ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি, চিতই পিঠার ছাঁচ।
আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি।( আলহামদুলিল্লাহ)
চিতই পিঠার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। চিতই পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটি পিঠা। চিতই পিঠা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। তবে এই চিতই পিঠা বানানোর জন্য ছাঁচের প্রয়োজন হয়। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধাতুর তৈরি, বিভিন্ন ডিজাইনের চিতই পিঠা তৈরির জন্য সুন্দর সুন্দর ছাঁচ পাওয়া যায়।
তবে এক সময় ছিল মাটির তৈরি ছাঁচ ছাড়া অন্য কোন ছাঁচ পাওয়া যেত না। বিগত কয়েক বছরে এসব বিভিন্ন ধাতুর তৈরি বিভিন্ন ডিজাইন এর এসব ছাঁচ বাজারগুলোতে দেখা যাচ্ছে। তবে মাটির তৈরি চিতই পিঠার ছাঁচ, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য আমাদের দেশে ঐতিহ্য । আমি ছোটবেলা থেকে দেখে এসছি এই মাটির তৈরি ছাঁচ দিয়ে পিঠা বানাতে। শীতের সময় গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানানোর ধূম পড়ে যায়।
তবে শীতকালে সবচেয়ে বেশি বানানো হয় এই চিতই পিঠা। প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই চিতই পিঠা বানানো হয় এবং অনেক রাস্তার মোড়ে ও বাজারে দোকান দিয়ে চিতই পিঠা বিক্রি করা হয়। তবে বাড়িতে এবং চিতই পিঠার দোকানে এখনো পর্যন্ত মাটির তৈরি ছাঁচ ব্যবহার করতে দেখা যায়। এখনো পর্যন্ত আমাদের মাঝে মাটির তৈরির চিতই পিঠার ছাঁচ ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের মাঝে এখনো এই ঐতিহ্য টিকে আছে। তবে এখন বাজার গুলোতে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক মানের ছাঁচ উঠেছে।
তবে জানিনা আর কতদিন মাটি তৈরি ছাচঁ ব্যবহারের ঐতিহ্য আমাদের মধ্যে টিকে। থাকবে। যতদিন যাচ্ছে ততই মানুষ আধুনিকতার স্বাদ গ্রহণ করছে এবং আমাদের মাঝ থেকে একটা একটা করে ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশে প্রচুর মাটির জিনিসপত্র ব্যবহার করা হত । এমনকি ভাতও রান্না করা হতো মাটির হাড়িতে। কালের বিবর্তনে দেশ আধুনিক হওয়ার সাথে সাথে, উন্নত মানের সব জিনিসপত্র ব্যবহার হচ্ছে।
ফলে আমাদের মাঝ থেকে মাটি তৈরি হাড়ি পাতিল কোলছি ইত্যাদি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে চিতই পিঠা বানানোর মাটির তৈরি ছাঁচ এখনো বিলুপ্ত হয়নি আমাদের মাঝে টিকে আছে। এটাই আমাদের ভালো লাগার একটা বিষয়। আর চিতই পিঠা কে অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন নাম বলা হয়। যেমন আমাদের কুষ্টিয়াতে অনেকে ঢাকুন পিঠা, ভিজানো পিঠা, আবার অনেকে চিতই পিঠা ও বলে। অঞ্চল ভেদে নামের ভিন্নতা রয়েছে। ভেজানো পিঠা বলার মধ্যে একটা কারণ আছে, মাটির ছাঁচে মাধ্যমে পিঠা বানানোর পর, দুধ চিনি নারিকেল গুড়া একসাথে মিশিয়ে পিঠাগুলোকে সুন্দর ভাবে ভিজিয়ে রাখা হয়।
