কফি হাউসে একদিন
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।গত একটি পর্বে আমি মা-বাবার সাথে এয়ারক্রাফ্ট মিউজিয়াম যাওয়ার কথা ভাগ করে নিয়েছিলাম । আজ আমি আপনাদের সাথে মা-বাবার সাথেই সেই দিনকে কফি হাউজ যাওয়ার মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিচ্ছি। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
"কফি হাউজ" -এই কফি হাউজের নামটা শুনলেই কিন্তু আমাদের কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের কথা মনে পড়ে।যেটার সাথে বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এবং কফি হাউস বলতে আমরা শুধুমাত্র কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসকেই বুঝি ।এখানে একসময় মান্না দে, সত্যজিৎ রায়ের মতো অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিরা এখানে কফি খেতে খেতে আড্ডা দিয়েছে। তাছাড়াও এই কফি হাউসই ছিল এককালের বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের প্রধান আড্ডাস্থল। নিকটতম বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলির ছাত্রছাত্রীদের ভিড় করা ছাড়াও নামিদামী বুদ্ধিজীবী - লেখক, সাহিত্যিক, গায়ক, রাজনীতিবিদ, পেশাদার, ব্যবসায়ী ও বিদেশি পর্যটকদের আড্ডা দেওয়ার অবারিত জায়গা হিসাবে এটি বিখ্যাত।কিন্তু যত দিন যাচ্ছে এই কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসের পরিবেশ অনেকটাই খারাপ হয়ে গেছে। তাছাড়া এই কফি হাউজে শুধুমাত্র ঐতিহ্য মিশে আছে বলেই একপ্রকার চলছে। তবে যাই হোক কফি হাউজের মধ্যে একটা আলাদাই ঐতিহ্য রয়েছে। তো সেই নিয়ে আমি তর্ক বিতর্কে যাচ্ছি না।
আজ আমি নিউটন কফি হাউসের কথাই বলছি। এই কলেজ স্ট্রিট কফি হাউজের পর নিউটনের কফি হাউসই আছে যেটার পরিবেশ সবথেকে সুন্দর । কলেজ স্ট্রীট কফি হাউজের মধ্যে পরিবেশ অতোটা সুন্দর পাওয়া যায় না। এছাড়াও খুব নিরিবিলি জায়গায় নিউটন কফি হাউস।তাই জন্য আরো বেশি ভালো লাগে ।এবং খুব সুন্দর সাজানো গোছানো। তার সাথে এখানে একটি বই পড়ার লাইব্রেরীর মত জায়গা রয়েছে,যেখানে বসে বই পড়াও যাবে এবং বিভিন্ন রকমের বইয়ের স্টক রয়েছে সব মিলিয়ে খুব ভালোই লাগবে ।
তাছাড়া আমার মা বাবা প্রথমবার কফি হাউসে গিয়েছিল ,তাই ভীষণ ভালো লেগেছে মা-বাবার। সেখানে গিয়েই বেশ কয়েকটা ছবি তুলে দিলাম তার সাথে এখানকার কফি অর্ডার দিলাম এবং গন্ধরাজ চিকেন পকোড়া, ফিশ ফিঙ্গার অর্ডার করলাম। আর প্রত্যেকটি খাবারের টেস্ট তো এখানে খুবই ভালো। তাই টেস্ট নিয়ে আলাদা করে কিছু বলছি না। বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম তার সাথে ছবি তোলা তো রয়েছে এবং কিছুক্ষণ খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে গেলাম এবং সেই দিনটা এই ভাবেই তিনটে জায়গায় ঘুরে ভীষণ আনন্দ করেছিলাম।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

স্টিট কফি হাউজে আপনার অনেক স্মৃতি বিজড়িত কলেজ লাইফের অতীত রয়েছে। সেটা আপনার মধুর সময় যেখানে অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তি আড্ডা দিয়েছেন । আসলে জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলো আড্ডার মাধ্যমে কাটে। মা-বাবাকে নিয়ে কফি হাউজের দারুন একটা মুহূর্ত কাটিয়ে ছিলেন দিদি ভালো লাগলো।
কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউজের পরিবেশ তেমন সুন্দর না। তাই নিউটন নিউটন কফি হাউজে মা-বাবার সাথে গেলেন।এ জায়গার পরিবেশ নিরিবিলি।এখানে এসে কিছু খাবারের অর্ডার করলেন।এখানকার খাবার বেশ ভালোই বললেন।তবে তো সবাই মিলে বেশ ইনজয় করলেন।অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।ভালো থাকবেন।
দিদি কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউজের পরিবেশ সুন্দর ছিল না বলে আপনি নিউটন কফি হাউজে বাবা-মা এর সাথে গিয়েছেন কফি খেতে জেনে ভালো লাগলো। আপনার বাবা- মা যেহেতু প্রথমবার কফি হাউজে গিয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই তারা খুব খুশি হয়েছে। নিউটন কফি হাউজের ভিতরের পরিবেশ সত্যি অসাধারণ। এখানে যেহেতু লাইব্রেরী রয়েছে তাহলে এই কফি হাউজে গিয়ে খুব ভালো সময় কাটানো যায়। কফি খাওয়া আর বই পড়া একসাথে দুটো কাজ করা যায় । আমার কাছে গন্ধরাজ চিকেন পকোড়া খুবই ইউনিক লেগেছে। আচ্ছা দিদি এই পকোড়ার নাম গন্ধরাজ কেন রাখা হয়েছে?
