Better Life with Steem|| The Diary Game||07 January 2025
ভালো আছি, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো,,এই গানটা আমার ভীষন পছন্দের একটা গান।
তাই এই গানটা দিয়ে শুরু করছি আমার আজকের দিনের লেখা ।
আজ খুব সকাল বেলা ঘুমটা ভেঙেছে এরপরে হাজবেন্ডের সাথে একটু কথা বললাম,,মানুষটার জন্য খুব খারাপ লাগছে প্রতিদিন ডিউটি করে এসে রান্না বান্না করছে।নিজে খাওয়ার জন্য। তবে কষ্ট লাগলেও কিছু করার নেই জীবনে যদি এতোটুকু কষ্ট না করতে পারি তাহলে কিভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবো বলেন??তাই সকাল বেলায় তাকে জানিয়ে দিলাম এই কয়দিনে আমাকে কতটুকু মনে করছো সবটা এই একটা চিঠি লিখে রেখো।।
তার সাথে কথা বলা শেষ করে বিছানা ছেড়ে উঠেছি, এত শীত বিছানা থেকে উঠতেই মনে চায় না, তবুও কিছু করার নেই শ্বশুর বাড়ি বলে কথা শাশুড়ি মায়ের সাথে সাথে কাজতো একটু করতেই হবে। তাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ঘর ঝাড়ু দিলাম থালা বাটি ধুয়ে নিলাম এরপরে সকালের নাস্তা করলাম রুটি ও ডাল দিয়ে।
নাস্তা শেষ করতে আমার শ্বশুর বাজার থেকে এসেছে, মাছ নিয়ে একদম টাটকা মাছ চিংড়ি এবং রুই মাছ। মাঝেমধ্যে চিংড়ি মাছটা একটু বেশি পছন্দ করি, আর তাও যদি এমন ফ্রেশ ফ্রেশ পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই।
মাছগুলো কাজের খালাম্মা এবং শাশুড়ি আম্মা মিলে পরিষ্কার করলেন, আর আমি গিয়েছিলাম পুকুর পাড়ে একটা পেঁপে ছিড়ে আনার জন্য। গতকালকে এই পাকা পেঁপে গাছে দেখে এসেছিলাম, আর যদি আজ না নিয়ে আসতাম তাহলে পাখির পেটে যেতো,কি বা কারো নজরে লাগতো, আর কারো নজরে লাগলে তো সেটা আনা খুব মুশকিল।
- এরপরে বাড়িতে এসে পেঁপেটা কে খুব সুন্দরভাবে কেটে নিলাম, উপর দিয়ে কাঁচা দেখলেও ভিতরে একদম পাকা আর মিষ্টির কথা কি বলবো মুখে দিলেই হারিয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। পেঁপেটা অনেক বড় ছিল এক কেজির মত তো হবেই। এরপরে কেটে কুটে সবাইকে দিলাম নিজেও একটু খেলাম।
এরপরে শাশুড়ি আম্মা দুপুরে রান্না করলেন, রান্নাবান্না শেষে আমি একটু গুছিয়ে নিয়ে আসলাম রান্নাঘর থেকে, এরপর মেয়েকে নিয়ে দুপুরে গোসল টা শেষ করে নিলাম,,গোসল শেষে জোহরের নামাজ আদায় করলাম,দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। এরপরে আমার আম্মুর সাথে একটু কথা বললাম, ঢাকা থেকে এসেছি বেশ অনেক টা দিন পার হয়ে গেলো দেখতে দেখতে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে।
কলেজে কাজ সহ, আমার আরো কিছু কাজ ছিলো তা সম্পন্ন করেছি, শুধু ফরম ফিলাপ টা করতে বাকি, তাও ডেট পড়ে গিয়েছে, ভাবছি ১২ তারিখে কলেজে যাবো করার জন্য এবং ১৩ তারিখে ঢাকায় ফিরবো,আর সেই কারণে আমার আম্মুর সাথে একটু কথা বললাম। কারণ আমার আব্বু যাওয়ার সময় আমাকে নিয়ে যাবে। যদিও আমি এখন একা যেতেই পারি। তবুও আমার আব্বা আম্মা ও শশুর শাশুড়ি একা ছাড়তে ভয় পায়।
এর মাঝে বিকাল পড়ে গিয়েছে, আমার শ্বশুরে বাজারে যাবে সাথে আমার মেয়ে বায়না ধরেছে, সেও যাবে, প্রথমে কয়েক বার নিষেধ করলাম পরবর্তীতে যে কান্না শুরু করছে এরপরে আবার যেতে দিলাম। আর আমি একটু বাড়িতে হাঁটাহাঁটি করলাম এরপরে একটা কমলা খেলাম। কমলা টা খুবই মিষ্টি ছিলো।আর কমলা যদি মিষ্টি না হয় খেতে কিন্তু একদমই ভালো লাগেনা।
- এর মাঝে আমি হালকা একটু কাজ করে নিলাম জামা কাপড় গুলো ঘরে তুললাম আসরের নামাজ আদায় করলাম। এরপরে আমার শশুর ও মেয়ে এসেছে বাজার থেকে। বাজার থেকে অনেক কিছুই এনেছে খাবার জন্য তবে সাথে আমার মেয়ের পছন্দের জিনিস জুতা,ও বাজারে গেলে একবার জুতার দোকানে ঢুকতে পারলে হয়।
আমার শ্বশুর পড়ার জন্য একটা জুতা কিনেছে, সেটা দেখে ওর ও নাকি জুতা লাগবে। আর জুতা না নিয়ে সে আসবেই না আমার শ্বশুরও আমার মেয়েকে ভীষণ ভালোবাসে একবার বলা মাত্র এই কিনে দিয়েছে। বাসায় অনেকগুলো পড়ার জন্য জুতা আছে শুধু শুধু টাকা নষ্ট, কোনভাবে একবার জুতার দোকানে ঢুকতে পারলেই হয় সেখান থেকে জুতা তার নিতেই হবে।
এই মেয়েটাকে নিয়ে যে কি করি, কবে যে একটু বুঝবে,,বেশি কিছু বললে আবার বলে আম্মু দেখো কি সুন্দর লাগছে জুতাটা। মানে এই জুতাটা নিয়ে আসার পরে তার অভিমত হচ্ছে এটা পায়ে দিবে না তাহলে ময়লা লেগে যাবে,, এরপরে আমার শশুর অনেক বুঝিয়ে বললো,পায়ে দেওয়ার জন্য তবে শর্ত আছে পরবর্তীতে বাজারে গেলে আবার একটা কিনে দিতে হবে। ওর এরকম কর্মকাণ্ড দেখে মাঝেমধ্যে হাসবো না কাঁদবো সেটাই ভেবে পাইনা।
@karobiamin71 বলছি মেয়েকে একবার জিজ্ঞাসা করে দেখবেন নতুন ফ্লিপারটা একদিন পড়তে দেবে?
