শুক্রবার,
তারিখঃ ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আজ আমি শৈশবে কড়ি খেলার স্মৃতি নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
 |
শৈশবে কড়ি/মার্বেল খেলার কিছু চিত্র ধারণ। |
শৈশবে কড়ি/ মার্বেল খেলাঃ |
শৈশব যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলেছি। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে হোক সবাই আমরা কোন কোন খেলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। সবার কাছেই কোন না কোন খেলা জনপ্রিয় ছিল। ঠিক তেমনিভাবে আমারও একটা খেলা সবচেয়ে বেশি প্রিয় ছিল। আর সেই খেলাটায় আমি বেশি খেলেছি ছোটবেলায়। সেটা কড়ি খেলা। আমাদের গ্রামের ভাষায় সেই খেলাকে গুলি খেলা বলে থাকি। কড়ি বা মার্বেল দিয়ে আমাদের এলাকায় ৩-৪ ধরনের খেলা হয়ে থাকে। ছোটবেলায় কড়ি খেলা আমার অন্যরকম একটা নেশা ছিল। আমি যখনই অবসর সময় পেতাম তখনই এই মার্বেল /কড়ি খেলতাম। এমনও সময় গেছে স্কুল না গিয়ে মার্বেল খেলছি। পরে বাসায় জানাতে পেরে বাবার হাতের পিটুনি খেয়েছি। আবাট আমার এক ভাতিজা তার সাথে আমি বেশি ভাগ সময়ে খেলতাম। খেলতে খেলতে তার সাথে মারামারি সহ হয়ে যায়।🙂এই সব খেলা এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে।😭 কতই সুন্দর না ছিল ছোটবেলার স্মৃতি গুলো।
শৈশবে কড়ি খেলার প্রতি আসক্তঃ |
ছোটবেলায় যখন কড়ি বা মার্বেল খেলতাম তখন অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করত। বলা যায় এটা নেশার মতো। কড়ি খেলার সাথে এমনভাবে জড়িয়ে পড়ি তা বাদ দিতে পারতাম না। খেলতে খেলতে যদি নিজের সব কড়ি শেষ হয়ে যায় তাহলে বাসায় গিয়ে বাবার পকেট চুরি করে কড়ি নিয়ে আসতাম। কড়ি খেলার জন্য অনেক পিটুনি খেয়ে ও খেলা ছারতে পারি নাই। তখনকার বয়স টা হয়তো এমন ছিল। পরে যখন আবাসিকে ভর্তি করাই দিলো ধীরে ধীরে কড়ি খেলার নেশাটা দূর হয়ে গেল। আজকে আমাদের গ্রামের এই ছোট ছেলেদের খেলা দেখে আগের কথা মনে পড়ে গেল। ছোট বেলায় কতই না খেলতাম এই কড়ি খেলাটি।। আজ ছোটবেলার স্মৃতি মনে করে মনে মনে হাসতে লাগলাম।

আমার ছোটবেলার জীবনে অনেক ধরনের খেলা খেলেছি। তবে কড়ি /মার্বেল খেলাটি বেশি। আজ আমি আমার ছোটবেলার বা শৈশব কালের কড়ি/মার্বেল খেলার স্মৃতি নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করলাম। আপনাদের জীবনে কড়ি খেলা নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা কমেন্টর মাধ্যমে শেয়ার করবেন । আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ক্যামেরা | ওয়ান প্লাস |
পোস্টের ধরণ | শৈশব কড়ি খেলার স্মৃতি । |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @md-sajalislam |
অবস্থান | পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ। |
ধন্যবাদান্তে,
@md-sajalislam
