প্রশান্তির ছোঁয়া।
হ্যালো বন্ধুরা। আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গত পোস্টে আমি উল্লেখ করেছিলাম ঢাকা থেকে বাড়ি আসার বিষয়টি। ঢাকাতে মন বসেনা। এই সময়ে গ্রামে নাতিশীতোষ্ণ একটা পরিবেশ। শহরে যদিও এখনো গরম। শহরের কথা বলে লাভ নেই, শীত পড়ে মাত্র মাঘ মাসে।
আমি আমার গত পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম বাড়ি আসার পর রাতে আমার সাথে কি ঘটেছিলো। ওই রাতের এক দিন পর অর্থাৎ আজ সকাল থেকে অনেকটা সুস্থতা অনুভব করছিলাম। এজন্য বিকেলে মন চাচ্ছিল একটু বাহিরে ঘুরাঘুরি করতে। বিকেল পাঁচটার দিকে বেরিয়ে ছিলাম। বন্ধু ও ছোট ভাইদের নিয়ে গিয়েছিলাম নদীর কূলে চা খেতে। এখনতো দুর্গাপূজা চলছে। আমাদের বাজারে যেই পূজামণ্ডপ আছে সেখানে অনেক ভিড় আর নদীর অন্যান্য সাইডে তেমন লোকজন নেই। নদীর পাশে একটা বসার জায়গা আছে। ওইটা রাস্তা থেকে একটু নিচে৷ ওখানে একটা ছোট্ট দোকান আছে। সেখানে চা, কফি পাওয়া যায়। ওখান থেকেই চা খাব বলে নেমেছিলাম। আমরা এখানে যেতে যেতে সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল। ওখানে শুধুমাত্র দোকানের দুইজন লোক ছিল আর আমরা ক'জন। একেবারেই নিরিবিলি একটা পরিবেশ। সচরাচর এই জায়গাটা এতটা নিরিবিলি থাকে না। পুজোর জন্য লোকজনের সমাগম সব ওদিকে।
যাই হোক, সামনে শান্ত নদী আর চরাটে বসে হাতে নিয়ে এক কাপ রঙ চা । বেশ লাগছিল। মাঝে মাঝে দূর আকাশে বিদ্যুৎ চমকানোর আলোর ঝলকানি দেখতে পাচ্ছিলাম। পরিবেশটা ঠান্ডা, দূরে নৌকার মাঝিদের শোরগোল। শহর ছেড়ে বার বার গ্রামে আসি এই অনুভূতিটা নিতেই। ওখানে ছিলাম প্রায় আধা ঘন্টা ৪৫ মিনিট মতো। এরপর সবার মাথায় ভুত চাপলো শহরের দিকে যেতে হবে। অনেকদিন একসাথে ঘুরা হয়না এইজন্য মন চাচ্ছিল একটু ঘুরে বেড়াতে। যেমনি ভাবা অমনি কাজ। রওনা দিয়ে দিলাম শহরের উদ্দেশ্যে। প্রথমে বসেছিলাম পদ্মা নদীর পাড়ে এবারে গেলাম গড়াই নদীর পাড়ে। ওখানে গিয়ে ফাঁকা জায়গায় পাচ্ছিলাম না বসার মতো একটু দূরে গিয়ে একটি বেঞ্চ পেলাম যেটা ফাঁকা ছিল, যেখানে একটা ল্যাম্পপোস্ট ও ছিল। ল্যাম্পোস্টের নিচে বসে পড়লাম আমরা।
পুজোর সময় চারিদিকে প্রচুর লোকজনের মিলনমেলা। আমার ও ভালো লাগছিল অনেকদিন পর ফ্রেশ এনভায়রনমেন্টে ঘুরাঘুরি করে। আমরা মেতেছিলাম আমাদের ট্যুরের মজার ঘটনার স্মৃতিচারণ করে৷ বেশ ভালো একটা সময় কাটাতে পেরেছি সব মিলিয়ে। শত ব্যস্ততা থাকলেও প্রকৃতির সান্নিধ্যে মাঝে মধ্যে উপস্থিত হওয়া উচিৎ। মন ভালো রাখার এক জাদুকরী ট্রিক্স।
এবার তৃপ্ত মন নিয়ে বাড়ি ফেরার পালা। বাড়িতে তো অনেক আত্মীয় স্বজন, তাদের মধ্যে ছোট কুটুমদের জন্য কিছু কিছু না নিয়ে কী বাসায় ফেরা যায়। এটা মাথায় আসতেই চলে গেলাম আমার পছন্দের একটা বেকারিতে। সেখান থেকে দেড় পাউন্ডের একটা কেক নিয়ে নিলাম। জানতাম সবাই এটা পেয়ে অনেক খুশি হবে৷ এবার সোজা বাড়ির দিকে। বাড়ির কাছাকাছি যেতেই মনে পড়লো আমার কম্পিউটারের মাউস নষ্ট হয়ে গেছে। যে করেই হোক একটা মাউস নিয়ে বাসায় ঢুকতে হবে। আবার গেলাম বাজারে। ছোটভাই রাহুলের মাউসটাই নিয়ে আসলাম আপাতত।
