রস-পাকন পিঠা রেসিপি।
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই এবং বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি মজাদার পিঠার রেসিপি। আর আজকের তৈরী পিঠা রেসিপিটির নাম হল নারিকেলের রসে ভরা রস পাকন পিঠা রেসিপি। এই পিঠা আমাদের এলাকায় রস পাকন পিঠা নামেই পরিচিত। অন্যান্য এলাকায় অন্য নাম হতে পারে এই পিঠার। তবে আমরা এটাকে রস পাকন পিঠা নামেই চিনি। এই পিঠাগুলো খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। উপরে মুচমুচে এবং ভেতরে নারকেলের ও চিনির সংমিশ্রণে মিষ্টি রসে ভরা থাকে। শীতকাল কিংবা গরমকাল যেকোনো সময় এই পিঠাগুলো তৈরি করা হয় এবং আমরা মজা করে খেয়ে থাকি। তাহলে চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে রস পাকন পিঠা রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
• আটা বা ময়দা
• নারিকেল
• চিনি
• লবণ
• তেল
• পিঠা তৈরী সাচ
প্রথমে ময়দার মধ্যে সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেব।
![]() | ![]() |
---|
এখন দিয়ে দিব সয়াবিন তেল। সয়াবিন তেল এবং ময়দা এক সাথে ভালো করে মিক্সড করে নিব।
![]() | ![]() |
---|
এখন কুসুম গরম পানি দিয়ে ময়দার খামির তৈরি করে নিব।
নারিকেল কোরানি দিয়ে নারকেল সুন্দর মত কোরানো হয়েছে। এখন এই নারকেল কোরার মধ্যে সামান্য পরিমাণে লবণ এবং চিনি দিয়ে ভালো করে মিক্সড করতে হবে। যারা মিষ্টিতে লবণ খেতে পছন্দ না করেন তারা স্কিপ করতে পারেন। কিন্তু মিষ্টি জিনিসে হালকা লবণ দিলে মিষ্টির পরিমানটা ব্যালেন্স হয়। তাই আমি নারকেলের ভেতর সামান্য পরিমাণে লবণ ব্যবহার করেছি।
![]() | ![]() |
---|
এখন খামির দিয়ে বড় সাইজের রুটি তৈরি করে নিয়েছি।
এখন একটি পিঠা কাটার সাচ রুটির নিচে রেখে সাচের একপাশে নারিকেলের পুর দিয়ে খুব ভালোভাবে আটকে নিতে হবে। এভাবে একটি একটি করে আমি অনেকগুলো পিঠা তৈরি করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এখন পিঠাগুলো ডুবো তেলে ভাজতে হবে মিডিয়াম আঁচে।
এই ছিল আমার আজকের রস পাকন পিঠার রেসিপি। রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে এটা অবশ্যই মন্তব্য জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারো কোন নতুন পোস্ট নিয়ে ইন-শা-আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

পিঠার নাম শুনলেই আমার খেতে ইচ্ছে করে তবে নাম রস পাকন পিঠা কিন্তু সাথে তো রস নেই এটা তো দেখছি তেলে ভাজা পিঠা। তবে যেমনই হোক না কেন আমার কিন্তু দেখে জিহ্বায় জল চলে আসছে। লোভনীয় পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
রস না থাকলেও এই পিঠাটির নাম রস পাকন পিঠা। আমাদের এলাকায় রস পাকন নামেই এই পিঠা পরিচিত।
শীতকাল মানেই পিঠা উৎসব, যা প্রতিটি ঘরে ঘরে দেখা যায়। আপনি আজ বেশ লোভনীয় স্বাদের রস-পাকন পিঠা তৈরি করে দেখালেন। বেশ দুর্দান্ত দেখাচ্ছে আপনার তৈরি প্রনালী এবং পরিবেশন। এবছর এই পিঠা এখনো খাওয়া হয়নি, ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে খাবো। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপি উপস্থাপন করার জন্য।
আশা করি, আপনি এই পিঠা খুব শিগ্রই তৈরি করে খাবেন এবং আমাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করবেন ভাইয়া।
