কুড়ি বছরের পুরোনো কিছু কম্পিউটার গেমস - Old is gold
Copyright free image source : Pixabay
১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাদের বাড়িতে প্রথম কম্পিউটার ঢোকে । এই সাথে কম্পিউটার গেমসের রঙিন দম বন্ধ করা উত্তেজক দুনিয়ার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে । যেদিনই বাড়িতে কম্পিউটার ঢোকে সেদিনই সন্ধ্যায় গেম খেলি । তবে, প্রথম প্রথম তো, আর খুবই ছোট ছিলাম তাই নিজে শুধু কী-বোর্ডের একটি কী চেপে ধরে বসেছিলাম । বাকি খেলাটুকু দাদাই চালিয়ে নেয় ।
আমার জীবনে প্রথম খেলা কম্পিউটার গেমের নাম হলো Road Rash । এটি একটি মোটরসাইকেল রেসিং গেম । অসম্ভব জনপ্রিয়তা পায় গেমটি তখন । আমার কাছেও এটি ছিল খুবই প্রিয় একটি গেম । তখনকার সময়ে মাউস ছিল বল মাউস । মাউসের ভিতরে প্লাস্টিকের কোটিং দেওয়া একটি বড় সাইজের লোহার নিরেট গুলি থাকতো । এই গুলির দু পাশে ভার্টিক্যালি আর হোরাইজান্টালি দুটি চাকা ওয়ালা প্লাস্টিকের রোলার থাকতো । মাউস টা মাউস প্যাডের ওপর এদিক ওদিক করলে লোহার বলটি ঘুরতো । আর তার ঘূর্ণনের পজিশন অনুযায়ী ভিতরের প্লাস্টিকের চাকা ওয়ালা রোলার দুটি ঘুরতো । ভার্টিক্যাল রোলারটা ঘুরলে মাউস কার্সরটি মনিটরে X অক্ষ বরাবর মুভ করতো, অর্থাৎ শুধু উপর-নিচ করতো । আর হরাইজন্টাল রোলারটা ঘুরলে মাউস কার্সরটি মনিটরে Y অক্ষ বরাবর মুভ করতো, অর্থাৎ শুধু এপাশ থেকে ওপাশে যেতো ।
তাই, দুটো এক সাথে রোল করলে মাউস কার্সরটি মনিটরের যেখানে নিতে চাই সেখানেই নেয়া যেত জাস্ট মাউসটা একটু মাউস প্যাডে ঘষে লোহার বলটা ঘুরিয়ে । এই মাউস তখন অনেক ভারী হতো ওই লোহার বলটার কারণে । আর অভ্যাস করতে কারো কারো ৬-৭ দিনও লেগে যেত । আমি তো মাউস চালাতেই পারতাম না ঠিক মতো, কার্সর নিজের পছন্দমত জায়গায় আনতে ঘাম ছুটে যেত । প্রায় দু'সপ্তাহ লেগেছিলো মাউসে নিজের হাত মানিয়ে নিতে ।
তবে, একটা সত্যি কথা বলি । এখনকার বিশাল দামি দামি কর্ডলেস অপটিক্যাল মাউসের চাইতে আগেরকার আমলের বল মাউস আমার বেশি প্রিয় । যদিও এখন তারা বিলুপ্ত ।
এবার শুরু করা যাক গেমের গল্প । আমি জীবনে অসংখ্য গেম খেলেছি । এখানে মাত্র ৭ টি গেমের কথা লিখলাম । পরে টাইম পেলে আবার কোনো একদিন আরো কয়েকটি পুরোনো গেমের কথা লিখবো ।
১. Road Rash
