এগ স্প্যাগেটি রেসিপি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসীসবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি। |
---|
স্প্যাগেটি খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। এটি রান্না করা যায় অনেকভাবেই।স্প্যাগেটি এবং নুডলস উভয়ই বিশ্বজুড়ে খুব জনপ্রিয় খাবার। উভয়ই অনেক দেশে প্রধান খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নুডলস বিশেষত বিশ্বের অনেক দেশেই খাওয়া হয়। স্প্যাগেটি ট্রেডিশনাল ইতালীয় খাবারের একটি অংশ।এখন আমাদের দেশেও স্প্যাগেটির প্রচল বেশ ভালো ভাবেই হয়েছে।আমরা রেস্টুরেন্টে গেলে সচারাচর দেখতে পাই এবং খেতেও পছন্দ করি।রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো যদি আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাসায় তৈরি করে খেতে পারি তাহলে আমরা দুদিক থেকে লাভবান হতে পারি।এক রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়ে স্বাদে মানে ঘরোয়া খাবার গুলো অনেক স্বাস্থ্যসন্মত হয়ে থাকে এবং দুই সেই সাথে আমাদের অনেক গুলো টাকা গুণতে হয় না। খুব অল্প উপকরণ দিয়ে সহজেই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো খেতে পারছি।এতে করে বাচ্চারাও খুশি সেই সাথে আমরাও খুশি।
বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন তাহলে রেসিপি টি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ |
---|
স্প্যাগেটি |
ডিম |
পেঁয়াজ কুঁচি |
রসুন কুঁচি |
আদা কুঁচি |
কাঁচামরিচ কুঁচি |
টমেটো সস |
চিলি সস |
সয়াসস |
গোলমরিচগুঁড়া |
স্বাদমতো লবণ |
সয়াবিন তেল |
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে একটা প্যানে পরিমাণ মতো জল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি।জল ফুটে উঠলে স্প্যাগেটি গুলো দিয়ে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
সিদ্ধ করা স্প্যাগেটি গুলো একটা ছাঁকনিতে ঢেলে নিয়েছি।তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এবার প্যানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দু'টো ডিম দিয়ে নেড়েচেড়ে ঝুড়ি করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
ডিম ভাজা তুলে নিয়ে সেই প্যানে তেল দিয়ে রসুন কুঁচি দিয়ে নেড়েচেড়ে,তারপর আদা কুঁচি দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
এবার পেঁয়াজ কুঁচি কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।তারপর সস গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
এবার ভেজে রাখা ডিম গুলো দিয়ে,স্বাদমতো লবণ ও গোলমরিচগুঁড়া দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
এবার সিদ্ধ করা স্প্যাগেটি গুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।অল্প নেড়েচেড়ে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
পরিবেশন
এবার একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি। তারপর উপর দিয়ে টমেটো সস ও ধনেপাতা দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
আজ এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
OR
আরে বাপরে বাপ এতগুলো আইটেম দিয়ে নুডুলসের রেসিপি করলেন আপু। আগেভাগে একটু জানালেই তো হতো, না হয় চলে আসতাম। দেখেই তো মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। আবার অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।
আপু খাওয়ার সময় আগে কাউকে জানাতে হয় না তাহলে ভাগ কমে যায়।😁সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
নুডুলসের চাইতে স্প্যাগেটি আমার খুব পছন্দ। আমিও বাসায় রান্না করি।খেতে ভীষণ ভালো লগে।আপনার রেসিপিটি খুব লোভনীয় হয়েছে আপু।আপনি বেশকিছু উপকরন দিয়ে স্প্যাগেটি রেসিপি রান্না করলেন।খেতে খুব মজা হয়েছে দেখে বেশ বুঝতে পারছি।অনেক ধন্যবাদ আপু মজার স্বাদের রেসিপিটি শেয়ার করার জন।
রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ কয়েকবার খেয়েছিলাম ভালোই লাগে।তাই বাসায় বানানোর ট্রাই করেছি আপু।খেতে বেশ ভালো হয়েছিলো।ধন্যবাদ আপু।
বাহ ভালই তো লাগছে, যদিও আমার চাওমিনটা বেশি ভালো লাগে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে চাওমিন খাওয়া হয়, স্প্যাগেটি আর চাওমিন এর মধ্যে পার্থক্যটা কি আমি খুব একটা জানিনা।
চাউমিন স্প্যাহেটির তুলনায় একটু চিকন হয়, আর খাবারের স্বাদটাও একটু ভিন্ন রকমের।ধন্যবাদ ভাইয়া।
রেসিপি টা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। এটা বাসায় কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটা ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
জ্বি আপু একদিন ট্রাই করে দেখবেন আশাকরি আপনারও অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
নুডুলস এর তুলনায় স্পাগেটি একটু মোটা। আমিও বাসায় দুই বার স্পাগেটি রান্না করেছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে নুডুলস এর তুলনায় স্পাগেটি একটি হোলসাম খাবার। তোমার স্পাগেটি রান্নাও বেশ লোভনীয় হয়েছে দিদিভাই। বিদেশে স্পাগেটি রান্নায় অরিগানো পাউডার দেয় কিছুটা, ওটা দিলে স্বাদ আরো বেড়ে যায়।
অরিগানো আমার বাসায় ছিলো কিন্তু দিতে ভুলে গেছি।😁যাক এর পরের বার দিবো।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মনা।❤️
একদম ঠিক বলছেন আপু এই ধরনের নুডুলস রেস্টুরেন্ট থেকে খেতে অনেক ভালো লাগে। এভাবে যদি ঘরে তৈরি করে খাওয়া যাই তাহলে এক দিকে খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে। আবার স্বাস্থ্যসম্মত খাবারও খাওয়া যায়। আবার অন্যদিকে টাকা ও বেঁচে যাবে। সবদিক থেকে সুবিধা। আপু আপনার রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনা দারুন ছিল।
হ্যাঁ আপু সেদিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়ার পর বিল দেওয়ার সময় আমার মাথা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম।সেজন্য বাসায় বানিয়ে খাওয়াই উত্তম।ধন্যবাদ আপু।
টেস্ট দারুন হয়েছিল🤤। এত ভাল স্প্যাগেটি কোন রেস্টুরেন্ট এও খাইনি। বেশ ঝরঝরে, সব মশলার স্বাদ একদম পারফেক্ট, কোনটারই বাড়াবাড়ি নেই। একদম পারফেক্ট। ধন্যবাদ কাকিমা সুস্বাদু স্প্যাগেটি ট্রিট দেওয়ার জন্য এবং রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
অও,আন্টি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।নুডুলস আমার ও খুবই পছন্দের।আমি তো নাম দেখেই ভাবছিলাম এটা আবার কি ধরনের খাবার।ছবি দেখেই তো লোভ লেগে গেল আর আসলেই রেস্টুরেন্টের খাবারগুলো আমরা বাড়িতে তৈরি করতে পারলে অনেক স্বাস্থ্যকর হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই তাই বর্তমানে আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে যেই খাবার গুলো খেয়ে থাকি,সেগুলো যদি বাসায় বানিয়ে খাওয়া যায় তাহলে খুবই ভালো লাগে।তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই মাননি সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ একটি রেসিপি যে কেউ আপনার রেসিপি দেখে খুব সহজেই বানিয়ে নিতে পারবে এই স্প্যাগেটি।রেস্টুরেন্টের থেকে বাড়িতে বানালে গুনগত মান ও যেমন বারে টাকাও খরচ হয় কম। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক টেষ্টি হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক তাই বাড়িতে বানানো খাবারের গুণগত মান সবসময়ই ভালো হয়ে থাকে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।