ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা ।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
২৭ বৈশাখ ১৪৩১বঙ্গাব্দ ।
১৩মে ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।
|
---|
আসলে একটা সন্তানের কাছে মায়ের চেয়ে আপন কেউ হতে পারে না,যদিও আমরা মানুষরা ছোটবেলা এটা খুব ভালো ভাবে বুঝি যে মা আমাদের অনেক আপন, তারপর যখন আমরা বড় হই তখন মায়ের প্রতি অবহেলা করি।যেমন গত কয়েকদিন আগে রোড এক্সিডেন্ট এ একটা বাচ্চার মা মারা যায়, বাচ্চাটার মনে হয় এক থেকে দের বছর সে কাঁদছে আর তার মাকে খুঁজছে। হাসপাতালে অনেক মানুষ একেক জন করে কোলে নিচ্ছি চকলেট চিপস কিনে দিচ্ছে কিন্তু বাচ্চাটা তার মাকেই খুজচ্ছে।ভিডিও টা দেখে আমি চোখে পানি ধরে রাখতে পারি নি।
যাই হোক প্রত্যেকটি মানুষের তার নিজ নিজ জায়গা থেকে বাবা মা কে ভালোবাসা উচিত।আমাদের কে ছোটবেলায় যেভাবে যত্ন করেছে ঠিক সেভাবে যত্ন করা উচিত।আমার মা বেশ সহজ সরল মানুষ।বেশ উদার মনের মানুষ।ছোটবেলা থেকে বেশ কষ্টে করে মানুষ হয়েছে। আগে তো প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গৃহস্থ করতো।তখন বড়দের সাথে তাল মিলিয়ে তাকেও কাজ করতে হতো।একে তো মেয়ে ছিলো তার উপর সব ভাইবোনদের ছোট ছিলো তাই সকলেরই কথা শুনতে হতো।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নানা কাজ করে তারপর তাকে স্কুলে যেত হতো,কাজ করার জন্য অনেক সমনে স্কুলে যেতে দেরি হতো তখন নাকি স্যারা বেশ শান্তি দিত।তাদের অনেক ভরা বাড়ি ছিলো তাই অনেক কাজ ছিলো।আগে তো আর তেমন মেশিন ছিলো না তাই নাকি অনেক কাজ করতে হতো।তারপর যখন একটু বড় হয় তখন তো বিয়ে নিয়ে চিন্তা।তারপর আমার দাদী আমার মাকে পছন্দ করে ছেলের বউ করে নিয়ে আসে।আমার দাদী নাকি আমার মাকে অনেক আদর করতো।ছোট ছেলের বউ,আর মা ও তাকে অনেক যত্ন করতো।
আমার দাদী ও আমার মায়ের জন্য অনেক দোয়া করতো।একটা সময় আমার বাবার একটা সরকারি চাকরি হয়।বেশ ভালোই পোস্ট তবে সরকারি জব বেতন খুব বেশি না।বাবার পোস্টিং ছিলো ঢাকাতে তাই খাওয়া দাওয়ার অসুবিধা তখন আমার দাদী ছেলের অসুবিধে হয় জেনে আমার মাকেও শহরে পাঠিয়ে দেয়।অল্প কিছু বেতন তারউপর ভাড়া থাকা।তাদের চলতে বেশ কষ্টই হতো।সেখান থেকে অল্প অল্প টাকা সন্ঞয় করে তারপর দাদা দাদীর সহযোগিতায় আজ আমাদের শহরে থাকার জায়গা হয়েছে। শুনেছি ঈদের বোনাস পেতো তখন শপিং না করে ঘর বানানোর জন্য মালামাল আনতো।তারপর যখন আমার ভাই বোন হলো তাদেরকেও পড়াশোনা খরচ চালাতে হতো।
আমার ভাই বোন ও কষ্ট করেছে।তবে আমি সবার ছোট হওয়াতে কষ্ট টা তেমন একটা বুঝতে পারিনি।তবে আমার মা সফল একজন মানুষ তার সন্তান দের মানুষ করতে পেরেছে।আসলে মা বাবা হলে কতত্যাগ স্বীকার করতে হয়।তাই মা বাবাদের আলাদা কোন দিবস লাগে না।
আমরা ভাই বোনেরা আমাদের মা বাবার জন্য দোয়া করি সৃষ্টিকর্তা যেন তাদেরকে যেন নেক হায়ত দান করুক।এতকাল কষ্ট করে গিয়েছে এখন যেন সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে অনেক শান্তি দেয়।আমার বাবা ও অনেক কষ্ট করেছে যা না বললেই নয়।কিছু টাকা সেভিং করার জন্য কত মাইল কি মাইল হেঁটে গিয়েছে। সৃষ্টিকর্তা যেন তাদেরকে আর দুঃখ স্পর্শ না কারায়।আমরা যেন আমাদের ছোটবেলাতে যেভাবে যত্ন নিয়েছে সেই ভাবেই যত্ন নিতে পারি।কোন সময় তাদেরকে যেন কষ্ট না নেই নিজের অজান্তে।
আপনারা আমার বাবা মায়ের জন্য অনেক দোয়া করবেন তাদের যেন সৃষ্টিকর্তা নেক হায়াত দেয়।জীবনের শেষ দিন অব্দি ঈমান নিয়ে থাকতে পারে।আমাদের ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে যেন কষ্ট না পায়।আমরা আমাদের মা বাবাকে অনেক ভালোবাসি।তাদেরকে যত্ন নেওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের সাহায্য করে।আসলে তারা বাড়িতে না থাকলে কেমন জানি ঘরটা শূন্য শূন্য লাগে।তারা আমাদের মাঝে অনেক বছর বেঁচে থাকুক।
