একটি শিক্ষিত শৈশব ভবিষ্যতের ভিত্তিস্তর নির্মাণে সহায়ক!(An educated childhood helps build the foundation for the future!)
এই শিক্ষার ভিত তৈরি হয় ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকেই, প্রথমে মাতৃ গর্ভ থেকে বেরিয়ে প্রকৃতির সাথে শরীরকে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা।
তখন হাসি আর কান্না এই দুই অভিব্যক্তি দিয়ে নিজের ভালো লাগা মন্দ লাগা বোঝানোর প্রয়াস চলে বেশ কিছু সময় ধরে।
আলো, অন্ধকার, আসে পাশের মানুষের নানান অভিব্যক্তির সাথে পরিচিত হওয়া, মায়ের গায়ের গন্ধে তাকে চিনতে পারা ইত্যাদি।
সময় অতিবাহিত হতে হতে অনেক কিছু মস্তিষ্কে জমা হতে থাকে।
এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর পালা যেখানে আমরা জগতের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে সক্ষম হই।
এখন এই যে শিক্ষার সূত্রপাত এখানের ভিত যদি মজবুত হয়, তাহলে ভবিষ্যতের পথ অনেক দিক থেকেই মসৃণ হয়।
শিক্ষা বিহীন রাস্তায় ভুলের আধিক্য অধিক চোখে পড়ে।
বিষয়টি বোঝাতে খানিক নিজের জীবনের ব্যাক্তিগত দিক তুলে ধরছি।
যখন আমার মা জীবিত ছিলেন, তিনি সমস্ত ঘরের কাজ নিজে হাতে করতেন।
পাশের বাড়ির অনেকেই মা কে বলতেন মেয়েদের কোনো ঘরের কাজ শেখান না? আপনার সাহায্য হবে পাশাপশি সংসার জীবনে ওদের কষ্ট কম হবে, পরের ঘরে গেলে কথা শুনতে হবে না!
উত্তরে আমার মা বলতেন, ওদের এখন পড়াশুনা করবার বয়স, আর কিছু গুন সৃষ্টিকর্তা নারীদের জন্মলগ্ন থেকে দিয়েই পাঠান, কাজেই সময়ের সাথে সেগুলো ওরা এমনি শিখে যাবে।
সকালের পড়া সারতে সারতে কথাগুলো কেন আসলেও, তার গুরুত্ব বুঝেছিলাম যখন মা অসময় ছেড়ে চলে গেলেন।
যার উপস্থিতিতে এক গ্লাস জল ভরে কোনোদিন খাইনি, সেই আমরাই রাতারাতি কেমন যেন সব শিখে গিয়েছিলাম।
সময় চলিয়া যায়, নদীর স্রোতের প্রায়!
-যোগীন্দ্রনাথ সরকার।
সেদিন বুঝেছিলাম কিছু শিক্ষার মৌখিক গুণাবলী কতখানি!
চোখে দেখেছি মাকে সংসারের যাবতীয় কাজ করতে কিন্তু কখনো সে আমাদের কোন কাজ করতে দিতেন না, বরঞ্চ লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, এটাই ছিল তার সর্বক্ষণের শিক্ষা।
আজকেও টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠানে ঠিক এরকম একটি পরিবারের ঘটনা দেখলাম, যেখানে দরিদ্র মা, তার দুই কন্যার সাথে একচালা টিনের ঘরে থাকেন, এবং ঘরটি চা বাগানে কাজ করবার সুবাদে তারা পেয়েছে।
যতদিন তার মায়ের কাজ থাকবে ততদিন ঐ ঘরে থাকার অনুমতি আছে তাদের।
এত অভাবেও মা তার মেয়েদের শিক্ষা দিতে ভোলেন নি, নিজের সাথে কাজ করাবার পরিবর্তে।
তার মায়ের বক্তব্য আমি চাই না, আমার মেয়েরা চা বাগানে কাজ করুক, কারণ এখানে সাপের, বাঘের ভয় থাকে সবসময়।
অর্থের অভাবে মেয়েটি ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে, এবং বাড়িতে নার্সারি থেকে ক্লাস এইট পর্যন্ত শিশুদের পড়ায়।
তবে, তার ইচ্ছে, ভবিষ্যতে ওকালতি পড়বার এবং পাশাপশি নিজেদের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করার, যেখান থেকে কেউ তাদের উৎখাত করতে পারবে না।
একজন নারী শুধু সন্তান নয়, গোটা সমাজ পরিবর্তনে সক্ষম। আজকে তার আরো একটি নিদর্শন পেলাম। মেয়েটি আজকে পনেরো লক্ষ সত্তর হাজার ভারতীয় অর্থ জিতে নিয়েছে।
