ভয়😔
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো এই মূহুর্তে ঘটে যাওয়া আমার জীবনে আতংকিত হওয়ার ঘটনা নিয়ে।তো চলুন দেখা যাক পোস্ট টি কেমন।
আমার মেয়ে ঐশ্বর্য বকসী্ আরাধ্যা নাসারি তে পড়ে।আমি মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাই এবং নিয়ে আসি।কোনদিন কোন সমস্যার সমমুখীন হইনি কোন কিন্তুু গতকাল থেকে কেন জানি ভয়াবহ সমস্যা সমুখীন হতে হতে বেঁচে যাচ্ছি। গত কাল সকাল সকাল মেয়ে নিয়ে তৈরি হয়ে অটো ভ্যানে করে স্কুলের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলাম।বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব এক কিলোমিটার। অটো ভ্যানে আসা যাওয়া করি প্রতি দিন।মা মেয়ে আসছিলাম, স্কুলে যাওয়ার পথে একটি মোর আছে তিন রাস্তার মোর।ঠিক যখন মেরে এসে মেয়ের স্কুলের রাস্তায় উঠতে যাবো এমন সময় সামনে লক্ষ্য করলাম একটি গাছ ভর্তি অটো ভ্যান আমাদেরকে সামনে দেখা সত্যেও সামনে না তাকিয়ে নিজের ভ্যানের চাকায় কি সমস্যা সেটি লক্ষ্য করছে। আর আমাদের ভ্যানও সেই গাছের ভ্যানটি মুখোমুখি সংঘর্ষ হতে যাবে এমন সময় আমাদের ভ্যান চালক চিৎকার করে উঠে নিজের ভ্যানটি কোন রকমে কন্ট্রোল করে সাইডে নিতে সক্ষম হয়েছে। অনেক বড়ো দূর্ঘটনা হতে পারতো কারণ রাস্তার দু সাইডেই গভীর খাদ ছিলো।মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুটি ভ্যানে নিশ্চিত খাদে পড়তো। সৃষ্টিদের কৃপায় হয়নি কিছু। আজ আবারও দূর্ঘটনার ভয়াবহ দূর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছি।মেয়ে খুব ভয় পায় বাস,ও ট্রাককে। ভয় পাবেই বা না কেন দানবের মতো বেপরোয়া গতীতে চলে এসব যানবাহ। আমাদের বড়োদের গলা শুকিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয় মাঝে মাঝে এসব যানবাহনে বেপরোয়া গতি দেখে।মেয়ে আরো বেশি ভয়ে ভয়ে থাকে কারণ ওর স্কুলের বান্ধবী রাস্তা পাড় হতে গিয়ে অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে গেছিলো।আবার তার কিছু দিন পর আমাদের গ্রামের আর একটি বাচ্চাকে স্কুল থেকে ফেরার পথে সিএনজির ধাক্কায় রক্তাক্ত অবস্থা।এসব পরপর দুটো ঘটনায় মেয়ে বেশ মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছিলো।জ্বর থাকতো ভয় পেতো সব সময়।যাই হোক পূজার আনন্দের মাঝে এসব ঘটনা ভুলে গেছিলো বল্লেই চলে।কিন্তু আজ আবার সে চিৎকার করে উঠেছে ভয়ে।ঘটনা স্কুল আসার পথে ওই সেই তিন রাস্তার মোর পার হয়ে স্কুলের রাস্তায় উঠেছি এবং একটু সামনে এসেছি। লক্ষ করলাম একটি ট্রাক হর্ণ বাজাতে বাজাতে বেপরোয়া গতিতে আমাদের পিছনে।ছোট রাস্তা একটি ট্রাকেই পুরা রাস্তা দখল করে নেয়।আমাদের ভ্যান সামনে এগোচ্ছে কিন্তুু ট্রাক তার গতি কমাচ্ছে না এবং একদম ভ্যানে লাগবে লাগবে অবস্থা মেয়ে চিৎকার করে উঠেছে সাথে আমিও।তারপর অলৌকিক ভাবেই ট্রাকটি নিজেকে কন্ট্রোল করে নিয়েছে। কিন্তুু আমার ও মেয়ের অবস্থা করুন। আমার হাত,পা কাপছিলো,গলা শুকিয়ে গেছিলো।