পরিপূর্ণ সন্ধ্যা
গ্রামে যেখানটাতে থাকি পার্শ্ববর্তী বাড়ির এক ভাতিজা খুবই সাম্প্রতিক সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। তাছাড়া শহরে আগে যে জায়গাটাতে থাকতাম, সেখানকার এক পরিচিত ছোট ভাই ইতিমধ্যেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। বলতে গেলে ওদের সঙ্গে সখ্যতা আমার বেশ ভালই। তাছাড়া যেহেতু ওরা এখন বাড়িতেই আছে, তাই ভাবছিলাম ওদের নিয়ে পিঠা খেতে যাব।
শীতের সময় আমাদের এদিকটাতে বেশ ভালই পিঠা বিক্রি হয়। সন্ধ্যের পরে মোটামুটি ভালই আড্ডা জমে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে। ওদের সঙ্গে পিঠা খাচ্ছিলাম আর সমসাময়িক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টুকটাক খোঁজ খবর নিচ্ছিলাম। জানার চেষ্টা করছিলাম ওদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি।
এক কথায় উত্তর আর যাইহোক দেশে থাকতে চাই না, সুযোগ হলে বিদেশে চলে যাব। হয়তো কথাটা বেশ ছোট, তবে এর গভীরতা বড্ড কঠিন। মেধাবীগুলো যখন দিনশেষে সিস্টেমের কারণে বিভিন্ন ধাক্কা খায় তখন আসলে এমন কথা এমনিতেই শোনা যায়।
এই ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান এমন একটা জায়গা, যেখানে গেলে অনেক পরিচিত লোকের সঙ্গে এমনিতেই দেখা হয়ে যায়। দেখুন না, হঠাৎই বহুদিন বাদে জিম আর স্বপ্নীলের সঙ্গে দেখা।
স্বপ্নীলের বৌভাতের দিন ওর সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল, তারপরে পাক্কা তিন বছর পরে আজ দেখা ।
তাছাড়া জিমের সঙ্গেও বেশ দীর্ঘ বিরতির পরে দেখা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরির কারণে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে স্বপ্নীল। তবে জিম পারিপার্শ্বিক অবস্থাতে, অনেকের সঙ্গেই তার নিজস্ব চিন্তাধারার বিস্তর তফাৎ দেখতে পায়, তাই সে নিজেকে সবার থেকে আড়াল করে রাখো।
প্রত্যেকের জীবন গতিশীল, সবাইকেই বেশ আমি পছন্দ করি। তাই হয়তো গত সন্ধ্যায় যখন হঠাৎ করে সকলের সঙ্গে একত্রে দেখা হয়ে গিয়েছিল, তাই মুহূর্তেই সময়টা যেন বেশ প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। বলতে গেলে গতকালের সন্ধ্যা ছিল একদম পরিপূর্ণ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মেধাবী ছেলে মেয়েগুলো সব দেশ থেকে বাইরে চলে যায়। এই সমস্যা ধীরে ধীরে আরো উত্তরোত্তর বাড়ছে। এর ফলে দেশে ভালো ছেলে মেয়েগুলো আর থাকছে না। আসলে যারা ভালো তারা ভালো চাকরি পেয়ে বাইরে চলে যায়। তবে ভ্রাম্যমান পিঠের দোকানটা বেশ ভালো লাগলো। সকলে মিলে বেশি ইনজয় করেছেন কিছুটা সময়।
পরিস্থিতি বড্ড ঘোলাটে দাদা, তবে মেধাবীরা সত্যিই দেশে থাকতে চায় না। যেখানে কদর নেই, সেখানে থেকে লাভ কি।
আসলে অনেকেই আমাদের দেশ থেকে পালাতে চায় বাধ্য হয়ে। অনেকে তো আমাকে বলে সাউথ কোরিয়াতে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেনো সেটেল্ড হলাম না। আসলে আমাদের দেশটা দিনদিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। তাইতো মানুষজন ভাবে পালাতে পারলেই বাঁচি। যাইহোক সবার সাথে সন্ধ্যা বেলা সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ব্যাপারটা জেনে কিছুটা অবাক হলাম, তবে আমার সুযোগ থাকলে, আমি অন্যভাবে ভেবে দেখতাম ভাই।
ভাই বাহিরে সেটেল্ড হলে তো সবাই শুধুমাত্র বউ বাচ্চা নিয়েই থাকে। কিন্তু মা বাবা সহ বাকি সবাইকে ছেড়েই থাকতে হয়। তাছাড়া শেষ বয়সে তো ঠিকই দেশে ফিরে আসতে হয়। এসবকিছু চিন্তা ভাবনা করেই বাহিরে সেটেল্ড হইনি।
অনেকে পরিস্থিতির চাপে দেশের বাইরে যেতে বাধ্য হয় ভাইয়া। আসলে করার কিছুই থাকে না। তবে এই মেধাবী মানুষগুলো যখন দূরে চলে যায় তখন সত্যি মেনে নেওয়া যায় না। যাইহোক ভাইয়া সন্ধ্যা বেলায় সবার সাথে আড্ডাটা দেখছি বেশ ভালোই জমে উঠেছিল।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু, সবাই পরিস্থিতির চাপেই সবকিছু করতে বাধ্য হয়।
শীতকাল আসলে মানুষ যতগুলো পিঠা ঘরে তৈরি করে না তার চেয়ে হরেক রকমের পিঠা বাইরে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে মানুষ বেশ মজার মজার পিঠা বাইরে তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন গরম গরম। যেটা বিশেষ করে ছেলে মানুষরা যারা বাইরে ঘোরাঘুরি করেন তাদের জন্য একটি সুবিধা। কারণ একসাথে আড্ডা দিয়ে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার ছোট ভাইদের সাথে খুব সুন্দর আড্ডা দিলেন আপনি।
এটা সত্য সময়টা বেশ ভালো কেটে ছিল ওদের সঙ্গে।