বিদায় মাস্টারমশাই...
নমস্কার বন্ধুরা,
সকলের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যার আকস্মিকতা কাটতেই বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। পরিস্থিতি বুঝে উঠতেই বেশ কটা দিন লাগে, তবুও যেন মন মানতে চায় না। ইচ্ছে হয় পুরোনো সময়ে যদি ফিরে যাওয়া যায়। এমনই এক ঘটনার আকস্মিকতায় কয়েকটা মানুষের জীবন পলকেই বদলে গেলো। আমার বাংলা ব্লগের চঞ্চলতা থমকে গেলো। সেদিন দুপুরে হঠাৎ করেই যখন নোটিফিকেশন টা মোবাইলে জ্বলে উঠলো শুরুতে কিছুক্ষণ সময় লেগে গেলো বিষয়টা বুঝে উঠতে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। দাদার কথা গুলোর কি রিপ্লাই দেবো সেটা ঠাহর হচ্ছিলো না। কোনোমতে কাঁপা হাতে মোবাইল তুলে রিপ্লাইটা দিলাম!!
আসলে মৃত্যু শব্দটা এমনই যা থেকে আমরা চিরকাল এড়িয়ে যেতে চাইলেও জীবনের একটা প্রান্তে গিয়ে আমরা সবাই সেটাকে আলিঙ্গন করবো। প্রত্যেককেই জীবনের কোনো না কোনো প্রান্তে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আজ দাদারা তিন ভাই তাদের পরিবার যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেরকম আমাদের প্রত্যেককেই যেতে হবে/হয়। কিছু মানুষ সেটা আগেই অনুভব করবে, আর কিছু মানুষ পরে।
দাদাদের বাবার খবরটা যখন পেলাম তখন মনটা ভেঙ্গে গেলো। মানুষটিকে সেভাবে চিনি না, তবুও তিনি আমার অনেক পরিচিত। মানুষটিকে সামনাসামনি কখন দেখিনি, অথচ তিনি আমার খুব কাছের। আসলে বিগত তিন বছর ধরে দাদার সান্নিধ্য পেয়ে, দাদার বিভিন্ন পোস্ট থেকে জেঠুর সাথে এক আত্মীয়তা গড়ে উঠেছিল। আজ তার চলে যাওয়াটা যখন এমন আকস্মিকভাবে হলো সেটা মেনে নেওয়া স্বভাবতই খুব কঠিন। বারবার মনে হচ্ছে খুব কাছের একজন মানুষকে হারালাম।
নিজে সবকিছু ত্যাগ করে সন্তানের স্বাচ্ছন্দ্যে কার্পণ্য না করার নামই, বাবা। সন্তানের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে শক্ত খুঁটি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার নামই, বাবা। বাবারা আমাদের জীবনে এমন এক স্তম্ভ যার হাত ধরে বাইরের জগতের সাথে পরিচিত হই। স্বাভাবিক ভাবে তার শূন্যস্থান কোনোদিন পূরণ হওয়া সম্ভব নয়। আমরা যত বড় হই, ততই বুঝি বাবারা কত ঝড় ঝাপটা হাসিমুখে সহ্য করে আমাদের একটা সুরক্ষিত জীবন দেন। আমরা জীবনের রাস্তায় যতো এগোতে যাই, ততই বাবার গুরুত্ব ও ভালোবাসা উপলব্ধি করি।
বাবাকে হারিয়ে আজ দাদাদের মনের পরিস্থিতি কেমন সেটা অনুধাবন করতে পারছি। হঠাৎই মানুষ এমন ভাবে যখন চলে যায় তখন আশেপাশের লোক গুলোর ক্ষেত্রে শোক সামলানো কঠিন হয়ে যায়। আজ যে মানুষকে সুস্থ সবল ভাবে চোখের সামনে ঘোরাফেরা করতে দেখছি, কাল সেই মানুষটাকে যদি চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেলি তাহলে মনটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। দাদা, ব্ল্যাকস, তাদের পরিবার আজ এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। যে মানুষগুলোর সাথে বিগত তিন বছর ধরে সময় কাটাচ্ছি, যারা সবসময় পজিটিভ চিন্তা ভাবনা করে, তারা সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকে। সেই মানুষগুলো সবার সাথে চুটিয়ে আনন্দ করে তাদের এমন ভাবে দেখবো সেটা কল্পনাও করিনি। পিতৃশোক একেই বলে। হয়তো তাদের দুঃখ কষ্ট পুরোপুরি ভাগ করে নিতে পারবো না তবে এই কঠিন সময়ে সমব্যথী হয়ে দাদার পরিবারের পাশে আছি, থাকবো সবসময়। ঈশ্বর দাদার পরিবারের সবাইকে শক্তি জোগাক এই কঠিন শোক কাটিয়ে ওঠার। জানি অনেকটা সময় লাগবে এই ক্ষতের উপরে প্রলেপ পরতে তবে ধীরে ধীরে হলেও কিছুটা সামলে উঠুক দাদারা।

