রোজার বাজার করার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
রোজার বাজার করার অভিজ্ঞতা
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি রোজার বাজার করার অভিজ্ঞতা নিয়ে । সত্যি বলতে গতবারের থেকে এবার সব কিছু দাম ডাবল। আসলে সাধারণত মানুষের পক্ষে রোজা থেকে ইফতারি কেনার মত সামর্থ্য থাকে না। আর থাকবেই বা কি করে সবকিছু এত দাম হলে মানুষ কিভাবে কিনবে। যদিও আমি রোজার বাজার কখনো করিনি কিন্তু সাথে গিয়েছি। আর এবার নিজেই গেছিলাম বাজার করার জন্য। নাম শুনে মনে হচ্ছিল আর কিছু কেনার দরকার নেই। তবে সারাদিন রোজা রাখার পরে কিছু ইফতারি মনের মত না হলে সত্যি ভালো লাগেনা। আসলে ইফতারিতে তো সব কিছু না খাওয়া গেলেও কিন্তু ইফতারি প্লেটে না থাকলে আমার কাছে ভালো লাগে না । ইফতারি প্লেট ভরা থাকলে দেখতেও ভালো লাগে। যদিও সবকিছু দাম অনেক ঊর্ধ্বে। তারপরে যেগুলো না কিনলে নয় সেগুলোতে একটু কিনতেই হবে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যেহেতু রোজার বাজার করতে এসেছি তাই সর্বপ্রথম গিয়েছি খেজুরের দোকানে। আসলে অন্য কিছু খায় বা না খায় একটা খেজুর খেয়ে পানি খেলে মনে হয় শান্তি নেমে আসে। তবে এই খেজুরটা কিন্তু সবাই খেতে পারছে না।আসলে এবার খেজুরের অনেক দাম যা আকাশছোঁয়া। খেজুর না থাকলেই ইফতার জমে ওঠে না।
তারপর গিয়েছিলাম ডালের দোকানে। সত্যি বলতে আমাদের কখনো ডাল কিনে খাওয়া লাগেনি। তবে এবার মুসুরি এখনো আসেনি, খেসারি এখনো আসনি তাই কিছু ডাল কেনার দরকার রোজার জন্য। যাইহোক ডালের অনেক দাম, যদি ও আমি ডাল আগে কখনো কিনিনি তাই আমার ডাল কেনা সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। তারপর আপনার ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম অনেক দাম বলে। কি আর করা যেহেতু খেতে হবে তাই ডাল কিনতেই হবে।তারপর মুসুরি, খেসারি ও মুগের ডাল ১ কেজি করে কিনলাম।
তারপর আসলাম ছোলা, বেসন, আদা রসুন মরিচ পিঁয়াজ, শসা বেগুন ইত্যাদি কেনার জন্য। আসলে ১২০ টাকার নিচে কোন ছোলার কেজি নেই। দাম নিয়ে কিছু না বলাই ভালো
।তারপর দুই কেজি ছোলা, বড় একটা ট্যাং, এক কেজি বেসন কিনলাম। আসলে ট্যাং কিনা দেখে আমার ছোট মেয়ে তখনি খাবে। তাই দোকানদার ছোট দুই প্যাকেট ট্যাং দিল । তারপর গেলাম পিঁয়াজ কেনার জন্য। তবে অন্য কিছুর দাম বাড়লেও পিঁয়াজের দাম একটু কমেছে। যদিও পিঁয়াজের এখন সময় এই তুলনায় দাম বেশি। রসুনের দামও আগে থেকে অনেক কমেছে কিন্তু আদার দাম কমেনি। তারপর আদা রসুন কিনলাম এক কেজি করে। তবে শসা ও বেগুনর দাম অনেক বাড়তি। তাই শসা ও বেগুন এক কেজি করে করে কিনে আনলাম। এভাবে টুকিটাকি আরো অনেক কিছু কেনা হলো।
তারপর গেলাম ফল কেনার জন্য। আসলে যে ফলগুলো দুই দিন আগে যে দামে নেওয়া হয়েছে সেগুলোর দাম আগের থেকে বেশি। আসলে রোজা বলে কথা। তারপর পেয়ারা ও আপেল দুই কেজি করে কেনা হলো। আসলে ইফতারিতে ফল না থাকলে মোটেও ভালো লাগে না। তবে আমি কিন্তু ইফতারিতে কোন ফল খাইনি কিন্তু প্লেটে না থাকলে রাগ লাগে। যাইহোক বাচ্চাদের অনেক পছন্দ ফল তাই ফল নিতে হয।
তারপর অন্যান্য কিছু ফল নিলাম আঙ্গুর মালতা। আসলে আঙ্গুর কিনতে গিয়ে মজার একটি ঘটনা ঘটে গেল। আঙ্গুরের কেজি চাচ্ছে সাড়ে তিনশ টাকা। অথচ দুদিন আগে এই আঙ্গুর আমি কিনেছিলাম ২৪০ টাকা করে। নাম শুনে আমার মেয়ে বলল থাক আম্মু আঙ্গুর খাব না। সারা বছর কিনা হয় আর রোজার সময় না কিনলে কেমন হয়। তারপর ৩২০ টাকা দিয়ে ১ কেজি আঙ্গুর কেনা হল। এখন আসি লেবুর কাছে যে লেবুর দাম কত কম ছিল আর রোজার আগের দিন ৫০ টাকা হালি চাচ্ছে। তারপর দাম বেশি দেখে এক হালি লেবু আনলাম। যাই হোক এভাবে টুকিটা অনেক কিছু কেনাকাটা করেছি।তবে দাম নিলো জিনিসগুলো কিন্তু বেশ ভালো ছিল। আশা করি আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমার নাম পারুল।আমার ইউজার আইডি @parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি বাজার করার খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এ বছর আসলেই সবকিছুর দাম অনেক বেশি। বিশেষ করে খেজুরের দাম তো প্রায় আকাশ ছোঁয়া। আসলে দ্রব্যমূলের এই ঊর্ধগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবন চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। যাই হোক আপনি ইফতারের জন্য মোটামুটি সবকিছু আইটেম কিনেছেন। ইফতারে ফলের কিছু আইটেম না থাকলে ভালো লাগেনা। আপনার বাজার করার মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো।
