★চৈতি নামের শিশু ফুল বিক্রেতার গল্প★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। নতুন নতুন ব্লগ শেয়ার করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই আমি প্রতিদিনই চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু নিয়ে উপস্থিত হওয়ার এবং এই নতুন নতুন খুঁজতে গেলে আমাদের প্রতিদিনই বসার বাইরে বের হতে হয়। কিন্তু প্রতিদিনই তো বাইরে যাওয়া হয়ে ওঠে না তাই যখনই সুযোগ পাই আমি তখনই বাইরে বের হয়ে যায় নতুন কিছু দেখার উদ্দেশ্যে। আজ আমি বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বিকেলবেলা মনে হচ্ছিল একটু বাইরে গেলে ভালো লাগবে তাই রেডি হয়ে আমরা তিনজন মিলে চলে গেলাম বাইরে কোথাও ঘুরতে। আমরা ঢাকা ইউনিভার্সিটির ওই এলাকাতে সবসময় যাই আজও যথারীতি ওইখানে গেলাম। তবে আজকে ওইখানে গিয়ে ভিন্ন একটা জায়গায় আমরা গিয়েছিলাম ঢাকা ইউনিভার্সিটির রসায়ন বিভাগের ওই এলাকায়। ওইখানে গিয়ে আমরা একটা খোলা মাঠের ভিতর কিছু সময় বসে ছিলাম। সেখানেই একটি শিশু ফুল বিক্রেতার সাথে আমাদের পরিচয় হয়।
আমরা তো অহরহ রাস্তাঘাটে পথ শিশু দেখে থাকি বিশেষ করে ঢাকা শহরে ওলিতে গলিতে রাস্তাঘাটে যেখানেই যাবেন সেখানেই। আমরা যে এলাকাটিতে থাকি এখানে বেইলিরোডে গেলেই এ ধরনের পথ শিশুদের কে বেশি দেখা যায়। এরা রাস্তায় দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ই ফুল বিক্রি করছে কিংবা বেলুন বিক্রি করছে। আবার কিছু কিছু সময় অন্য জিনিসও বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে আমি বেশিরভাগ সময় ফুল আর বেলুন বিক্রি করতে দেখি। ছোট ছোট বাচ্চারা এ ধরনের কাজগুলো করে থাকে অনেক সময় অনেক অনেক ছোট বাচ্চাদের কেউ দেখা যায় বেলুন হাতে ওরা পেছন পেছন আসতেই থাকে। একটা বেলুন নিয়ে যান একটা বেলুন নিয়ে যান না নিতে চাইলেও বাধ্য হয়ে তখন নিতে হয়। বিশেষ করে আমার ছেলেটা বেলুন খুব একটা পছন্দ করে না তাই আমরা বেলুন খুব একটা নেই না। কিন্তু ওদেরকে দেখলে আসলে মায়াই লাগে কত ছোট ছোট শিশুরা যেখানে মা-বাবার কোলে থেকে আদর স্নেহে বড় হবে পড়ালেখা করবে অথচ রাস্তায় রাস্তায় তারা এগুলো বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। আবার দেখা গেল ওরা সন্ধ্যার পরে রাস্তার উপরই ঘুমিয়ে থাকে আজ তেমনি একটি শিশুর সাথে আমাদের পরিচয় হয়।