তবুও নিজেকে কন্টোল করে মেয়েকে শান্তনা দিলাম মা কিচ্ছু হবে না আমি আছি তো।আমার মেয়েটা খুব ভয় পায়।মাঝে মাঝেই দূর্ঘটনার কথা শোনে টিভিতে কিংবা আমি যখন নিউজ দেখি তখন মেয়েও সাথে সাথে দেখে। তাই খুব ভয় ওর যানবাহনে। আমার এখনো বুক কাপছে। সৃষ্টি কর্তা কতো বড়ো দূর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচিয়ে নিলেন তা বলে বোঝানো কোন ভাবেই সম্ভব নয়।আসলেই সৃষ্টিকরতা মহান, সৃষ্টিকর্তা পারে না এমন কোন কিছু নাই।আমি তো খুব ভয়ে আছি এই ভেবে যে দু,দিন পরপর এমন ঘটনা ঘটে গেলো। জানি না ভাগ্যে কি আছে।আমার গলা শুকিয়ে আছে এখনো। আর ঐ দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে আর মেয়ের আতংকিত মলিন মুখটি ভেসে উঠছে চোখের সামনে ও চোখে জল চলে আসছে। সত্যি আমি ভীষন ভয় পেয়ে গেছি।আর ভাবছি এভাবেই কতো তাজা প্রাণকে নিমিষেই শেষ করে দেয় এমন বেপরোয়া মাতাল ট্রাক চালকেরা।আজ এ পর্যন্তই শেষ করছি।আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে।সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | গাইবান্ধা, বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
মহান আল্লাহর কাছে অনেক অনেক শুকরিয়া যে তিনি আপনাদের কে এ যাত্রায় রক্ষা করেছেন। আজকাল যে হারে রাস্তার দূঘর্টনা বেড়ে যাচেছ তাতে মানুষের বেচেঁ ফিরাই দায়। এগুলো দেখার মত কেউ নেই। সবাই আছে নিজেকে নিয়ে। তাই আমাদের ভালো আমাদের কেই দেখতে হবে। আশা করবো এর পর হতে সাবধানে চলাফেরা করবেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।তবে পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় সাবধানে চলাচল করেও দূর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।
আরে আমি আবার ভাইয়া হলাম কবে? আমাকে ভাইয়া বানিয়ে দিলেন!
খুব ভয় পেয়েছিলাম এই কথাগুলো পড়ে।আসলে আমার নিজের কাছেও এত বড় গাড়িগুলো জোরে চলতে দেখলে ভয় লাগে। আমার মনে আছে কিছুদিন আগে হাইওয়ে রোডে রাতের বেলা পার হবো কিন্তু গাড়ির গতি দেখে আমার আর সাহস হচ্ছিলো না।কিন্তু যখন গাড়ি আসা কিছুটা কমেছে তখন পার হয়েছি।আসলেই বাচ্চাদের জন্য তো আরও ভয়ের।
হ্যাঁ আপু বড়োরাই যেখানে ভয়ে কাতর বাচ্চার তো আরো বেশি ভয়ে পড়ে যায় এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়লে।
রাস্তাঘাটের যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল দেখে বাচ্চারা খুবই ঘাবড়ে যায়।এটা আসলে সমাজের বা সেই দেশের যানজট সমস্যা।প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাড়ি থাকায় দুর্ঘটনাগুলি বেশি ঘটে থাকে।আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক ঘটনার কথাই জানলাম।তবুও সাবধানে চলাফেরা করবেন,আশা করি ধীরে ধীরে আপনার মেয়ে ভয় কাটিয়ে উঠবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।শুভকামনা রইলো দিদি।
ঠিক বলেছেন বেপরোয়া যানবাহনের চলাচল দেখে বড়োরাই আমরা ঘাবড়ে যাই।ধন্যবাদ