ভাপা পিঠার রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার পছন্দের ভাপা পিঠার রেসিপি নিয়ে।শীতের সময় এই পিঠাটি না খেলে মনেই হয় না শীত এসেছে। আগে বাংলাদেশে থাকতে খুব বেশি খাওয়া হত শীতের সিজনে।শীত এলেই নানু বাড়ি চলে যেতাম এই পিঠা খেতে। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে এই পিঠাকে কেন্দ্র করে। খুব বেশি মনে পড়ে সেই স্মৃতিগুলো।ইংল্যান্ডে আসার পর আর খাওয়া হয়নি। তবে ফ্রোজেন পিঠা পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলো এত মজা হয় না। অবশ্য গত বছর আমি প্রথম এই ভাপা পিঠা বানিয়ে ছিলাম।বেশ কিছুদিন আগে হাসবেন্ড বাজার থেকে গুড় ও নারিকেল এনেছিল পিঠা বানানোর জন্য।কিন্তু সময়ও পাচ্ছিলাম না, আর শরীরও বেশি ভালো ছিল না। তাই আজকে সময় পেয়ে গেলাম, আর শরীরও বেশ ভালোই আছে তাই বানিয়ে ফেললাম।এবার দিয়ে মোট দুইবার ভাপা পিঠা বানিয়ে ফেললাম।খেতে অনেক মজা হয়েছিল।আশা করি আমার এই পিঠা আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চালের গুঁড়া | ৩ কাপ |
খেজুরের গুড় | স্বাদমতো |
নারিকেল কুচি | ২ কাপ |
লবন | ১ চা চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই গুড় গুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। এরপর নারিকেল গুলো রেডি করে নিয়েছি। আমি এখানে ফ্রোজেন নারিকেল কুচি ব্যবহার করেছি।এক ঘন্টা আগে বের করে রেখেছিলাম।ফ্রোজেন হলেও নারিকেলের স্বাদ কিন্তু একেবারেই অটুট ছিল।যদিও আমাদের এখানে ফ্রেশ নারিকেল পাওয়া যায় কিন্তু প্রবলেম হলো কেটে নারিকেল কুড়ানো অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টের ব্যাপার। তাই রেডিমেড পাওয়া গেলে আর দরকার কি এত কিছুর।
এরপর একটি বোল এ চালের গুড়া ও লবণ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।এরপর পরিমাণমতো পানি নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপর চাল গুলো ভালোভাবে চেলে নিয়েছি।
এরপর একটি বাটিতে একটু চালের গুড়া ও তার উপরে সামান্য নারিকেল নিয়ে নিয়েছি।
এরপর নারিকেলের উপরে গুড়, এরপর আবারও গুড়ের উপরে চাল ও নারিকেল নিয়ে নিয়েছি।
এরপর আবারও গুড় ও গুড়ের উপর চালের গুড়ো নিয়ে নিয়েছি। মোট দুই লিয়ারে গুড় ও নারিকেল দিয়েছি।এরপর হাতের সাহায্যে একটু চেপে দিয়েছি।
এরপর একটি সুতি কাপড়ের সাহায্যে একটি ছিদ্রযুক্ত পাতিলে বসিয়ে দিয়েছি ভাপ দেয়ার জন্য।
এর আগে অন্য একটি পাতিলে পানি বলক দিয়ে তার উপরে ছিদ্রযুক্ত পাতিলটি বসিয়ে নিয়েছি।তারপর ফুল আঁচে ৪-৫ মিনিট রেখে দিয়েছি পিঠাটি তৈরি করার জন্য।
ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার ভাপা পিঠার রেসিপি। এভাবে মোট নয়টি পিঠা বানিয়ে ফেলেছি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই তাই আপু, শীতের সময় ভাপা পিঠা না খেলে মনে হয় যে শীত অসম্পূর্ণ। বেশ ভালো লাগলো আজকে আপনার ভাপা পিঠার রেসিপি দেখে। একদম পারফেক্টলি পিঠাটা তৈরি করেছেন। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল। এবার এখনো বাসায় ভাপা পিঠা তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শীতকাল মানেই মজাদার সব পিঠার রেসিপি। আমি যদি আমার ব্যক্তিগত পছন্দের পিঠা রেসিপির কথা বলি সে ক্ষেত্রে ভাপা পিঠা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ। মজাদার এই ভাপা পিঠা রেসিপি কিভাবে তৈরি করতে হয় তার প্রস্তুত প্রণালী সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার সেজ পিসি এই ধরণের পিঠা বানিয়ে খাওয়ান৷ আমি কখনও করিনি। কিন্তু আপনাদের দেখে মনে হয় করার কথা। আচ্ছা আপু এই যে সাদা কাপড়টা নিয়েছেন এটা যে কোন সুতির পাতলা নরম কাপড় নিলেই হবে? বাজারের কেনা চালের গুঁড়োতে ভালো হয়? আমি পুলি পিঠে করতাম কেনা গুঁড়িতে খুব তাড়াতাড়ি শুকনো হয়ে যেত৷ তাই দেশে থাকার সুবিধে নিই মানে বাড়ি থেকে আনাই৷ 😀 দেখি কোন একদিন চেষ্টা করব।