বেশ কিছুক্ষণ এইভাবেই ভিজিয়ে রাখার পর পিঠাগুলো অনেক মজাদার হয়ে ওঠে। গ্রামের চিতই পিঠা বানালেই এভাবে ভিজিয়ে রাখা হয়। এইজন্য অনেকেই এই পিঠাকে ভিজানো পিঠাও বলে। একটা মজাদার বিষয় হচ্ছে চিতই পিঠার ছাঁচ কিনতে বাজারে যাওয়া লাগে না, শীতকালের প্রথম দিক থেকেই অনেক ফেরিওয়ালারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই মাটির ছাঁচ বিক্রি করেন।গ্রামে এরকম ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে প্রয়োজন মত মানুষ পিঠা তৈরি ছাঁচ গুলো ক্রয় করে।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ |
---|
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
চিতুই পিঠার ছাঁচ নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। এই ধরনের ছাঁচগুলো গ্রাম ও শহরের প্রত্যেক বাড়িতেই দেখা যায়। চিতই পিঠা বানানোর এই ছাঁচ গুলোর সুবিধা হল এগুলোতে একসঙ্গে তিন চারটি পিঠা বানানো যায়। আর এগুলোতে পিঠার আকৃতি খুবই সুন্দর আসে। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই চিতুই পিঠা তৈরি করা হয়। চিতুই পিঠা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। চিতই পিঠা পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। শীতকালে হাটে বাজারে এমন কি রাস্তার গলিতেও চিতই পিঠার দোকান বসে। আপনিও দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
বাহ্ চমৎকার পোস্ট উপস্থাপন করছেন ভাই, ঐতিহ্যবাহী চীনা মাটির তৈরি চিতই পিঠার ছাঁচ নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করছেন ভাই। গ্রামের মানুষ পিঠা তৈরি করার জন্য এসব পাত্র ব্যবহার করে। যুগ যুগ ধরে মাটির পাত্র ব্যবহার করে মানুষ পিঠা তৈরি করে। ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরীর ছাঁচ আমাদের ঐতিহ্য। আমার মাকে দেখতাম এভাবে পিঠা তৈরি করার জন্য । সামনের শীতকাল আসতেছে, শীতকালকে উপেক্ষা করে বাজারে অনেক ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান দেখা যাবে। মাটির তৈরি এরকম পাত্রে এরা পিঠা তৈরি করবে। আপনি অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
আগের দিনে মাটির তৈরি এমন অনেক জিনিস দিয়ে রান্নার কাজ করা হতো। এখন আর মাটির তৈরি জিনিস তেমন ব্যবহার করা হয় না। তবে কিছু কিছু মাটির জিনিস এখনো ব্যবহার করা হয়। যেমন পিঠা তৈরির কাজে এ ধরনের মাটির তৈরি তাওয়া বেশ পরিমাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমরা যখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পিঠা তৈরি করি তখন এই মাটির জিনিসটির বিশেষ প্রয়োজন হয়। এছাড়া পৌষ পার্বণ যখন হয় তখন প্রচুর পরিমাণে পিঠা তৈরি করতে হয় তখন এই মাটির তাওয়া বেশ কাজে আসে। এছাড়া শীতকালে অনেকপিঠা তৈরি করার জন্য শীতকালে ভাপা পিঠা তৈরি করার জন্য এরকম মাটির পাতিল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের বাড়িতে এমন মাটির কিছু তাওয়া রয়েছে। এই মাটির তাওয়াতে আমরা মাঝে মাঝে পিঠা তৈরি করে নেই এবং এই পিঠাগুলো খেতে বেশ মজা লাগে। আপনি বেশ চমৎকার কিছু ছবি তুলেছেন। এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু তথ্য জানতে পারলাম। মাটির তৈরি তাওয়া গুলো কুমারেরা সুন্দর করে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে। আমরা বিভিন্ন হাট বাজারে গেলে এই মাটি তাওয়া গুলো দেখে থাকি তারা বিক্রি করে এগুলো অল্প দামে।
