আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৪০
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
কলেজ জীবনের মজার কোন কৌতুক/ হাসির অনু গল্প
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
অনুগল্প:
কিছুদিন আগের কথা।থার্ড সেমিস্টারের এক্সাম কাছাকাছি এসে গেছে।প্রত্যেক স্টুডেন্টদের একটা ধান্ধা থাকে আগে ভাগে কলেজ না গেলেও পরীক্ষার ঠিক দুই-তিনদিন আগে সবারই কলেজ যাওয়া।যদিও আমি মোটামুটি কলেজ ভালোই যাই।যাইহোক আমরাও গেলাম সাজেশন নেওয়ার আশায় এক্সামের দুইদিন আগে কলেজে।তখন স্যার ক্লাসে এসে তো অবাক।ক্লাসে এত স্টুডেন্ট যে বসার জায়গা কম পড়ে গেছে।তখন স্যার বললেন-সারাবছর তোমাদের বারবার আসতে বললেও তোমরা আসতে চাও না।এখন যখন এক্সামের আগে আমরা একটু ভাবি তোমরা কলেজ না আসো।আমরা সারাবছর ক্লাস করিয়ে ক্লান্ত হয়ে একটু আরাম খুঁজি তখনই তোমরা সবাই এসে হাজির।এই দেখো আমরা কত কলেজ আসি----।তখন ক্লাসের সবাই তো বেশ মুচকি মুচকি হাসি দিল।আসলেই আমাদের আরাম নেই।
বায়োলজি প্র্যাকটিকেল ক্লাসে ম্যাডাম সবার তেলাপোকা চেক করছিলেন। বেগতিক অবস্থা হয় আরিফ ভাইয়ের।
ম্যাডাম: তোমারটা কোথায়?
আরিফ ভাই: ম্যাডাম, এনেছিলাম। কিন্তু পলিথিন ফুটো থাকায় পালিয়ে গেছে।
ম্যাডাম: পালিয়ে গেছে মানে? তেলাপোকা পালিয়ে গেছে ব্যাগ থেকে?
আরিফ ভাই: হ্যাঁ ম্যাডাম, খুঁজে পাচ্ছি নাতো কোথায়?
তখন ম্যাডাম বললেন, হায়রে এত বড় হইসো, একটা তেলাপোকা সামলাইতে পারলা না? বউ কেমনে সামলাইবা?
হা হা হা
দারুণ!
একদিন কলেজের গেইট এ এক ফেরিওয়ালা আসলো।
ফেরিওয়ালাঃ এই ১০০ টাকায় সারাজীবন বসে বসে খান।
আমরা সকলেই গিয়ে দেখি মোড়া বিক্রি করছে।
😐😐
বল্টু আইন নিয়ে পড়ছিল। কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করলো। কিন্তু ফেল করলে তো চলবে না, পাশ তো করতেই হবে। কি করা যায়! ঠিক করলো, যে খাতা দেখে সেই স্যারের সাথে একটা ডিল করবে। বল্টু স্যারের বাড়ি গেল।
বল্টু : স্যার, একটা প্রশ্ন করবো?
স্যার: কর।
বল্টু : যদি আপনি সঠিক উত্তর দিতে পারেন, আমি আমার খারাপ রেজাল্ট মেনে নেবো। আর যদি উত্তর দিতে না পারেন তো আমাকে পাশ করিয়ে দিতে হবে। স্যার রাজি হলেন।
বল্টু : বলুন তো কোনটা লিগ্যাল কিন্তু লজিক্যাল না, আর কোনটা লজিক্যাল কিন্তু লিগাল না, আর কোনটা লজিক্যাল বা লিগ্যাল কোনোটাই না?
স্যার তো বেকায়দায়। চিন্তা করে চুল ছিঁড়ে ফেলার অবস্থা। কিন্তু সঠিক উত্তর কিছুতেই মাথায় আসছে না। শেষে বল্টুর শর্তই মেনে নিলেন, আর ওকে পাশ করিয়ে দিলেন।
পরের দিন স্যার ক্লাস নিতে গেলেন। ভাবলেন এই প্রশ্নই করবেন ছাত্রদের। প্রশ্ন করতেই অবাক হলেন। প্রায় সবাই হাত তুলেছে।
তা, একজন ছাত্র কে বললেন 'বল দেখি'!
সে বললো "স্যার, আপনার বয়স ৬৫, আর আপনার পত্নীর বয়স ২৮, এটা লিগ্যাল, কিন্তু লজিক্যাল নয়”।
'আরে বস বস হারামজাদা, তোকে আর বলতে হবেনা'।
আর একজন ছাত্র পেছন থেকে বলে "স্যার, আপনার পত্নীর এক ২৩ বছরের যুবকের সাথে অ্যাফেয়ার চলছে। এটা লজিক্যাল, কিন্তু লিগ্যাল না”।
স্যারের তো বিষম খাওয়ার অবস্থা! গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না। জলের বোতল বার করলেন। তখনও অবাক হওয়ার আরো বাকি ছিল!
