আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৩৯steemCreated with Sketch.

jokes Cover-1.png

আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।

আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।

আজকের বিষয়ঃ

ঘুড়ি উড়ানো নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।

বিষয় নির্বাচনকারীঃ

@rex-sumon

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner Annivr4.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Sort:  
 last year 

অনুগল্প:

বিকাল হলেই হাওয়া বুঝে ছোটবেলায়আমরা অনেকেই লেগে পড়তাম ঘুড়ি তৈরির কাজে।মায়ের রান্নার সময় গরম আলো ভাতের ফ্যান নয়তো ভাত নিয়ে সঙ্গে খবরের কাগজ,সাদা কাগজ ও নারিকেলের শলা দিয়ে তৈরি করে ফেলতাম ঘুড়ি।তারপর তাতে সুতা বেঁধে লাঠিতে এককারি সুতা পেঁচিয়ে মাঠে দৌড়।এইবার শুরু হতো ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা।একবার তো আমার হাত ফসকে সুতার গুঁটি বেরিয়ে গেল।তখন ঘুড়ি উড়তে উড়তে গাছের মগডালে বেঁধে গেল।একেতো চাম্বুল গাছ,খুবই লম্বা ।নিচের দিকে ডালপালাও তেমন নেই তাই চেষ্টা করেও আর ঘুড়ি নামানো গেল না।মন খারাপ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।কোনো কোনো সময় আবার অন্যের ঘুড়ি সুতা ছিড়ে সোজা আমাদের আম গাছে কিংবা নারিকেল গাছের মাথায় বেঁধে যায়।তখন বাবা নয়তো ডাবওয়ালা ডাব পাড়তে গাছে উঠলে নামিয়ে নিতাম।তারপর ভাবতাম ,এটা বুঝি আমার জন্যই চলে এসেছে।

 last year 

ছাদ থেকে দৌড়ে এসে পল্টু তার মাকে-
পল্টু : মা তুমি আমাকে মিথ্যা কথা বললে কেন?
মা : কোথায় মিথ্যা বললাম!
পল্টু : তুমি তো বললে আমার ছোট বোনের নাম ঘুড়ি?
মা : হ্যা তোর ছোট বোনের নাম তো ঘুড়ি!
পল্টু : তাহলে আমি যখন ওকে ছাদে নিয়ে উড়াতে চাইলাম, তখন তো ও উড়ল না! হা হা হা 😂 😂 😂

 last year 

ছোটবেলায় ঘুড়ি উড়ানোর অনেক শখ ছিল। পুরনো বইয়ের পেজ ছিড়ে ছোট ছোট ঘুড়ি তৈরি করে উড়াতাম। একবার হয়েছিল কি পুরনো বই ছেড়ার পরিবর্তনের নতুন বই ছিড়ে ঘুড়ি তৈরি করেছিলাম। কিন্তু তখন আমি এই ব্যাপারটা বুঝতে পারিনি। কয়েকদিন পর স্কুলে গিয়ে যখন দেখি সবার বইয়ে ওই পেজ রয়েছে শুধু আমার বইয়ে নেই তখন ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছিলাম কি কাজ হয়ে গেছে আমার দ্বারা! 🤫🤫 বই পড়ার পরিবর্তে বইয়ের পাতাকে ঘুড়ি করে আকাশে উড়ানোর মত মহৎ কাজও আমার দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে পূর্বে। হিহি 😂😂

 last year 

গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে গোপাল বাড়ীতে, কিন্তু পড়ায় নেই মনযোগ, সারাদিন ব্যস্ত থাকে ঘুড়ি নিয়ে। একদিন মামা টের পেয়ে গেলেন। তারপর-

মামা জিজ্ঞাসা করিলেন, তোর ছুটির আর কদিন বাকি আছে?
গোপাল বলিল, আঠারো দিন।
মামা: বেশ পড়াশুনা করছিস তো? না কেবল ফাঁকি দিচ্ছিস?
গোপাল: না, এইতো এতক্ষণ পড়ছিলাম।
মামা: কি বই পড়ছিলি?
গোপাল: সংস্কৃত।
মামা: সংস্কৃত পড়তে বুঝি বই লাগে না? আর অনেকগুলো পাতলা কাগজ, আঠা আর কাঠি নিয়ে নানা রকম কারিকুরি করার দরকার হয়?
গোপালের চক্ষু তো স্থির ! সংস্কৃত পুরোটাই শেষ আজ!

