আত্মসম্মান ও মুখের ভাষা!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমার কাছে পৃথিবীতে আসলে খুব সবচেয়ে বড় কোনো বিষয় কি যদি জিজ্ঞেস করা হয়। তাহলে আমি বলবো সম্মান কিংবা একটা মানুষের কথা আসলে।একটা মানুষ আমাকে কিভাবে কথা বলছে, একটা মানুষ আমার সাথে কোন টোনে কথা বলছে, একটা মানুষ আমাকে কতোটা সম্মান দিচ্ছে। এটা আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ আমার সাথে যদি কেউ খুব সুন্দর ভাবে কথা বলে। তাহলে আসলে তাদেরকে আমি আমার কলিজা কেটেও হয়তো খাওয়াতে পারবী। তাদের জন্য আমি সর্বোচ্চ কাজ করতে পারবো।

কিন্তু আমার সাথে যদি কেউ খারাপ আচরণ করে। আমার সাথে কেউ যদি রুড বিহেভ করে অকারণে। আমি তাহলে সেটা কোনো ভাবে মেনে নিতে পারি না। আমি জানি না এটা আমার অনেক বড় বদ অভ্যাস কিনা। কিন্তু সত্যি কথা বলতে আমার কাছে ব্যবহার অনেক অনেক বড় একটি ব্যাপার। আমার সাথে যদি কেউ খারাপ ব্যবহার করে সেটা আমি কোনোভাবেই ভুলতে পারিনা এবং আসলে ভুলতে চাইলেও পারি না। আমি জানিনা এটা আমার মধ্যে কেনো কাজ করে। অনেকে বলে যে মেয়ে মানুষ তাই জটিল মানসিকতার মানুষ। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, মানুষের প্রতি মানুষের ব্যবহার এতোটা সুন্দর হওয়া উচিত। যাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঝামেলা হলেও মুখের ভাষাটা যেনো কখনো খারাপ না হয়।

কারণ একবার যদি আমার সামনে কেউ মুখের ভাষা খারাপ করে ফেলে। আমি আসলে তার সাথে কখনোই আর সেই বিষয়েও আগাতে পারি না বা যেই মুহূর্তে কোনো ব্যক্তি আমার সাথে খারাপ আচরণ করা শুরু করে কিংবা খারাপ মুখের ভাষা ব্যবহার শুরু করে। তখনই আমি বুঝে যাই যে ওই মানুষের সাথে যদি আমি তর্ক করতে চাই। ওই মানুষটিকে যদি আমি কোনো কিছু বুঝাতে চাই। তাহলে আসলে সেখানে আমার নিজেরই অসম্মান হবে।

আর আমি মনে করি এটা আমার নিজেরই সম্মান রক্ষা করা। কারণ আমি আসলে এ বিষয়ে প্রচণ্ড সেনসিটিভ বলা চলে। আসলে আমি কখনোই মেনে নিতে পারি না, কেউ যখন মুখের ভাষা অত্যন্ত নোংরা করে ফেলে। কারণ আমাদের সাথে কিন্তু পশু পাখি,জন্তু-জানোয়ারের এখানে একটি ডিফারেন্স। অর্থাৎ আমরা সভ্য, আমরা সভ্য জাতি এবং পশু পাখি সভ্য নয়। আর এই সভ্যতার আবরণ যদি আমরা খুলে ফেলতে পারি। এই সভ্যতার আবরণ থেকে যদি আমরা বের হয়ে অসভ্য আচরণ করতে পারি। তাহলে আমি মনে করি সেই মানুষগুলো শুধুমাত্র দেখতেই মানুষ হয়। আসলে ভেতর থেকে অমানুষ হয়ে যায়। কারণ মানুষ এর বড় একটি পরিচয় হলো তারা সভ্য। অর্থাৎ সর্বোপরি এটাই বলার যে, আমার সাথে যদি কারো ভালো থাকতে ইচ্ছা থাকে। তাহলে আমি মনে করি অবশ্যই ভালো আচরণ করতে হবে। কারণ আমি নিজেও অন্য মানুষের সাথে যতোই তর্ক করি না কেনো।কখনোই খারাপ শব্দ, খারাপ আচরণ করি না।তাই আমি মনে করি এই অভ্যাসটি সকলের মধ্যেই থাকা উচিত। কারণ আমাদের মধ্যে যদি সংবেদনশীলতা না থাকে। তাহলে আমাদের নেক্সট জেনারেশন কিন্তু একই ভাবেই অর্থাৎ একেবারে খারাপ আচরণ নিয়েই বড় হবে।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।