আমাদের দেশের প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় খাবার ধানের খই
আসসালামু আলাইকুম,
সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।খই আমাদের দেশের প্রসিদ্ধ ও জনপ্রিয় খাবার ষোল ধানের খই।
আমাদের দেশের প্রসিদ্ধ একটি খাবার হলো ধানের খই।খই হলো গ্রামবাংলার অতিপরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাবার।আগেকার সময়ে দেখা যেত অতিথি আপ্যায়নে ধানের খই বিশেষ ভুমিকা পালন করতো।তবে আমাদের দেশে যেকোন ধানের খই হয়।আগেকার মানুষের কাছে শুনা যেত যে তারা বিন্নি ধানের খই বেশি পছন্দ করতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিন্নি ধানের নাম আর শুনতে পাওয়া যায় না বিলুপ্ত হয়ে গেছে।তবে আগেকার সময়ের ধানের খই এখন আর তেমন দেখা যায় না খুব কম। কারন বর্তমান সময়ে এই খই গুলো মেশিনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। আর মেশিনের মাধ্যমে যে খই বিক্রি করছে এর স্বাদ খুব একটা ভাল না। আগেকার লোকের মুখে শুনা যেত যে আতব ধানের খই তারা বেশি পছন্দ করতো।
আমাদের বাড়িতে ষোল ধানের খই ভাজা হয়েছে। ষোল ধান কড়া করে রোদে শুকিয়ে নিয়েছি। ধান কড়া করে শুকিয়ে নিয়ে খই ভাজতে হয়। ধান কড়া করে শুকানোর পর মাটির চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হয়। এরপর কড়াইয়ে বালা ঢেলে দেয়া হয়।বালু গুলো গরম না হওয়া পর্যন্ত ধান দেয়া যাবে না। বালু গুলো গরম হওয়া পর্যন্ত নাড়াতে হবে। বালু গরম হওয়ার পর ধান দিতে হয় পরিমান মতো। এক মুঠো ধান কড়াইয়ে দেয়ার পর নাড়তে হবে। কড়াইয়ে ধান নাড়া জন্য বাঁশের কাঠি বা ঝাঁটার কাঠি দিয়ে নাড়তে হয়।ধান নাড়ার এক পর্যায়ে খই তৈরি হয়। ধানের খই তৈরির তুলনায় ভুট্টার খই খুব সহজে তৈরি করা হয়। খইয়ের সঙ্গে ধানের খোসা থেকে যায়। ধানের খইয়ের খোসা গুলো ছাড়াতে বেশ ঝামেলা। তবে আগুনের তাপে ধান ফেটে ফুলের মতো খই তৈরি হয়।
তাহলে খইয়ের মধ্যে কোনরকম ধানের খোসা থাকে না । খই আমাদের দেশের গ্রামঞ্চলেই বেশি দেখা যায়।আম-কাঠালের সঙ্গে খই আর দুধে ভেজানো খই খেতে বেশ সুন্দর ও চমৎকার। তবে গুড় দিয়ে ও খই মিশিয়ে তৈরি করা হয় খই মুরকি।খই খাদযের তালিকায় ছিল আগেরকার মানুষের। খই আর মুড়ি একসাথে মিশিয়ে তৈরি করে খাওয়া হয়। বিভিন্ন রকমের ধান ছাড়াও কালিজিরা, বেতি, ষোল,আতব ইত্যাদি ধানের খইও ভাল হয়।বাঙ্গালির জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো খই।আমার পোস্টে কোন রকম ভূলুণ্ঠিত হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার ব্লগটি পরিদর্শন করার জন্য আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধানের খই নিয়ে দারুণ লিখেছেন ভাই, এটি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার, খই খেতে অসাধারণ লাগে। আমাদের বাড়িতেও খই ভাজা হয়। আপনি খই ভাজার সমস্যা প্রক্রিয়া খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন, সমস্ত প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন, যেটা আমার কাছে যথেষ্ট ভালো লাগলো ভাই। অবসরে খই খেতে সুস্বাদু লাগে, গুড় দিয়ে খই খাওয়া যায়, এবং খই এর মোয়া তৈরি করা হয় গ্রাম অঞ্চলে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই, ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খই সম্পর্কে আপনি দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। এটি আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। আগে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই খই ভাজা হতো। কিন্তু এ ঘটনা এখন বিরল। এখন সবাই বাইরে থেকে কই কিনে খায়। আপনাদের বাড়িতে খই ভাজা হয়েছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। খই খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে দুধ দিয়ে। আপনি খই প্রস্তুত করার পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। গ্রামে এভাবেই খই ভাজা হয়। আগে সকালে সবাই খই মুড়ি খেতাম। