স্পাইসি ভেজ পটেটো পাস্তা🥘
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
পাস্তা ইটালির একটি প্রধান খাদ্য হলেও বাঙ্গালী রসনায় এখন সুপরিচিত একটি খাবার,দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আমাদের দেশে।পাস্তা ছোট বড় সকলেরই খুব পছন্দের একটি খাবার। খুব কম মানুষই আছেন যারা পাস্তা খেতে পছন্দ করেন না।আমি ফাস্টফুড খাবার গুলো কম খেয়ে থাকি।কিন্তু আমার মনে আছে আমাদের এডমিন @shuvo35 ভাই আমাদের কে একদিন রাস্তায় দেখা পেয়ে হঠাৎ করেই ট্রিট অফার করেছিলো আর আমারও সাথে সাথে অফারটি লুফে নিই।সেদিন যে যার মতো খাবার অর্ডার করেছিলো কিন্তু আমি আর শুভ ভাই ক্রিমি পাস্তা খেয়েছিলাম আর পাস্তা খেতে এতোটাই ভালো লেগেছিলো যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।সত্যি কথা বলতে আমি পরে অবশ্য অনেক লজ্জিত হয়েছিলাম কারণ আমরা অনেক লোক ছিলাম আর সেই কারণে শুভ ভাইয়ের অনেক গুলো টাকা খরচ করতে হয়েছিলো।তারপরও অনেক ভালো লাগার মুহূর্ত ছিলো ঐদিন টা।😊
শুভ ভাই পাস্তা খাওয়ানোর পর থেকে আমি পাস্তার ফ্যান হয়ে যাই আর ঐদন থেকে পাস্তা খেতে খুবই পছন্দ করি।আর তাই বাসায় প্রায়ই পাস্তা রান্না করা হয়ে থাকে।আমি অনেক ভাবেই পাস্তা রান্না করি এবং সেই রেসিপি গুলো আপনাদের সাথে বেশ কয়েক বার শেয়ার করেছিলাম।শনিবার আমি নিরামিষ খাবার খাই অনেক বছর ধরে তাই শনিবার আমি মাছ,মাংস,পেঁয়াজ,রসুন এগুলো ছাড়া রান্না করা খাবার খাই সাথে আমার মেয়েরাও।সন্ধ্যায় হঠাৎ ছোট মেয়ে পাস্তা খাওয়ার জন্য বায়না করছিলো কিন্তু নিরামিষ পাস্তা কিভাবে রান্না করি আর রান্না করলেও খেতে কতোটা ভালো লাগবে ভাবছিলাম।কিন্তু মেয়ে খাবে তাই ভাবলাম একটু ঝাল ঝাল করে মসলাদার ভাবে রান্না করে দেখি তো কেমন হয়! রান্না করার পর আমি বুঝতে পারলাম এটা কতোটা সুস্বাদু হয়েছিলো।মেয়ে মেয়ের টিচার সবাই খেয়ে খুবই প্রশংসা করলো।আর তখন নিজেকে সেরা রাঁধুনি বলে মনে হলো..।🤣🤣
রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক
উপকরণ
ধাপ-১
প্রথমে চুলায় একটা পাত্রে গরম জল বসিয়ে দিয়েছি।ফুটন্ত জলের মধ্যে পাত্তাগুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর সামান্য পরিমাণে লবণ ও তেল দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
পাস্তাগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে একটা ছাঁকনির মধ্যে ঢেলে জল গুলো ছেঁকে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে,ছোট ছোট টুকরো করা আলুগুলো ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার টমেটো কুঁচি গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার কাঁচা মরিচ কুঁচি গুঁড়া মসলা ও পাস্তা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে ভেজে নিয়েছি যাতে কাঁচা মসলার গন্ধটা না আসে।
ধাপ-৬
মসলাগুলো ভাজা হলে সিদ্ধ করা পাস্তা গুলো দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর অল্প আঁচে কিছুক্ষণ ধরে পাত্তাগুলো ভেজে নিয়েছি।ভাজা হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার স্পাইসি ভেজ পটেটো পাস্তা রেসিপিটি।
পরিবেশন
স্বাদের রিভিউ😁
শ্যামসুন্দর খেয়ে খুবই প্রশংসা করেছে তা ওর ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে নিশ্চয়ই??😁😅
OR
এরকম হুট হাট ট্রিটগুলো কি ফিরিয়ে দেওয়া যায়। সাথে সাথে লুফে নেওয়াই ভালো। পরে আর সুযোগ নাও আসতে পারে। ইদানিং রেস্টুরেন্টে গেলে বিভিন্ন ধরনের পাস্তা পাওয়া যায়। খেতে ভালোই লাগে। আপনার আজকের পাস্তার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। এরকম ঝাল পাস্তা গুলো খুব ভালো লাগে আমার কাছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলতে নাই।😅 শুভ ভাই ঐদিন যে বিপদে পড়ছিলো ভদ্রতা দেখাতে গিয়ে আশাকরি আর কখনো এমন করবে না।ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)
Twitter link
