The January Contest#1 by sduttaskitchen| Me and my city!
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আজকাল যে পরিমাণ ঠান্ডা পড়ছে তাতে আমার দিনগুলো খুব বেশি ভালো কাটছে না। হয়তো অনেকেই জানেন আমি বড্ড শীতকাতুরে, এই কারণে শীতের দিনগুলো আমার জন্য একটু বেশিই কষ্টের হয়ে থাকে।
যাইহোক প্রকৃতির বিপরীতে চলার মতন ক্ষমতা আমাদের কারোর নেই, তাই সবটা সহ্য করেই আজকাল দিনগুলো মোটামুটি কাটছে। আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আমি অংশগ্রহণ করবো, নতুন বছরের প্রথম কনটেস্টে, যেটি আমাদের অ্যাডমিন ম্যাম আয়োজন করেছেন।
যার বিষয়বস্তু হিসেবে তিনি নির্বাচন করেছেন আমাদের প্রিয় শহরকে। আমার বিশ্বাস এই বিষয়টিকে নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে সকলেই আগ্রহী হবেন। চলুন তাহলে আমিও আমার অনুভূতিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তার আগে আমি আমন্ত্রণ জানাই আমার তিনজন বন্ধুকে- @memamun, @cruzamilcar63 ও @whizzbro4eva কে।
|
---|
কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা ধনধান্যে পুষ্পে ভরা কবিতার দুটো লাইন নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে-
"এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী, সে যে আমার জন্মভূমি।"
যদিও কবি এখানে সম্পূর্ণ দেশকে তুলনা করেছেন, তবে আমি দেশের জায়গায় তুলে ধরতে চাই আমার ছোট্ট গ্রামকে। যে গ্রামটি আমার কাছে অন্তত এই সম্পূর্ণ পৃথিবীর সবথেকে প্রিয় জায়গা, যার তুলনা পৃথিবীর আর কোনো সুন্দর জায়গার সাথে করা সম্ভব নয়।
আমার গ্রামে এমন আলাদা কোনো কিছুই নেই যেটা আমার গ্রামকে সকলের থেকে আলাদা করে শুধু এটুকু ছাড়া যে, আমি এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার জীবনের সবথেকে মূল্যবান শৈশব আমি এই গ্রামে কাটিয়েছি। আমার মনে হয় নিজের গ্রামকে ভালোবাসার জন্য অন্য জায়গার থেকে আলাদা ভাবার জন্য এই কারণটাই যথেষ্ট।
"আমার গ্রাম"
সময়ের সাথে সাথে যত বড় হচ্ছি, পারিপার্শ্বিক পরিবেশগুলির পরিবর্তন আরও বেশি করে সেই ফেলে আসা গ্রামের গুরুত্ব বোঝাচ্ছে। যেন মনে হচ্ছে ছেলেবেলার সেই গ্রাম, সেই সময় জীবনের সবথেকে অমূল্য স্মৃতি, যা কোনো কিছুর বিনিময়ে ফেরত পাওয়া যাবে না জেনেও, বারবার সেগুলো ফেরত পেতেই অবুঝ মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
মা বাবা, পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী সকলকে ঘিরে যে সুন্দর ছেলেবেলা কাটিয়েছি, যেখানে মুক্ত পাখির মতো পথ,ঘাট সব জায়গায় ছুটে বেরিয়েছি, হিংসা বিবাদ সমস্ত কিছু ভুলে সকলের সাথে মিশেছি, সেই সময়কার সেই মানসিকতা মানবিকতা, ভালোবাসা, মান সম্মান সমস্ত কিছু ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে, এই কারণেই বোধহয় নিজের গ্রামে ফেলে আসা সময় আরও বেশি প্রিয় হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে।
|
---|
" গ্রামের বাড়িতে আমার ঠাকুমা"
উপরোক্ত প্রশ্নটি পড়ে এতগুলো স্মৃতি মনে এলো কোনটা ছেড়ে কোনটা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছিনা। আপনারা যারা ছোটবেলার গ্রামে কাটিয়েছেন তারা হয়তো এটা বিশ্বাস করবেন, পূর্বে গ্রামের মানুষের মধ্যে আত্মিকতা ছিলো অতুলনীয়।