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম অঞ্চলে খই খুবই জনপ্রিয় খাবার।টাটকা খই একবারই বানিয়ে সংরক্ষন করেন তারা বহুদিন।আপনি চালের নাম উল্লেখ করেছেন আগের মানুষ যা পছন্দ করতো।খই কিভাবে তৈরি করতে হয় তা সুন্দর করে লিখেছেন।যেসব ধানের চাল ভালো হয় সেসব নাম উল্লেখ করেছেন।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম আজকে।আমার খই তেমন পছন্দ না তবে দই এবং গরুর মাংস দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
খৈ শুধু একটি খাবার না মামা। খৈ একটা ঔষধ হিসেবেও কাজ করে। গলায় ভাত আটকার মতো অনেক সমস্যা দূর করতে খৈ ব্যবহার হয়ে থাকে। আমাদের বাড়িতেও পুরাতন ১৬ ধান দিয়ে খৈ ভাজা হয়ে থাকে। আমার অবশ্য খৈ অনেক ভালো লাগে। আগেকার দিনে খৈ নাস্তা হিসেবে ব্যবহার হলেও এখন তেমন হয় না। মেশিনে ভাজা খৈ এখন আমাদের বাসায় বানানো খৈ এর ইমেজ নষ্ট করে দিয়েছে।
খই এর কথা অনেক শুনেছি। যেহেতু শহরে থাকি তাই ওভাবে চিনি না। তবে আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভাবে জানতে পারলাম। ধান দিয়ে দেখছি বেশ সুন্দর করে খই ভাজা যায়। যা আমাদের গ্রাম গঞ্জের ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে বেড়ায়। আপনি আপনার পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন যা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/Rahul989132/status/1705237540721381613?s=19
খই বাঙালির একটি জনপ্রিয় খাবার। খই আমাদের গ্রামবাংলায় প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। গ্রামের মানুষেরা খই খেতে পছন্দ করে। বিশেষ করে যখন আম কাঁঠালের মৌসুম থাকে তখন এই খই ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। কারণ আম ও কাঁঠালের সাথে খই খেতে বেশ মজা লাগে। আমাদের বাড়িতে আমরা মাঝে মাঝে খই ভেজে নেই এবং আম ও কাঁঠালের সাথে খেয়ে থাকি। খই ভাজা কষ্টের একটি কাজ। এই কাজ সবাই করতে পারে না। কিছু কিছু মহিলারা এই কাজ করে দেয়। এই কাজের জন্য তাদেরকে কিছু টাকা দিতে হয়। আমরা প্রতি বছর পূজার সময় টাকা দিয়ে খই ভেজে নেই এবং পূজার সময় এগুলো বিভিন্ন রকমের খাবারের সাথে খাই। দইয়ের সাথে খই খেতে বেশ ভালো লাগে। দইয়ের সাথে খই বেশ মজা লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দুধের সাথে খই খেতে বেশ ভালো লাগে আমার। তবে মাঝে মাঝে খয়ের সাথে ধান থাকে এটা গলায় আটকালে অনেক খারাপ লাগে। অনেক কয়েকবার গলায় আটকে গেছিল এই খইয়ের ধান তখন থেকে সাবধানে খায় এসব। খই বাচতে অনেক বিরক্তি লাগে তবু ও মাঝে মাঝে ধান থেকেই যায়। অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ধানের খই সম্পর্কে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই ধানের খই গ্রাম অঞ্চলের অতি জনপ্রিয় একটি খাবার। ধানের খই পছন্দ করে নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। ধানের খই খুব নরম হওয়ার কারণে এর স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে থাকে। তবে আগের তুলনায় এখন গ্রাম অঞ্চল গুলোতে খই খুবই কম ভাজা হয়। আগে প্রতিটি বাড়িতে ধানের খই বাজা হতো।খই নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।