ধন্যবাদ ভাই।
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1701274260084498823?t=L4KQ_qdJ_RFCkt2MnyXzpg&s=19
আমি আজকে প্রথম এমন ছাঁচ দেখলাম। এর আগে কখনো এমন পিঠা বানানোর পদ্ধতি দেখেনি। চিতই পিঠা বানানোর পদ্ধতি বেশ ভালো লেগেছে ভাই। এর ভিতরে ছাঁচ থাকার কারনে অল্প সময়ে অনেক পিঠা বানানো সম্ভব হবে। আমাদের বেশ পছন্দের একটি পিঠা চিতুই। আমার দুধ চিতুই অনেক বেশি ভালোলাগে।
ধন্যবাদ ভাই।
চিতুই পিঠার ছাঁচ নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন আগে মাটির তৈরি এগুলো ছিল এবং সব জায়গাতে এগুলো মাটির তৈরি করা জিনিসপত্র ব্যবহার হতো। এবং এগুলোতে পিঠা বানালে অনেক মজা লাগতো খাওয়ার সময় অন্যরকম একটি অনুভূতি পাওয়া যেত। আসলে আগে মানুষরা এসবের উপর নির্ভর থাকায় মানুষ সব সময় হালাল এবং ভালো খাবার খেতে কিন্তু কালের পরিবর্তে এখন মানুষ যত কেমিক্যাল ব্যবহার করা খাবার খাচ্ছে এর কারণে শরীরের মধ্যে রোগ বালাই সৃষ্টি করতেছে নিজে নিজেই। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
চিতই পিঠার বানানোর জন্য ছাঁচ প্রয়োজন। তবে মাটির তৈরি ছাঁচ ছাড়া চিতই পিঠা তেমন একটা ভাল হতো না। আর মাটির তৈরি ছাঁচের সাহায্য চিতই পিঠা তৈরি হয় এতে অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়।আগেকার সময়ে মাটির তৈরি ছাঁচ ছাড়া চিতই পিঠা তৈরি হতো না। এখনও এই ছাঁচের মাধ্যম দোকানদারেরা চিতই বানায়। বিশেষ করে শীতকাল আসলেই দেখা যায় হাট-বাজার অনেক দোকানদার তারা মাটির তৈরি ছাঁচে এই চিতই বানিয়ে থাকে। মাটির তৈরি ছাঁচ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
চিনামাটি তৈরি সব ছাচগুলো দিয়ে একসঙ্গে অনেকগুলো পিঠা তৈরি করা হয়।এতে সময় অনেক কম লাগে। এটি দিয়ে খুব সহজেই পিঠা তৈরি করা যায়। এমনও ছাচ আমি দেখেছি যেগুলোতে খুব সুন্দর সুন্দর নকশা তৈরি করা থাকে যেন পিঠার আকৃতি খুব সুন্দর হয়।আমার বাড়িতে মাঝে মাঝে দেখতাম এরকম পিঠা বানানোর জিনিস গুলো দিয়ে আমার মা চিতাই পিঠা তৈরি করতেন। দারুন একটি পোষ্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
চিতই পিঠা আমারও অনেক ভালো লাগে। চিতই পিঠা বানানো এমন ছাঁচ প্রায় অনেকের বাসাতেই আছে।ঠিকই বলেছেন এক সময় ছিল মাটির তৈরি ছাঁচ ছাড়া অন্য কোনো ছাঁচ পাওয়া যেত না।শীত কালেই বেশি চিতই পিঠা বানানো হয়।এ পিঠা খেতে অনেক মজাদার বলে অনেকে যখন ইচ্ছা বাসায় বানিয়ে খায়।ঠিকই বলেছেন একটা সময় ছিল আমাদের দেশে প্রচুর মাটির জিনিস ব্যবহার করা হতো।এমনকি ভাত রান্না হতো মাটির হাড়িতে।যুগের সাথে সাথে উন্নত মানের সব জিনিসপত্র ব্যবহার হচ্ছে।ভিজানো পিঠা আমারও অনেক ভালো লাগে।ভ্রাম্যমান মাটির ছাঁচ বিক্রেতা সকল জায়গায় দেখা যায়।আপনি অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন মাটির তৈরি ছাঁচ নিয়ে।আপনার ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু।