আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৭৪
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
শীতকালীন ট্যুর নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
অনুগল্প:
কে জানে শহরে ছিনতাই হয়!গ্রাম থেকে ব্যাগ ভর্তি জিনিস নিয়ে শহরের একটি বাসায় এসে রাতে আশ্রয় নিয়েছি।ভোর থাকতেই গন্তব্যে পৌঁছানোর ট্রেন ধরতে হবে,তাই একটি টোটো ভাড়া করলাম।শীতের ভোর সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে টোটোতে চেপে বসলাম।টোটো থেকে ব্যাগ পড়ে যাওয়ার জোগাড়,কখন থেকে টোটো থামাতে বলছি সে তো থামালোই না।তবে একটা ফাঁকা জায়গায় এসে থামালো, যেখানে দূরে আমি লক্ষ্য করলাম দুই তিনটি ছোকরা ছেলে বসে আছে।ব্যাগ ঠিক করে নেওয়ার জন্যই টোটো থামতেই গায়ে কোট মুখে রুমাল বাঁধা দুটি ছোকরা ছেলে ছোরা হাতে হাজির।তারপর ছোরার ভয় দেখিয়ে মা ও আমাকে সবকিছু দিয়ে দিতে বললো।আমরা তো একপ্রকার হতভম্ব তখন মায়ের গলা থেকে একটান মেরে নিলো চেইনগুলি।অন্যদিক থেকে অপর টোটো আসতেই তারা পালিয়ে গেল, হাতে ছুরি থাকাটা পিছন থেকে বাবা ও আমাদের আরেকজন দাদা কিছুই বলতেও পারছে না।কারন ছুরিগুলি চক চক করছিলো, তারপর ট্রেন স্টেশনে পুলিশকে বলতেই তারা কোনো স্টেপ নিলো না।যদিও মায়ের গলায় একটি কেনা চেইন ও একটি রুপার চেইন ছিল বড়।যেটার মধ্যে লুকিয়ে ছিল দুইজনের দেওয়া উপহার, কারন দুটি রুপার চেইন ভেঙে একটি তৈরি করা হয়েছিলো।তাই মায়ের কাছে আবার স্মৃতি চিহ্নও ছিল বটে,কিন্তু শেষমেষ হারাতে হলো।শীতের হাওয়াগুলি তখন শা শা করে কানের মধ্যে থেকে প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে।এটাই ছিল শীতকালীন রাতের ভোরের ট্যুর।।
0.00 SBD,
0.00 SP
দুই বন্ধু আরেক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গেল। তারা দিনে প্ল্যান করলো যে তিন বন্ধু মিলে রাতে নারিকেলের ঢাব চুরি করবে। যে কথা সেই কাজ রাত্রিবেলা বের হয়েছিল নারিকেল চুরি করার জন্য। ওই তিন নাম্বার বন্ধুটির বাড়ির আশেপাশেই একটি বাড়ি সিলেক্ট করল। আর সেই বাড়ি থেকেই নারিকেলের ডাব চুরি করবে তারা।বেচারার তিন বন্ধু যখন নারিকেল গাছের নিচে গেলো এই না কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করলো এবং তেড়ে আসতে লাগলো তাদের দিকে। সেটা দেখে প্যান্ট পরা দুই বন্ধু দুই দিকে দৌড় দিল। আর লুঙ্গি পরা বন্ধুটি সোজা দৌড়াতে লাগলো। আর কুকুর ও লুঙ্গি পরা লোকটিকেই টার্গেট করলো। কুকুর লুঙ্গিটাকে কামড় দিয়ে টেনে ছিড়েই ফেলল এবং বেচারার লুঙ্গি ফেলে কোনরকম জান বাঁচালো। হাহাহা।
0.00 SBD,
0.00 SP
শীতের রাতে নিঃসঙ্গ পথিকের পথ আগলে ধরল এক ছিনতাইকারী, ‘যা আছে বাইর কর। দেখছস, কত্ত বড় চাকু!’
