আলোচ্য বিষয়
মাঝে মাঝেই কিছু বিষয় হঠাৎই এমন ভাবে নিজেকে ভাবিয়ে তোলে, যেন তৎক্ষণাৎ মনের ভিতরে কিছু কথার উদয় হয়, ইচ্ছে হয় সেসব কথা মুক্তভাবে প্রকাশ করতে। তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে অনেক সময় অনেক কথাই বলতে ইচ্ছে করে না, আসলে কিছু কথার তেমন কোন উপসংহার থাকে না, শুরুতেই সেই সব কথার উত্তর বুঝে নিতে হয়।
আমরা মনে হয় অন্য ধাতু দিয়ে গড়া, আমরা মুহূর্তেই ভুলে যাই, কোন পরিবেশে কোন অবস্থানে, নিজেকে কিভাবে উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের আত্মসম্মানবোধ এতটাই তলানিতে চলে গিয়েছে যে, যার কারণে মুহূর্তে মুহূর্তে আমরা নিজেদের রূপ পরিবর্তন করে ফেলি ।
হোক সেটা কর্মস্থল নতুবা যে কোন স্থানে। কেননা আমরা ক্রমেই ভুলে যাই প্রতিটি জায়গার অভ্যন্তরীণ পরিবেশের অবস্থা। শুধু চেষ্টায় থাকি কিভাবে সময় সুযোগ পেলে, নিজের চাহিদা মিটিয়ে ফেলবো এই ধান্দাতে। অজুহাত যেখানে আধিক্য, সেখানে আসলে সঠিকভাবে কর্মে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই ক্ষীণ।
প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমরা পিছিয়ে পড়ি, হারিয়ে যাই বা তলানিতে থাকি, তার একটাই কারণ কেননা আমরা প্রতিনিয়ত শর্টকাট খুঁজি। জীবনে সত্যিই শর্টকাট বলে কিছু নাই বা যারা জীবনে শর্টকাটে কোন কিছু পেয়েছে, তাদের কাছে সেই প্রাপ্তির মর্ম খুব একটা বেশি গুরুত্ব পায় না।
অনেককেই চিনি বা অনেককেই জানি, সেটা হোক বাস্তবে বা ভার্চুয়াল জগতে, তারা সর্বদাই পরিশ্রম করে যাচ্ছে, সেটা খুবই কঠোর পরিশ্রম। অনেকটা নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য। আর এই এককভাবে লেগে থাকা , কঠোর পরিশ্রম করা বা নিজের মেধা খাটিয়ে যারা কাজ করে যাচ্ছে, তারাই মূলত একটা সময় গিয়ে সফল হয়ে যায়।
তবে আমাদের মানসিকতা বড্ড লোভী আর আমরা ভেতর থেকে পচেও গিয়েছি ঠিক তেমনটা। আমাদের কোন জায়গাতেই স্থিরতা নেই, লেগে থাকা নেই, চেষ্টা নেই, শুধু আছে অজুহাত আর বাড়তি প্রত্যাশা। সবমিলিয়ে আমরা আর আমরা নেই। পড়ে গিয়েছি গোলক ধাঁধার ভিতরে। তাহলে এ থেকে মুক্তির উপায়।
ঐ যে লেখার শুরুতেই বললাম, কিছু কথার উপসংহার টানা যায় না বরং সেগুলোর উত্তর শুরুতেই বুঝে নিতে হয় এবং দ্রুত বুঝে কর্মে মনোনিবেশ করে, নিজেকে কর্মের মাধ্যমেই সব জায়গাতে পরিপক্ক ভাবে প্রকাশ করাটাই তো বুদ্ধিমানের কাজ। সুবুদ্ধি উদয় হোক সবার।
নিজের মনগড়া সমস্যাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার না করে, তারচেয়ে বরং মেধাকে সঠিক কাজে লাগানোই শ্রেয়। তাতে হয়তো শর্টকাটে কোন কিছু হাসিল হবে না বরং যা দেরিতে পাওয়া যাবে, তা হয়তো দীর্ঘমেয়াদী সফলতার ভূমিকা হিসেবে নজির রাখবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
আসলেই আমরা মানুষরা ক্ষনে ক্ষনে বদলাই।আর সব সময়ই শর্টকাট খুঁজি। আমরা কিছু মানুষ আছি পরিশ্রম করতে নারাজ।কিন্তু পরিশ্রম করে যেটা অর্জন করে যে আনন্দ পাওয়া যায় শর্টকাট অর্জন করে সেটা পাওয়া যায় না।তবে এটা ঠিক কিছু কিছু কথার উপসংহার নেই। ভালো লাগলো কথাগুলো।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু, আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1700106496762380453?t=w8xtfh41JAjg2F315t5pcQ&s=19
এককথায় দুর্দান্ত লিখেছেন ভাই। আপনি সবসময় বাস্তবসম্মত কথা লিখেন। যা প্রতিটি মানুষের জীবনে খুব প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আমরা সবাই জীবনে উন্নতি করতে চাই। তবে এখনকার বেশিরভাগ মানুষই শর্টকাট উপায়ে উন্নতি করতে চায়। সেজন্য অসৎ উপায় বেছে নিতে তারা দ্বিধাবোধ করে না। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে অন্যকে ঠকাতেও তারা পিছপা হয় না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মানুষ হওয়া সহজ না রে ভাই, তবে চেষ্টা করতে অসুবিধা কোথায়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে ইদানিং এই বিষয়গুলো অনেক বেশি পরিমাণে লক্ষ্য করছি। কেউ পরিশ্রম করতে চায় না শর্টকাটের মাধ্যমে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। এই সুবিধা বাদি লোকগুলোকে ইদানিং খুব বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। সবশেষে বলতে চাই সবার সু বুদ্ধির উদয় হোক এবং নিজের কর্ম ও প্রচেষ্টা দিয়েই নিজে সফলতা অর্জন করুক। ধন্যবাদ।
এমনটা আপু আমিও চাই, সকলের সুবুদ্ধির উদয় হোক। 🙏