অনেকেই বহুদূর পড়াশুনা করেও হয়তো এই অর্থ উপার্জনে অক্ষম হয়ে যায়, কিন্তু যে সন্তান তার মায়ের আদর্শ এবং পরিশ্রমকে সম্মান করতে জানেন, সৃষ্টিকর্তা তাকে ঠিক তার লক্ষ্যে পৌঁছতে সহায়তা করেন।
নিজ নিজ পরিচিতি সামাজিক উন্নয়নের পাথেয় করে গর্বিত হোক শৈশব শিক্ষা! |
---|
এই পারিবারিক শিক্ষা অনেক তাবড় তাবড় ডিগ্রিকে হার মানায়।
প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা অনেকেই যে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকেন, সেই শিক্ষা একজন মা পারেন তার সন্তানকে শেখাতে অভাবের কদর বুঝিয়ে।
মানবজাতি ছাড়াও প্রাণীকুলেও পশুরা তাদের সন্তানদের শৈশব থেকে টিকে থাকার লড়াই শিখিয়ে থাকে, শাবক একটু বড় হতে না হতেই।
আজকের লেখাটি তাদের উদ্দেশ্যে যারা নিজেদের জীবনে বহু ডিগ্রী অর্জন করতে পারলেও সঠিক শিক্ষিত শৈশব হয়তো পাননি!
সঠিক শিক্ষায় শুধু ডিগ্রি নয়, থাকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে শৈশব শিক্ষাকে গর্বিত করবার লক্ষ্য, পাশাপশি সেই মানুষগুলোকে ভালো রাখার যারা এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন আমাদের।
যাদের জীবনে তারা নেই, তাদের ক্ষেত্রে শৈশব থেকে যে ইচ্ছেগুলো তারা চেয়েছিলেন তাদের সন্তান পূরণ করুক, সেগুলোকে না ভুলে যাওয়া, আর যাদের জীবনে তারা এখনও উপস্থিত, তাদের শেষ সময়টা গর্বে ভরে তোলা শৈশবে তাদের দেখানো পথ, নীতি এবং শিক্ষা অনুসরণ করে।
যে বয়সের মধ্যে দিয়ে আজকে আমাদের অভিভাবক যাচ্ছেন, একদিন সেই বয়স আমাদেরও আসবে। পিছু ফিরে চাইলে যেন কোন আফসোস অবশিষ্ট না থাকে অন্ততঃপক্ষে তাদের দেওয়া শিক্ষাকে অবমাননা করবার ক্ষেত্রে।
জীবনচক্র বড়ই অদ্ভূত, যেটা আজকে দেবো, আগামীতে সুদে আসলে সেটাই ফিরে আসবে।
হয়তো আজকে আপনার মনটা অনেক খারাপ। কাকিমায়ের কথা, অনেক ভীষণ মনে পড়েছে আপনার। কাকিমায়ের জন্য দোয়া রইল, সৃষ্টিকর্তা যেন উনাকে স্বর্গবাসী করে। মাঝে-মাঝে এরকম কিছু নাটক বা ছায়া ছবি রয়েছে, যা আমাদের হৃদয়ের দোলা দিয়ে যায়। হারানো দিনের কথা গুলো মনে পড়ে যায়।
আমরা সবাই জানি, এই পৃথিবীর বুকে মা-বাবা সবচাইতে আপনজন সন্তানের জন্য। মা ছাড়া সত্যি পৃথিবীটা অন্ধকার, এটা আমি উপলব্ধ করতে পারি দিদি, আমার মায়ের জন্য আমি এখনো ভালো অবস্থানে রয়েছি, আমার মাঝে-মাঝে অনেক হারানোর ভয় কাজ করে এখন।
আপনি ঠিকই বলেছেন, একটি মা শুধু একটি পরিবার না, একটি দেশ ও সমাজ ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে পারে। আমি উদাহরণস্বরূপ যদি একটি বাস্তব ঘটনা বলি।
আমার সঠিক খেয়াল নাই! রাশিয়াতে বা জাপানে হয়তো হবে হিরো সীমানাতে, একটা এটম বোমা হামলা হয়েছিল, তাতে অনেক লক্ষ মানুষের প্রাণ চলে গিয়েছিল, এবং অনেক বছর পর্যন্ত উদ্ভিদ থেকে শুরু করে কোন কিছুই জন্মায় নেই ।
তারা এখনো এই বোমাটির দিবস পালন করে থাকে। দেশটি অনেক দরিদ্র হয়ে পড়ে, তখন ওই দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট যে ছিলেন, তখন সে শুধু একটি কথাই সবার উদ্দেশ্যে বলেছিল। আমারে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদেরকে একটি শিক্ষিত সমাজ বা জাতি দিব।
