বাটা মাছের মজাদার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা যদিও কিছুদিন আগে করেছিলাম, কিন্তু দেবো দেবো করে আর সাজানোর সময় হয় না বা ইচ্ছা করে না, মাঝে মাঝে অলসতায় ধরে বসে হা হা । যাইহোক, এটি করেছিলাম বাটা মাছের রেসিপি আর এই রেসিপিটা পেঁপে দিয়ে রান্না করেছিলাম। পেঁপে এখন বর্তমানে গরমের সময়ে খেতে বেশ দারুন লাগে। আর বাটা মাছ মোটামুটি যেকোনো তরকারির সাথে খেতে ভালোই লাগে। আমি এর আগে বেশিরভাগ সময়ে এই বাটা মাছ কচুরমুখী দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। এই মাছটা কচুরমুখীর সাথে কিন্তু খেতে অনেক ভালো লাগে একটু কম ঝোলে রান্না করলে। এই মাছগুলো আবার ভাজাতেও দারুন লাগে, ভালো স্বাদের মাছ। আমার পেঁপে দিয়ে এই বাটা মাছ তেমন রান্না করা হয় না, বিশেষ করে আমি বাটা মাছটা কচুরমুখীর সাথে রান্না করে সেটি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে।
তবে এই মাছটা বাড়িতে সরিষা বাটা বা নরমালি শুধু ঝোল মতো করেও খাওয়া হয়ে থাকে। সবজি হিসেবে এই পেঁপের তো আছেই আরো নানা গুনাগুন, যদিও নতুন করে তেমন একটা কিছু বলার নেই, কারণ এর আগে বলেছি প্রায়। তাও শর্ট-এ বলি যে, এইগুলো আমাদের পেটের নানা সমস্যা যেমন হজমের সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। আবার যদি ওজনের কথা বলি, এক্ষেত্রে আমাদের এখন বাঙালিদের প্রায় ওজনের সমস্যা আছে, ফলে এটি কমানোর ক্ষেত্রেও ভালো কাজ করে। এছাড়াও আরো নানা পুষ্টিগুণ বা ভিটামিন আছে এতে। যাইহোক, বাটা মাছের এই সুস্বাদু রেসিপিটার উপকরণসহ প্রস্তুত প্রণালীর দিকে চলে যাবো।
☬প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:☬
❣এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
✠প্রস্তুত প্রণালী:✠
➤পেঁপেটিকে ফালি করে খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়ে কেটে পিস পিস করে ধুয়ে রেখেছিলাম। এরপর আলুটির খোসা ছালিয়ে কেটে পিস করার পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।
➤বাটা মাছের পিসগুলোতে লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে রেখেছিলাম। এরপর প্রত্যেক পিসের গায়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।
➤একটি প্যানে তেল দিয়ে গরম করার পরে তাতে লবন-হলুদ মাখানো মাছের পিসগুলো ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম।
➤অন্য কড়াইয়ে একই সাথে তেল দিয়ে আলুর পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম এবং ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
➤আলু ভাজার পরে কড়াইয়ে আরেকটু তেল দিয়ে পেঁপের পিসগুলো দিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে রেখেছিলাম।
➤এরপর পেঁয়াজ কুচিটাও একইভাবে ভেজে একটি বাটিতে তুলে রেখেছিলাম।
➤এরপর কড়াইয়ে তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে একটু ভেজে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে ভেজে রাখা পেঁপে এবং আলুর পিস পরপর দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর কেটে রাখা কাঁচা লঙ্কাগুলো দিয়ে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤সব একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে নেওয়ার পরে তাতে পরিমাণমতো জল দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤জল দেওয়ার পরে তরকারিটা কিছুক্ষন ধরে ফুটিয়ে নিয়েছিলাম এবং সবজিগুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে তাতে ভেজে রাখা বাটা মাছের পিসগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম।
➤এরপর তাতে ভেজে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে অল্প জিরা গুঁড়ো দিয়ে আরো কিছুক্ষন জ্বাল দিয়ে নিয়েছিলাম তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসার জন্য।
➤তরকারিটা ভালোভাবে হয়ে আসলে তাতে আরেকটু জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তরকারিটা পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই মাছটি প্রতিটা জিনিসের সাথে রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে। বাটা মাছ আমার ভাজা খেতে বেশি ভালো লাগে। রেসিপিটা পেঁপে দিয়ে রান্না করেছিলেন বেশ দারুন হবে। বাটা মাছের পুষ্টি গুন ও অনেক বেশি। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। দারুন রেসিপি ছিল।