সত্যিই দাদা চোখের সামনে প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে ফেললে সেই কষ্ট ভোলা যায় না।দাদাদের পাশে আছেন জেনে ভালো লাগলো। দাদাদের আর দাদার পরিবারের সবাইকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা আমাদের কারোই জানা নেই।মৃত্যু নামের চিরন্তন সত্য আমরা জানি তারপরেও মানতে চাই না।ভালোবাসার মানুষ গুলো ভালোবাসা নিয়ে মনের গভীরেই থেকে যায়।সব সময় চাইছি আল্লাহ তুমি দাদা আর দাদার পরিবারের সবাইকে এই শোক সইবার শক্তি দাও,আমিন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
মানুষের জীবন অনেক বিচিত্র কখনো সুখে পরিপূর্ণ থাকে আবার কখনো দুঃখে আচ্ছাদিত থাকে। প্রতিটি মানুষ সবসময় মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে, আমরা কেউই মৃত্যুকে এড়িয়ে যেতে পারব না। সত্যি বলেছেন দাদা মৃত্যুর সাথে সবাইকে আলিঙ্গন করতে হয়। জন্ম যেমন সত্য, এমনই মৃত্যুও সত্য। আর সত্যকে কখনোই পরাজিত করা যায় না। কিন্তু মানুষ তার গুনও কর্মের দ্বারা অনন্ত কাল বেঁচে থাকতে পারে। আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার বাবা এমনই একজন ব্যক্তি মানবিক গুণাবলী ও আদর্শ সবার হৃদয়ে থাকবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি শ্রদ্ধেয় দাদার পরিবারের সবাইকে শক্তি প্রদান করুন যাতে মৃত্যু শোক কাটিয়ে উঠতে পারে।
আমরা ও চাই ধীরে ধীরে সামলে উঠুক দাদা দের পুরো পরিবার । যদিও এ শোক চিরজীবনেও মুছবার নয়। বেশ দারুন একটি টাইটেল দিয়ে আজকের লেখা শুরু করলেন দাদা। আমার কাছে মনে হচ্ছিলো যে তিনি আপনার খুব পরম আত্মীয়। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
দাদার বাবার কথাটা যখন শুনেছিলাম তখন বিষয়টা একেবারে অবিশ্বাস্য লাগছিল। প্রিয় মানুষকে হারানোর কষ্ট টা অনেক বেশি হয়। একটা সন্তানের জন্য তার বাবাটা কত গুরুত্বপূর্ণ এটা আমরা সবাই জানি। দাদার বাবার সাথে কখনো কথা এবং দেখা না হলেও, মনে হয়েছে তিনি আমাদের অনেক কাছের আর অনেক বছরের পরিচয় ওনার সাথে। মনে হচ্ছিল আমি আমার একজন কাছের মানুষকে হারিয়েছি। সব সময় তো এটাই দোয়া করি দাদাদের পুরো পরিবার আস্তে আস্তে যেন এই শোক কাটিয়ে উঠতে পারে।
কখন কে আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় এটা আমরা কখনোই আগে জানতে পারি না। মৃত্যু শব্দটা শুনলেই অন্যরকম লাগে। প্রিয় মানুষগুলোকে হারিয়ে ফেললে সে মানুষগুলোকে কখনোই ভুলা যায় না। তাদের চলে যাওয়ার কষ্টটা সব সময় মনের ভিতর থেকে যায়। দাদার বাবার মৃত্যুর খবরটা যখনই পেয়েছিলাম, তখনই নিজের অবস্থা অন্যরকম হয়ে গিয়েছিল। দাদার বাবা আমাদের অনেক কাছের একজন ব্যক্তি এরকমই মনে হয়েছে এই কয়দিন। এখনো পর্যন্ত ওরকমই লাগে। কথাটা মনে পড়লেই অনেক কষ্ট লাগে।
টাইটেলটি ভীষণ ভালো লাগলো। দাদার বাবার মৃত্যু সত্যিই এই গ্রুপের জন্য ভীষণ মর্মাহত করবার মত একটি খবর। এই দুঃসময় পেরিয়ে দাদা নিশ্চয়ই আবার ফিরে আসবেন। কিন্তু এই শোক ভোলবার নয়। জীবনে বাবা-মায়ের জায়গা কোনদিন পূরণ হয় না। যেভাবে নিজের শোকসন্তপ্ত মুহূর্তের কথা আপনি পোষ্টের মাধ্যমে লিখলেন, তা এক বিষাদঘন পরিবেশ সৃষ্টি করল। এই ব্লগের সকলে ভালো থাকুক। আত্মীয়ের মত সকলে বেঁধে বেঁধে থাকুক।
বাবা মায়ের জায়গা কোনদিন কোনভাবেই পূরণ হওয়ার নয়। অথচ মৃত্যু চিরন্তন। হঠাৎ চলে যাওয়া আমাদের সবাইকে ভেঙে দেয়। এরকমটাই ঘটেছে দাদাদের সাথে। এই শোক সামলে উঠতে সময় লাগবে। তবুও আশা করব দাদা আবার কাজে ফিরুক। কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুক। ভালো থাকুক দাদা এবং উনাদের পরিবার।