আমরা মাঠের ভেতর যখন বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন আমি দূর থেকে বাচ্চাটিকে দেখলাম যে সে অন্যদের সাথে বসে আছে। আমি তখন ওকে দেখে মনে মনে ভাবলাম বাচ্চাটা যাদের সাথে বসে আছে তাদের থেকে একেবারেই ব্যতিক্রম লাগছে। প্রথমে তাদেরই বাচ্চা মনে করেছিলাম পরে দেখলাম যে না মেয়েটি ফুল বিক্রি করছে। ফুল বিক্রি করতে করতে তাদের সাথে এমন ভাবে মিশে গিয়েছে যে মনে হচ্ছে না যে ও ফুল বিক্রি করছে। তার কিছুক্ষণ পরেই ও আমাদের কাছে আসল। মেয়েটাকে দেখতে এতটা কিউট লাগলো আমার কাছে দেখতে ভালই লাগছিল। তারপর আমাদের সাথে একেবারে বসে গেল । আমাদের ওর ফুলগুলো নেয়ার জন্য বলল। ওর এই ফুলগুলো আমার মনে হল ও আশেপাশে থেকে কুড়িয়ে এনেছে ফুলগুলোর চেহারা খুব একটা ভালো না তারপরও আমরা ফুলগুলো নিলাম।
আমার ছেলের সাথে তোলা ছবি
তারপর ওর কাছে ওর নাম জানতে চাইলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম তোমার নাম কি তখন ও বলল যে তুলনা। আমি বললাম কি তোমার নাম তুলনা তখন ও বলল যে আমার নাম তুলনা না আমার নাম চৈতি। এই ফুল গুলোর নাম তুলনা। তখন আমি বললাম তুলনা নামে কোন ফুল হয় নাকি তখন ওগুলো এই ফুল গুলোর নামই তুলনা। ও তখন আমার ছেলেটার দিকে দেখিয়ে বলল ওর নাম কি। তখন ওর নাম আমরা বললাম তখন ও আমার হাজবেন্ডের নাম জিজ্ঞাসা করল আমার নাম জিজ্ঞাসা করল বলে যে তোমাদের নাম কি। যা শুনে ভালোই লেগেছিল। মেয়েটা কত সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে কথা বলছে তারপর আমি ওকে জিজ্ঞাসা করলাম এটুকু মেয়ে ফুল বিক্রি করছ তোমার বয়স কত ও তখন বলল যে আমার বয়স ১৮ বছর। আমি তখন জিজ্ঞাসা করলাম তোমার বয়স ১৮ বছর বলে যে হ্যাঁ। আমি বললাম তোমার ১৮বছর এখনো বিয়ে হয়নি। বলে যে না আমার ১৮ বছর কিন্তু আমার বিয়ে হয়নি। আমি জিজ্ঞাসা করলাম তোমরা কয় ভাই বোন বলে যে আমার দুই ভাই আছে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম তুমি পড়ালেখা করো ও তখন বলল হ্যাঁ আমি পড়ালেখা করি আমি ABCD পড়ি। তখন আমার হাজব্যান্ড বললো তুমি ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ো বলে যে হ্যাঁ ।এটা শুনে আমরা খুব হাসাহাসি করলাম ও খুব আনন্দ পেল ।তখন আমরা যাওয়ার সময় ওকে ফুলগুলো আবার দিয়ে দিলাম বললাম যে নিয়ে যাও ফুলগুলো তুমি অন্য কোথাও বিক্রি করো। তখন ও বলল না এগুলো তোমরাই রাখ। কারণ আমরা টাকা দিয়ে ফুলগুলো কিনে নিয়েছি দেখে ও আর সেটা ফেরত নিবে না। আমি কতবার ওকে দেয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু ও ফুল গুলো না নিয়ে উঠে চলে যাচ্ছিল। তখন আমার ছেলেটাও ওকে ফুলগুলো বারবার দিচ্ছিল কিন্তু ও তারপরও নেয়নি। উঠে যাওয়ার সময় বললাম এসো আমরা একটা ছবি তুলি ও তখন উঠে দাঁড়িয়ে বলল আমি এই বাচ্চাটার সাথে একটা ছবি তুলব। তখন আমার ছেলেটা ওর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওর গলা ধরে একটা ছবি তুলল ও তাতে খুবই খুশি হলো এবং ও হাসতে হাসতে ওখান থেকে চলে গেল। এইটুকু একটা মেয়ে কি সুন্দরভাবে ফুল বিক্রি করছে আবার মানুষের সাথে কত সুন্দর ভাবে মিশে গিয়ে গল্প করছে। এ ধরনের শিশুদের দেখলে আসলে অনেক মায়া লাগে। কিছু কিছু বাচ্চাদের দেখলেই বোঝাই যায় না যে এরা ফুল বিক্রেতা, এই বাচ্চাটাও তার ভিতরে একজন ছিল।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