এবার লাস্ট বেঞ্চের একজন বলে উঠলো "স্যার, আপনার পত্নীর বয়ফ্রেন্ড ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করা সত্বেও আপনি পাশ করিয়ে দিলেন। এটা না লজিক্যাল, না লিগাল”।
ডিসকর্ডে যেমন আমি প্রচুর পরিমাণে গান শুনতে ভালবাসি ঠিক সেই রকমই কলেজে গিয়ে পড়াশোনার থেকেও আমি প্রচুর পরিমাণে গল্প করতে আর সেলফি তুলতে ভালবাসি ।ঠিক সে রকম একদিন কলেজ শুরু হওয়ার এক ঘন্টা আগে গিয়ে কলেজে বসে ফটো তোলা শুরু করে দিয়েছিলাম ।সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে সেলফিও। উপর থেকে আমাদের দুটো ক্লাস টিচার বিষয়টি লক্ষ্য করেছিল, কিন্তু আমি তো সেটা বুঝতে পারিনি ।কিন্তু ক্লাসে ঢুকেই যখন স্যার আমাকে দেখল, তখন বলল," কটা ফটো তুলেছিলি? "আমি একটু লজ্জা পেয়ে গেলাম। তখন বলল,"বাবা এত ফটো কেউ তুলতে পারে একসাথে!" বলে ,স্যার মুচকি হাসি দিল। ক্লাসের কয়েকজন তখন বলে উঠলো ,"স্যার আপনি যদি থাকতেন বুঝতে পারতেন ,ও আমাদের ফটো তোলাতে তোলাতে পুরো পাগলই করে দেয় ।বলে ক্লাস সুদ্দু সকলেই হাসতে শুরু করলো, তখন মাঝে পড়ে বেচারা আমিও হাসতে শুরু করে দিলাম।🙂
শিক্ষক - পানিতে বাস করে এমন ৫টি প্রাণীর নাম বল ?
ছাত্র - ব্যাঙ …
শিক্ষক - আর ৪ টা ?
ছাত্র - ব্যাঙ এর বাবা, মা, বোন আর ব্যাঙ এর ডার্লিং ।
শিক্ষক - ৫ টি ফুলের নাম বল।
ছাত্র - বিউটিফুল, ওয়ান্ডারফুল,হাউজফুল,ইউজফুল, সুইমিংফুল।
শিক্ষক - হারামজাদা!
ছাত্র - হারামজাদা না স্যার, হার্মফুল! হিহিহি😁😁😁।
শিক্ষক:- বলো তো দেখি মুরগি কেন জিরাফের মতো লম্বা হয় না?’
ছাত্র:- স্যার, তাহলে তো মুরগি ডিম পাড়ার সাথে সাথে ডিমটা মাটিতে পড়ে ফেটে যেত, আমাদের আর ডিম খাওয়া হতো না। সে জন্য মুরগি জিরাফের মত লম্বা হয় না স্যার,হা হা হা।😂😂😂
ইন্টারমিডিয়েটে আমাদের কলেজের নিয়ম ছিলো সকালে একবার ক্লাস করতে ঢুকলে আর বের হতে দিত না সব ক্লাস শেষ হওয়ার আগে। সবার ইউনিফর্ম ও মাস্ট।কলাপসিবল গেট লক থাকতো। দারোয়ান পাহাড়া দিত।কিন্তু ঐ বিল্ডিং এ স্নাতক শ্রেণির ও ক্লাস হতো।তাদের কোন ড্রেস কোড ছিলো না। তো যারা যারা পালাতে চাইতো তারা সাথে করে অন্য কাপড় আনতো, ওয়াশরুমে গিয়ে চেইঞ্জ করে সিনিয়রদের মত সেজে পালিয়ে যেত।🐸
কলেজ লাইফে প্রথম দিন গিয়ে এমন একটা ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছিলাম যা বেশ হাস্যকর ছিল আমার কাছে। ঘটনাটা ইচ্ছা করে ঘটানো সে রকম না, অনেকটা না জেনেই হয়েছিল। কলেজে প্রথম দিন গিয়েই আমার এক বান্ধবী একটি ছেলেকে পছন্দ করে ফেলে এবং আমাকে দায়িত্ব দেয় সেই ছেলের সাথে একটু কথা বলার জন্য তার এই বিষয় নিয়ে। ছেলেটি আমাদের ডিপার্টমেন্টেরই ছিল। কলেজের প্রথম দিন আমাদের ডিপার্টমেন্টের সব ইয়ারের ছেলেমেয়েদের একই ক্লাসে বসতে দেওয়া হয়েছিল সবার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। যেহেতু কলেজে প্রথম দিন গেছিলাম তাই আমি বুঝতে পারিনি সেই ছেলেটি আমাদের দুই বছরের সিনিয়র ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমাদের সাথেই কলেজে নতুন ভর্তি হয়েছে তাই তার কাছে গিয়ে আমার বান্ধবীর প্রপোজালটা ফ্রেন্ডলি ভাবে শেয়ার করি। পরে যখন জানতে পেরেছিলাম সে আমাদের দুই বছরের সিনিয়র ছিল তারপর লজ্জায় কয়েক দিন আর কলেজে যায়নি। 😛😛