RE: গৃহস্থলীর বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে বাঁশের ব্যবহার
বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ গাছ। আমরা বাঁশকে গাছ হিসেবে চিনি তবে মূলত এটি গাছ নয় এটি এক প্রকারের ঘাস। আমরা ঘাস বলতে বুঝি যার গিট রয়েছে বাঁশের গিট রয়েছে তাই আমরা বাঁশকে ঘাস বলতে পারি। তবুও আমরা বাঁশকে গাছ হিসেবে বলে থাকি এটা কোন ব্যাপার নয়। তবে এই বাঁশ আমাদের বিভিন্ন কাজে লাগে। বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করা খুঁটি দেওয়া বিভিন্ন রকমের দালান কোঠার কাজ করতে গেলে বাঁশের দরকার হয়। বাঁশ ছাড়া আমাদের জীবন যেন অচল আমরা যদি নতুন করে কোথাও গাছ লাগাই সেখানে গাছগুলোকে যাতে ছাগল না খেয়ে ফেলে সেজন্য বাঁশ দিয়ে ঘেরা দিতে হয়। এছাড়া নদী ভাঙ্গন এলাকায় ভাঙ্গন রোধের জন্য বাঁশ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন রকমের ডালি ঝুরি তৈরি করা হয়। যা আমাদের দৈনন্দিন কাজে আসে এছাড়াও বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার উপকরণ তৈরি করা হয়। যেমন ডারকি ভোরং ইত্যাদি। বর্তমানে বাঁশের প্রচুর দাম বাঁশ কিনতে গেলে এখন অনেক টাকার দরকার হয়। এখন একটি বাঁশ কিনতে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা লাগে। আগে এ বাঁশের দাম কম ছিল তবে এখন বিভিন্ন শহরে দালানকোঠার কাজ বেড়ে যাওয়ার কারণে গ্রাম থেকে বাঁশ কিনে শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। য়ার ফলে বাঁশের দাম প্রচুর বেড়ে গেছে এবং বাঁশের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। তবে কোন কোন সময় বাঁশের চাহিদা কম থাকে সে সময়গুলোতে বাঁশের দাম কম থাকে এবং গ্রাম অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসলে বাঁশের দাম কম পাওয়া যায়। তবে গ্রাম অঞ্চলে সবার বাড়িতে বাঁশ রয়েছে। আমাদের এদিকে দাম একটু বেশি কারন বাঁশ ঝার কম।আমাদের পার্বতীপুর শহরে তিলাই নদীর পাশে বাঁশের হাট বসে। সেই হাটে অনেক ধরনের বাঁশ পাওয়া যায় এবং বাঁশের প্রচুর চাহিদা এখানে। ধন্যবাদ আপনাকে বাঁশ নিয়ে এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।