তখন প্রতিবেশীর কষ্টে যেমন সকলের চোখে জল আসতো, তেমনি প্রতিবেশীর আনন্দে হেসে উঠতো গোটা পাড়া। এমনই একটি পাড়ায় বেড়ে ওঠার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। আজ ওখানে মানবিকতার, আত্মিকতার ঝলক চোখে পড়ে। তবে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন সব জায়গাতেই আসে, কোথাও কম কোথাও বেশি। আমার গ্রামেও এসেছে। তবে ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়লে, কোনো কারন ছাড়াই চোখের কোণে আজও জল আসে, এটাকেই বোধহয় গ্রামের প্রতি নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি বলে।
যাইহোক আমাদের গ্রামটা খুব বেশি বড় নয়, ছোট্ট গ্রাম। খুব সাধারণ পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠা, যেখানে সকলের সাথে সকলের সম্পর্ক বেশ ভালো। মাঝে দু একটি পরিবারের সাথে মনোমালিন্য থাকলেও, যে কোনো অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কখনো কখনো সেটাও শেষ হয়ে যেতো।
"উঠোনে পড়া শীতকালীন রৌদ্র "
এখন যেহেতু শীতকাল, তাই শীতকালকে ঘিরে আমার পাড়ার স্মৃতি সবচেয়ে আগে মনে এলো। সকালবেলায় সকলে মিলে একজনের উঠোনে একসাথে বসে খাওয়া সে এক অমূল্য স্মৃতি। যে বাড়ির উঠোনে সকাল থেকে রৌদ্র পড়তো, আমরা সকলেই রান্নাবান্না শেষ হলে, খাবার নিয়ে, সেই বাড়ির উঠানে জমাট হয়ে খাবার খেতাম। আজকাল যখন গ্রামে যাই সেই জামায়াতে মানুষের সংখ্যা কমেছে ঠিকই, কিন্তু আজও দু-একজন খাবারের থালা হাতে চলে আসে।
শীতকাল মানেই পিঠের আয়োজন। আর এই আয়োজনে আমার মায়ের সাথে পাড়ার আরো কাকিমারা সামিল হতো। তখন ঘরে ঘরে এত মিক্সার মেশিন ছিল না, হামান দিস্তা ছিল না, ফলতো সকলে মিলে একসাথে চাল ভিজিয়ে ঢেঁকিতে চাল ভাঙতে যেতো। ঢেঁকিতে চাল ভাঙতে গেলে একজনের দ্বারা তা অসম্ভব। এই কারণে সকলে মিলিতভাবে চাল ভাঙ্গাতো। একজন/দুজন মিলে ঢেঁকি পাড়াতো, অন্যজন চালগুলোকে সুন্দর করে ভেঙে গুড়ো তৈরি করতো। এইরকম ভাবেই সকলের সাহায্যের চালের গুঁড়ো তৈরি করত মায়েরা। তারপর সকলের বাড়িতে চলত পিঠে তৈরির কাজ। পৌষ সংক্রান্তিতে কাদের বাড়ি কত রকমের পিঠা বানানো হয়েছে, সেটা নিয়েও আমরা গভীর আলোচনায় মত্ত থাকতাম ছোটবেলায়।
আগে বিকেল হলেই দেখতাম, মা কাকিমারা সকলে মিলে হাঁটতে হাঁটতে মাঠের রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুটা দূর যেতো। আবার সন্ধ্যে হওয়ার পূর্বে তারা ঘরে ফিরে সমস্ত কাজ গোছাতো। শীতকালে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সকলেই একটা প্যাকেট হাতে মাঠে চলে যেতো শাক তুলতে। মাঠের মধ্যে ঘুরে ঘুরে ভেতো শাক, নটে শাক, ছেঁচি শাক, ধনে পাতা, অন্যান্য আরো অনেক শাক তুলে আনতো।
গল্প করতে করতে সময় অতিবাহিত হতো। তার সাথে তুলে আনা শাক দিয়ে পরের দিন সকালবেলায় গরম ভাত খাওয়ার মজাই ছিলো আলাদা। আমরাও সাথে যেতাম, তবে শাক তুলতে নয় আনন্দ করতে। এমাঠ থেকে ও মাঠে ঘুরে বেড়াতাম মায়েদের সাথে সাথে, সে এক অনন্য স্মৃতি যা কখনো মলিন হওয়ার নয়।
গ্রামে দুর্গাপূজো,কালীপুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ তো হতোই। তবে সেখানে লোকের জমায়েত হতো প্রচুর। তিন-চারটে গ্রাম মিলে সকল লোক একত্রিত হলে যতটা ভিড় হয়। তবে তার থেকেও বেশি আনন্দ হতো সরস্বতী পুজোয়।