পথিক: ভাই, আজকাল তো অফারের যুগ! একটা অফার অন্তত দেন।
ছিনতাইকারী: অফার! আচ্ছা যা, একটা অফার তোকে দিচ্ছি। এই যে সামনে পুকুরটা দেখছিস এই পুকুরে নেমে পরপর সাতটা ডুব দিবি। তাহলে তোকে ছেড়ে দেবো।
পথিক: কী যে বলেন ভাই, এরচেয়ে আপনার প্রথম অফারটাই অনেক ভালো।
সবকিছুর দিয়ে দিবে তবুও পুকুরে ডুব দেবে না। এটা ভালোই ব্যাপার 😁😁।
আমাদের লেংটাকালের বন্ধু মজনু। জীবনের প্রথম শীতকালীন ট্যুরে কক্সবাজার গিয়েছে। সেখানে গিয়ে ফেসবুক লাইভে বলতেছে, হ্যালো গাইস আমি এখন কক্সবাজার বিচে আছি। এমন কক্সবাজার বিচ পৃথিবীর আর কোথায় নেই,হা হা হা😁😂
মজনু কক্সবাজার এসে একটু বেশি খুশি হয়ে গিয়েছিল 😅🤣।
শীতকালীন ট্যুর নিয়ে মজার অনুগল্প।
আমরা চার বন্ধু শীতকালীন ট্যুরে গিয়েছি সমুদ্র সৈকতে। বিকেলে আমরা ছোট নৌকা করে সমুদ্রের মাঝে চলে গেলাম। যাওয়ার সময় আমরা সবাই গরম জামা কাপড় পড়ে নিলাম। আমাদের মাঝে একজন সৌখিন বন্ধু। আমাদের গরম জামা কাপড় দেখে হাসে ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে। সে বলছে, আমাদের সবাইকে শীতে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেখ আমি শুধু গেঞ্জি গায়ে দিয়ে যাচ্ছি কিসের শীত? আমরা সমুদ্রের মাঝে থাকা অবস্থায় সন্ধ্যা নেমে এলো। হঠাৎ করে সমুদ্র খুব উত্তাল হয়ে উঠলো। প্রচন্ড বেগে শীতল হাওয়া বইছে। শীতল হওয়ার কারণে আমাদের সবার খুব শীত লাগছে। সময় যতো যাচ্ছে শীত ততো বেশি বেড়ে চলেছে। আমাদের সৌখিন বন্ধু শীতে থরথর কাঁপছে। আর আমাদের জড়িয়ে ধরে বলছে বন্ধু আমাকে তোদের একটা গরম জামা দেয় আমাকে শীতে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা তখন হেসে উঠে বললাম, তোকে শীতে উড়িয়ে নেবে কেন? দেখ আমরা সমুদ্রের পানিতে নৌকা করে ভেসে ভেসে সমুদ্রের পাড়ে যাচ্ছি। আমরা তো বিমানে করে যাচ্ছি না। তখন সেই কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো, শীতে উড়িয়ে নিচ্ছে না বন্ধু ঠান্ডা বাতাসে উড়িয়ে নিচ্ছে। সবাই মিলে আমাকে জড়িয়ে ধর। তখন আমরা সবাই বললাম তুই যে মোটা তোকে বাতাসে উড়িয়ে নিবে না। আর যদি উড়িয়ে নেয় তখন আমার তোকে জড়িয়ে ধরবো।
একটি পরিবার শীতকালীন ট্যুরে পাহাড়ে যাচ্ছিল। গাড়িতে বসে পুত্র সবার সামনে বলল, "বাবা, শীতকালে এখানে এসে কি করবেন?"
বাবা হেসে বললেন, "আরে, অনেক কিছু! মনের মতো বরফ দেখে স্লেজিং করব, গরম গরম কেক খাব, আর ঝিরঝিরে বাতাসে হাঁটব!"
তবে ছেলের মুখে হালকা চিন্তা দেখা দিল, বলল, "কিন্তু বাবা, জানালা খুললে কি বরফ ঢুকে আসবে?"
বাবা হেসে বললেন, "না, পুত্র, জানালা না খুললে তো বরফ নাও দেখতে পাবি!"
সবাই হেসে উঠল।
আপনার কথা শুনে তো আমি হাসতে হাসতে শেষ 🤣🤣।
শীতকালীন ট্যুর নিয়ে অনুগল্প:
কোন এক জানুয়ারি মাসে কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে প্লানিং করলাম এই শীতে কোথাও একটা ট্যুর দিব। জায়গা ঠিক করা হলো নাটোর রাজবাড়ী যাব। অনেকটা দূরের পথ হওয়াতে আমরা একদম ভোরে বের হয়ে পড়ি বাইক নিয়ে সবাই। আমাদের মধ্যে দুজন বন্ধু ছিল যারা সব সময় অতিরিক্ত সবকিছু করে থাকত। এই শীতের সময় বাইকে করে ট্যুরের মধ্যেও তারা বাহাদুরি দেখাচ্ছে হাফ হাতা গেঞ্জি পড়ে যাবে😲। আমাদের সাথে বাজি হয়ে গেল যদি রংপুর থেকে নাটোর যেতে পারে হাফ হাতা গেঞ্জি পড়ে তাহলে তাদের ৫০০, ৫০০ =১ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আর না পারলে আমাদের প্রত্যেককে 500 করে টাকা দিতে হবে। তারা রাজি হয়ে গেল শুরু হয়ে গেল যাত্রা। অর্ধেক রাস্তা না যেতেই তারা দুজনেই বাইক থামিয়ে দিল 🤔। আমরাও থেমে ওদের জিজ্ঞাসা করলাম কি হয়েছে থামলি কেন? তারা বলছে তারা আর যেতে পারবেনা কাপড় ছাড়া 😃। পাশেই একটি পুকুরে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে সবাই মিলে দিলাম ফেলে ঠান্ডা পানিতে 😫😆। পুকুর থেকে উঠে এসে এমনভাবে তারা কাঁপছিল বলে প্রকাশ করা যাবে না 😆😆। তারপরে অবশ্য আগুন জ্বালিয়ে তাদের উষ্ণ করার জন্য। শর্ত অনুযায়ী তাদের থেকে 500 করে টাকা নিয়ে নিলাম 😃। বেশি বাহাদুরি দেখাতে গেছে তো আম ও গেল ছালাও গেল তাদের 😂😂।
হা হা হা 🤣🤣🤣😅।