কাঁচকি শুটকি ভুনা রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
শুটকি মাছ আমার অনেক পছন্দের তবে খুব একটা খাওয়া হয় না।ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের বাড়িতে কখনো শুটকি মাছ উঠতো না এবং যদি কেউ শুটকি মাছ খেতো তাহলে আমার দিদু তা খুব খারাপ চোখে দেখতো।
আমার কাকার বিয়ের পর এবং আমরা যখন বড়ো হয়েছি তখন শুটকি মাছ খেতে মন চাইলো আমার ছোটমা মানে কাকিমার উৎসাহে।দিদু তো পছন্দ করে না খাওয়া এদিকে লুকিয়ে শুটকি মাছ রান্না করার কোন উপায় নেই কারণ শুটকি এক বাড়িতে রান্না করলে পুরা গ্রাম ছড়িয়ে পড়ে গন্ধ।
একদিন দিদু বাড়িতে ছিলো না মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিল আর সেই সুযোগে ছোট মা শুরকি রান্না করেছিলো আলু বেগুন দিয়ে। খেয়ে ভীষণ ভালো লেগেছিল আর তখন থেকে লুকিয়ে দিদু বাড়িতে না থাকলে খেতাম।আস্তে আস্তে দিদু জেনে গেছে এবং কিছু বলেনি বলেছিলো খাবারটা রুচির বিষয় যদি কারো রুচি হয় খেতে পারে সমস্যা নেই আর তারপর থেকে প্রকাশ্যে খাওয়া হয় শুটকি তবে মাসে ছয় মাসে একদিন।
এখনো নিয়মিত নয় তিনমাস ছয়মাস পড় খাই শুটকি।বরকে বলেছিলাম চেলা মাছের শুরকি আনতে কিন্তুু সে এনেছে কাঁচকি মাছ।কাঁচকি মাছ ছোট সাইজের জন্য ভুনা বেশ সুন্দর হয়। ভুনা রান্না করেছিলাম এবং অনেক মজা করে খেয়েছে সবাই।
তো চলুন দেখা যাক কাঁচকি মাছের ভুনা কেমন।
১.কাঁচকি শুটকি মাছ |
---|
২.পেঁয়াজ কুচি |
৩.পেঁয়াজ বাটা |
৪.রসুন বাটা |
৫.আদা বাটা |
৬.মরিচের গুড়া |
৭.হলুদের গুড়া |
৮.লবন |
৯.কাঁচা মরিচ |
৯.রসুনের কোয়া |
প্রথম ধাপ
প্রথমে শুটকি মাছ গুলো জ্বাল করে নিয়েছি ও তা ভালো করে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাঁতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও আগে থেকে ধুয়ে রাখা কাঁচকি মাছ গুলো দিয়েছি তাঁতে লবন হলুদ দিয়েছি ও নারাচারা করে ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখ মাছ ভাজা তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিয়েছি ও তা ভেজে নিয়েছি। বেশি সময় ভাজিনি পেঁয়াজ কুচি গুলো নরম হয়ে এসেছে আর তখনি বাটা সব গুলো উপকরণ দিয়েছি ও কষিয়ে নিয়েছি খুব ভালো করে।
চতুর্থ ধাপ
এখন কষানো উপকরণে রসুনের কোয়া ও কাঁচামরিচ গুলো দিয়েছি ও আগে থেকে ভেঁজে রাখা শুটকি মাছ গুলো দিয়ে জ্বাল করে নিয়েছি। এই রেসিপিটিতে তেলের পরিমাণ বেশি লাগবে আমি জল ছারা শুধু তেলেই রান্না শেষ করেছি।
পঞ্চম ধাপ
কিছু সময় জ্বাল করে নিয়েছি ও হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার সুস্বাদু কাঁচকি শুটকি মাছের মজাদার রেসিপিটি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
কাঁচকি মাছ ও কাঁচকি মাছের শুটকি ভুনা দুটোই খেতে আমি খুব পছন্দ করি।এরকম শুটকি ভুনা খেতে গিয়ে না পছন্দ করে।তরকারিতে অনেক তেল জমেছে,তেল খেতে আমি খুব পছন্দ করি।যাইহোক মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শুটকি মাছে একটু তেল বেশি দিতে হয় এবং খেতেও দারুণ লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
শুটকি মাছ আমার খুব পছন্দের। তা যেভাবে রান্না করা হোক না কেন। আপনার রেসিপি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। তবে বেশ কয়েকদিন শুটকি মাছ খাওয়া হচ্ছে না। খুব শীঘ্রই আবার রান্না করব। ধন্যবাদ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমারও পছন্দের।
কাচকি শুঁটকি আমার খুব পছন্দের একটি শুঁটকি। আমি বেশিরভাগ সময় আলু বেগুন দিয়ে রান্না করে থাকি। তবে এভাবে ভুনা খেতেও খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে খিদা পেয়ে গিয়েছে। গরম ভাতের সাথে এমন মজাদার রেসিপি হলে দারুন হয়। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে চেলা মাছের রেসিপি আমার ভালো লাগে বেশি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
শুটকি মাছ আমার খুব একটা খাওয়া হয় না। আপনি দেখছি খুব সুন্দর করে কাচকি শুটকি ভুনা করেছেন।রেসিপিটি দেখতে ভীষণ লোভনীয় লাগছে। শুটকি মাছ এভাবে করে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রান্নাটি অনেক মজাদার হয়েছে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। মজাদার শুটকি মাছের রেসিপিটি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমারও খুব একটা খাওয়া হয় না।
কাঁচকি শুটকি ভুনা রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।
হুমমম খেতে দারুণ হয়েছিল।
কাঁচকি শুটকি ভুনা রেসিপি এক সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি পরিবেশনটা আমার কাছে দারুন লেগেছে।
ধন্যবাদ।
বেশ মজাদার ও লোভনীয় রেসিপি। ছোট মাছের এমন রেসিপি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলে আপনার ভাইয়া আমাকে এনে দেয় আমিও সেই ভাবে রান্না করে খাওয়ানোর চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপু, দারুন এই রেসিপি উপস্থাপন করেছেন দেখে খুশি হলাম।
হ্যাঁ ছোটমাছ খেতে অনেক ভালো লাগে।কাচ্চি মাছের শুটকি খেতেও দারুণ লাগে।
শুটকি যে আমার কতটা পছন্দের সেটা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না আপু।কাচকি শুটকি রেসিপিটা খুবই লোভনীয় লাগছে। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। অসংখ্য ধন্যবাদ শুটকি মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শুটকি আপনার খুব পছন্দের জেনে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করেছেন জন্য।
কাচকি শুটকি ভুনা রেসিপিটি দেখেই তো লোভ লেগে গেল।দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল এবং লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।