গ্রামের সকলে মিলে ছোট্ট করে পাড়ায় একটা সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হতো। যেখানে চাঁদা তোলা থেকে প্যান্ডেল করা, পূজোর বাজার করা, পুজোর আয়োজন করা, সমস্ত কিছুর দায়িত্ব থাকতো মায়েদের ওপরে। তবে পরবর্তীতে বড় হওয়ার সাথে সাথে বেশ কিছু দায়িত্ব আমরাও নিয়েছিলাম। তখন মায়েরা শুধু পূজার জোগাড় করে দিতো, বাজারের লিস্ট তৈরি করে দিতো, কিন্তু সেগুলো করে আনতো পাড়ার ছেলেরা।
"গাছের ফাঁকে উঁকি দেয় চাঁদ- গ্রামের জোসনা রাত"
ওই সরস্বতী পুজোর দিন সন্ধ্যার পর আমরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতাম। গানের লড়াই, মোমবাতি জ্বালানো, শাঁখ বাজানো, আবৃত্তি আরও না জানি কত কি এবং সেই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হলে তাদেরকে ছোটো ছোটো জিনিস দিয়ে পুরস্কৃতও করা হতো। তবে সেগুলো আজকাল আর হয় না। কারণ এখন সকলেই ঘরে ঘরে নিজেদের মতো করে পূজা করে। সম্মিলিতভাবে সেই সরস্বতী পূজার আয়োজন আজ আর নেই।
আজকাল সেই সমস্ত কিছুই স্মৃতির পাতায় জমা হয়েছে। এই কথাগুলো আপনাদের সাথে লিখতে গিয়েও চোখটা খানিক ঝাপসা হচ্ছে। মনে হল এক পলকেই কত বড় হয়ে গেছি। এই তো সেদিনও বোধহয় মায়ের আঁচল ধরে মাঠে মাঠে ঘুরে শাক তুলতাম, পুজোর দিনে ভোরে ফুল তুললাম, সরস্বতী পুজোয় শাড়ি পড়ার বায়না করতাম, শীতে কাঁপতে কাঁপতে পিকনিক করতাম, পিঠে তৈরি হলে ছুটে যেতাম পাশের বাড়ি কি কি পিঠা হয়েছে সে সংবাদ জানতে, এই সকল স্মৃতির ভার যে এতটা তা সত্যিই আগে বুঝিনি।
|
---|
"মাটি নিয়ে খেলছে আমাদের তিতলি "
সত্যি বলতে আজকাল যখন গ্রামে যাই তখন অনেক কিছু পরিবর্তন চোখে পড়ে। আমাদের ছোটবেলার সাথে এখনকার বাচ্চাদের ছোটবেলার পার্থক্য আকাশ পাতাল। এখন আর কেউ মাঠ ঘাটে ছুটে বেড়ায় না, সকলের হাতে মোবাইল। সকলে গেম খেলায় ব্যস্ত কাদামাটি নিয়ে খেলা যায়, কচুরিপানা তুলে এনে সেটা নিয়ে রান্নাবাটি খেলা,পুতুলের বিয়ে দেওয়া, এই সমস্ত কিছুইআজকালকার বাচ্চাদের কাছে কেমন যেন হাস্যকর। কিন্তু আমাদের ছোটবেলা ঘিরে শুধু এই খেলাই ছিলো। আমাদের জীবনে মোবাইল আর না কম্পিউটারের কোনো জায়গা ছিলো না। প্রযুক্তি যতই এগোচ্ছে ততই বাচ্চাদের ছেলেবেলা হারিয়ে যাচ্ছে।
আজ আর গ্রামের কাকিমাদের প্রতিদিন বিকেলে দলবেঁধে হাঁটতে দেখি না, সরস্বতী পুজোতে সকলে নিজের বাড়ির পুজোতেই ব্যস্ত, একত্রিতভাবে সকলের সেই পুরনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। সত্যি বলতে পুরনো মানুষগুলো হারিয়ে গেছে, অনেকের বয়স বেড়েছে এতটাই যে আর আলাদা করে কোনো দায়িত্ব নিতে পারেন না। কিংবা গ্রামের সেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোর মধ্যে সেই আত্মিকতা, আন্তরিকতা আজ আর চোখে পড়ে না। প্রত্যেকেই যেন আত্মকেন্দ্রিকতায় বিশ্বাসী।
আগে বড়দের সাথে যে ঝামেলা হোক না কেন, বাচ্চাদের উপরে কোনো বাধা নিষেধ ছিল না। অথচ আজকাল মায়েদের দেখি বড়দের ঝামেলার মাঝে বাচ্চাদেরকে টেনে নিয়ে, তাদের মেলামেশা বন্ধ করে দেয়। এটা আমাদের ছোটবেলায় কখনো দেখিনি।
সত্যি বলতে আজকাল গ্রামে গেলে অবাক লাগে। গ্রামের পরিবেশ দেখলে আমাদের সেই ছোট্টবেলার গ্রাম আর এখনের গ্রামের মধ্যে বেশ অনেকখানি পার্থক্য চোখে পড়ে।
মাটির রাস্তা পাঁকা হয়েছে। সারি দিয়ে সব টালির/ টিনের বাড়ি গুলো দালান হয়েছে, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ার ফলে নিঃস্তব্ধতা হারিয়ে গেছে।
