ডাব চিংড়ির সুস্বাদু রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা গত দুই সপ্তাহ আগে করেছিলাম, কিন্তু অনেকগুলো ছবি বলে সাজানোর সময় করে উঠতে পারছিলাম না। এই রেসিপিটা করেছিলাম ডাব চিংড়ির রেসিপি। ডাব চিংড়ি আমার অনেক প্রিয় একটি রেসিপি। স্বাদে অতুলনীয় লাগে আমার কাছে এই ডাব চিংড়ি। তবে বাড়িতে এইসব রেসিপি করা হয় না, কারণ এই রেসিপি স্বাদের হলেও করতে অনেক সময় লাগে আবার সবকিছু রেডি করে করাও একটা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ডাব চিংড়ি হয় কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে বা রেস্টুরেন্টে খেয়েছি।
যদিও রেস্টুরেন্ট এর মতো স্বাদ বাড়িতে করা সম্ভব না, কারণ ওরা যে স্বাদের জিনিসগুলো দেয় সেগুলো বাড়িতে হয় না ওভাবে । তবে খেতে ইচ্ছা করলে তো করতেই হয় একটু কষ্ট হলেও। আমার আবার এইসব স্বাদের রেসিপি একটু খাওয়ার মন চাইলে না করে থাকতে পারিনা, হয় মাকে করতে বলি আর নাহয় আমি ভিডিও দেখে দেখে করতে বসে পড়ি। এই রেসিপিটা করতে গিয়ে আরেকটা ঝামেলায় পড়েছিলাম, সেটা হলো, খেতে তো ইচ্ছা করছে, কিন্তু ওই সময়ে ডাব পাই কোথায় হুট্ করে। বাজারেও ওই দুপুরে আর যাওয়া সম্ভব না, উপায় না পেয়ে blinkit-এ টুক করে অর্ডার দিয়ে দিলাম, ১৫ মিনিটে দিয়ে গিয়েছিলো।
ডাবটা সাইজে বড়ো হলেও সেই তুলনায় শাঁস হয়নি, অল্প হয়েছিল। এই ডাব চিংড়িতে বাগদা বা গলদা চিংড়ি দিয়ে করতে পারলে তো আরো খেতে মজাদার হয়, কিন্তু হাতের কাছে হর্ণে চিংড়ি ছিল কিছু আর সাইজেও মোটামুটি ভালো বড়ো ছিল। এই রেসিপিটা আসলে খেতেও অনেক মজাদার হয়েছিল। এই রেসিপি আগে বাড়িতে কোনোদিন করিনি, ফলে করার সময়ে ভাবছিলাম হচ্ছে কিনা কিজানি, না খেতে পারলে সব বৃথা। কিন্তু পরে না খেয়ে দেখলাম বেশ ভালো হয়েছিল। যাইহোক, এখন রেসিপিটার মূল উপকরণ সহ প্রস্তুত প্রণালীর দিকে চলে যাবো।
☫প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☫
✦এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম--
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
❖সর্বপ্রথম ডাবটিকে কেটে নিয়েছিলাম এবং জল আর শাঁস আলাদা করে পাত্রে রেখে দিয়েছিলাম।
❖এরপর পেঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং সেই সাথে রসুনের কোয়াগুলো থেকে খোসা ছাড়িয়ে রেখেছিলাম। এরপর আদার টুকরোটি থেকে খোসা ছালিয়ে কেটে রেখেছিলাম এবং পরে দুই পদের সরিষা একটি পাত্রে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖দুই পদের সরিষা পরে মিক্সারের বাটিতে দিয়ে তাতে কাঁচা লঙ্কা, জল এবং একটু লবন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালো করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।
❖এরপর আবারো মিক্সারের বাটিতে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা দিয়ে ভালোভাবে একটি পেস্ট তৈরি করে রেখেছিলাম।
❖এইবার ধুয়ে রাখা চিংড়িগুলোতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❖একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করার পরে তাতে চিংড়ি সব দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভাজা মতো করে নিয়ে তুলে রেখেছিলাম।
❖চিংড়ি ভেজে নেওয়ার পরে তাতে আরেকটু তেল দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আদা, রসুন এবং পেঁয়াজ এর পেস্টটি দিয়ে দিয়েছিলাম এবং একই সাথে পরে সরিষা পেস্ট দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖পেস্টগুলো একসাথে নেড়েচেড়ে নেওয়ার পরে তাতে ডাবের সেই শাঁসটুকু তাতে দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖সব মিক্স করে নেওয়ার পরে অল্প কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নেওয়ার পরে তাতে ভেজে রাখা চিংড়ি আর কাঁচা লঙ্কা কিছু কেটে দিয়ে দিয়েছিলাম।
❖মিক্স করে নেওয়ার পরে ১০-১৪ মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে ডাবের ভিতরে সব আস্তে আস্তে ঢেলে দিয়েছিলাম।
❖এরপর কিছু আটা জল দিয়ে গলিয়ে নিয়ে একটু আঠালো মতো করে ডাবের চারিপাশে দিয়ে দিয়েছিলাম মুখটা এঁটে দেওয়ার জন্য।
❖এরপর ৩৫-৪০ মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে নেওয়ার পরে আমার ডাব চিংড়িটা ভালোভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছিলো। ডাবের ভিতর থেকে ঢালার পরে বেশ ভালো একটা সুগন্ধ বের হচ্ছিলো। যাইহোক, রেসিপিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে ঢেলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




