পিঠা উৎসব
যেহেতু বিগত ব্লগে আমি লিখেছিলাম, দোলন ভাইয়ের স্কুলে দাওয়াত পেয়েছি পিঠা উৎসবের, তাই গতকালকের সময়টা কেটে ছিল পিঠা মেলায়।
এই প্রান্তিক অঞ্চলেও পিঠা উৎসবকে ঘিরে নানা রকম আয়োজন করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন ভাবে স্টল গুলো সাজিয়েছিল। বলতে গেলে একই জায়গায় অনেক কিছু সংমিশ্রণ ছিল। শিশুতোষ বই-দেশীয় পিঠার স্টল থেকে শুরু করে দেশীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা ছিল।
ভিডিও লিংক
প্রচুর লোকজনের সমাগম ছিল সারাদিনব্যাপী, তাছাড়া আমার গিন্নি নিজেও এই প্রথম পিঠার দোকান দিয়েছিল উক্ত মেলায়। ইচ্ছে ছিল সারাদিন তার সঙ্গে থাকবো, তার বানানো পিঠেগুলো স্টলে উপস্থিত থেকে বিক্রি করব,তবে কর্মব্যস্ততার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
একদম পড়ন্ত বেলায় মেলায় গিয়েছিলাম, তখনো দেখছিলাম অনেক দর্শনার্থী ছিল, গিন্নি যে প্রচুর ব্যস্ত সময় পার করছিল, তা তার কর্মকাণ্ড দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।
বহুদিন বাদে যেহেতু দোলন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তাই তার সঙ্গে অনেকটা সময় খোশগল্প করে ছিলাম, তাছাড়া মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছিলাম, জানার চেষ্টা করেছিলাম তাদের অনুভূতি।
সময়ের বিবর্তনে সবকিছুতেই পরিবর্তন লেগেই আছে , বিগত সময়ে কখনো তেমনটা এমন আয়োজন ছিল না এই প্রান্তিক অঞ্চলে , তাছাড়া এমন আয়োজন বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলের।
আপামর সর্বস্তরের লোকজন এসেছিল মেলায় , বিশেষ করে বাচ্চাদের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। বাচ্চাদের কোলাহলে যেন মুখরিত হয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণ।
আমি ঘুরেছি ফিরেছি, সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি এবং বিভিন্ন স্টলে স্টলে গিয়ে পিঠাও খেয়েছি। দোলন ভাইয়ের স্কুলের পিঠা উৎসবের কথা মনে থাকবে বহুদিন অবধি, তাছাড়া গিন্নি যে আমার দিন দিন বিভিন্ন রকম চিন্তাভাবনা করতে শিখছে, এটার জন্য কিছুটা গর্ববোধ হচ্ছে নিজের কাছে।
যাইহোক, মেলায় কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে ভিডিও ও ছবি দেওয়ার চেষ্টা করলাম, আশাকরি ভালো লাগবে সকলের।
জীবন হোক আনন্দময়, ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দোলন ভাইয়ের দাওয়াতে সুন্দর একটা এটা উৎসবের মেলাতে গিয়ে আপনি বেশ মজা করেছেন বুঝতে পেরেছি।পিঠে উৎসব আমাদের বাঙালির একটা ঐতিহ্য। এরকম অনুষ্ঠানে বাঙালিয়ানা খুব ভালোভাবে প্রকাশ পায় ।আপনি সহজ ভাষায় চমৎকার বর্ণনা করেছেন।
ধন্যবাদ আপু, আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য। এটা সত্য, সময়টা আসলেই বেশ ভালো কেটেছে।
অনেক লোকের মিলনমেলা হয়েছিল মনে হচ্ছে, সাথে বিভিন্ন রকমের এবং স্বাদের পিঠা।
বেশ ভাল সময় কেটেছে নিঃসন্দেহে আপনাদের।