সাদা কাপড় নিলে ভালো হয়, তবে অন্য কালারের কাপড় নিলে যদি রং উঠে যায় তাহলে দেখতে খুবই খারাপ হবে। হ্যাঁ আপু বাজারের চালের গুঁড়া দিয়েই পিঠা বানিয়ে থাকি, কোন প্রবলেম হয় না।
শীতকাল অনুভব করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ভাপা পিঠা। আসলেই আপু ভাপাপিটা না খেলে মনে হয় যেন শীতকালে কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে গেল। তবে দেখে মনে হচ্ছে আপনি ভাপা পিঠা বানাতে বেশ এক্সপার্ট। খুবই সুন্দর এবং রুচিশীল ভাবে তৈরি করেছেন ভাপা পিঠা। আশা করি টেস্ট ও হয়েছিল খেতে। ধন্যবাদ আপু ভাপা পিটা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাপা পিঠা শীতকালের অন্যতম একটি পিঠা রেসিপি। তবে, বিশেষ করে শীতকালে এই ভাপা পিঠা গুলো একটু বেশি চলে।গ্ৰাম এলাকার মধ্যে এই ভাপা পিঠার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ভাপা পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল কিন্তু।
ভাপা পিঠা আমার পছন্দের প্রিয় একটি পিঠা। শীতকালের অন্যতম কয়েকটি পিঠার মধ্যে এই ভাপা পিঠা একটি। শীতকাল আসলে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ।
দারুন লোভনীয় ভাবা পিঠা। শীত আসলেই চারিদিকের সাথে সাথে আমাদের বাসায়ও ধুম পড়ে যেত ভাবা পিঠা খাওয়ার। সে অনেক আগে মা শীতআসলেই সবার আগে এভাবে ভাপা পিঠা আমাদের বানিয়ে খাওয়াতো। এখন আমাদের বাসায় পিঠা বানানোর চেয়ে কেনা পিঠা বেশি খাওয়া হয়। তবে ঘরে বানানো পিঠা যেমন খেতে মজা লাগে। বাইরের পিঠাগুলোতে তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না। আজ আপনার ভাবা পিঠা রেসিপিটি দেখে বুঝা যাচ্ছে। শীতের আমেজে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন পিঠাগুলো।
শীতকালীন জনপ্রিয় পিঠার মধ্যে সবথেকে মজাদার পিঠা হলো ভাপা পিঠা
ভাপা পিঠা খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে ।আপনার হাসবেন্ড দেখছি বাজার থেকে অনেক নারকেল ওগুর কিনে এনেছে । সেই নারকেল এবং গুর দিয়ে আপনি অনেক মজাদার ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন । পিঠাটা দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে লবণী ও পিঠা শেয়ার করার জন্য। বাড়ির পাশে হলে আপনাদের বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতাম আপু। ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল।
এখন শীতের সময়। একদম সময় উপযোগী রেসিপি এইটা। খেজুরের পাটালি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ভাপা পিঠা তৈরি হয়। আমি তো বানাতে পারি না তবে বাজার থেকে কিনে খাই। এগুলো বানাতে পারলে নিজের মতো করে তৈরি করে খাওয়া যায় এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খাওয়ানো যায়। বেশ সুন্দরভাবে আপনি নারিকেল খেজুরের গুড় বা পাটালি দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর পিঠা তৈরি করতে দেখে।
শীত আসলে যদি পিঠা না খাওয়া হয়, তাহলে তো শীতকাল টাই উপভোগ করা যায় না। আমিও ভাপা পিঠার রেসিপি তৈরি করেছি, আর শেয়ার করেছি আজকে। কত সুন্দর মিলে গেল। আপনার তৈরি করা ভাপা পিঠা দেখতে তো অনেক লোভনীয় লাগছে। এইবার সহ মোট দুইবার তাহলে পিঠা তৈরি করলেন। মজা করে খাওয়া হয়েছিল নিশ্চয়ই।