ছোটবেলার একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল এই ঘুড়ি ওড়ানো নিয়ে। আসলে বলতে গিয়েই প্রচণ্ড রকম হাসি পাচ্ছে। হা হা হা... ছোটবেলায় আমার মামার ঘুড়ি উড়ানোর খুব শখ ছিল এবং আমার মামা এই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করত। সেগুলো আসলে নরমাল কোন ঘুড়ি ছিল না এক একটা ঘুড়ি প্রায় ৫ ফুট, ৬ ফুট বা তারও বেশি হতো। আর ওই ঘুড়িগুলো ওড়ানোর আগেই গাছে ঘুড়ির মোটা সুতো বেঁধে নিতে হতো, না হলে যে ঘুড়ির সুতো ধরে রাখত তাকে সহ উড়িয়ে নিয়ে চলে যেত। আমি আবার ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড পাকা ছিলাম। তখন আমি ছিলাম দুই ফুট আর মামার ঘুড়ি ছিল প্রায় পাঁচ ফুট এর মত। মামা আমাকে তখন বলেছিল যে যা তুই ঘুড়ি নিয়ে ওই দিকে চলে যা আমি যখন বলব তখন ঘুড়ি উড়িয়ে দিবি। তবে আমি এত পাকা ছিলাম যে মামাকে বললাম, যাও তুমি গিয়ে ঘুড়ি ওড়াও আমি সুতো ধরছি। তখন মামা বলল তুই পারবি না তোকে নিয়ে উড়িয়ে চলে যাবে। কিন্তু কার কথা কে শোনে, আমি বললাম যে আমি পারবো। আসলে ঘুড়ির লাটাই অনেকটা মাটির সাথে গেঁথে রেখে দিয়েছিলাম সেজন্য ভয় অনেকটা কম লাগছিল। যাইহোক মামা কোন কিছুতেই যখন আমাকে বশ করতে পারলো না, তখন বলল ঠিক আছে তুই ধর তাহলে আমি গিয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে দিচ্ছে। বেশ কিছুদূর গিয়ে যখন একটু বাতাস শুরু হল তখন দেখলাম মামা ঘুড়ি উড়িয়ে দিল। বিশ্বাস করবেন না সুমনদা, আমি মনে হয় ঘুড়ির সাথে উড়ে গিয়ে খালের জলের ভিতর পড়লাম। ওই ১০-১৫ সেকেন্ড নিজেকে আসলে পাখি মনে হচ্ছিল। প্রথমত বেশ কিছুদূর ধানের ক্ষেত দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে গেল। তারপর হঠাৎ করে ঘুড়ি যখন উপরে উঠে গেল তখন আমিও ঘুড়ির সাথে উড়ে চলে গেলাম। ঐদিন প্রচন্ড পরিমাণে ভয় পেয়েছিলাম।
 last year 

দৃশ্যটা ভাবলেই কেমন হাসি পাচ্ছে😂😂😂😂

 last year 

প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন খুব উৎসাহের সাথে দলবল নিয়ে মাঠে ঘুড়ি ওড়াতে যায়। সবাই ভাবে আমি অনেক ভালো ঘুড়ি ওড়াতে পারি,😎 কিন্তু আসল খবর শুধু আমিই জানি😉। ছোট ছোট ভাই বোনেরা, আমাকে ঘুড়ি ওড়ানোতে এতটাই পারদর্শী ভাবে যে, তারা আমাকে তাদের লিডার করে শুধুমাত্র ফলাফল জানার অপেক্ষায় একটি জায়গায় বসিয়ে রেখে দেয় 🤭।কিন্তু এদিকে যে আমি কতটা ঘুড়ি উড়াতে পারি ,তা শুধু আমিই জানি🙈।

 last year 

বল্টু একটি ঘুড়ি চুরি করেছে!!
ঘুুড়ি চুরির কোনো জোরালো প্রমাণ না থাকায় বিচারক বল্টুকে বেকসুর খালাস দিলেন।
ছাড়া পেয়েই বল্টু বিচারকের কাছে জানতে চাইলো, হুজুর, সুতা কতো টাকা তুলা?? আর কতো টাকা চুড়ি করলে সুতা কিনে ঘুড়ি আকাশে উড়াতে পারবো!!!

 last year 

ঘুড়ি উড়াতে কার না ভালো লাগে, শৈশবে আমরা সবাই এই ঘুড়ি উড়াতে মাঠে যেতাম, তো হঠাৎ একদিন আমার এক বন্ধুর ঘুড়ির সাথে আমার ঘুড়ির সুতা লেগে আমার ঘুড়িটি কেটে যায়। সেদিন আমি পুরো দিনটি ওইখানে বসেই কেঁদেছিলাম যতোখন না আমাকে কেউ বাড়ি থেকে নিতে আসছিল।


যে ঘুড়ির জন্য তুমি আজ নিজেকে করছ শেষ,
সে হয়তো অন্য আকাশে ভালোই আছে বেশ।

 last year 

ঘুড়ি উড়ানোর ছোট গল্প

ঘুড়ি উড়ানোর কথা মনে হলে হলে ভেসে উঠে শৈশবের কথা। চিলি ঘুড়ি বেশি উড়াতাম। কারন চিলি ঘুড়ি বানানো সহজ ছিলো। অনেক জোরে বাতাস হলে কাটিম সুতো কেটে উড়ে যেতো
আবার অনেক সময় দেখা যেতো লেজ ছিড়ে যেতে যার ফলে চরকির মতো ঘুরতো। এই মুহুর্তটা বেশ মজার এবং হাসির ছিলো। হা😂 হা😂 হা😂

 last year 

ঘুড়ি উড়ানো একটি অত্যন্ত মজার ব্যাপার। আসলে ছোটবেলায় ঘুড়ি উড়িয়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো এখনো মনে ঘুরপাক খায়। ঘুড়ি তৈরি করার আমার অভিজ্ঞতা খুব একটা কম না কারণ আমি নিজেই ঘুড়ি বানাতে পারি এবং তা নিজেই উড়াতে আমার বেশ ভালো লাগে। একদিন বিকেলে ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা হচ্ছিল সেখানে আমি ও উপস্থিত ছিলাম। তারপর ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতায় আমার ঘুড়িটি কেটে যায় তারপরে দৌড় দিয়ে হুব্রি খেয়ে পড়ে গিয়েছিলাম হি হি হি।😆😆 আর ঘুড়ি উড়ানোর জন্য নিজের বাশঝাড় থেকে বাঁশ কাটার জন্য অনেক বকাও খেয়েছি 🤭সে কথাগুলো মনে পড়লে খুবই হাসতে ইচ্ছে করে।🤭😆🤣

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 98914.40
ETH 3374.27
USDT 1.00
SBD 3.08