শীতের সকালের অনুভূতি।
আসসালামু আলাইকুম
- প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালো আছেন। মনে হচ্ছে শীত এসে পড়েছে আজকে সকাল বেলা শীতের প্রকোপ একটু বেশি মনে হলো। তাই ভাবলাম এই শীতের সকালটা যেভাবে শুরু হলো এটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।চলুন তাহলে মূল কথায় ফিরে যাই।
ভোররাতে মেয়ের কারণে আমার ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। আর তখনই বুঝতে পারি শীত মনে হয় খুব বেশি করেই শুরু হতে যাচ্ছে। অনন্য রাত বা দিনে তুলনায় আজকের ভোটটা একটু শীত বেশি মনে হল। ভোরবেলা জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে দেখি হালকা হালকা কুয়াশা। কুয়াশার শিশির ভেজা সকাল মানেই শীতের আগমন। আমার পিচ্চি মেয়েটা তখনো ঘুমে আর তার ছোট কম্বলটা তার গায়ের উপর দিয়ে দিলাম। আমি কিছুক্ষণ ব্যালকনিতে অপেক্ষা করে বাহিরের সকালটাকে উপভোগ করলাম,,, সাথে হালকা ঠান্ডা মৃদু বাতাসে শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেল। আমি আর না ঘুমিয়ে ফ্রেশ হয়ে কিচেন রুমে গেলাম।
প্রতিদিনের মতো সকলের নাস্তা রেডি করলাম যেমন যেভাবে করি রুটি সাথে যে কোন একটা তরকারি বা ভাজি। তবে আজকের রুটির সাথে যেটা ছিল সেটা হচ্ছে করলা এবং আলু ভাজি। আপনারা জেনে খুশি হবেন বিশেষ করে নিজের কথা বলতে নেই তারপরও আমার আজকের রুটির সাথে করলা ভাজিটা অসম্ভব সুন্দর হয়েছিল সুস্বাদু এবং টেস্টি। শুধু আমি একা বলছি না আমার হাজব্যান্ড খেয়েও অনেক মজা পেয়েছে। আর এই রুটি ভাজির কথা শুনে যদি আপনাদেরও কারো খেতে ইচ্ছা করে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন আর আপনাদের দাওয়াত রইলো।
আমার নাস্তা সম্পূর্ণ রেডি তারপরও বিছানায় দেখি আমার হাজব্যান্ড এখনো ঘুমায়। এদিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম অফিসের সময় হয়ে আসছে। তাই তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে আস্তে আস্তে ডাকলাম। সে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা রেডি করে দিলাম সেগুলো খেয়ে প্রতিদিনের মতো অফিসে চলে গেল। তারপরে আমিও নাস্তা করলাম এবং আমার দুপুরের খাবারের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করছি। আমরা যারা মূলত গৃহিণী বা সংসারের কাজ করি তাদের তো একটা শেষ হলে আরেকটা শুরু। এর মধ্যে আমার বাচ্চাটা আবার কান্না করতেছে তখন আবার এসে তাকে থামালাম ঘুরলাম।
ও তবে একটা জিনিস বলতে ভুলে গিয়েছি। সকাল বেলার ভোরের এই শীত কিন্তু সারাদিন ছিল না। সূর্য ওঠার পরে পরেই আস্তে আস্তে কুয়াশা কেটে গিয়েছে। তবে সারাদিনে হালকা হালকা শীত টের পাওয়া যাচ্ছিল, সেখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে আসলেই শীতের আগমন ঘটেছে।
দুপুরবেলার রান্না সম্পূর্ণ করেছি পাবদা মাছ দিয়ে। পাবদা মাছ আমার ভীষণ ভালো লাগে শুধু আমার একার না আমার হাজবেন্ডেরও অনেক ভালো লাগে। বাজারে পাবদা মাছের দাম অনেকটা বেশি, কারনটা হচ্ছে অনেকের চাহিদার মাছ এটি। যাই হোক দুপুরবেলা রান্না শেষে খাওয়া-দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিলাম। এরপরই বিকেলবেলা হাসবেন্ড অফিস থেকে চলে আসলো। আসার পরে দুপুরের খাবার খাওয়ালাম শেষে একটু রেস্ট নেওয়ার পরে আমরা দুজনেই নিচে গেলাম, আমাদের বাসাটা ১০ তলায় লিফট নাম্বার ০৯।