মার্বেল খেলা আগে গ্রামবাংলা এটি বেশ জনপ্রিয় খেলা ছিল। আগে আমরা ছোটবেলায় সবাই মিলে এই মার্বেল খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। আমরা শুধু বাড়িতে গোসল করতাম আর খেতাম তারপর আমরা মার্বেল নিয়ে বাইরে খেলতে যেতাম। মার্বেল বেশ মজাদার একটি খেলা। মার্বেল নিয়ে বেশ রকমের খেলা খেলা যেত। আমরা বেশিরভাগ খেলতাম চোর যে খেলায় হত। কেউ যদি একবার চোর হতো সবাই এক এক করে খেলতো এবং এখানে একটি মজার বিষয় ছিল এখানে যদি কেউ একবারে একটি চোরের মার্বেল কে লাগাতে পারে তাহলে একবার করে কান ধরে নাঁচতে হবে। এভাবে একদিন আমরা একজনকে নাঁচাতে নাঁচাতে কাঁদিয়ে ফেলেছিলাম। যা আমার এখনো মনে আছে তবে আমাদের সে সময় বাড়ির চাচারা বাবারা এই খেলা খেলতে নিষেধ করত। তারা কেন এটি খেলতে নিষেধ করত তা আমরা বুঝতে পারতাম না। তারা আমাদের এই মার্বেলের খেলা দেখলে মার্বেলগুলো কেরে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিত। আমার মনে আছে আমার অনেকগুলো কালো মার্বেল ছিল সেগুলো আমার চাচা পুকুরে ফেলে দিয়েছিল। আমি সেদিন অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম এবং আমার অনেক রাগ হয়েছিল। এখন আর এই মার্বেল খেলা দেখাই যান এখন বাচ্চারা মোবাইল হাতে নিয়ে বিভিন্ন রকম খেলা খেলতে থাকে। এই মার্বেল খেলা কি তারা এখন বোঝেনা এই মার্বেল খেলা আমাদের সেই সময়কার একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। আমরা আগে বাজার থেকে মার্বেল কিনে নিয়ে এসে খেলতাম এবং মার্বেল খেলতে খেলতে সেগুলো হেরে গেলে আবার কিনে নিয়ে আসতাম। এভাবে আমাদের খেলা চলতে থাকতো। আমরা প্রায় দিনই এভাবে মার্বেল খেলতাম।
ধন্যবাদ ভাই।
মার্বেল খেলা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আমরা যখন ছোট থাকি তখন কোন না কোন খেলার সাথে সব সময় জড়িত থাকি এর মধ্যে মার্বেল খেলা একটি। এবং মার্বেল খেলা এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে এলাকার মধ্যে আগে সবচেয়ে বেশি এই খেলাটা দেখা যেত। এবং আমাদের এলাকায় একজন মেয়ে ছিল সে ও মার্বেল খেলতো অনেক বড় হওয়ার পরেও সে কেন জানি এই মার্বেল খেলার প্রতি আসক্ত ছিল। আসলে কথায় আছে না যার যেটা ভালো লাগে সে সেটার অনুভূতি ফিল করে। এবং আমরা ছোট থাকতেই মার্বেল খেলায় অনেক বেশি পারদর্শী ছিলাম আমার কাছে এখনো প্রায় পাঁচশোটার মতো মার্বেল রয়েছে। আমার কাছে আরও বেশি ছিল প্রায় এক জারকিন এর মতো কিন্তু একবার আমার আব্বু রাগ হয়ে সব বাইরে ফেলে দিয়েছিল। তখন থেকে এই খেলাটি বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার অনেক কাহিনী মনে পড়ে গেল।
ধন্যবাদ।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। মার্বেল দিয়ে আমরাও ছোটবেলায় বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম। আমিও আমার সমবয়সী ছেলেদের সাথে মার্বেল খেলতাম। আমার কাছে এখনো সেই মার্বেলগুলো জমানো আছে। আমরা স্কুলে গিয়েও টিফিন টাইমে মার্বেল খেলতাম। শৈশবে ফেলে আসা সেই দিনগুলো কখনো ভুলবার মতো নয়। আমার কাছে আপনার শেয়ার করা পোস্টটি চমৎকার লেগেছে ভাই। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
মার্বেল খেলা নিয়ে কয়েকটি পোস্ট দেখেছিলাম আর তেমন দেখা হয়নি। ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপনি ভাই ছোটবেলায় অনেক মার্বেল খেলেছি। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সেই মার্বেল খেলা এখনো অনেক মিস করি। মার্বেল খেলে অনেকগুলো মার্বেল জমা হতো আমার যেগুলো পরে আমি বিক্রি করতাম।দিনরাত পড়ে থাকতাম এই মার্বেল নিয়ে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ।
