প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ক্যাসেট যা এখন শুধু স্মৃতির পাতায় লেখা ||
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে একটি ক্যাসেট নিয়ে আলোচনা করব।
ছবিতে আপনারা যে ক্যাসেটটি দেখতে পারতেছেন সেটি হলো একটি সনি ব্যান্ডের ক্যাসেট এবং একাধারে একটি রেডিও। এই ক্যাসেটটির মডেল নাম্বার হলো SONY CFS-B5S। এই ক্যাসেটটির প্রস্তুত কারক হলো জাপান। ৯০-এর দশকে বানানো হয় এই ক্যাসেট। এই ক্যাসেটটি অনেক ভালো মানের রেডিও হিসেবেও কাজ করে। এর মূলত তিনটি অংশ হয়েছে। প্রথম:- এটি ক্যাসেট হিসেবে কাজ করে। দ্বিতীয়:- এটি অনেক ভালো রেডিও হিসেবেও কাজ করে। তৃতীয়:-এখানে কার্ডরিডারের সাহায্যে মেমোরি লাগিয়েও গান শুনা যায়। অনেক গুলো ভালো দিক থাকার কারনে বাজারে বেশ সাড়া ফেলেছিলো সরি ব্রান্ডের এই ক্যাসেটটি।
এই ক্যাসেট গুলো অনেক ভালো মানের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী দিতে পারে। ৯০- এর দশকে এমন ক্যাসেট যার বাসায় ছিলো কমবেশি সকলে তার বাসায় BBC নিউজ শুনার জন্য যেতো। সবথেকে বেশি পরিমানে রংপুর অঞ্চলের মানুষ এই ক্যাসেটে ভাওয়াইয়া গান শুনতো। তখন সবথেকে ভালো শিল্প ছিলো:-রুনা লায়না, সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোর, আসিফ আকবর এবং আরো অনেকে। এই ক্যাসেটে একটি এন্টানা আছে। এই এন্টানার সাহায্যেই রেডিও চালানো হয়ে থাকে।
আপনারা এই চিত্রটির দিকে তাকালে বুঝতে পারবেন কোন বাটন দিয়ে কি কাজ করা যাবে এখানে তা দেওয়াই আছে। সবথেকে আমার যে বিষয়টি এখানে ভালো লেগেছে তা হলো এর সাউন্ড কোয়ালিটি৷ এর সাউন্ড কোয়ালিটি বর্তমান ফোরের ডুয়েল স্পিকারের থেকেও অনেক বেশি ফ্রেশ মনে হয়েছে। একটা সময় এই একটি মাত্র বিনোদনের মাধ্যম ছিলো রেডিও। ছিলো না তখন কোনো ভালো মানের নেটওয়ার্ক সুবিধা। তারপরেও অনেক কারনেই ৯০- দশক কে সোনালী অতীত বলা হয়ে থাকে।
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০প্রো |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mainuna |
লোকেশন | JJMM+7GG Dinajpur |
ক্যাসেটটি দেখতে বেশ উন্নত এবং সুন্দর মনে হচ্ছে। জাপানের তৈরি জিনিসগুলো সব সময় সুন্দর হয়ে থাকে। আর সনি হচ্ছে জাপানের সবথেকে বিখ্যাত ব্রান্ড। আগে এমন ক্যাসেট আমার বাসায় কয়েকটি ছিল। তবে সেগুলো মেমোরি দিয়ে চলত না। তখন কিছু ফিতা পাওয়া যেত সেই ফিতা দিয়ে গান শোনা যেত। এরকম বড় ছিল দুটি এবং আমার আরো দুটি ছোট ছোট টেপ রেকর্ডার ছিল। আমি এগুলো দিয়ে গান শুনতাম। আগে এগুলো নিয়ে বাহিরেও গান শুনে বেড়াতাম। এগুলো চার্জ দিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা চালিয়ে নেওয়া যেত। এছাড়াও এগুলো বিদ্যুৎ দিয়ে চালানো যেত। আপনি দিনাজপুরে যাওয়ার পরে সুন্দর একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন এবং সেটির ছবি তুলে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি যখন আগে ক্যাসেটে গান শুনতাম আমার কাছে অনেকগুলো ক্যাসেটের ফিতা ছিল সেই ফিতা গুলো এখন আর নাই। সেগুলো আমরা ভেঙ্গেচুরে নষ্ট করে ফেলেছি। আপনি ক্যাসেট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের জানিয়েছেন। কবে ক্যাসেটটি তৈরি হয়েছিল কেমন দাম ছিল সবকিছু আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত ঐতিহ্যমূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করে আপনি এরকম আরো অনেক ঐতিহ্যমূলক বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ! চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন ভাই। আশি-নব্বইয়ের দশকে এই ক্যাসেট অনেক জনপ্রিয় ছিলো আমাদের দেশে। আমাদের বাড়িতেই একটা ক্যাসেট ছিলো। ছোটবেলায় ওই ক্যাসেটে এক সময়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী আসিফ, মনির খান, এন্ড্রু কিশোর আইয়ব বাচ্চু এদের গান শুনতাম। কিন্তু এখন এই ক্যাসেট বিলুপ্ত প্রায়। এই খাজানাটা কোথায় খুজে পেলেন ভাই...???