আমার বেলকুনিতে টবে কিছু মিষ্টি কুমড়ার বীজ লাগানো ছিল সেখান থেকে চারা গজিয়েছে সেই চারাগুলো থেকে কয়েকটা চারা উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম নিচে একটা জায়গায় লাগানোর জন্য। চারা গুলো লাগানোর শেষে পানি দিয়ে চারাটা সুন্দর করে বেড়া দিয়ে আবার বাসায় চলে আসছি এরপরে শুরু রাতের কার্যক্রম। রাতের গল্প আজকে নাই বললাম।
- যাইহোক, আজকের গল্পটা যেহেতু শীত নিয়ে শুরু শীতকাল আসলে আমার একটু বেশিই ভালো লাগে, শীতের জন্য আলাদা কাপড়চোপড় কেনাকাটা, সারারাত কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকা এবং শীতের পোশাক পরে কোন জায়গায় যাওয়া সব মিলে অসম্ভব ভালো লাগবে। তো আপনাদের কাছে কেমন লাগে শীতকাল অবশ্যই জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন, নিজের যত্ন নিবেন, নিজের খেয়াল রাখবেন।
এখন দিনের বেলাতে প্রচন্ড রোদ গরমও লাগে। কিন্তু রাত হলেই বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। আমাদের এখানেও বেশ হালকা ঠান্ডা ভরে গিয়েছে। এই ঠান্ডা গরমের কারণে সকলেরই জ্বর সর্দি কাশি লেগেই রয়েছে। তবে ভোরের আবহাওয়াটা সত্যিই খুব সুন্দর লাগে। এখন রাতের বেলায় হালকা কুয়াশাও পড়ে। তবে এই সপ্তাহে প্রত্যেকটা দিনই আমাদের রাত জাগা ।তাই রাতের বেলায় চারদিকে কুয়াশা এমনকি ঘাসের আগায় শিশির পরা ।সবকিছুই নিজের চোখে অনুভব করতে পেরেছি। আপনি সারাদিনে অনেক কিছুই রান্না করেছেন। আপনার রান্না করা খাবার খেয়ে আপনার হাসবেন্ড অফিসে গিয়েছেন। আপনার ব্যালকনিতে মিষ্টি কুমড়োর গাছ হয়েছে। নিজের ব্যালকনিতে এরকম ছোটখাটো গাছ লাগাতে বেশ ভালোই লাগে। বাড়িতে লাগানো গাছের ডাটা বলুন কিংবা অন্যান্য জিনিসই বলুন খাওয়ার স্বাদই একদম আলাদা। আপনার মত আমারও শীতকাল ভীষণ ভালো লাগে। তবে কাজকর্ম একদমই করতে ইচ্ছে করে না শুধু মনে হয় কম্বলের নিচে ঘুমিয়ে থাকি।
মৌসুমী আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে একটি সুন্দর কমেন্ট করার জন্য। জি আপু শীতকালটা শুরু হয়েছে তবে দিনের বেলা রোদ থাকে রাতের বেলা শীত করে। রাতে বিশেষ করে শেষ রাতে কম্বল ছাড়া ঘুমানো যায় না।
আর আমার বেলকনিতে বেশ কিছুদিন থেকে অনেক রকমের সবজি চাষ করার পরে আমার খুব ভালো লাগে নিজ হাতে উঠে সেগুলো রান্না করি। নিজের লাগানো চারা থেকে সবজি হওয়াটা আসলে খুব মজার একটা বিষয়।
সংসারের কাজ করতে ভালো লাগে তবে অতিরিক্ত কাজ ভালো লাগেনা আপু। তবে আমার সংসারে বিশেষ করে বাচ্চা সামলানো এবং সংসারের কাজ করাটা আসলে বিরক্তি কর তারপরও করতে হয়।
যেহেতু বাংলাদেশে আমি এখন নাই ওই জন্য বর্তমানে শীতের অনুভব টা বুঝতে পারছি না। আমি যেখানে থাকি সেখানে শীত বা গরম সব সময় থেকে থাকে রাতে আমাদের এখানে শিত লাগে এবং দিনের বেলা গরম লাগে। এই আবহাওয়াটা বারো মাস এখানে থাকে যাই হোক বাংলাদেশে থাকতে সকালের ঠান্ডা অনুভব টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগতো এবং মন চাইতো না কম্বল থেকে বিছানা ছাড়তে। এবং হালকা ঠান্ডার মধ্যে রুটি এবং যে কোন একটি ভাজি খেতে আসলে অনেক ভালো লাগে যাইহোক সুন্দর একটি লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমরা বই পুস্তকে পড়েছি ছয় রোদের দেশ বাংলাদেশ তবে এখন মাত্র দুইটা রীতি অনুভূত হয় শীতকাল এবং গ্রীষ্মকাল। ছয় মাস খুবই গরম পরছে এবং এখন শীতকাল শুরু হচ্ছে হয়তো ছয় মাস না থাকলেও চার মাস থাকবে শীতকাল।
শীতকালে শীতে সকালটা খুবই আরামদায়ক। বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করে না। তারপরও উঠতে হয় সকালবেলার নাস্তা বা বানানো বাচ্চা সামলানো অনেক কাজ থাকে।