তাই পরিশেষে বলা যায় মায়েদের কোন আলাদা দিবস লাগে না,তাও ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা।বৃদ্ধাশ্রমে যেন তাদের ঠাঁই না হয় তাদের জায়গা হোক পরম যত্নে তাদের সন্তানদের কাছে।হাসি খুশি থাকুক সব সময়ই।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
আমরা সকল মা-বাবার জন্য দোয়া করি যাতে তারা চিরকাল আমাদের ছায়া হয়ে থাকে। সকল কাজে আমরা মা বাবার সাহায্য নেই। দোয়া করি তারা যেন চিরকাল এভাবে আমাদের পাশে থেকে আমাদের সকল কিছুতে উৎসাহ করে। ভালো কাটুক সকল বাবা-মার প্রতিটা মুহূর্ত।। খুবই চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনি আলোচনা করেছেন আপু। দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হু্ম,ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা মা।সৃষ্টিকর্তা যেন খুব ভালো রাখে। ধন্যবাদ
আসলে প্রত্যেকটা মা নিজের সন্তানকে অনেক কষ্ট করে বড় করে। ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করে। আর যখন এই কাজে প্রত্যেকটা মা সফল হয়, তখন তারা অনেক বেশি খুশি হয়। শেষ বয়সে তারা সন্তানদের সাথে হাসিখুশি ভাবে আনন্দে থাকতে চায়। কিন্তু অনেক সন্তান বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়, আবার অনেকেই খারাপ আচরণ করে। কিন্ত এরকমটা করা একেবারেই উচিত হয় না। মায়ের ভালোবাসার কথা বলা যায় না। প্রতিটা বাবা মা যেন ভালো থাকে এটাই কামনা করি।
আসলে মায়ের সাথে কারো তুলনা হয় না।এটাই কথা আমারাও একদিন ঐ পথেই যাব।
প্রথমে মা দিবসে পৃথিবীর সকল মাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আপনি সত্যি বলেছেন আপু আমাদের প্রতিটি মানুষের উচিত বাবা মাকে ভালোবাসা। পৃথিবীতে মায়ের মতো আপন হয়তো আর কেউই হয় না। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। 🌸🌸
মা দিবসে ঘিরে আপনারা লেখা সুন্দর একটি পোস্ট দেখতে পেরে ভালো লাগলো আমার। সবাই চায় তার মা সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক নিরাপদে থাকুক। মায়ের ভালোবাসার কোন কমতি নেই। মা পৃথিবীতে এমনই একজন যার কোন তুলনা হয় না। আপনার সুন্দর এই পোস্ট আমাকে মুগ্ধ করলো। অনেক ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
হুম,সকল মা সুস্থ এবং ভালো থাকুক।মা তো মা ই হয়,তার তুলনা কারো সাথে হয় না।ধন্যবাদ আপনাকে
মা - বাবাকে কষ্ট দেওয়ার কথা এখনও পর্যন্ত ভাবতে পারি না আপু।আপনার বাবা, মা আপনাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছে, সেটা আপনি মনে রেখেছেন আর ভবিষ্যতে তাদেরকে ভালো রাখার কথা ভেবেছেন এটাই অনেক। আসলে বাবা - মা আমাদের থেকে শুধু একটু ভালোথাকা আশা করে। দারুণ একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
মা বাবাকে কষ্ট দেওয়ার কথা তা তো দূরের কথা আপু, কখনো তাদের সাথে উঁচু গলায় কথা বলার কথাটাও আসে না মাথায়। আমাদের বাবা মা আমাদের জন্য অনেক বেশি কষ্ট করেছেন, আর সেই বাবা মাকে কষ্ট আমরা কিভাবে দিই। তবে কিছু কিছু সন্তান দিয়ে থাকে অনেক বেশি কষ্ট। তবে মায়ের প্রতি তো সারা জীবন শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসাই থাকবে। সব সময় প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের ভালোই কামনা করি। সব সময় যেন উনারা হাসিখুশি এবং ভালো থাকেন এটাই দোয়া রইল।
মা দিবসকে উপলক্ষে করে আপনার লেখাটা পড়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে গেলাম আপু। আপনি কি সুন্দর করে আপনার মনের কথাগুলো প্রকাশ করেছেন। আসলে তখনকার সময়ে যৌথ পরিবারে অনেক বেশি কাজ থাকতো, আর মেয়েদের সেটায় সাহায্য করতেই হতো। আমার মায়ের থেকে শুনেছি, তার বেলাতেও তেমন ই হয়েছে যে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ঘরের অনেক কাজ করে তবে নিয়ে স্কুলে যেতে হতো! আপনার মা-বাবা দুজনের জন্যই দোয়া রইলো। তারা সুস্থ্য থাকুক, আরোও অনেক দিন আপনাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে থাকুক। আমার বাবা-মায়ের জন্যও দোয়া করবেন আপু।