আসলে এই পকোড়ার মধ্যে গন্ধরাজ *লেবুর ফ্লেভার থাকে তাই ।
বাবা মা কে নিয়ে কফি হাউজে গিয়ে কফি আর চিকেন খেয়েছেন। এছাড়াও একদিনে তিনটি জায়গায় গিয়েছেন যেহেতু, তাহলে দিনটি নিশ্চয়ই বেশ ভালো কেটেছে দিদির। আর কলেজ স্ট্রীট এর কফি হাউজের কথা এত শুনেছি যে মনের মধ্যে একটা ছবি তৈরি হয়ে আছে। এখন যখন শুনি যে পরিবেশ আগের মতোন নেই, খারাপ হয়ে গিয়েছে, তখন মন খারাপই লাগে।
আপু আপনার মা এবং বাবা এই প্রথম কফি হাউজে নিয়ে গিয়েছেন এটা জেনে দারুণ লেগেছে আমার কাছে। বাবা-মাকে নতুন কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া তাদেরকে ভালো কিছু খাওয়ানো এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। নিউটন কফি হাউজে পরিবেশটা দারুন ছিল, যেহেতু সেখানে লাইব্রেরী ছিল। আর সময় কাটানোর জন্য লাইব্রেরী একটি উত্তম পন্থা। বাবা মাকে নিয়ে দারুণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
দিদি মা-বাবার সঙ্গে কফি হাউজে প্রথমবার গিয়েছেন এবং দারুন একটা সময় উপভোগ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারছি। আসলে মা-বাবার সঙ্গে কোথাও ঘুরতে গেলে সেই অনুভূতি সম্পন্ন আলাদা ।খাবারের ছবিগুলো কিন্তু লোভনীয় ছিল। এই কফি হাউজ টা বেশ ভালো লাগলো দেখতে।ধন্যবাদ আপনাকে।
বিভিন্ন কফি হাউজের সাথে পুরনো অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। দিদি আপনি আপনার বাবা-মায়ের সাথে কফি হাউসে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। পছন্দের কোন জায়গায় যদি বাবা-মাকে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে অনেক ভালো লাগে।
বাহ্ দিদি আঙ্কেল আন্টিকে নিয়ে তো বেশ ভালোই সময় কাটালেন কফি হাউজে। কফি হাউজের পরিবেশটা কিন্তু বেশ ধারণা ছিল। নানান রকমের খাবারই তো পাওয়া যায় এখানে। তবুও আপনাদের অর্ডার করা রেসিপি গুলো কিন্তু বেশ লোভনীয়। তবে আপনার অতীতের স্মৃতিগুলোঠঠকিন্তু খুব মধুময় ছিল বলে মনে হচ্ছে।
দিদি ভাই, নিউটাউনের কফি হাউজে আপনার বাবা-মাকে নিয়ে যে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন, তা যেন আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল। 🙏
আপু কফি হাউজের নাম শুনলে সেই বিখ্যাত কফি হাউজের কথা মনে পড়ে। যেটা নিয়ে মান্না দে তার বিখ্যাত গানটি পরিবেশন করেছিলেন। একটি বিষয় হলো পৃথিবীর কোন কিছুই সবসময় তাদের অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারে না। সেটা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। যায়হোক নিউটন কফি হাউসটাও দারুন। ধন্যবাদ।