ধনে পাতার চাটনি রেসিপি❤️
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
ধনেপাতা শীতকালে তরতাজা একটি শাক।দেখেই লোভ লেগে যায়।ধনেপাতা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে কিডনিতে পাথরে ধনেপাতা ঔষধি কাজ দেয়।আমার কিডনিতে পাথর ছিলো এবং অপারেশন হয়েছে। মাঝে মাঝে ব্যাথা করে।অনেক সময় না কি অপারেশনের পরে পুনরায় পাথর হয় তাই খুব ভয়ে আছি।
কিডনি রোগের ভালো কাজ দেয় ধনেপাতা জানার পর ভাবছি এবার অনেক ধনেপাতা খাবো আর তাই একদিন ধনেপাতা ভর্তা করেছিলামও একদিন ধনেপাতার পাকোড়া বানিয়েছি।
আজকে বর বাজার থেকে তরতাজা ধনেপাতা এনেছে কিনে।তরতাজা ধনেপাতা গুলো দেখে খুব মনে পড়ে গেলো দিদু বানিয়ে খেতেন এই ধনেপাতার চাটনি সে কথা।খেতে মন চাইলো বানিয়ে তাই বানিয়ে ফেল্লাম ধনেপাতার চাটনি।
এভাবে ধনেপাতার চাটনি করে ভাত খেলে মুখের রুচি বেড়ে যায় আবার চিতই পিঠা দিয়েও খেতে অনেক মজা লাগে।খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় মুখরোচক ধনেপাতার চাটনি রেসিপিটি।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
১.ধনেপাতা |
---|
২.জলপাই |
৩.লবন |
৪.সরিষার তেল |
৫.কাঁচা মরিচ |
প্রথম ধাপ
প্রথমে ধনেপাতা ধুয়ে পরিস্কার করে জল ঝড়িয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন ধনেপাতা শিল পাটায় নিয়েছি ও বেটে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন কাঁচা মরিচ বেটে নিয়েছি ধনেপাতার সাথে।
চতুর্থ ধাপ
এখন লবন ও জলপাই বেটে নিয়েছি ধনেপাতার সাথে।
পঞ্চম ধাপ
এখন সরিষার তেল দিয়েছি ও মেখে নিয়েছি। মাখা হয়ে গেলে পরিবেশের জন্য তুলে নিয়েছি।সরিষার তেল ও জলপাই এই চাটনির মূল।জলপাই না থাকলে লেবু কিংবা তেতুল দিয়ে ও খেতে ভালো লাগে।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মুখরোচক ধনেপাতার চাটনি রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আমার বাবাও এই চাটনিটা খুব ভালোবাসে খেতে৷ আমাদের এখানে জলপাই তো খুব একটা পাওয়া যায় না৷ তাই টকদই বা তেঁতুল দিয়ে করি৷
মেসো মসাই এই চাটনি ভালোবাসতেন জেনে ভালো লাগলো।যে কোন টক দিয়েই খাওয়া যায় দিদি।আমারও অনেক পছন্দের এই চাটনি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এখন হতে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন এই টাস্কগুলো কমপ্লিট করতে হবে এবং কমেন্টে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে হবে।
https://steemit.com/hive-129948/@rex-sumon/very-important
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপু আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধনে পাতার চাটনি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আসলে মাঝেমধ্যে আমাদের বাড়িতেও এই ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয় খেতে বেশ মজা লাগে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার বাড়িতেও এরকম রেসিপি করা হয় জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ধনিয়া পাতার ভর্তা খেতে অনেক মজা লাগে। ধনিয়া পাতা যে কিডনির উপকার করে এটা জানা ছিলো না। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আপনার পোস্ট দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে ধনে পাতার চাটনি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার হাতে তৈরি করা ধনে পাতার চাটনি রেসিপি টি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে।
ধনেপাতার এমন চাটনি আমার ভীষণ প্রিয়। আপনি দারুন সুন্দর ভাবে রেসিপিতে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ ধারণাটি উপস্থাপনা করলেন। খুব সহজে এমন লোভনীয় একটি চাটনি বানানো যায়। আমি মাঝে মাঝেই তৈরি করে খাই।
ধনিয়া পাতা দিয়ে চাটনি তৈরি করা যায় এটা তো আমার জানাই ছিল না। তবে যে কোন রেসিপিতে ধনিয়া পাতা দিলে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর এটার ভর্তাটাও বেশ মজা। এভাবে কখনো তৈরি করা হয়নি। যেহেতু এখন ধনিয়া পাতার সিজন চলছে তাই একদিন ট্রাই করে দেখবো রেসিপিটা। ভিন্ন ধরনের রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ধনিয়া পাতা কেন জানি আমি খেতে পারি না। তবে দেখতে খুবই লোভনীয় লাগে। এই যেমন ধনিয়া পাতার চাটনি বানিয়েছেন যেটা দেখতে খুবই লোভনীয় এবং সুস্বাদু মনে হচ্ছে কিন্তু আমি এটা একদমই খেতে পারি না। আমি শুনেছি এটা যারা খেতে পারে তাদের কাছে খুবই প্রিয় একটি খাবার। যাইহোক ধন্যবাদ ধনিয়া পাতার চাটনি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।