একদম মনের কথা বলেছেন ভাই , সময়টা আসলেই বেশ ভালো কেটেছে।
ভাবি আপনারা কিন্তু সাজুগুজু করেছেন ভালোই, এই যে পছন্দের একটা ডায়লোগ পেয়ে গেলাম ভাই ভিডিওগ্রাফি থেকে হা হা হা। যাইহোক ভিডিওগ্রাফিটি দারুন লেগেছে কেননা স্টল গুলোতে আপনি নিজে গিয়ে কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন বিষয়গুলো দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাছাড়া ভাবি ও দেখতেছি ভালোই প্রিপারেশন নিয়েছিল পিঠা উৎসবের জন্য। বেশ কিছু কথা লিখে শেয়ার করেছেন পোস্টে। সব মিলিয়ে পিঠা উৎসব উপলক্ষে করা আপনার আজকের ব্লগটি দারুন ছিল।
আপনার ভাবী সারারাত ধরে অনেক পিঠা বানিয়েছিল , বলতে গেলে ভালোই প্রস্তুতি নিয়েছিল।
পিঠা উৎসব এটা এত সুন্দর মেলা দেখে তো আমারই জিভে জল এসে গেল। অসাধারণ এই মেলায় তো দেখছি অনেক রকমের পিঠা বিক্রি হচ্ছে। আর এখানে হীরা ভাবি দোকান দিয়েছে শুনে আরো ভালো লাগলো। পারলে ভাবীর থেকে দুটো পিঠা খেয়ে চলে আসতাম। দারুন সুন্দর এই লোভনীয় পোস্ট টি শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো লাগলো ভাই আপনার মতামত দেখে, এটা সত্য অনেক রকম দেশীয় পিঠার আয়োজন ছিল মেলাতে।
পিঠা উৎসব অনুষ্ঠান দেখে তো একদম মন ছুঁয়ে গেল। এত রকমের পিঠা দেখে মনে হচ্ছে যেন স্বাদে ভরা এক সাগর। হীরা ভাবির দোকানটা তো আরও মজার কথা, ভাবী যে পিঠা বানান, সেটা তো সবাই জানে। খালি ইচ্ছা হচ্ছে একবার গিয়ে তার পিঠা খেয়ে আসি। এমন সুন্দর এবং লোভনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
দাওয়াত দিলাম আপু, চলে আসেন বাড়িতে, এসে পিঠা খেয়ে যান।
ভাই সম্পূর্ণ ভিডিওটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। দোলন ভাইকে অনেক দিন পর দেখলাম। দোলন ভাই এবং উনার ওয়াইফ বেশ গুছিয়ে কথা বলেছেন। তাছাড়া হীরা আপুর পিঠা স্টলটা দেখে খুব ভালো লাগলো। মানুষের আনাগোনা তো দেখছি প্রচুর ছিলো। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বরাবরের মতোই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভাই, আমি আপনার কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ।
এটা যেন কোন একটি পোস্টে পড়েছিলাম যে আপনার গিন্নি মানে আমাদের ভাবী পিঠা উৎসবে অংশ গ্রহণ করেছে। যাই হোক এমন একটি অনুষ্ঠান জানলে তো আমি নিজেও খাতা বালিশ নিয়ে দৌড় দিতাম। যাই হোক আপনার অনুভূতি গুলো বেশ ভালোই লাগলো। ভালো লাগবেন সব সময়।
পিঠা উৎসবের মুহূর্তগুলো দুদিন আগেই আমি আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখেছিলাম।দেখে খুবই ভালো লেগেছিলো।মাঝে মাঝে এরকম আনন্দ অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করতে পারলে মানসিকভাবে বেশ ভালো থাকা যায়।আর আপনার বন্ধু দোলন ভাইয়ের সাথে অনেকদিন পর দেখা হওয়াতে, আপনার মুহূর্তগুলো যে আরো অনেক বেশি সুন্দর হয়ে উঠেছিল তা বোঝাই যাচ্ছে।সুন্দর মুহূর্তগুলো ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।