জীবনের প্রথম খেলা কম্পিউটার গেম । আমেরিকার বেশ কিছু জনপ্রিয় রাস্তায় ১৫ জন বাইকারের সাথে রেসিং । দুটো মোড ছিল খেলার । একটি ছিল সিঙ্গেল প্লেয়ার । আরেকটি ক্যারিয়ার বিল্ডআপ । প্রথমটিতে যে কোনো রাস্তায় একটি মাত্র সিংঙ্গেল রেস দেওয়া যেত। দ্বিতীয়টি ছিল ভীষণ আকর্ষণীয় । অনেকগুলো লেভেল ছিল । এক এক লেভেলে এক এক রকমের বাইক দরকার পড়তো । তাই নিচের দিকের লেভেলগুলোতে খেলে খেলে রেসে বিজয়ী হয়ে প্রাইজ পেয়ে তা দিয়ে নতুন দামি রেসিং বাইক কিনতে হতো । নাইট্রো বুস্টার কিনতে হতো ।
গেম খেলার সময়ে বিপক্ষের বাইকারদের ঘুষি, কিল, লাথি মেরে ফেলে দেয়ার সুযোগ থাকতো । এই লাথি মেরে ফেলে দেওয়াটা ভীষণই এনজয় করতাম আমি । আর যদি রেস দেয়ার সময়ে কোনো পথচারীকে মেরে বসো তো ব্যাস হয়ে গেলো । পুলিশের বাইক হুইসল বাজিয়ে পিছু ধাওয়া করবে । ধরতে পারলে রেস ওখানেই খতম । অনেকগুলি রাস্তায় রেস দেয়া যেত । এর মধ্যে আমার সব চাইতে পছন্দের রোড ছিল "সিয়েরা নেভাদা" ।
২. House of the Dead
ফার্স্ট পার্সন শুটিং গেম হিসেবে এই গেমটি আমার ছোটবেলার নস্টালজিয়া । ভীষণই প্রিয় ছিল একই গেমটি । একটি হন্টেড হাউজে শয়তান এক বিজ্ঞানী অনেক ধরণের ঘোস্ট আর জোম্বি তৈরী করে । আটকে রাখে সোফিয়া কে । গেমের নায়ক একটি মাত্র পিস্তল আর আনলিমিটেড গুলি নিয়ে হাজির হয়ে যায় সোফিয়াকে উদ্ধার করতে । ঝাঁপিয়ে পড়ে ভূত-প্রেত আর জোম্বিরা তার উপরে । চলে গুলির ওপর গুলি । এক একটা লেভেল এর শেষে থাকে এক জন করে মাস্টারপিস জোম্বি । তাকে খতম করতে পারলে নেক্সট লেভেল । দারুন এক্সসাইটমেন্ট ছিল এই গেমটিতে । অসংখ্যবার খেলেছি এটি ।
৩. Age of Empires
মাইক্রোসফটের এই স্ট্রাটেজি গেমটি তখন ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিলো । আমার অসম্ভব পছন্দের গেম ছিল এটি । ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে খেলতাম গেমটি । গেমের শুরুতে ৪-৫ জন নারী-পুরুষ থাকতো । আর একটি টাউন হল । এদেরকে নিয়েই খেলা শুরু হতো । ফুড, স্টোন, উড, গোল্ড এগুলো সংগ্রহ করে আস্তে আস্তে পপুলেশন বৃদ্ধি করে উন্নয়ন করতে হতো । ধীরে ধীরে ঘরবাড়ি, কল-কারখানা, ব্যারাক, শিপ ইয়ার্ড, খনি, মার্কেট এসব তৈরী করতে হতো । নানান রকমের অস্ত্র, সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করে হামলা করতে হতো বিপক্ষ রাজ্যকে । এক একটা AGE আপগ্রেড করতে করতে আদিম একটি জনগোষ্ঠী থেকে মধ্যযুগীয় উন্নত একটি রাজ্যে পরিণত করতে হতো । এরপরে শুধু যুদ্ধ আর যুদ্ধ । বিপক্ষ রাজ্যকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারলেই ভিক্ট্রি ।
৪. Cossacks European Wars