|
---|
পরিবর্তন যতোই হোক না কেন, আজও যেন সেই গ্রামের মায়া, ফেলে আসা স্মৃতি, মানুষের আন্তরিকতা ভুলতে পারি না। মনে হয় জীবনের সবথেকে সেরা সময় ফেলে এসেছি ওই গ্রামেই, যা আর কখনও ফিরে পাওয়া হবে না। গ্রামের মানুষ যত উন্নত হোক, তাদের জীবন যাপনে যতই পরিবর্তন আসুক, গ্রাম কিন্তু গ্রামই রয়েছে। গ্রাম কখনো বদলায়নি।
"গ্রামের সূর্যোদয়"
বদলেছি আমরা, আমাদের জীবন যাপনের কৌশল, তবে আজও গ্রামের সূর্যোদয় ততটাই সুন্দর, সূর্যের কিরণে আজও আলোকিত হয় গ্রামের প্রতিটি কোণা, ঠিক তেমনই সূর্যাস্তের লাল আভা ছড়িয়ে পড়ে। তাই মানুষের জীবনের বদল ঘটলেও গ্রাম কিন্তু তার ভালোবাসা বিকিয়ে দিতে ভুল করে না।
"সূর্যাস্তের সময় ছড়িয়ে পরা লাল আভা গ্রামের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ"
তবে আমরা সেই ভালোবাসা কুড়িয়ে নিতে জানিনা এ ব্যর্থতা আমাদেরই। তাই গ্রামের যতই পরিবর্তন হোক না কেন, এই গ্রাম আমার প্রাণের ছিলো, আমার প্রাণের আছে, আমার প্রাণেরই থাকবে। তাই আমিও দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাথে একমত, - সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।
আজ এখানেই শেষ করি। আমার লেখা আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।ভালো থাকবেন সকলে।
💦💥2️⃣0️⃣2️⃣5️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, নতুন বছরের প্রথম কনটেস্টে, অংশগ্রহণ করার জন্য দিদি। নিজের শহরকে আপনি ভিন্ন রকম ভাবে আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন, যা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো!
যদিও কবি এখানে সম্পূর্ণ দেশকে তুলনা করেছেন, তবে আমি দেশের জায়গায় তুলে ধরতে চাই আমার ছোট্ট গ্রামকে।
উপরের এই কথাটুকু সত্যিই মনমুগ্ধকর ও দেশ প্রেম বিরাজমান। যা আপনার এই পোষ্টের মাঝে আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন। আমি আশা রাখি আপনি এই কনটেস্টের প্রথম স্থানের উপযুক্ত ব্যক্তি ! আপনি হয়তো ভাবছেন, আমি অনেক বেশি বলে ফেলছি একদমই না। আপনার ছোট্ট শহরের জন্য, আপনার মনের কিছুটা আনন্দ কিছুটা বেদনা দিয়ে লিখেছেন। যা অতুলনীয় আমার কাছে মনে হয়েছে। আপনার জন্য দোয়া রইল দিদি।ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি মন দিয়ে পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। সত্যিই আমার ছোট্ট গ্রামকে নিয়ে আমার মনে যেমন অনেক আনন্দের স্মৃতি আছে, তেমনি ছোটবেলার সেই মানুষগুলোকে, সেই সময় গুলোকে হারিয়ে ফেলার বেদনাও রয়েছে মনের গভীরে। আমি শুধু নিজের সেই অনুভূতিটুকু লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি, যেটা পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই খুশি হলাম। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ দিদি, এত সুন্দর একটি উত্তর দেওয়ার জন্য ।
Comprendo a la perfección sus sentimientos por ese lugar en que nació. También vine a este mundo en un pueblo pequeño, de gente humilde y agradable, donde todos nos conocíamos y compartíamos, día a día, tanto las alegrías como las penas. Hoy que resido en una ciudad no dejo pasar una oportunidad que me permita visitar mi querido terruño. Saludos y éxitos...