শৈশবের সোনালী দিন গুলো আজও মনে পড়ে। শৈশব কতটা মধুর ছিলো এখন সেই দিনগুলো খুবই মিস করি। শৈশবের মার্বেল খেলা নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করেছেন ভাই, ছোটবেলায় এই মার্বেল নিয়েই পড়ে থাকতাম সারাদিন। মায়ের বকুনি বাবার শাষণ যা এখন শুধুই স্মৃতি। স্কুল থেকে বাসায় ফিরে মার্বেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম খেলা করার জন্য। বৃহস্পতিবার আমাদের হাফ স্কুল ছিলো। ১২ বাজে স্কুল ছুটি হয়ে যেতো, স্কুল ছুটি হওয়ার সাথে সাথেই ব্যাগ বাসায় রেখে বেরিয়ে পড়তাম মার্বেল খেলার জন্য, খাওয়া-দাওয়ার কথা তখন মনে ছিল না। সেই সন্ধ্যা বেলা মার্বেল খেলা শেষ করে বাড়ি ফিরতাম। মায়ের কতই যে বকুনি শুনেছি সেটার হিসাব নেই। খাওয়া নেই দাওয়া নেই পড়ে থাকতাম এসব খেলা নিয়ে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। সোনালী দিনগুলো আজও অনেক মনের মধ্যে নাড়া দেয়। কোন চিন্তা ছিল না , হাসিখুশি ছিলো জীবনটা। আজ বাস্তবতার ভিড়ে সেই সোনালী শৈশবে ফিরে যেতে মন চায়। মনে হয় যদি ফিরে পেতাম সেই সোনালী দিনগুলো। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে । অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/sajalislam08/status/1700327951647338893?t=VbF9tn_I7jGkfUkJ05hqdw&s=19
মার্বেল খেলায় আমি ছিলাম ওস্তাদ ছোটবেলায় সবকিছু বাদ দিয়ে সারাদিন পড়ে থাকতাম এই খেলায়। দিনশেষে যখন বিকালে বাড়িতে আসতাম তখন অনেকগুলো মার্বেল সাথে নিয়ে আসতাম আর বাড়িতে আসার সাথে সাথে মা মারতে শুরু করে দিতে কারণ সারাদিন না খেয়ে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াই তাই। মাঝে মাঝে এত মার্বেল জমা হতো যে সেগুলো টাকায় বিক্রি করে দিতাম আবার ওদেরকেই হারিয়ে আবার সেই মার্বেলগুলো বাড়িতে নিয়ে আসতাম। সেই স্মৃতিগুলো এখনো মনে পড়লে অনেক ভালো লাগে। অতীতের স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন
ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টটি দেখেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোটবেলায় আমিও মার্বেল খেলতাম। মার্বেল আমি বোতলে বোঝাই করে রাখতাম। আমার এখনো মনে আচগে একদিন পাশের বাড়ির এক চাচাতো ভাইয়ের অনেকগুলো মার্বেল হারিয়ে নিয়েছিলাম। ও আমাকে আর স্কুলেই যেতে দেয় নি সেদিন। বলছে যে হয় মার্বেল দে নাইলে সব হারাই নে। আর মার্বেল খেলার মধ্যে একটা খেলা ছিলো দেয়াল টিপ। ওই খেলার আমি বেশ পারদর্শী ছিলাম। মার্বেল খেলা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার তো ছেলেদের খেলা দেখে আগের খেলার কথা মনে পড়ে গেছে। কিন্তু আপনার পোস্টটি পড়ে আমার খুবই মন খারাপ হলো ভাইয়া। ছুটে যেতে ইচ্ছে করতেছে সেই সেই শৈশবে। যা কখনোই সম্ভব নয়। আজকে এত সুন্দর খেলা গুলো শুধু স্মৃতির পাতায় পড়ে রয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের বাচ্চারা স্মার্টফোনে গেম খেলা নিয়েই ব্যস্ত। আমাদের সময় কত ধরনের খেলা ছিল ভাইয়া। আজ সবগুলোই স্মৃতির পাতায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শৈশবের সেই সুন্দর স্মৃতি গুলো স্মরণ করে দেওয়ার জন্য।