একজন মা সন্তানের উপর কি পরিমাণ প্রভাব ফেলতে পারে, তা আপনার পোস্টএ এর মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনি সত্যিই বলেছেন আরেকটি বিষয়! এই পৃথিবীতে আমরা যা কিছু করি না কেন! সৃষ্টিকর্তা তা আমাদের সুদে-আসলে মৃত্যুর আগে ফেরত দিবে।
আরেকটি বিষয় আপনার সাথে একমত পোষণ করি। বড়-বড় ডিগ্রি অর্জন করলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না । প্রকৃতিক শিক্ষা মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা মানুষ সমাজ পরিবার থেকে পেয়ে থাকে।
এত সুন্দর একটি শিক্ষানীয় বিষয়! আমাদের সাথে অনেক সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল দিদি।
Thank you so much Nishadi89 mam for supporting me 💕
@mdsuhagmia ঠিক মন খারাপ থেকে লিখেছি সেটা নয়, কারণ আমি বিশ্বাস করি আমরা যাদের ভালবাসি অথবা যাদের স্থান সর্বোচ্চ তাদের শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াও তারা আমাদের জীবনে সর্বদাই থাকেন।
অনুভূতি কেবলমাত্র একজনের শারীরিক উপস্থিতি দিতে নির্ধারত নয়, যেমন আমি এই জগতে যতদিন বেঁচে থাকবো, আমার মা বাবার অস্তিত্ব অক্ষুন্ন থাকবে।
কারণ, তাদের কারণে আমি পৃথিবীর আলো দেখেছি।
আপনার উল্লেখিত বিষয়টি আমার জানা ছিল না!
অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবার জন্য।
দেখুন আপনার এই মন্তব্যের জন্য একটি অজানা বিষয় আমার জানা এবং শেখা হয়ে গেল।
ধন্যবাদ দিদি আপনাকে এত সুন্দর একটি উত্তর দেওয়ার জন্য।
Curated by : @miftahulrizky
আপনার লেখা পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হলাম। শিক্ষা ও শৈশবের গুরুত্ব নিয়ে এত গভীর ও হৃদয়স্পর্শী উপস্থাপনা প্রশংসনীয়। একজন মা তার সন্তানদের জীবনে কত বড় প্রভাব ফেলতে পারেন, তা আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
আপনার নিজের অভিজ্ঞতা এবং জীবনের গল্পগুলো এ লেখায় একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। বিশেষত আপনার মায়ের শিক্ষা এবং তার পরিশ্রমের প্রতিফলন আপনার জীবনে যেভাবে ফুটে উঠেছে, তা অনুপ্রেরণাদায়ক।
অভাবের মধ্যেও একজন মা কীভাবে সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন, এবং সেই শিক্ষা কতটা শক্তিশালী হতে পারে, তা চা বাগানের মা ও তার মেয়ের গল্পে স্পষ্ট হয়েছে। এই উদাহরণগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃত শিক্ষা শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।
আপনার উপসংহারটি অত্যন্ত অর্থবহ জীবনচক্র বড়ই অদ্ভূত, যেটা আজকে দেবো, আগামীতে সুদে আসলে সেটাই ফিরে আসবে। এটি আমাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেন আমরা আমাদের অভিভাবকদের শিক্ষা ও আদর্শকে গর্বিত করতে পারি।
এই লেখাটি শুধু শিক্ষার গুরুত্ব নয়, বরং আমাদের সম্পর্ক, মানবিকতা এবং পারিবারিক দায়িত্বের গুরুত্বও মনে করিয়ে দেয়। এমন হৃদয়গ্রাহী লেখা আরও পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
@samima1 ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ে এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই তো তাই! একটি মুহূর্ত ফুরিয়ে গেলে আর ফিরে আসবে না, এই চরম সত্য জেনেও অধিক মানুষ দৈনন্দিন জীবনের বেশকিছু সময় অপচয় করেন প্রতিদিন!