প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য। আমিও ঠিক আপনারই মতন, যদি সুযোগ পাই নিজেরা গ্রামে যাওয়ার তাহলে সেই সুযোগটা কোনোমতেই মিস করি না। কারণ গ্রামে অনেক পরিবর্তন এলেও কিছু জিনিস আছে যার মায়া হয়তো সারা জীবনে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না। তাই যেকোনো অজুহাতে বারবার সেখানে ফিরে যেতে মন চায়। ভালো থাকবেন।
আপনার লেখাটি মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো। প্রতিটি শব্দে আপনার গ্রাম ও শৈশবের প্রতি মমত্ববোধ, আবেগ আর ভালোবাসা স্পষ্ট। ছোটবেলার সেই সরলতা, আন্তরিকতা আর নিস্তব্ধ পরিবেশের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা যেন আমাদেরকেও নিয়ে যায় সেই স্মৃতিময় দিনে। ঢেঁকিতে চাল ভাঙা, শীতের সকালে পিঠে বানানোর আয়োজন, সরস্বতী পুজোর আনন্দ সবই যেন জীবনের একেকটি রঙিন অধ্যায়।
আপনার লেখা শুধু স্মৃতিচারণ নয়, এটি যেন একটি মনের গভীর থেকে আসা আহ্বান, যা আমাদেরও গ্রামের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলে। বর্তমান আর অতীতের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে, প্রযুক্তির প্রভাব ও মানবিকতার ক্ষয় নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত বাস্তব এবং চিন্তাজাগানিয়া।
গ্রামের সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের যে মুগ্ধকর বর্ণনা দিয়েছেন, তা মনে করিয়ে দেয় প্রকৃতির সাথে মানুষের নিবিড় সম্পর্কের কথা। এই আবেগঘন লেখাটির জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। এমনই সুন্দর গল্প ও অনুভূতি আমাদের আরো শোনান। আপনার প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধা।
1.11 SBD,
3.67 SP
আসলে আমাদের ছোটবেলায় আমরা কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই নিজেদের জীবনটাকে উপভোগ করেছি। আমাদের ছোটবেলার কথা চিন্তা করতে গেলে বর্তমান সময় অনেক কিছু বিলুপ্ত হয়ে গেছে, অনেক কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। যদি সেগুলো খোঁজার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সেগুলো একেবারেই নেই বললেই চলে।
কবি যদিও সারা বিশ্বকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু আপনি আপনার মত করে আপনার গ্রামটাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। গ্রামীণ জীবন যাপন অনেকটাই সুন্দর তবে তার মধ্যেও এসেছে নানা ধরনের পরিবর্তন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমি জানিনা আপনি সহমত পোষণ করবেন কিনা, তবে আমার মনে হয় আমাদের ছোটবেলায় বাধা নিষেধ আরো অনেক বেশি ছিল, বরং আজকালকার ছেলে মেয়েরা অনেক বেশি স্বাধীনচেতা। তবে হ্যাঁ আমাদের ছোটবেলায় যা ছিল তা হল নিষ্পাপ মন, সকলে একত্রিত হয়ে খেলার মানসিকতা, সেখানে হিংসার কোনো জায়গা ছিল না। তবে আজকালকার দিনে শহরে বেড়ে ওঠা বাচ্চাগুলো বড্ড বেশি আত্মকেন্দ্রিক, তাই সহজেই তারা সকলের সাথে মিশতে পারে না। এই পার্থক্যের কারণেই আমাদেরকে অনেক বেশি স্বাধীন আর আজকালকার বাচ্চাদেরকে পরাধীন মনে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Saludos amiga @sampabiswas
Qué grato ha sido leer su excelente participación en este concurso.
Hablar sobre nuestras ciudades siempre nos hace enaltecer todo lo que en ella vivimos y aprendemos, siempre habrá momentos bonitos y especiales que recordar.
El sentido de pertenencia que se tiene con respecto al lugar que nos vio nacer y crecer debe estar siempre presente.
Muy cierto el poema que nos comparte.
Éxitos.
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। সত্যিই আমরা যেখানে ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠি সেখান থেকেই বোধহয় জীবনের আসল শিক্ষা গ্রহণ করি, তাই সেই শিক্ষাগুলো আজীবন আমাদের মনের গভীরে অবস্থান করে। এই কারণে স্থান পরিবর্তন হলেও শিক্ষাগুলো একই রকমের থাকে, তার সাথে সেখানকার প্রতি নিজের অনুভূতিও। ভালো থাকবেন স্যার।
Thank you so much @memamun for your support.