মজাদার আলু- পেঁপে - ফুলকপির নিরামিষ ডালনা রেসিপি
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবারসহ বেশ ভালোই আছি। আজ আবারো আপনাদের সামনে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ অবশ্য অনেকদিন পর রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আশা করবো আজকের পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে। এই শীতকালটা অন্য কোন দিক ভালো লাগুক বা না লাগুক, একটা দিক বেস্ট লাগে সেটা হচ্ছে মজার মজার সব সবজি এই সময়ে পাওয়া যায়! তার মধ্যেই অন্যতম হচ্ছে ফুলকপি! আজ সেই ফুলকপির সাথে পেঁপে আর আলুর মিশেলে একটি নিরামিষ পদের রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। মাছ, মাংস, পেয়াজ - রসুন ছাড়াই এত্ত মজাদার রেসিপি এটি, এটি দিয়েই আজকের এক প্লেট ভাত সাবাড় করে দিয়েছি আমি। আসলে নিরামিষ পদ গুলো তো সাচরাচর করা হয় না, তাই অনেকদিন পর খেয়ে রীতিমতো নতুন করে এই রেসিপির ফ্যান হয়ে গেছি বলা যায়! তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন সরাসরি রান্নায় চলে যাই। তার আগে এক নজরে রান্নার উপকরণ গুলোও দেখে নেই....
উপকরণ সমূহঃ |
---|
ফুলকপি |
পেঁপে |
আলু |
টমেটো |
লবণ |
হলুদ |
সয়াবিন তেল |
মসলা ( আদা-বাটা, জিরা গুড়া, মরিচ গুড়া) |
গরম মসলা গুড়া |
শুকনো মরিচ, তেজপাতা, গোটা জিরা |
ঘি |
রন্ধনপ্রণালীঃ
ধাপ-১ :
প্রথমে আমি আলু, ফুলকপি, পেপে এবং টমেটো কেটে নিবো। ফুলকপি কিছুটা বড় করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২ :
এবারে একটি হাড়িতে গরম জলে লবণ দিয়ে সেই জলে মিনিট কয়েকের জন্য ফুলকপি গুলো ভাপ দিয়ে পরে জল ঝড়িয়ে নিবো।
ধাপ-৩ :
এবারে একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, গোটা জিরা, শুকনো লংকা দিয়ে ভালো করে ফোড়ন দিবো। তারপর কেটে রাখা আলু- পেপে দিবো দিয়ে ভালো করে ভাজতে থাকবো। আলু- পেপে তে কিছুটা রঙ ধরলে তার সাথে কেটে রাখা টমেটো কুচি যোগ করে ঢেকে কষিয়ে নিবো।
ধাপ-৪ :
টমেটো নরম হয়ে হালকা জল বের হবে। সাথে অল্প জল দিয়ে সকল বাটা এবং গুড়া মসলা গুলো দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকবো! পরিমাণ মতো লবণ ও যোগ করে নিবো। ভালো করে কষানো হলে, তারপর পরিমাণ মতো জল যোগ করে ফুটতে দিবো।
ধাপ-৫ :
আলু-পেপে অনেকটা সেদ্ধ হয়ে জল শুকিয়ে এলে সেই পর্যায়ে ফুলকপি গুলো যোগ করে দিবো। ভালো ভাবে ঝোল শুকিয়ে এলে গরম মসলা দিয়ে ফুটিয়ে নামিয়ে নিবো। নামানোর আগে অবশ্যই ১ চামচ ঘি যোগ করে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখবো। ব্যাস, মজাদার আলু-পেঁপে-ফুলকপির মজাদার নিরামিষ রেসিপি তৈরি!
পরিবেশনঃ
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শিক্ষাগত যোগ্যতা : একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
ফুলকপির নিরামিষ ডালনা রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ রায়হান ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
SuperWalk টাস্কের স্ক্রিনশট শেয়ার করবেন এখন থেকে।
আচ্ছা ভাইয়া। আমি গতকালকের টা এডিট করে যুক্ত করে দিচ্ছি।
দিদি এত সুন্দর রেসিপি খাবার মেনুতে থাকলে এক প্লেট কেন এক গামলা ভাব শেষ করে দিতে পারবো। একটি সবজি দিয়ে অনেক চমৎকার ডালডা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এ ধরনের নিরামিষ রেসিপি অবশ্যই অনেকদিন খাওয়া হয় না। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই। আমারো বেশ অনেকদিন পর এমন নিরামিষ ডালনা খাওয়া হলো!
একদম ঠিক বলেছেন আপু শীতের সময় আর কিছু ভালো লাগুক আর না লাগুক শীতের সবজি গুলো সবার কাছে খুবই প্রিয়। আলু ,পেঁপে ও ফুলকপি দিয়ে দারুন নিরামিষ রান্না করেছেন । যেটা খুবই পুষ্টিকর খাবার। অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপি তৈরি। সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রিপন ভাই।
অসাধারণ দিদিভাই আপনি অনেক সময় নিয়ে যত্নের সাথে শীতের সবজি আলু,পেঁপে, ফুলকপির নিরামিষ ডালনা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো সেই সাথে খেতে ইচ্ছে করছে। শীতকালটা আমার একমাত্র এই সবজির জন্যই বেশি ভালো লাগে। কারণ এই শীতকালে টাটকা টাটকা সবজি পাওয়া যায়। যাইহোক দিদিভাই আপনার রন্ধন প্রণালী এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আর এই রেসিপি দিয়ে অনেকগুলো ভাত খেয়ে নেয়া যাবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদিভাই সুস্বাদু এই রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সব তরকারিতে পেঁয়াজ রসুন আমার একদম ভালো লাগে না৷ আর অতিরিক্ত পেঁয়াজ রসুন কিন্তু শরীরের ক্ষতিও করে। আমিও তাই বেশিরভাগ সময়ই এই ভাবেই রান্না করি পেঁয়াজ রসুন ছাড়া। নিরামিষ আর আমিষ বললাম না কারণ পেঁয়াজ রসুন নিরামিষ আমিষের আওতায় পড়ে না৷ নিরামিষ আমিষের সংজ্ঞাটা আলাদা৷ সেটা আপনাকে পরে কখনও গল্প করতে করতে বলব। কেমন?
আমাদের এখানে পেয়াজ-রসুন ও আমিষের কাতারেই ফেলে। ছোটবেলা থেকে দেখে আসা আর কি! তবে আপনার থেকে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী বৈ কী!
আপু শীতের সময়ে বিভিন্ন সবজি দিয়ে এই নিরামিষ আমিও প্রায় সময় তৈরি করি। আমার খুব পছন্দের একটি সবজি। ভাত দিয়ে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি রুটি কিংবা পরোটার সাথে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। শীতের সময়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায় বলে এই রেসিপি খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যা, এই সবজি টা ভাতের সাথেও যেমন মজা লাগে, রুটির সাথেও বেশ মজা লাগে!