আমার খুব পছন্দ হয়েছে!
মজা করছি! তবে আপনি স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো।
গানটা পছন্দ তাই গানের লাইন উল্লেখ করেছেন বটে, তবে যখন অন্যের রচিত জন্য বিষয় উল্লেখ করবেন তখন > এই চিহ্ন দিয়ে দেবেন তার আগে, নইলে বিপদ চৌর্যবৃত্তির আওতায় আসে বিষয়টি।
ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সবসময়।
আমার মেয়ে সবকিছু দিয়ে দিবে কিন্তুু তার জুতা দিতে কেউ রাজি নয়,, ও জুতা খুব পছন্দ করে,,
জি দিদি বিষয়টা দেখামাত্রই ঠিক করে দিয়েছি যদিও আগে থেকে অবগত ছিলাম তবে মাঝেমধ্যে ভুলে যাই।
আজকের পোস্টটি আপনি ভিন্ন রকম ভাবে উপস্থাপন করেছেন।যা আমার কাছে অনেক পছন্দ হয়েছে , যেমন ধরেন পোষ্টের শুরুতেই আপনি এন্ডু কিশোরের গান দিয়ে পোস্টে লেখা শুরু করেছেন। ভালো আছি ভালো থেকো এই গানটি মনে হয় এন্ডু কিশোর গান গেয়েছেন। আপনার পোস্টে পড়ে জানতে পারলাম, আপনাদের গাছে পাকা পেঁপে ধরেছে, সবগুলো পেঁপে একা-একা খাইয়েন না! পাখিদের জন্য কিছু পেঁপে রাইখেন। পেঁপের কালারটা অনেক সুন্দর ছিল ,
এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।
Kon username a apni blurt account nite chan
নেই তো।
ভালো আছি, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো,,এই গানটা আমার ভীষন পছন্দের একটা গান।এই গানটি আমি অনেকদিন আগে শুনেছি। এই গানটি আমার খুব পছন্দের একটি গান। এই গানটি যে ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছিল সেই ছবির নায়ক নায়িকা আমার খুব পছন্দের ছিল।
কেটে রাখা পেঁপে গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে ।এই পেপেও আমার খুব পছন্দের একটি ফল। আমি যখন গ্রামে ছিলাম প্রচুর পাকা পেঁপে খেয়েছি ।সেই পেপের স্বাদ এখন আর পাইনা।সত্যি কথা বলতে গ্রামের খাবারের মধ্যে যে পরি তৃপ্তি খুঁজে পাই আমরা শহরের খাবারের মধ্যে তা খুজে পাইনা।
আপনার মেয়ের মত আমারও জুতা কেনার প্রতি একটা বড় ধরনের দুর্বলতা রয়েছে জুতা দেখলেই আমার কিনতে ইচ্ছা করে কিন্তু এটা কি আর যখন তখন কেনা সম্ভব! কিন্তু হাতে টাকা থাকলে মিস করি না যখন শপিং করতে যাই তখন চোখের সামনে জুতার দোকান দেখলেই জুতা কিনতে ইচ্ছা করে। বুঝিনা এটা কি আমার একটি রোগ নাকি অন্য কিছু।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো ।যাইহোক, আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
আসলে আমরা পুরুষ মানুষের কষ্টটাকে যতটা গুরুত্বসহকারে দেখি তারা যদি একটা মেয়ের কষ্টটাকে ঠিক ততটাই গুরুত্ব দিত তাহলে হয়তো বা সংসার জীবনটা আরো বেশি সুন্দর হতো কিন্তু তারপরেও বলবো আপনার হাসবেন্ড আপনার অনেক টেক কেয়ার করে যেটা আপনার বিভিন্ন ধরনের লেখার মধ্যে আমরা কিছুটা হলেও বুঝতে পারি।
শীতের দিন টা একটু দ্রুতভাবেই কেটে যায় তবে শীতের দিনে এমন টাটকা মাছ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার আমাদের এখানে আসলে বাজারে যাওয়ার মত কেউ থাকে না সকালবেলা যার কারণে আমরা সকালের টাটকা মাছ উপভোগ করতে পারি না চিংড়ি মাছ ছোট বড় সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে।
ছোট বাচ্চাদের আবদার সেটা বাবা হোক কিংবা মা অথবা দাদা-দাদী নানা নানু সবাই রাখার চেষ্টা করে আপনার মেয়ের জুতা লাগবে সেজন্য তার দাদা আবার তার জন্য জুতা নিয়ে আসলো ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।