এবার বাড়ি এসে কেক দেখাতেই সবাই মহা খুশি। সবাই খেলাম বেশ মজা করে। সব মিলিয়ে আজকের দিনটা খুব ভালো কাটলো। মাইন্ড রিফ্রেশ, এখন হ্যাপি৷ এখানেই বিদায় নিচ্ছি তাহলে। দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। আল্লাহ্ হাফেজ।
ছবিগুলোর লোকেশন:- পদ্মা নদীর পাড়, গড়াই নদীর পাড় ।
ডিভাইস :- Xiaomi Redmi Note 9 Pro Max
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শহরে কোনটা শীত কোনটা গরম কিছু ঠিকভাবে বোঝা যায় না।যাইহোক ছবিগুলোতে নীরবতার ছোঁয়া রয়েছে আবার সঙ্গে ভুতুড়ে ভুতুড়ে একটা ব্যাপার ও।আমার কাছে নদীর দৃশ্যই বেশি ভালো লেগেছে, ছোটরা কেক খেতে আসলেই পছন্দ করে।ধন্যবাদ দাদা।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
বাসায় গেলে তো সুস্হ্যতা অনুভব করবেনই ভাবি আছে না😉😉।যাই হোক গ্রামের এই রকম পরিবেশে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা।আমারও মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ছোট স্টলে বসে চা খেতে বিশেষ করে শীতের দিনে।যাই হোক একা একা কেক খেলে পেটে অসুখ হয়😉।ভালো ছিলো। ধন্যবাদ
চা খাওয়া শহরে ঘুরাঘুরি পদ্মা নদীর পাড়ে,গড়াই নদীর পাড়ে ঘুরে যখন কেকের ফটোগ্রাফি দেখলাম তখন ভাবলাম কারো জন্মদিন মনে হয়। পরে জানলাম মেহমানদের জন্য। যায়হোক পোষ্টটি পড়ে ভালই লাগলো। ধন্যবাদ।
সব কিছু মিলিয়ে এ যেনো দারুন এক অনুভুতি। প্রকৃতির কাছে থাকতে সব সময়ই ভালো লাগে। আর সন্ধ্যা বেলার ওই মুহুর্ত তো উপভোগ করার শ্রেষ্ঠ সময়। দারুন লাগে এই সময়টায়। সাথে বাসার জন্য কেক নিয়ে সারপ্রাইজ এটা বেশি ভালো লেগেছে।
নদীর পাড়ের ঠাণ্ডা পরিবেশে টা আসলেই দারুন ছিল, ছোট একটা দোকান পাশেই এত চমৎকার একটি দৃশ্য। এখানে বসে বন্ধুদের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করে কাটিয়ে দেয়া যায়। বাসায় ফেরার সময় কেক নিয়ে যাওয়াটা বেশ দারুন ছিল।
গ্রামের মাটির গন্ধ এবং চারপাশের পরিবেশ সব কিছুই অনেক ভালো লাগে। শহরের চার দেয়ালের মাঝে নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। যখন একা একা শহরে বাস করা হয় তখন মনে হয় যেন নিজের ভেতরে থাকা বিভিন্ন রোগ গুলো আরো বেশি আক্রমণ করে। ভাইয়া আপনি এখন অনেকটা ভালো আছেন এটা জেনে সত্যি ভালো লাগলো। গ্রামের এত সুন্দর পরিবেশ সত্যিই মন ভালো করার মত। এরকম পরিবেশে কিছুটা সময় কাটালেই একেবারে মন ভালো হয়ে যায়। বাসার সবার জন্য কেক নিয়ে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে কেক সবাই পছন্দ করে।
বাহ!আমিও একটু আগেই কেক খেয়ে এরপর আপনার পোস্টটি পড়লাম।😛
আসলে গ্রামে যে শান্তি তা শহরে কোনোভাবেই পাওয়া সম্ভব নয়।
ভাই আপনি ঢাকা থেকে এসেছেন সেই পোষ্টটি পড়েছিলাম ৷ আর আপনি এই অস্থিরতা কাটানোর জন্য বিকেল বেলা পদ্মার পারে গিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছেন ৷ তার সাথে সন্ধার ফটোগ্রাফি ছিল অনেক সুন্দর ৷ বিশেষ করে ভালো লাগলো একটি দোকান কি সুন্দর লাইট জ্বালিয়ে ৷
ধন্যবাদ ভাই