অনেক সুন্দর এবং মুখরোচক একটি রেসিপি নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন।যে রেসিপিটি দেখে খুব খাওয়ার লোভ জেগে গেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি এবং রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে আপনার রেসিপি তৈরি সম্পর্কে শিখে গেছি।
কিছু কিছু খাবার দেখলে সত্যিই লোভ লেগে যায় আপু।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
পাস্তা কিন্তু আমার নিজেরও অনেক বেশি পছন্দের। শুভ ভাইয়া আপনাদেরকে ট্রিট খাওয়ানোর পর থেকেই, পাস্তা খেতে আপনি ভালোবাসেন শুনে ভালোই লাগলো। আপনার তৈরি করা পাস্তা দেখে বুঝতে পারছি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। মনে তো হচ্ছে ঐদিন শুভ ভাইয়াকে একেবারে লুটে নিয়েছিলেন সবাই মিলে। যাইহোক এত মজাদার পাস্তা তৈরি করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন, দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি আগে কখনো এরকম ভাবে পাস্তা তৈরি করিনি। তাই ভাবছি এভাবে তৈরি করবো। আশা করছি খেতেও ভালো লাগবে।
শুভ ভাই শুধু কফি অফার করেছিলো কিন্তু দশ বারোজন মানুষ আবার মহিলারা তাদের স্বামীদেরও ফোন করে ডেকে এনে যে যার মতো খাবার অর্ডার করেছিলো। তাহলে বোঝেন ঐদিন শুভ ভাইয়ের কব হাল হয়েছিলে?আমি আবার চুপচাপ ছিলাম শুভ যা খাইয়েছে তাতেই খুশি। 😁ধন্যবাদ আপু।
ইশ শুভ ভাইয়ের সাথে যদি আমাদেরও রাস্তায় দেখা হতো তাহলে তো আমরাও মজার মজার খাবার লুফে নিতে পারতাম । আর এই ক্রিমি পাস্তা খেতে কিন্তু আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে । আমিও বাসায় মাঝে মাঝে তৈরি করি আমি অবশ্য চিকেন ব্যবহার করি সাথে ।আপনার পাস্তাগুলো দেখে আমার কিন্তু খেতে ইচ্ছা করছে । যাক শুভ ভাই জোর করে খাওয়ানোর কারণে আপনি পাস্তা খাওয়া শিখে গিয়েছেন ।
হ্যাঁ এরকম হঠাৎ ট্রিট পাওয়া সত্যিই অনেক মজার ব্যাপার যা সবাই পায় না।😁শুভ ভাই যদি ঐদিন পাস্তা না খাওয়াতো তাহলে হয়তো এর স্বাদ আমি কখনো নিতে পারতাম না। আর এজন্য আবারও শুভ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।সেই সাথে আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তাহলে এই রেসিপিটা মূলত শুভ ভাইয়ের কারণেই তৈরি করা যেহেতু শুভ ভাই পাস্তা খাইয়েছিল আর সেখান থেকেই পাস্তার প্রতি আলাদা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে সে ক্ষেত্রে শুভ ভাইয়ের ক্রেডিট আছে। যাইহোক মজাদার রেসিপি টি কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
একদম ঠিক বলেছো এই রেসিপির সম্পূর্ণ ক্রেডিট শুভ ভাইয়ের প্রাপ্য।🙂তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার তো দেখছি পাস্তা পছন্দের খাবার হওয়ার পেছনে বেশ মজার এবং বড় একটা কাহিনী রয়েছে। শুভ ভাইয়ের সাথে তাহলে দেখা হলে ট্রিট চাইতে হবে। শুভ ভাইয়া তো দেখছি ট্রিট দিতে আবার ওস্তাদ। আপনাদের কে কয়দিন পরে পরেই দেখি ট্রিট দেয়। রাস্তায় দেখা হলেও ট্রিট দেওয়ার কথা হয় তাহলে 😜। যাই হোক ওই দিন পাস্তা খাওয়ার পর থেকেই পাস্তা আপনার ফেভারিট খাবার হয়ে যায় শুনে ভালো লাগলো। আসলে ট্রিটের খাবার ছিল তো তাই একটু বেশি মজাদার ছিল পাস্তা টা। তাইতো পছন্দের খাবার হয়েছে। নিজের টাকায় খেলে হয়তো তখন ভালো লাগত না 😁। ভালো লাগলো আপনার আজকের তৈরি পাস্তা রেসিপি দেখে। শ্যামসুন্দর ভাইয়াকে দেখে বুঝতে পারছি মজা করে খাচ্ছিল।
হ্যাঁ এটা ঠিক যে শুভ ভাই মাঝে মাঝেই আমাদের ট্রিট দেয় বা দিতে চায়।কিন্তু আমি আবার খুবই ভদ্র মানুষের টাকা খরচ যাতে না হয় তাই বেশিরভাগ ট্রিট গুলো ফিরিয়ে দেই।🤭🤭শুভ ভাই রাস্তায় ট্রিট দিতে গিয়ে ফকির হওয়ার দশায় পড়েছিলো 😅 আপনি চলে আসেন সবাই মিলে একসাথে ট্রিট নিবো শুভ ভাইয়ের কাছে।😁ধন্যবাদ ভাইয়া।
এর আগে শুভ ভাই আপনাদের ট্রিট দিয়েছিল জেনে ভালো লাগলো আপু। বাহিরে খেতে গেলে সত্যি অনেকটা খরচা হয়ে যায়। আপু আপনি বেশ ভালো রান্না করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তাই তো সবাই আপনার রান্নার প্রশংসা করেছে।ভেজ পটেটো পাস্তা রেসিপি চমৎকার হয়েছে আপু। খুবই লোভনীয় লাগছে।