দাদা বাটা মাছের এত মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে তো লোভ লেগে গিয়েছে। আপনি আজকে প্রত্যেক দিনের মতোই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। বাটা মাছের রেসিপি টা আপনি পেঁপে দিয়ে তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার তৈরি করা এই মজাদার রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। এখন যেহেতু গরম চলে এসেছে, তাই পেঁপে খেতে ভালোই লাগবে। কারণ পেঁপে একটা ঠান্ডা তরকারি। আর পেঁপের মধ্যে রয়েছে অনেক বেশি পুষ্টি, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো। পেঁপের মধ্যে অনেক বেশি ভিটামিন ও রয়েছে। একেবারে পুষ্টি সম্পূর্ণ একটা খাবার তৈরি করেছেন আপনি। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে কিন্তু খুব লোভ লেগে গিয়েছে দাদা। এত মজাদার ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখলে যে কারোরই লোভ লাগবে। বাটা মাছ আমার অত্যন্ত ফেভারিট। বাটা মাছ রান্না করলে তো অনেক ভালো লাগে খেতে। যেকোনো তরকারি তৈরি করা যায় বাটা মাছ দিয়ে। এত সুন্দর করে পুরো রেসিপিটা তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এগুলো একেবারে আদর্শ সাইজের বাটা। কেন বলছি এই সাইজের বাটা মাছ ভেজে রান্না করলে খুবই সুস্বাদু লাগে সেইরকম লোভনীয় লাগে। বাটা মাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন দাদা। পেঁপে এবং আলু দেওয়াই আলাদা একটা স্বাদ পাওয়া যাবে। দারুণ ছিল রেসিপি টা। প্রতিটা ধাপ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
আসলেই দাদা পেঁপের প্রচুর গুণাগুণ রয়েছে। আর গরমের সময় পেঁপে এবং লাউ খেতে দারুণ লাগে। কারণ এগুলো হচ্ছে ঠান্ডা জাতীয় সবজি। আমি পেঁপে ভাজি,পেঁপে দিয়ে মাছের ঝোল এবং মুরগি দিয়েও পেঁপে রান্না খেয়েছি। পেঁপে যেকোনো ভাবে খেতেই দারুণ লাগে। তাছাড়া পাকা পেঁপে তো আরও বেশি সুস্বাদু লাগে খেতে। যাইহোক বাটা মাছের বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দাদা। বাটা মাছ খুব স্বাদের একটি মাছ। বাটা মাছ এভাবে ভেজে, যেকোনো সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। রেসিপির কালারটাও চমৎকার এসেছে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে রেসিপিটা খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। রেসিপিটা দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো দাদা। হ্যাঁ দাদা আপনি কচুর মুখী এবং বাটা মাছ দিয়ে তৈরি রেসিপি আগে শেয়ার করেছিলেন আমাদের সাথে। যাইহোক সবসময় এতো মজার মজার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।
দাদা খুব শীঘ্রই ঘরে বৌদিকে নিয়ে আসুন তাহলে সব অলসতা দূর হয়ে যাবে। বৌদি একেবারে সব অলসতা দূর করে দিবে। সাথে দৌড়ের উপরও রাখবে🤣🤣। বাটা মাছ খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে। ঝাল ঝাল বাটা মাছ ভুনা আমার বেশ পছন্দের। তবে সরিষাবাটা দিয়ে কখনো বাটা মাছ খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার লেখাগুলো পড়ে নতুন একটি আইডিয়া পেলাম দাদা। আর পেঁপে তো আমাদের সবারই অনেক পছন্দের সবজি। কারণ পেঁপে পুষ্টিগুণে ভরপুর। এছাড়া কাঁচা পেঁপের তরকারি হজমের জন্য বেশ উপকারী। কাঁচা পেঁপে দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। দাদা আপনি এত সুন্দর করে মজার এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।
তাহলে তো খুব ভালো হয়। দেখি কবে তাকে আনতে পারি😂😂।
বাটা মাছ খুবই মজার মাছ।এই মাছ ভেজে ভুনা করলে যেমন ভালো লাগে।ঠিক তেমনি সবজি দিয়ে রান্না করলে ও খুব স্বাদের হয় খেতে।আপনি আজ পেঁপে ও আলু দিয়ে রান্না করলেন।আসলে পেঁপের গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না।আপনার রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় হয়েছে দাদা।আপনি চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। সবজি ভেজে নিলে এর স্বাদ বহুগুন বৃদ্ধি পায়।ধন্যবাদ দাদা চমৎকার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আলু ও পেঁপে বাটা মাছ দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করেছেন ।আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। আমি আপনার পোস্টগুলো দেখি আপনি মাঝেমধ্যে লবণীয় রেসিপি শেয়ার করে থাকেন ।এমনিতেই বাটা মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি যেভাবে রান্না করেছেন দেখেই বোঝা যাত্রায় অনেক মর্যাদার হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ এত সুন্দর লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি আমার পছন্দের একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আজকে, যেটা দেখে তো আমার খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। বাটা মাছ খেতে আমি যেমন পছন্দ করি, তেমনি আমার ফ্যামিলির সবাইও খুব পছন্দ করে। তাই বেশিরভাগ সময় বাটা মাছ আনা হয়। আর বিভিন্নভাবে বাটা মাছের রেসিপি তৈরি করা হয়ে থাকে। আপনি পেঁপে দিয়ে তৈরি করেছেন আজকের এই রেসিপিটা, তাও আবার বাটা মাছ দিয়ে। দেখে কিন্তু খুব খেতে ইচ্ছে করতেছে। গরমের সময় পেঁপে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। কারণ পেতে হচ্ছে একটা ঠান্ডা সবজি। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটার মধ্যে কিন্তু অনেক পুষ্টি হয়েছে। কারণ কাঁচা পেঁপে পুষ্টি সম্পূর্ণ একটা সবজি। এটা খাওয়া শরীরের জন্যও ভালো। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা বাটা মাছ দিয়ে পেঁপে রান্না করার এই মজাদার রেসিপিটা এত সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।