রাশিয়ানরা টেক্কা দিয়েছিলো আমেরিকা'কে এই গেমটি ডেভেলপ করে । গেমের ধরণ মাইক্রোসফটের Age of Empires এর মতোই স্ট্রাটেজি গেম । কিন্তু, গ্রাফিক্স, সাউন্ড থেকে শুরু করে গেমের স্টাইল এবং স্টোরী অনেক বেশি উন্নত । এখানেও, গেমের শুরুতে অল্প কয়েকজন সিভিলিয়ান দেয়া থাকতো । তাদেরকে নিয়েই ধীরে ধীরে একটি ধনী ও সামরিক শক্তিতে উন্নত সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে হতো । Age of Empires এ শুধু তলোয়ার-তীর ধনুকের লড়াই হতো । কিন্তু Cossacks European Wars এ বন্দুক, পিস্তল, রাইফেল, কামান ছিল । তাই লড়াইটা জমতো ভীষণ রকম ভাবে । এই জন্য, এই গেমটি আমার দারুন ফেভারিট ছিল । এটিই একমাত্র গেম যেটি এখনো খেলি সময় পেলে । বিগত ২২ বছর ধরে খেলে আসছি । মজা একটুও কমেনি ।
৫. Hitman
আমার বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র আমিই এই গেমের সবগুলো লেভেল পাস করতে পেরেছিলাম । যারা হিটম্যানের ভক্ত তারাই জানেন লেভেলগুলো কতটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে থাকে । একটি গোপন এজেন্সি । তারা হিটম্যান তৈরী করে । ক্ষুরধার ব্রেইন, অসম্ভব শারীরিক শক্তি আর যে কোনো অস্ত্র চালনায় বিশ্বের মধ্যে নিঃসন্দেহে প্রথম শ্রেণীর । যে কোনো টপ লেভেলের assassination এর কাজে বা গোপন যে কোনো মিশনে হিটম্যান সাকসেস । গোটা একটি সেনাবাহিনীর মধ্যে ঢুকে যাকে খতম করার দরকার তাকে ঠিকই খতম করে বিড়ালের মতো নিঃশব্দে কাজ সেরে বেরিয়ে আসে । একটি নেগেটিভ ক্যারেক্টার যে কতটা পপুলারিটি অর্জন করতে পারে তা হিটম্যানের মতো গেম বাজারে না এলে বোঝাই যেতো না । আমাদের সমসাময়িক সব বন্ধুদের হিরো ছিল হিটম্যান । আমি এখনো ভক্ত । তাই, স্যুটেড বুটেড হলে হিটম্যানের মতোই ড্রেসআপ করি । কালো কোট, সাদা শার্ট, লাল টাই ।
৬. EA Sports Cricket 2000
স্পোর্টস গেম যতগুলি ছিল তার মধ্যে EA sports এর এই ক্রিকেট গেমটিই আমার কাছে সবার সেরা মনে হতো । ঘন্টার পরে ঘন্টা খেলতাম এই গেমটি । ওয়ান ডে, টেস্ট, ১০ ওভারের ম্যাচ, ২০ ওভারের ম্যাচ সবই খেলতাম । বিশ্বকাপ , টুর্নামেন্টও খেলতাম । বন্ধুদের নাম অ্যাড করে করে নিজের টিম গঠন করেও খেলতাম । অসম্ভব প্রিয় ছিল আমার এই ক্রিকেট গেমটি ।
৭. Need For Speed
কার রেসিং গেমের মধ্যে এটিই ছিলো আমার সব চাইতে প্রিয় গেম । যারা এই গেমটি খেলেছেন তারাই বুঝতে পারবেন এর আকর্ষণীয় ক্ষমতা । গ্রফিক্স, সাউন্ড দারুন কোয়ালিটির । রেস খেলাও বেশ ইজি । গেমের কন্ট্রোলটি নাইস । এতো easy কন্ট্রোল আর কোনো কার রেসিং গেমে আমি দেখিনি । গাড়িগুলোর মডেলগুলোও ছিলো জাস্ট ওয়াও । পরিশেষে রেসিং রোড গুলির কথা না বললে অপূর্ণ রয়ে যাবে । অনেকগুলো সাপের মতো আঁকা বাঁকা রোডে রেস করতে হতো । রাস্তার দু'পাশের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী খুব নিখুঁতভাবে তৈরী করা হয়েছিল । ফলে রেসিং এর সময় ফিলিংসটা ছিল জাস্ট অসাম ।
