ওয়েব সিরিজ রিভিউ: কারাগার ( সিজন ১: পর্ব ৫ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'কারাগার' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "লাইট &শ্যাডো"। গত পর্বে দেখেছিলাম যে, ওই লোকটাকে সবকিছু জিজ্ঞাসা করার পরে রহস্যময় কিছু কথা বলতে থাকে, আজকে দেখা যাক এই পর্বে কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
তো এরপরে মোস্তাক, তার বন্ধু আর একজন অফিসার সেলের বাইরে এবং ভিতরে কড়া নজরদারিতে রাখে, যাতে কয়েদি ভাগতে না পারে। যেহেতু ওই লোকটা একটা রহস্যময় কথা বলেছিলো যে, এই সেলের ভিতরে কয়েদি মাঝে মধ্যে পালিয়ে যায় বা হঠাৎ উধাও হয়ে যায় রাতের দিকে। তাই লাইট দিয়ে পাহারা দেওয়া শুরু করে। এদিকে তাকে সেই ইনভেস্টিগেশন রুমে মাহিয়ার সাথে রেখে আসে এবং সেখানে আরো বিস্তারিত কথাবার্তা ইশারার মাধ্যমে চলতে থাকে। তবে লোকটা তাকে এমন কিছু কথা বলে যেটা শুনেই সেখান থেকে একটা বিস্মিত অবস্থায় বেরিয়ে আসে। সেই মুহূর্তে মোস্তাক আর তার বন্ধুও গিয়ে উপস্থিত হয় আর এইটা দেখে তাকে জিজ্ঞাসাও করে, কিন্তু সে কিছুই উত্তর দেয় না, শুধু একটা বিস্মিত চেহারা নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যায় কোনো উত্তর না দিয়ে।
এখন এই লোকটা একবার ইনভেস্টিগেশন এর সময় বলেছিলো যে, এই জেলে এমন কিছু কয়েদি আছে যারা কোনো অপরাধ না করে সাজা পাচ্ছে আর এমন কিছু অপরাধী আছে যারা কেউ মানসিক হাসপাতালে আবার কেউ বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই সুবাদে একদিন মাঝ রাতে একজন কয়েদিকে সেল থেকে ডেকে নিয়ে আসে ইনভেস্টিগেশন এর জন্য। লোকটাকে জিজ্ঞাসা করে কোন অপরাধে তাকে এখানে আনা হয়েছিল, তবে সে বলে যে সে কোনো খুন করেনি বরং সে সেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল তাই পুলিশ আসল অপরাধীকে না পেয়ে আমাকে ধরে নিয়ে এসেছে আর কেস দিয়ে দিয়েছে। কে খুন করেছে সেটা আবার সে জানে না। এখন মোস্তাকের বন্ধু বলে ওই লোকটা যখন কারো চোখ, মুখ দেখে সবকিছু বলে দিতে পারে, তাহলে তাকে জিজ্ঞাসা করি এই লোকটাকে দেখিয়ে, যে সে বলতে পারে কিনা আসল খুনির বিষয়ে কিছু।
এখন তাকে সেই সেলের সামনে নিয়ে যায়, তবে মজার একটা বিষয় হলো যারা তাকে বাবা মনে করে সেলের সামনে কলা ঝুলিয়ে রেখে এসেছিলো, সে সেগুলো ছিড়ে ছিড়ে আবার খাওয়া শুরু করে দিয়েছে হা হা। যাইহোক, লোকটা তাকে দেখে একটা কাগজে লিখে দেয়। এখন কি লিখেছে সেটা অজানা সবার কাছে। আপাতত মোস্তাকের বন্ধু হয়তো সেটা বুঝতে পেরেছে, তাই সে সেখান থেকে আবার মানসিক হসপিটালের দিকে যায়। এদিকে মোস্তাকের নিজের ছেলে জেলে বন্দি, যদিও সেটা আলতাফ নামের একজন লোকের জন্য। মোস্তাক তার বাড়িতে যায় যে, সে যেন জেলে যায় আর তার ছেলেকে মুক্ত করে বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারে। কিন্তু তার ওয়াইফ মিথ্যা কথা বলে দেয় যে সে বাইরে চলে গিয়েছে, কিন্তু আসলেই সে বাড়িতে ছিল। এখন এর মধ্যে আবার থানায় চিঠি চলে আসে মন্ত্রণালয় থেকে যে, কোন কয়েদি কোন জেলে যাবে সেটা মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। এখানে আবার এই একজন অফিসার মোস্তাককে বলে যে, ওই সেলের ভিতরে এমনিতেই জীন ভূতের ছায়া আছে তাই তাকে মেরে দিলে এ নিয়ে কোনো কেস হবে না।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
