার কারণেই বেশি ঝামেলা হয়ে গিয়েছে আপু।
ভাই আমি তো উত্তরবঙ্গের এক কোণে রয়েছি। গত গত দুইদিন থেকে সূর্যের দেখা হয়নি। বাতাসের আদ্রতা এতটাই বেড়েছে যে বয়স্ক লোকগুলো ঘরের বাইরে ঠিকমতো ঘুরে বেড়াতে পারছে না। কিছুদিন আগেই কিন্তু আবহাওয়া মোটামুটি নরমাল ছিল। হঠাৎ এতটা চেঞ্জ হলো কেন বোঝা মুশকিল। প্রার্থনা করি স্রষ্টা যেন খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে স্বাভাবিক ওয়েদার নিয়ে আসেন। এটাই বলব আপনার ঐ দিকের মতোই আমাদের রংপুরেও অবস্থা একই। এখানে বাড়িয়ে বলার মত কিছুই বলেননি ভাই।
এই শীতে বয়স্ক মানুষের জন্য জীবন আসলেই বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছি ভাই।
জি শুভ ভাই একদম সঠিক বলেছেন উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই ৷ বিশেষ করে শীত মৌসুম সারা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে শীতের প্রকোপ যায় এই উত্তরবঙ্গে ৷ আর এটা কোনো গুজব নয় ৷ কারন আমিই সেই মানুষ যে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের সর্বশেষ পঙ্চগড়ে বাস করি ৷ তাই আমিই জানি বর্তমানে শীত কি পরিমান ৷ বিশেষ করে বর্তমানে প্রচুর শীত ঠান্ডা ৷ যা হোক এদিকের শীতের আবহাওয়া নিয়ে বেশ ভালোই লিখেছেন ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ৷
পঞ্চগড়ের দিকে তো আরো বেশি ঠান্ডা, সাবধানে থাকুন ভাই।
আমাদের দিকেও একই অবস্থা। সারাদিন তো সূর্যের দেখাই পাচ্ছি না। তার উপরে ঠান্ডা লেগে গেল। এক নাক অফ হয় আবার আরেক নাক অন হয়। এ সময়ে সাবধানে থাকা জরুরি। মাঘ মাসে মনে হচ্ছে নতুন করে আবার শীত নামছে।
আসলেই কয়েকদিন থেকে আবহাওয়ার অবস্থা বেশ খারাপ, যার কারণে ঠান্ডার পরিমাণটা বেড়েছে ।
উত্তরবঙ্গের শীতের এই দীর্ঘস্থায়ী প্রকোপ সত্যিই কষ্টকর। বিশেষ করে প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি জীবনযাত্রাকে কঠিন করে তুলছে। আবহাওয়ার এমন বৈচিত্র্য প্রকৃতির এক অভিনব দিক হলেও, এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। সবাই সুস্থ থাকুক, এই কামনাই করি।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, বেশ ভালোই কষ্ট হচ্ছে এই শীতে।
উত্তরবঙ্গে শীত আসলেই অনেক বেশি পড়ে। এমন তীব্র শীতে আপনাদের তো খুবই কষ্ট হচ্ছে ভাই। আর আমাদের এদিকে শীত একেবারেই কম পড়েছে। সন্ধ্যার পর আজকেও শর্ট হাতার টি-শার্ট পড়ে বাহিরে ঘুরাঘুরি করলাম। যাইহোক আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।