দাদা এই কম্পিউটার গেমসের জন্য কত মার খেয়েছিস হিসাব ছাড়া। কয়েন দিয়ে কম্পিউটার গেমস খেলার অনুভুতি ছিল অন্যরকম। খেলার জন্য জায়গা পেতাম না, গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম পিছনে, দেখতাম কিভাবে খেলে, দেখতে দেখতেই শিক্ষা। যেই সময়টা কম্পিউটার গেমসের দোকান আসতাম তাতেই কৈফিয়তের শেষ ছিল না। তবে আপনি অনেক নিখুত ভাবে গুছিয়ে পর্যায়ক্রমে খুব সুন্দর করে লিখেছেন হয়তো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বলেও বুঝানো সম্ভব না। আপনি ঠিকই বলেছেন প্রথমে মোটরসাইকেল গেমিং ছিল পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের গেমস তৈরি হয় এবং সেগুলো আরো বেশি আকর্ষণীয় ছিল। এবং আপনি খুব সুন্দর আপনার গেমিং আগমন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার জন্য রইল ভালোবাসা অবিরাম।
কতো আগেকার গেম এসব! এখন তো এসব গেম পাওয়ায় যায় না। কখনো কম্পিউটারে গেম খেলা হয়নি। ছোটবেলায় জাস্ট মামার ফোনে রোড রেস গেমটা খেলেছিলাম। এখন ফোনে কোনো গেমই নেই। আপনার গেমের এক্সপেরিয়েন্স পড়ে তো কিছু গেম নামাতে ইচ্ছে করছে 🙂।
দাদা, House of the dead এটা যখন খেলতাম একটা অন্যরকম মজা পেতাম। মাউস চাপতে চাপতে যেন আঙ্গুল ব্যাথা করে ফেলতাম,, আর সব ভুত পেত্নীর মাথা ফাটাতাম। হিহিহিহি। Need for speed একটা মারাত্মক গেইম দাদা,👌। এখনও সুযোগ পেলে বসে যাই । খেলার সময় মনে হয় এমন করে যদি বাস্তবেও গাড়ি চালাতে পারতাম 😉।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে, কম্পিউটার রে গেমস খেলি নাই বললেই চলে।বাসায় কম্পিউটার ঢুকেছে অনেক দেরিতে।তবে শুধু একটা গেমস খেলাতাম তা হচ্ছে কেক ডেকোরেশন এর একটা গেমস😜😜।এটাই প্রথম ছিলো।হা হা।
আশ্চর্য জনক হলেও সত্য আমি কখনো কম্পিউটারে গেম খেলিনি । যদিও কম্পিউটারে আমার হাতে খড়ি ২০১১তে এবং ২০১৫ থেকে নিজের ল্যাপটপ আছে । কিন্তু আমার পার্সোনাল ল্যাপটপ কেনার পুর্ব থেকেই আমি সামাজিক মাধ্যম গুলোতে বেশি সময় দিতাম ভার্চুয়ালি অনেক বন্ধুও হয়ে ছিল, সারাদিন তাদের সাথে আড্ডা গল্প ।
তাই এই গেম গুলোর নাম পর্যন্ত আমার জানা ছিল না । ২০০৯এ আমার এক ক্লাসমেট + মেসমেট কে দেখেছি কম্পিউটার বুথে যেয়ে ২০ টাকা ঘন্টা চুক্তিতে গেম খেলত । আমি একদিন ওর সাথে ৫/১০ মিনিটের মত সময় ব্যয় করেছি ।
