স্বাস্থ সচেতন আমি
ছোট তে সবাই একটা ভাব সম্প্রসারণ সবাই পড়েছি,"স্বাস্থই সকল সুখের মূল"/স্বাস্থ্যই সম্পদ। আমার খুবই প্রিয় ভাব সম্প্রসারণ ছিল।কারন বেশ সহজ ছিল আর বানিয়ে বানিয়ে নিজের ইচ্ছামত বড় করা যেত। তাই প্রশ্নে এটা দেখলেই খুশি হয়ে যেতাম। কিন্তু স্কুলে শেখা অধিকাংশ জিনিসের মতই এটাও কখনো বাস্তব জীবনে অ্যাপ্লাই করার সুযোগ পাই নি।
সুযোগ পাইনি বলতে ভুল বলা হবে,কথাটা যে কতটা মারাত্মক সত্য তা উপলব্ধি করতে পারি নি।যদিও আমি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি,তবে গত কয়েকমাস হতে সকাল বেলা হাটতে যাওয়া হচ্ছিল না। আমি আগে প্রায় নিয়মিত হাটতাম। এই হাটাহাটি বাদ দেওয়ার ফলে ওজন বাড়তে শুরু করে। আর ওজন বাড়ার সাথে সাথে শরীরের স্বাভাবিক ক্ষিপ্রতা হ্রাস পেতে থাকে৷ খালি ক্ষিপ্রতাই নয় শরীর অনেক ভারি হয়ে যায়,একটু হাটতেই বা পরিশ্রমেই হাপিয়ে উঠতাম।সারাদিন ক্লান্ত লাগত।
আমি বুঝতে পারছিলাম আবার হাটাহাটি শুরু করা দরকার কিন্তু ঐযে আলসেমি এর জন্য শুরুই করতে পারছিলাম না। কিন্তু কয়েকদিন আগে একটি কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম আমার ফিটনেস কতটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেদিনই ঠিক করে নিলাম ডায়েট আর এক্সারসাইজ শুরু করব। সৃষ্টিকর্তাও হয়ত সেটাই চাইত,সেদিন জানতে পারলাম আমার মামার ক্লিনিকে একজন নিউট্রিসনিস্ট বসবে।সাথে সাথেই একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিলাম।
কারন আন্দাজে ডায়েট করলে অনেক সময় হিতে বীপরীত হয়।যথা সময়ে দেখা করলাম নিউট্রিসনিস্ট এর সাথে।উনি সব পরীক্ষা করে বললেন আমার BMI ঠিকঠাক আছে তবে অতিরিক্ত চিনি খেতে নিষেধ করলেন আর সকাল বেলা হাটাহাটি করতে বললেন। ব্যাস ইচ্ছা আগে থেকেই ছিল,উৎসাহও পেয়ে গেলাম এবার। তারউপর কয়েকদিন আগে একজোড়া দারুন কেডস পেয়েছি উপহার হিসেবে।সব মিলিয়ে আর আলসেমি করার অবকাশ ছিল না।
তাই আজ থেকেই শুরু করলাম হাটাহাটি। আমাদের এদিকে মোটামুটি ঠান্ডা পড়েছে। সকাল সকাল দুষণমুক্ত ঠান্ডা বাতাসে হাটতে বেশ ভালই লাগছিল,সেই সাথে সকালের স্নিগ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মনটাও ভরে উঠছিল।তবে একটা বিষয়ে মন একটু খারাপ হল,আগে না থেমেই তিন কি.মি একটানা দৌড়াতে পারতাম।এই কয়েক মাস গ্যাপ দেওয়ার ফলে সেটা নেমে এসেছে ৫০০মিটারে।যাই হোক আশা করি নিয়মিত সকালে বেরোতে পারলে আবার আগের মত দৌড়াতে পারব।
আপনারাও আলসেমি ত্যাগ করুন।সকাল সকাল হাটাহাটি শুরু করুন চারদিকে হৃদরোগ যেন মহামারি আকার ধারন করেছে। অথচ একটু সাবধানতা অবলম্বন করলেই এই মহামারি থেকে অনেকটা নিরাপদে থাকা যায়। সকালে হাটাহাটি সম্ভব না হলেও ঘরে বসেই ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। নিজের খেয়াল রাখুন,মনে রাখবেন স্বাস্থ্যই সম্পদ।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
খুব ভালো লাগলো পোস্ট টি পড়ে।আসলে আমাদের সবার উচিস হাটা এবং হাটার সাথে সাথে ডায়েট করা।আমি ডায়েট করতে পারি কিন্তুু হাটতে যাই না তাই এক ফোটাও ওজন কমে না আমার। ভালো লাগলো পোষ্টি পড়ে।তুমি পারবে।শুভ কামনা রইলো তোমার জন্য।
হাটাহাটি শুরু করে দিন।নইলে আবার নতুন মামি আনতে হবে।হাহাহা। ধন্যবাদ মামি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আরে আমি তো জানতাম আপনার মধ্যে কোন আলসেমি নেই। আপনি অনেক স্বাস্থ্য সচেতন একজন মানুষ। কিন্তু এখন তো দেখছি আমার মত আপনিও বেশ আলসে। আমি কিন্তু একদম চিনি খাইনা। তবে হাটাহাটি আমি করতেই পারি না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে কিন্তু হাটাহাটি যে করতে হবে সেটা বেশ বুঝতে পারছি। দারুন ছিল আজকের পোস্টটি।
কিছুদিনের জন্য অলস হয়ে গেছিলাম।অচিরেই হাটাহাটি শুরু করুন।
আমাদের সকলেরই নিজের স্বার্থের ব্যাপারে সচেতন। আসলে যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রেই যদি ধারাবাহিকতা বজায় না রাখা যায় তাহলে সেটার পরিমাণ কমে যায়। যেমনটা আপনার ক্ষেত্রে ঘটেছে তিন কিলোমিটারের জায়গায় এখন মাত্র ৫০০ মিটার হাঁটতে পারেন। আবারো চেষ্টা করুন ভাইয়া আশা করি দ্রুত আগের জায়গায় পৌঁছে যেতে পারবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।