জি আপু ইফতারে ফল না থাকলে সত্যি ভালো লাগে না, ধন্যবাদ আপু।
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় অনেক গুলো পণ্য বাজার থেকে কিনেছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি পণ্য কিনেছেন। আসলে রমজান মাস চলে আসলে সব কিছু জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়ে যায়। একদম দ্বিগুণ দাম বৃদ্ধি পায়। আপনি ইফতারী করার জন্য বেশ কিছু ফল মূল ও কিনেছেন।
জি ভাইয়া রমজান মাস রহমত মাস, তবে ফলের দোকানে আগুন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
রোজা মাসের বাজার সদাই করা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। পোস্টটি ভালো হয়েছে। বেশ ভালো লেগেছে পোস্টটি। দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্যের বাজার চড়া যাচ্ছে। রোজা আসায় আরো বেড়ে গেছে কিছু কিছু পণ্যের দাম। অনেক কিছুই সাধারণের নাগালের বাইরে। আপনার পোস্টের ছবি গুলোও ভালো হয়েছে।দাম নিলেও জিনিস ভালো পেয়েছেন যেনে ভাল লাগলো। আমাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এটা সত্যি আপু দাম নিলেও জিনিস গুলো অনেক ভালো ছিল, ধন্যবাদ আপু।
সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারিতে বেশি কিছু খাওয়া যায় না। তবে ইফতারিতে প্লেট ভর্তি না থাকলে দেখতেও যেন ভালো লাগে না। আপু আপনি রোজার বাজার করতে গিয়ে প্রথমে খেজুরের দোকানে গিয়েছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। কেননা ইফতারিতে আমরা সবাই প্রথমে খেজুর খাই। তাছাড়া আপনি অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। সব মিলিয়ে আপনারা আজকের পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
জি আপু প্লেটে ইফতারি না থাকলে আসলে ভালো লাগে না,ধন্যবাদ আপু।
রোজার কিংবা ইফতারের বাজার করতে গেলে আগুন ধরে যায় আমাদের দেশে। কেন জানিনা এমন হয় এমনিতে দাম বেড়ে যায়। সত্যি এক সপ্তাহ আগের বাজার এবং এক সপ্তাহের পরের বাজার দেখলে বেশ তফাৎ লক্ষ্য করা যায় রোজার দিনে। যাক খেজুর কিনলেন ভালো লাগলো। তাছাড়াও ফল কিনতে গেলেন। আরো অনেক কিছু কিনলেন বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
সবকিছুর দাম বাড়তি।তারপরেও রোজা রেখে সবাই ইফতার করবে দাম হলেও কিনতে হচ্ছে।আপু আপনার বাজার সম্বন্ধে কোন ধারনা ই নেই।কারন আপনি তো কেনাকাটা করেন না তাই।আমি অনলাইন অর্ডার করি প্রায় সময়। তাই আমার ধারনা আছে।যাক প্রয়োজনীয় সবকিছু কিছু কিছু এনেছেন জানতে পারলাম পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপু অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অনলাইন অর্ডার করলে সত্যি কোন ভোগান্তি হয় না। আর দাম তো সব জায়গায়। ধন্যবাদ আপু।
আপু এমনিতেই প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেশি, আর রোজার সময় তো দাম আরও বেড়ে যায়। তবুও কিছুই করার থাকে না। দিনশেষে সবকিছুই কিনতে হয়। কারণ রমজান মাসে ইফতারের সময় বিভিন্ন ধরনের আইটেম না থাকলে ভালো লাগে না। বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া, শরবত এবং ফলমূল না থাকলে ইফতার মনেই হয় না। যাইহোক অনেক কিছুই কিনেছেন আপু। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সব মানুষের আয়ের কথা ভেবে অন্তত রোজার সময় জিনিসপত্রের দাম যেখানে কমে যাওয়ার কথা, সেখানে দেখছি অনেকটাই বেড়ে গেছে সবকিছুর দাম আপু। আপনি যেহেতু এই প্রথমবার নিজে বাজার করতে এসেছেন, সে ক্ষেত্রে আপনার অভিজ্ঞতা কিন্তু বেশ জটিল। কারণ আপনি এমন একটা টাইমে বাজার করতে এসেছেন, যখন দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। আমি মোটামুটি সবকিছুর দাম দেখে যা বুঝলাম তা হলো প্রায় দ্বিগুণ হারে সব কিছুর দাম বেড়েছে। তবে ৫০ টাকা করে এক হালি লেবু! এটা আমার কাছে একটু বেশিই মনে হল। যাই হোক, পবিত্র রমজান মাসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু আপনার জন্য।