এই পর্বে বিষয়টা এখন এই জেলের ভিতরে কয়েদি ট্রান্সফার নিয়ে একটা ঝামেলায় পড়েছে। একদিকে মোস্তাকের নিজের ছেলে জেলের ভিতরে আবার অন্যদিকে এই লোকটার নিয়ে ঝামেলা, কারণ বাইরে তেমন কেউ জানে না, এখন বাইরে গেলে জানাজানি হলে একটা বিপদ আছে। তারপর আরেকটা সমস্যা হলো, একজন মহিলা এই মোস্তাককে প্রতিনিয়ত ফ্লো করছে যেটা সে নিজেও জানে না, তবে এই মহিলা সেই মহিলা হতে পারে যাকে সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছিলো থানার ভিতরে ঢুকতে। এখন এখানে একটা রহস্য হচ্ছে, মোস্তাক যখন সেই স্থানে ভিডিওটা চালায়, সেখানে দেখে ফুটেজটা যে স্থান থেকে উঠেছে সেই এঙ্গেলে কোনো ক্যামেরা নেই। তাহলে ই মহিলার ফুটেজ আসলো কিভাবে। তবে মোস্তাকের একটা সন্দেহ হয়েছে যে, সামনের বিল্ডিং থেকে কেউ এই কাজ করতে পারে। সেটা পরে বোঝা যাবে। আর এখন এই মাহিয়াকে আবার থানায় গিয়ে ইনভেস্টিগেট করতে বলে, কিন্তু সে যেতে চায় না অর্থাৎ তাকে ওই সময় সন্তান নিয়ে কিছু একটা বলেছে লোকটা। এখন সে রাজি হয় একটা কোথায় যে, তাকে একা তার সাথে কথা বলতে দিতে হবে। এখন দেখা যাক পরের পর্বে আর কি বিষয় সামনে আসে।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৭/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাস্তবেও কিন্তু এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। অনেক খুনী বা অপরাধী সাজা পায় না,আবার নির্দোষ মানুষও দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেল খাটে। এই লোকটা তো আসলেই রহস্যময়। ভাবতেই তো অবাক লাগছে, মানুষের মুখ দেখেই বলে দিতে পারে সবকিছু। মাহিয়াকে দেখে খুব আপসেট মনে হচ্ছে। হয়তোবা সেই লোকটা এমন কিছু মাহিয়াকে বলেছে,যেটা শুনে মাহিয়ার মন একেবারেই খারাপ হয়ে গিয়েছে। রহস্য তো একের পর এক বেড়েই চলেছে দাদা। মন্ত্রণালয় যদি কয়েদীদের ট্রান্সফার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ঝামেলা আরও বাড়বে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে মাহিয়া একা গিয়ে সেই লোকটার সাথে কথা বলে কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারে কিনা। কারণ মাহিয়া ছাড়া আর কেউ মনে হয় না কোনো তথ্য বের করতে পারবে এই লোকটার কাছ থেকে। যাইহোক বরাবরের মতো এই পর্বের রিভিউ পড়ে দারুণ লেগেছে দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
কারাগার মুভিটার যত পর্ব অতিক্রম হচ্ছে ততই রহস্য বাড়ছে। এই পর্বে আবার নতুন করে মোস্তাকের ছেলের বিষয়টা যোগ হলো। যেটা আমরা আগের কোন পর্বে দেখতে পায়নি। এখানে সেলের ভিতরে লোকটি মাহিয়াকে কি বলেছিল,সেটাও একটা রহস্য রয়ে গেল। আবার তার কথা অনুযায়ী অনেক কয়েদি আছে যারা বিনা অপরাধে জেল খাটতেছে। লোকটি যে কথাই বলে সেটার মধ্যেই রহস্য থাকে। পুলিশ অফিসাররা তাকে নিয়ে এক মহা জামেলায় পড়েছে। এই পর্বের লাষ্টের দিকে একজন অফিসার মোস্তাককে বলেছিল যে, ওই সেলের ভিতরে এমনিতেই জীন ভূতের ছায়া আছে তাই তাকে মেরে দিলে এ নিয়ে কোনো কেস হবে না। এই বিষয়টা যদি সেই অদ্ভুত লোকটাকে বলা যায়। হয়তো নিজের মৃত্যুর ভয়ে হলেও কোন তথ্য বের হতে পারে। তবে সে তো আবার কানে শুনে না। বলবেই বা কিভাবে,হা হা হা। এখন মাহিয়া কেন তার সাথে একা কথা বলতে চাই... সেটার মধ্যেও রহস্য লুকিয়ে আছে। দেখা যাক পরের পর্বে কোন তথ্য পাওয়া যায় কি না। ধন্যবাদ।