দাদা আজকে আপনার রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিটা যদি খেতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো। কারণ এই ধরনের রেসিপি আমি প্রথম দেখলাম, ডাব দিয়ে এভাবে চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করা যায় সেটা ভাবিনি। আসলে চিংড়ি মাছ আমার খুবই প্রিয়। আর আপনি এত সুন্দরভাবে পরিবেশন করছেন মনে হচ্ছে একদম রেস্টুরেন্টের রেসিপি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডাব চিংড়ি রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে দাদা এমন রেসিপি অনেক মজার হয়। কালারটা দেখেই মনে হচ্ছে খেয়ে নেই।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখেছেন। ধন্যবাদ দাদা সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। ডাব চিংড়ি রেসিপির নাম অনেক শুনেছি, তবে কখনো খাওয়া হয়নি। প্রথম বার এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করলেও,রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছে। দেখেই বুঝতে পেরেছি এই রেসিপি তৈরি করতে কতোটা ঝামেলা। তবে আপনার মতো আমারও কিছু খেতে ইচ্ছে করলে, অবশ্যই খেতে হয়। সেটা নিজে তৈরি করে হোক কিংবা রেস্টুরেন্ট থেকেই হোক না কেনো। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই ডাব ডেলিভারি দিয়ে গেলো বাসায়, এই ব্যাপারটা খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। বাগদা বা গলদা চিংড়ি খেতে এমনিতেই দারুণ লাগে। যাইহোক বাসায় বাগদা বা গলদা চিংড়ি ছিলো না বলে,হর্ণে চিংড়ি দিয়ে রেসিপিটা তৈরি করেছেন তাহলে। এই পোস্টটি দেখে ডাব চিংড়ি রেসিপি কিভাবে তৈরি করতে হয়, সেটা শিখতে পারলাম। এই রেসিপিটা বাসায় ট্রাই করতে হবে। যাইহোক এমন ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। এর আগে কখনোই এভাবে রেসিপি করতে দেখি নাই খাওয়া তো দূরের কথা। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছি অবশ্যই একদিন ট্রাই করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি অনেক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দাদা আজকে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটা আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে। আসলে ডাব দিয়ে কখনো চিংড়ি মাছের রেসিপি তৈরি করা হয়নি। চিংড়ি মাছ আপনার প্রিয় জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো এবং আপনি এত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন একদম রেস্টুরেন্টের মতোই হয়েছে।
দাদা আপনার ধৈর্য্য আছে মানতেই হবে। তাইতো নিজেই একেবারে ডাব চিংড়ি তৈরি করে ফেললেন। আজকে যদি বৌদি থাকতো তাহলে আর একা একা ডাব চিংড়ি তৈরি করতে হত না। দুজনে মিলে একেবারে ঝগড়া করতে করতে রান্না করে ফেলতেন। এই রেসিপিগুলো তৈরি করা অনেক বেশি ঝামেলার। বিশেষ করে ভালো ডাব খুঁজে পাওয়া অনেক বেশি মুশকিল। অনলাইন থেকে অর্ডার দিয়ে ভালোই করেছেন। তাই তো খুব সহজেই ডাব পেয়ে গিয়েছেন। এই চিংড়ি মাছগুলো যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে যাই বলুন না কেন যদি কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করে তাহলে সেই খাবারটি তৈরি করতে ভালো লাগে।দাদা আপনি অনেক ধৈর্য সহকারে এই ডাব চিংড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন আর রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ডাব চিংড়ির সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে এগুলো আমাদের এলাকার রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় না বললেই চলে দাদা। তবে আপনি বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এই রেসিপি খেয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। তবে বাড়িতে রেসিপি তৈরি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ডাব চিংড়ির রেসিপিটি বেশ ইউনিক একটি রেসিপি। ডাব চিংড়ির এরকম রেসিপি আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি বেশ চমৎকারভাবে রেসিপিটির প্রস্তুত প্রণালী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রেসিপিটির কালার দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে।
নারিকেল দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে কখনো দাদা এভাবে ডাব চিংড়ি রান্না করে খাওয়া হয়নি। আজকে দেখছি সম্পুর্ন ইউনিক একটি রেসিপি তুলে ধরেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছে। চিংড়ি মাছ আমার প্রিয়। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।