আসলে আপু ঢাকা শহরে এ ধরনের ছোট ছোট মেয়েদের ফুল বিক্রেতার অনেক দেখা যায়।এরা একটু ক্ষুধা নিবারণের জন্য এইসব ফুল গুলো বিক্রি করে থাকে। এই মেয়েটিকে দেখেন অনেক চমৎকার, ওকে আজ স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে ফুল বিক্রি করে বেড়াচ্ছে। এ মেয়েটি যে ফুলের নাম বললো তুলনা, আসলে এই নামে ফুল আমিও কখনো শুনিনি। মেয়েটির নাম খুব সুন্দর চৈতি। কিন্তু বয়স শুনে অবাক হলাম আাঠার বছর এতোটুকু মেয়ের বয়স আঠারো বছর কি করে সম্ভব? যাই হোক চৈতি নামের ফুল বিক্রেতা শিশুটির গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আপু আপনার ছেলেটাও কিন্তু অনেক কিউট। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাইয়া মেয়েটি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। ওর বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর হবে ও ছোট মানুষ বোঝে নাই তাই বলেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
নাম তুলনা না হলেও তুলনা নামটা কেনজানি ভালোই লাগলো😁।
তবে ওর বয়সের কথা জেনে অবাক হলাম,১৮ কিভাবে হয়!
দেখতে মাশাল্লাহ খুব সুন্দর ছিল।
আমাদের উচিৎ এই ফুলগুলোর প্রতি যথেষ্ট সহনশীল হওয়া।
আসলেই নামটা আমার কাছেও ভালো লেগেছে। ১৮ বছর ও এমনিতেই মনে হয় বলেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য দেওয়ার জন্য।
চৈতি সত্যি অসম্ভব একটি সুন্দর ফুটফুটে মেয়ে ৷ জানি না কেন এই ছোট্ট বয়সে এমন কাজ করতে হচ্ছে ৷ আসলে আমাদের দেশে দারিদ্র আর অভাব যা একটি ছোট্ট শিশুর জীবনে প্রভাব ফেলেছে ৷ যেটা সত্যি কষ্ট দায়ক ৷ যে বয়সট তে তার স্কুলে পড়ে আনন্দ জীবন কাটানোর কথা ৷ কিন্তু তা পুরোটাই ভিন্ন ৷
যা হোক খুব ভালো করেছেন ৷ ফুল কিনেছেন ৷
আর মেয়েটি অনেক কিউট ৷
অভাবের কারণে এসব ছোট ছোট বাচ্চারা রাস্তায় ফুল বিক্রি করে। আজকে যেখানে ওদের পড়ালেখা করার কথা সেখানে ওরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো ছোট্ট এই ফুল বিক্রেতার গল্পটি শুনি। দেখলে বুঝা যাচ্ছে মেয়েটির সঙ্গে আপনারা যেমন মিশে গেছেন, মেয়েটিও আপনাদের সঙ্গে মিশে গেছে। মেয়েটি আসলেই বেশ মিশুক। তবে ওর আঠারো বছর বয়স ,ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার ব্যাপারটা কি মজার ছলে বলেছে নাকি??