Dinajpur.. ধধন্যবাদ ভাই।
বাহ্ চমৎকার পোস্ট করছেন ভাই ঐতিহ্যবাহী ক্যাসেট নিয়ে। ৯০ দশকের ক্যাসেট টি বর্তমানে বিলুপ্ত প্রায়। আগের দিনে গান শুনার জন্য খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম ছিলো ক্যাসেট। আমাদের ও একটা ক্যাসেট ছিলো। আসিফ, মনিরখান, এন্ডোকিশোর, কনকচাঁপা এই শিল্পীদের গান শুনতাম, আপনি অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে ভাই, ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
আমার পাশের বাসায় আমার এক দাদুর এরকম একটি ক্যাসেট ছিল। অবশ্য সেই ক্যাসেট এখনো আছে। তবে তিনি এখন আর ব্যবহার করেন না।ছোটবেলায় তাদের বাড়িতে গেলে দাদুর কাছে বসে ক্যাসেট শুনতাম। তিনি বিভিন্ন রকম খবর শুনতেন বিশেষ করে বিবিসি নিউজ। এছাড়া তিনি ক্যাসেটে গান শুনতেন আমাকে অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু বর্তমানে এসব ক্যাসেট আর দেখা যায় না দিন দিন বিলুপ্তির পথে। যার প্রধান কারণ হিসেবে বলা চলে বিভিন্ন রকম বিনোদনমূলক ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন রকম ডিজিটাল ডিভাইস। যাইহোক ক্যাসেট সম্পর্কে দারুণ লিখেছেন আপনি ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
ওয়াও ক্যাসেট সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। এই ক্যাসেট ছোট থাকতে আমি আমার বাসায় দেখেছিলাম। আসলে এই ক্যাসেট গুলো আগে অনেক ছিল সবারে বাড়িতে কম বেশি একটা করেছিল এবং এগুলো থেকে গান শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগতো ছোট থাকতে আমরা এগুলোতে কত গান শুনেছি যে বলে বোঝানোর মত না। এবং আপনি ঠিক বলেছেন এই ক্যাসেট গুলো একেবারেই বিলুপ্তর পথে এখন এগুলো শুধু স্বপ্ন ছাড়া আর কিছু না। অসাধারণ লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/NoorAmi17031375/status/1701760071158620412?t=unEgUeis5wJEp-KIAPZ0yw&s=19
ক্যাসের নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপন করছেন । আমাদের বাড়তিও অনেক আগেরকার একটি ক্যাসেট ছিল। আগে ক্যাসেটের মাধ্যমে গান, খবর প্রভূতি শোনার জন্য ক্যাসেটের ব্যবহার ছিল। কিন্তু বর্তমানে সময় ও কালের পরিবর্তনে ক্যাসেটে বিলুপ্ত প্রায়৷
@md-sajalislam.
ধন্যবাদ ভাই।❤️
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলেই সময়ের সাথে হারিয়ে গেছে এই ক্যাসেট এর ব্যবহার। তবে আপনার শেয়ার করা উক্ত ক্যাসেটটি এখনো সুন্দর ভাবে কাজ করছে জেনে খুব ভালো লাগলো। ক্যাসেটের ব্যবহার তেমনভাবে না থাকায় এখন ক্যাসেটের ফিতা পাওয়া যায় না তাই হয়তো তিনি মেমোরি এর সাহায্যে গান শুনেন। ৯০ দশকের এই জিনিসটি এখন হয়তো অনেকের বাড়িতেই অচল অবস্থায় পড়ে আছে। পুরনো এই জিনিসটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ। 😊
ক্যাসেট যা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত ছিল।দিন দিন তা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।নব্বই দশকের ছেলেমেয়েরা ক্যাসেট চিনবেনা তা হতে পারেনা।আপনার পোস্ট দেখে পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে পরে গেলো।আমাদের বাসায় এমন একটি ক্যাসেট ছিল যা দিয়ে চার ধরনের কাজ করা যেতো,যে গুলোর কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলো সাথে,রেকর্ডিং করা যেত যে কোনো কিছু।আপনি এ ক্যাসেটের দাম উল্লেখ করেছেন।ঠিকই বলেছেন বর্তমানে ক্যাসেটের ফিতা তেমন পাওয়া যায়,ঠিক তেমনি ক্যাসেটও দেখতে পাওয়া যায়।আধুনিক যুগে সব কিছু আধুনিক হয়ে গিয়েছে।গান বা রেডিও শুনার জন্য এখন বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস বের হয়েছে।ঠিকই বলেছেন সব থেকে বেশি রংপুরের ভাওয়াইয়া গান সবাই শুনতো।কিছু গানের শিল্পীর নামও উল্লেখ করেছেন।ঠিকই বলেছেন নব্বই দশককে সোনালী অতিত বলা হয়ে থাকে।আপনার পোস্টের উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে।আপনার ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।