পুরোনো দিনের গেমের নাম এবং বিবরণ যেনে ভাল লাগলো । কিছু গেম এখনো যে স্থায়ী হয়ে আছে এটা ভেবেই আমি অবাক । কিছু মোবাইল গেম দেখেছি যেগুলো দুই/এক বছর রাজত্য করে হারিয়ে যায় এর তুলনায় পুরানো দিনের গেম গুলোর প্রাপ্তিটা বেশিই বলা যায় ।
তবে দাদা লোহার বল দেওয়া সেই মাউসটা দেখতে বড় মন চাইছে ।
যদি এমন কোন ব্যবহার উপযোগী মাউস পাওয়া যেত তাহলে পুরোনো দিনের ফিলিংস নেওয়া যেত ।
এর মাঝে রোড রাসটা হয়তো আমি অল্পবিস্তর খেলেছি কাজিন বড় ভাই এর কম্পিউটার এ।আর গুলোর কথা খুব বেশি মনে পরছেনা দাদা।
এটা একদম ঠিক বলেছেন দাদা, তখনকার মাউসগুলো সবাই চালাতে পারতো না ঠিক মতো। আর মাউসের ভিতরের সেই বলটি বেশ আকর্ষনীয় বস্তু ছিলো আমার নিকট। মাঝে মাঝে মাউস থেকে খুলে সেটা নিয়ে খেলা করতাম, হি হি হি । তবে আমি অতো বেশী গেম খেলার সুযোগ পাইনি কিন্তু Road Rash এবং House of the Dead বেশ খেলেছিলাম।
দাদা আপনার শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই গেমস গুলোর সাথে। কম্পিউটার গেমসের সাথে খুব একটা পরিচিত ছিলাম না। কারণ আমি গ্রামে বড় হয়েছি। তাই বিজ্ঞান প্রযুক্তির ছোঁয়া তখনও গ্রামে খুব একটা ছিল না তবে আপনার পোস্ট পড়ে বিভিন্ন ধরনের গেমস সম্পর্কে অনেক আইডিয়া পেলাম।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার পুরনো স্মৃতি এবং পছন্দের গেমসগুলো সম্পর্কে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।♥️♥️♥️
দাদা আমার এই গেমস গুলা খেলা হয়েছে, বাকি গুলো খেলা হয়নি।
Road Rash
এই গেমসটি খেলার সময় অন্য বাইকার থাকলে তাকে নিজের গাড়িতে থেকে ধাক্কা মারা যেত বা লাথি মারা যেত। তখন অন্য বাইকার কিছুটা দূরে সরে যেত মজা ছিল অনেক।
House of the Dead
এই গেমসটি কিছুটা ভয়ঙ্কর লাগতো এ গেমস এর সাউন্ড কিছুটা ভৌতিক যার কারণে খেলতাম তবে ভয় পেতাম।
EA Sports Cricket 2000
এই গেমসটা খেলার পেছনে অনেক মজার কিছু স্মৃতি রয়েছে।এটা কম্পিউটার বনাম নিজ আবার দুই পক্ষ নির্ধারণ করে নিজেরা নিজেরা খেলা যেতে। তখন আমরা দুই বন্ধু বাজি ধরতাম। একবার আমি খেলতাম একবার ওকে খেলতে দিতাম এভাবে বাজি ধরে মজা নিতাম। যে হারতো সে কিছু খাওয়াতে হতো। এই গেমসটা এখনো আমার কম্পিউটারে রয়ে গেছে, এটা ছাড়াও আরো * অনেকগুলা পুরনো গেমস আমার কম্পিউটারে এখনো আছে।
Need For Speed
এ গেমসটি খেলেছি তবে অন্যান্য গুলো থেকে খুব কম।
তবে আপনার আজকের এই ব্লগে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমরা তো শুধু খেলেছি তবে কখনো রিচার্জ করিনি অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।