আমি এমন একটি পরিবারে বেড়ে উঠেছি, যেখানে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে জীবনে এই শিক্ষায় আমাদের হাতে খড়ি হয়েছে।
সেখানে ঐ সংসার করতে হবে বলে লেখাপড়া বাদ দিয়ে রান্না শেখায় কেউই বিশ্বাসী নয়।
তারমানে তারা সেটা জানে না, এমনটা নয়, আসলে নিজের পরিচিতি তৈরির শিক্ষা প্রাধান্য পায় বেশি এই আর কি!
আর যেটাকে আপনি গল্প বলে উল্লেখ করেছেন, সেটা সত্যি ঘটনা। আমার মনে হয় যেকোনো বিষয় দৃঢ়তা থাকাটা সবচাইতে বেশি প্রয়োজন।
একেবারেই ঠিক বলেছেন শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে, এরপর তার হাসি কান্না বিভিন্ন ধরনের ভঙ্গিমা দিয়েই কিন্তু তার প্রিয় মানুষগুলোর কাছ থেকে সে ভালোবাসা বুঝে নেয়। খিদা লাগলে তার মাকে বোঝায় তার খিদা লেগেছে। যখন তার প্রাকৃতিক কাজগুলো হয় তখন সে কান্না করে বোঝায়, তার এগুলো পরিষ্কার করা দরকার।
আসলে দিদি এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষ ক্ষণস্থায়ী অল্প সময়ের জন্য এসেছে। একটা সময় চলে যাবে। তবে মা নামক শব্দটা যখন সামনে চলে আসে, তখন নিজের মায়ের মুখ সামনে ভেসে ওঠে। আজকে আপনার মায়ের কথা যখন আপনি পোস্টে লিখেছেন আর আমি পড়লাম সত্যি কথা বলতে চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো।
আমার কাছে মনে হয় এই পৃথিবীতে মা একমাত্র ব্যক্তি, যে কিনা মেয়েদের কষ্ট বোঝে পড়াশোনার সময় তাদেরকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। বয়সের সাথে সাথে তারা অনেক কিছুই শিখে যাবে এটা একমাত্র মা ছাড়া আর কেউ বোঝে না। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত জীবনে কিছুটা হলেও শিক্ষা গ্রহণ করা। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
সঠিক বলেছেন @rubina203 মা একটা শব্দ নয় গোটা জগৎ।
আমাদের পুরাণে একটা ঘটনা এখানে উল্লেখ করি।
শ্রী গণেশ এবং কার্তিক মহাদেব(শিব ঠাকুর) এবং দেবী পার্বতীর পুত্র।
কে আগে বিবাহ করবে এই নিয়ে দ্বন্দ্ব মা এবং বাবার মধ্যে।
তাই দুজনে পুত্রদের ডেকে বললেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে যে তিনবার পৃথিবী পরিক্রমা করে ফিরবে, তাকেই আগে বিয়ে দেওয়া হবে।
কার্তিক তার বাহন ময়ূরে করে বেরিয়ে পড়লেন পৃথিবী পরিক্রমা করতে, এদিকে শ্রী গণেশ দাড়িয়ে আছে দেখে তাঁর মা বাবা অবাক হলেন!
তবে, এরপর শ্রী গণেশ তার মাতা পিতাকে পরিক্রমা করতে শুরু করলেন, তাঁর পরিক্রমা থেকে তিনি বুঝিয়েছিলেন, যারা মাতা পিতাকে শ্রদ্ধা করেন, তাদের পুন্য অর্জনে কোথাও যাবার প্রয়োজন পড়ে না।