এই পিঠাগুলোকে আমরা নারকেল পুলি পিঠা বলে থাকি। তবে পিঠার ভিতরে যে নারকেল ব্যবহার করেছেন সে নারকোলগুলোকে আমরা একটু ভেজে নেই। আপনার মত করে এভাবে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। অবশ্যই এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখবো। দেখে বোঝা যাচ্ছে পিঠাগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। মজাদার পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এভাবে ট্রাই করে খাবেন এটা খেতেও অনেক মজা লাগে। আমরাও পুলি পিঠা নারিকেল ভেজে তারপরে বানিয়ে থাকি। পুলি পিঠার একরকম টেস্ট আর রস পাকনের অন্যরকম টেস্ট।
শীতে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার পিঠার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার।আসলে আপু এই পিঠা গুলো অনেক মজার। তবে অনেক দিন হলো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু, রস পাকন পিঠাগুলো খেতে অনেক মজা লাগে।
রস-পাকন পিঠা বাহ্ বাহ্ দারুন আপু। রেসিপির নাম এই প্রথমবারের মতো শুনলাম। দেখতে পুলি পিঠার মতো লাগতেছে। এধরনের খাবার গুলো জমিয়ে খাওয়া যায়। ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
রস-পাকন এবং পুলি পিঠা দেখতে প্রায় একই ধরনের। রস-পাকন তেলে ভাজা হয়। আর পুলি পিঠা সেদ্ধ করা হয়।
আপু এত সুন্দর করে পিঠা বানানোর আগে তো একটু বলবেন। তাহলে তো আমি আসতাম আর এত সুন্দর সুন্দর পিঠা খেয়ে মনটাকে একটু জুড়িয়েই নিতাম। দারুন সুন্দর করে রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কমেন্ট টি পেয়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। প্রতিনিয়ত এভাবে পাশে থাকবেন আশা করি।
আমাদের দিকে এ পিঠাগুলোকে সমুসা পিঠা বলে চিনে মানুষ। দারুণ লাগে খেতে। ভিতরে যেহেতু নারকেল দেয়া হয় এজন্য খেতেও ভালো লাগে 😍
আপনাদের ওদিকে এটাকে সমুসা পিঠা বলে। দারুন তো। সত্যিই পিঠাটি খেতে অনেক মজা।
শীতকাল মানেই পিঠার উৎসব ৷ শীতের সকালে কিংবা বিকেলে এমন মজাদার পিঠা পেলে আর কি লাগে ৷ আপনি আজ বেশ মজাদার একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ এই পিঠা আমারও ভীষণ পছন্দের ৷ তবে এই পিঠা আমরা অন্য নামে চিনি ৷ নামটা আপাতত আমার মনে আসছে না ৷ তবে খেতে কিন্তু খুবই মজাদার এই পিঠা ৷ আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য
এই পিঠা সত্যিই খেতে অনেক মজা হয়। মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার তৈরি করা এই রস পাকন পিঠা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। শীতকালে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা।আর নারিকেল দিয়ে তৈরি এমন মজার পিঠা হলে তো কোন কথাই নেই। মনে হচ্ছে আপনার প্লেট থেকে একটি পিঠা উঠিয়ে খেয়ে নিই।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একটি কেন?? তুমি এখান থেকে প্লেট ধরেই পুরা পিঠা খেতে পারো 😂
বাহ আপু আপনি আজকে আমার সবথেকে প্রিয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন আসলে রস পাকন পিঠা রেসিপি আমি খেতে বেশ পছন্দ করি। প্রত্যেক বছর শীতের সময় আমার আম্মু খেজুরের রস দিয়ে পাকান পিঠা তৈরি করে আবারো রস দিয়ে সেই পিঠা ভিজিয়ে আমাকে খাইয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এই পিঠাতে কোন প্রকার রস ব্যবহার করা হয় না কিন্তু আমাদের এলাকায় এটাকে রস পাকন পিঠে নামেই চিনে থাকে সবাই।