হ্যাঁ আপু ও মজার ছলেই বলেছে ও তো বুঝে নাই যেটা জিজ্ঞেস করেছি সেটাতে ও হা হা করেছে। আর ১৮ বছর বলে ও খুব হাসি দিচ্ছিল হয়তো বুঝে না যে ১৮ বছর কতটুকু।
সত্যি ঢাকা শহরে এরকম অনেক ছোট ছোট বাচ্চা আছে যারা পথে-ঘাটে বিভিন্ন রকমের জিনিস বিক্রি করে তাদের দিন চালায়। খিদার কষ্টে তারা কিছু না করতে পেরে ফুল সহ আরো বিভিন্ন রকম জিনিস বিক্রি করে। যেমন এই বাচ্চাটির কথা আপনি বললেন। কোথায় তারা বাবা মায়ের আদর স্নেহে বড় হবে এবং পড়ালেখা করবে তারা রাস্তায় রাত হলে ঘুমিয়ে পড়ে এবং সকাল হলে তাদের কাজে বেরিয়ে যায় সত্যি এরকম আমাদের সমাজে অনেক রয়েছে। ঢাকা শহরে ওলিতে গলিতে এরকম ছোট বাচ্চাদের বেশি দেখা যায়। এই বাচ্চাটি তো দেখছি খুবই মিষ্টি দেখতে। বাচ্চাটি যেমন সুন্দর তেমন নামটিও তেমনি সুন্দর চৈতি। এরকম বাচ্চাদের দেখলে খুবই মায়া হয় তাদের জন্য। এই মেয়েটিকে নিয়ে আপনি খুবই সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন। একটা কথা বলার ছিল এই বাচ্চা মেয়েটির বয়স কিভাবে ১৮ হয়। এটা শুনে একটু বেশি অবাক হলাম আমি। এই ছোট ছোট বাচ্চাগুলো সবার সাথে খুবই মিশে যায় অল্প সময়ের মধ্যে।
বাচ্চা মানুষ বুঝে নাই তাই ১৮ বলে ফেলেছে। নামটি আসলেই সুন্দর ও দেখতেও অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
শহরের পথে ঘাটে কত মানুষ যে ঘুরে বেড়ায় কে জানে। খিদার জ্বালায় মানুষ কত কিছুই না করতে পারে। আমি যখন এরকম পথে ঘাটে শিশুদেরকে দেখি তখন আমার খুব খারাপ লাগে। কারণ তারা না খেয়ে-দেয়ে কত যে দিন রাত কাটিয়ে দেয় কে জানে। বিশেষ করে শিশুটির হাতে ফুল আর হাসি মুখটা দেখে আমার খুব মায়া হচ্ছিল। আপনি মেয়েটা থেকে কিছু ফুল নিলেন সেটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। আপনার গল্পটা পড়ে খুবই আবেগভুত হয়ে গেলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন আপু এই ধরনের ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখলে আসলেই অনেক কষ্ট লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনি আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
মেয়েটা অনেক কিউট তো। আসলে অভাবের তাড়নায় মানুষের কত কিছুই না করতে হয়। ওর থাকার কথা স্কুল এ অথচ অভাবে পরে ফুল বেচতে হচ্ছে। আপনারা মেয়েটির সাথে অনেক কথা বলেছেন জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করি মেয়েটির পরিবারের সকল প্রব্লেম যেনো ঠিক হয়ে যায়।
তা ঠিক বলেছে মেয়েটি আসলেই অনেক কিউট ছিল দেখলেই মায়া লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
পথের শিশুরা পথে পথে ঘুরে ফুল বিক্রি করে অনেকে আবার বেলুন বিক্রি করে। তারা দুইবেলা ঠিকমতো খাওয়ার জন্য এইসব কাজ করে। পথশিশুদের দেখলে খারাপ লাগে। ওদের এখন লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। আজ ওরা দুইবেলা খাওয়ার জন্য রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ফুল বিক্রি করছে। চৈতি মেয়েটাকে দেখতে মাশাল্লাহ। ওরা অল্পতেই লোকজনের সাথে মিশতে পারে।
ঠিকমত একটু খাওয়ার জন্যই এসব শিশুরা এবং ওদের মা-বাবারাও দেখি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। চৈতি মেয়েটা দেখতে আসলেই অনেক কিউট ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে এই ধরনের পথশিশুদের দেখা যায়। যারা কেউ ফুল বিক্রি করে আবার কেউ বেলুন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আসলে এরকম পথ শিশুদেরকে দেখলে আমারও মন খুব খারাপ লাগে। এই বয়সে তারা মা-বাবার আদরে কোলে থাকার কথা কিন্তু পেটের দায়ে তারা খিদের জ্বালায় তারা পথে ঘাটে ফুল এবং বেলুন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। মেয়েটি দেখতে আসলে অনেক কিউট। আর তার আঠারো বছর বয়স খুবই মজার।
ঢাকা শহরের রাস্তায় বের হলে এসব বাচ্চাদেরকে দেখা যায় অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে আজকাল, দেখলেই খারাপ লাগে ।আসলেই ১৮ বছর বয়সটা শুনে আমারও অনেক মজা লেগেছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।