রহস্যময় ঘেরা এই ওয়েব সিরিজ। এই ওয়েব সিরিজ আমি দেখেছি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আজকে পঞ্চম পর্বের রিভিউ করলেন। আসলে মোস্তাক অনেকটাই টেনশনে পড়ে গেছে, এই মহিলা কিভাবে থানার ভিতরে আসলো।সিসি ফুটেজ সেখানে ছিলো না।তাই সে ধারণা করেছে পাশের বিল্ডিং থেকে হতে পারে। দেখা যাক এখন সামনের পর্বে কি হয়। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ওয়েব সিরিজ রিভিউ করেছেন দাদা।
দাদা আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে কারাগার ওয়েব সিরিজটার পঞ্চম পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই পর্বের রিভিউ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে দাদা। এখন তো দেখলাম কয়েদি ট্রান্সফারের বিষয়টা নিয়ে এখানে ঝামেলাটা হয়েছে। আমারও তো মনে হচ্ছে সামনের বিল্ডিং থেকে হয়তো এই ঘটনাটা কেউ ঘটিয়েছে। অর্থাৎ ভিডিওটা ওখান থেকেই হয়তো কেউ করেছিল। কারণ আশেপাশে যেহেতু কোন ক্যামেরা ছিল না, তাহলে কিভাবেই বা ভিডিওটা কেউ করবে। তাকে একা একা কথা বলতে দিলে কি হবে এটাই তো বুঝতে পারতেছি না, এখন এটাই দেখার বিষয়। পরবর্তী পর্বে আশা করছি এই বিষয় সামনে চলে আসবে দাদা। তাই এই পর্বটা পড়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পুরো কাহিনী সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আশা করছি শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব টা শেয়ার করবেন।
দাদা আপনার শেয়ার করা এই কারাগার ওয়েব সিরিজটার রিভিউ প্রতিনিয়তই পড়ে যাচ্ছি। আর এই ওয়েব সিরিজটার মূল কাহিনী রহস্যে ঘেরা। আপনি আজকে সিজন ১ এর পঞ্চম পর্ব নিয়ে সবার মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। মহিলাটিকে আবারও ইনভেস্টিগেট করার জন্য বলার কারণে মহিলাটি প্রথমে রাজি হয়নি দেখলাম। আর পুলিশ যখন সন্তান নিয়ে কিছু একটা বলেছিল তখন দেখলাম রাজি হয়েছিল সে। তাও আবার একা কথা বলার জন্য শর্ত দিয়েছিল। ওই অফিসার টা দেখছি মোস্তাককে আরেকটা খারাপ বুদ্ধি দিয়েছে। জেলের মধ্যে জিন ভূতের প্রভাব আছে, তাই তাকে মেরে দিলেও কিন্তু কোন কেস হবে না, এটা কিন্তু একেবারে ভুল বিষয়। আর এটা করাটাও কিন্তু একেবারে অন্যায় হবে, একেবারে উচিত হবে না। যাই হোক এই পর্বটার রিভিউ পড়ে আরো কিছু জানলাম। এখন পরবর্তী পর্ব টার জন্য অপেক্ষায় আছি শুধু। ধন্যবাদ দাদা এই পর্বটার রিভিউ ভাগ করার জন্য।
নিরপরাধ হয়েও কয়েদি হয়ে তারা সাজা পাচ্ছে এটা জেনে খারাপ লাগলো।তাছাড়া লোকটি রাতে কোথায় উধাও হয়ে যায় দাদা!এটা আসলেই রহস্যের আর কলা খাওয়ার বিষয়টি বেশ মজার।মাহিয়া হয়তো রহস্য উন্মোচন করতে পারবে,পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ দাদা।