শান্তির খুঁজে
শান্তির খুঁজে
দীর্ঘ দুই বছর পর আজ বেড়াতে বের হলাম। বাবু ছোট বলে ওকে নিয়ে কোথাও যাওয়া হয়নি এতদিন। কোনো একটা কারনে মনটা বেশ খারাপ, তাই মনের শান্তি খুঁজতে একটা নিরিবিলি পরিবেশ ও প্রকৃতিময় জায়গা সন্ধান করছিলাম। আর মনে পরে গেলো এমন একটি জায়গা যেখানে আছে নিরিবিলি পরিবেশ ও সুন্দর প্রকৃতি। আর সেটা হলো নেত্রকোনা জেলার একটি গ্রাম। আর এটা হলো আমার ননদের বাড়ি। এখানে এসেছিলাম আরো দুই বছর আগে।
সময়টা ছিল বর্ষাকাল। নদীতে পানি ছিল অনেক বেশি। জেলেরা মাছ ধরা নিয়েও ব্যাস্ত ছিল অনেক। কিন্তু এখন সেটা দেখা যায়নি। যদিও আমি এখানে এসে পৌঁছেছি বেশ রাত করে। ঢাকা থেকে দুপুরের ট্রেনে রওনা দিলেও ট্রেন নেত্রকোনা স্টেশন এসে পৌঁছাতে বেশ দেরি করে ফেলে।
রাস্তার মধ্যেও বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যেখানে সেখানে বার বার ট্রেন থামিয়ে রাখে। আরেক হচ্ছে গরম, তার মধ্যে মানুষের ধাক্কা-ধাক্কি। সিট নিয়ে বসার পরেও মনে হয় ট্রেনে থাকা অন্যরা গায়ের উপর এসে পড়ছে। আরেকদিকে বাবুর কান্নাকাটি ট্রেনে থাকা সবাইকে অস্তির করে তুলেছে। সবকিছু মিলিয়ে ট্রেন জার্নিটা ঐভাবে উপভোগ করতে পারিনি।
ট্রেন জার্নিটা আমার অনেক পছন্দের। যদি সেটা শীতকালে হয় তাহলে আরো বেশি ভালোলাগে। জানালা দিয়ে তাকালে দেখা যায় কুয়াশা ঘেরা সবুজ প্রকতি, পাহাড়, নদ-নদী আরো কতকি। ছোট বেলা থেকে ট্রেন জার্নি করেছি অনেক তবুও যেন এটার ইচ্ছাটা কখনো কমেনি বরং বেড়েই গেছে। ট্রেন জার্নিতে বেশ মজা রয়েছে তবে সেটা যদি পরিবার নিয়ে কিংবা কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে যদি করা যায়।
যাইহোক এখানে পরিবেশটা বেশ নিরিবিলি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা। তাই মনটা কিছুটা শান্ত করতে এখানে আশা। সত্যি এখানের পরিবেশ যে কেউ মুগ্ধ হবে বলে আমার বিস্বাস। আমিও চেষ্টা করবো আমার কিছু ফোটোগ্রাফির মধ্যে এখানে সুন্দর প্রকৃতি গুলো সকলের মাঝে তুলে ধরার।
আজকে যেহেতু অনেক রাত করে এসেছি তাই কোনো ছবি কিংবা ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। শুধু মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করে গেলাম সারাদিনের ক্লান্তিময় শরীরে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

ট্রেন জার্নি আমারও ভীষণ পছন্দ। দূরে কোথাও গেলে ট্রেন জার্নি করার চেষ্টা করে থাকি। যাইহোক গ্রাম্য নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পারলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। যদিও এবারের ট্রেন জার্নিটা সেভাবে উপভোগ করতে পারেননি। আশা করি নেত্রকোনা জেলায় আপনার ননদের গ্রামে গিয়ে শান্তি খুঁজে পাবেন। প্রকৃতির খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় রইলাম আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
সর্বোপরি কথাটি হচ্ছে আপু যে মন যদি ভালো না থাকে আমাদের তাহলে সব থেকে ভালো জিনিস কেও আমাদের কাছে খারাপ মনে হয়। দু বছর ধরে আপনি কোথাও যান না তার মানে এমনিতেই এতদিন কোথাও ঘুরতে না বেরোলে একঘেয়েমি লেগে যায়। আপনি ঠিকই করেছেন নেত্রবণায় আপনার ননদের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে। ট্রেন জার্নি আমার কাছেও বেশ আনন্দের এবং মজাদার। আর কিছু কিছু ট্রেনগুলোতে বর্তমান এমন অবস্থা হয়েছে জনগণের বা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সিটে বসেও কোন শান্তি নেই। আর যেহেতু আপনার সাথে বাবু ছিল আর সে কান্না করেছিল তাহলে বোঝা যাচ্ছে আপনি খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন। আশা করি আপনার পরবর্তী পোস্টগুলোর মাধ্যমে আমরা নেত্রকোনা জেলার বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর বিষয় সম্বন্ধে জানতে পারবো।
মনটা অশান্ত হলে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে এলে মনটা ফ্রেস হয়ে যায়। ট্রেনের জার্নি আমারও ভীষণ ভালো লাগে।তবে একবারই ট্রেনে শখ করে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। তবে এখন গরম তাই বাচ্চাদের জন্য একটু ঝামেলার বটে।আর বাচ্চাদের সব সময় ঘরে রাখলে তারা বাইরে ঝামেলার মধ্যে অস্বস্তি ফিল করে।সব সময় নিয়ে ঘুরবেন সবকিছুতে অভ্যস্থ হয়ে যাবে।আপনার ননদের বাড়ির এলাকা খুব সুন্দর প্রকৃতিতে ঘেরা বললেন।আশাকরি ফটোগ্রাফি শেয়ার করলে দেখা যাবে। আপনার মনকে আল্লাহ শান্ত করে দিন,আমিন।
আপু একটা কথা বলতে চাই ৷ আপনার নামের পাশে মডারেটর ট্যাগ টা দেখছি না ৷ জানি না কেনো ৷ যা হোক আপু এটা ঠিক ট্রেন জার্নি টা শীতকালে বেষ্ট সাথে যদি বন্ধু-বান্ধব মিলে যদি হয় গানের আড্ডা ৷ যেহেতু মনের অনুভুতি গুলো প্রকাশ করলেন ৷ আশা করি পরের পোষ্টে ভালো কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পবো ট্রেন জার্নির ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ট্রেন জার্নি আমারও অনেক পছন্দ আপু। তবে প্রচন্ড ভিড় হলে আমার কাছেও সেটা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় এটা জেনে লাগলো যে, আপনি দুই বছর পর কোথাও ঘুরতে বেরিয়েছেন। এখন যেহেতু শান্তির খোঁজে গ্রামে এসেছেন, আশা করি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং অন্যান্য পোস্ট পড়তে পারবো। আপনি ভালো থাকবেন আপু, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।