নারিকেল বড়া রেসিপি🥰
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
নারিকেলের বড়া বহু বছর খাইনা। এই বড়া রেসিপিটি আমার দিদুর।আমাদের বাড়িতে দুটো নারিকেল গাছ ছিলো আর সেই নারিকেল গাছে এতো বেশি নারিকেল ধরতো যে আত্নীয়ের বাড়িতে পাড়া প্রতিবেশি কে দিয়েও অনেক নারিকেল অবশিষ্ট থাকতো।
ঘরে খাটের নিচে সারাবছর নারিকেল ভর্তি থাকতো।একদমই ঝুনো নারিকেল। গাছে যে নারিকেল পাকে তাকে ঝুনো নারিকেল বলা হয়।অনেক দিন নারিকেল ঘরে থাকার কারণে নারিকেল থেকে গাছ বের হতো এবং কখনো কখনো নারিকেল নষ্ট হয়ে যেতো আর আমার দিদু সেই ঝুনো নষ্ট নারিকেল দিয়ে তেল বের করতো একদমই খাটি নারিকেল তেল।
আবার মাঝে মাঝে নষ্ট হয়নি কিন্তুু ঝুনো নারিকেল নরম হয়ে গেছে ভীতরে কিন্তুু নষ্ট হয়নি এমন নারিকেল দিয়ে মজাদার বড়া তৈরি করতো কি যে ভালো লাগতো তা বলে বোঝাতে পারবো না।এখন আর নারিকেল গাছ দুটো নেই দিদুও নেই তাই আর এই সখের খাবার খাওয়া হয়না।আমার দিদু খুবই সুন্দর সুন্দর রেসিপি জানতো আর বেশি ভাগ রেসিপি ভারতীয় পদ্ধতিতে করতো কারণ দিদু ভারতেই বেশি থাকতেন তার বিয়ের আগে।
যাই হোক
আমি দুটো নারিকেল কিনে এনেছিলাম আর সেদিন হোগার পিঠা বানানোর জন্য কাটতে গিয়ে দেখি একটি নারিকেল নষ্ট হয়নি হবে নরম হয়ে গেছে আর কিছু দিন থাকলে নষ্ট হতো আর একটি ভালো আছে।ভালো নারিকেল টি দিয়ে হোগার পিঠা বানিয়েছি ও অপর নারিকেল টি দিয়ে দিদুর মতো করেই নারিকেল বড়া তৈরি করেছি।আজ দিদি নেই কিন্তুু দিদুর রেসিপি টি আছে।দিদুকে খুবই মিস করি।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপিটি কেমন।
নারিকেল কোড়া |
---|
বেসন |
চালের গুড়ি |
কালোজিরে |
মরিচ |
হলুদ |
লবন |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি নারিকেল কুঁড়ে নিয়েছি ও চালের গুড়ি নিয়েছি নারিকেলের সাথে।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন নারিকেল ও চালের গুড়িতে লবন,হলুদ, পোস্ত,কালোজিরে, বেসন দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এখন সবগুলো উপকরণের সহ নারিকেল খুবই ভালো করে মেখে নিয়েছি। এক ফোটাও জল ব্যাবহার করিনি।
চতুর্থ ধাপ
এখন নারিকেল মাখা একটু করে নিয়েছি ও প্রথমে বল বানিয়েছি এবং তারপর হাতের সাহায্যে চেপটা করে বড়া বানিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
একে একে সবগুলো নারিকেল মাখা বড়া বানিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও আগে থেকে বানিয়ে রাখা বড়া গুলো দিয়ে দিয়েছি কড়াইয়ে।
সপ্তম ধাপ
এখন এপিঠওপিঠ করে বড়া গুলো ভেজে নিয়েছি ও ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিয়েছি একটি প্লেটে।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার নারিকেলের বড়া রেসিপি।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
নারিকেলের বড়া রেসিপি মা তৈরি করে। সব সময় তৈরি করে না কি একটা পূজা উপলক্ষে অনেক ধরনের বড়া তৈরি করার নিয়ম আছে। সেই নিয়ম পালন করতেই মা নারিকেলের বড়া তৈরি করে। তবে আপনার রেসিপিতে অনেক ভিন্নতা দেখতে পেলাম। দিদুর হাতের লোভনীয় নারিকেলবড়া রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন। আমরাও শিখে নিলাম আপনার দিদুর হাতের নারিকেলের বড়ার রেসিপি। রেসিপিটা বেশ চমৎকার লাগলো। একদিন বানিয়ে খেতে হবে দেখছি। রেসিপিটি শেয়ার করেন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
নারিকেলের বড়া আপনার মা তৈরি করে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি নারিকেল বড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনি আজকে নারিকেল বড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন। নারিকেল এর নাড়ু খেয়েছি, তবে এভাবে কখনো নারিকেল এর বড়া খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
আপনার রেসিপিটা আমার অনেক ইউনিক লেগেছে আপু। নারকেল দিয়ে যে কোন কিছু তৈরি করলে খেতে খুব ভালো লাগে। যেহেতু আপনি বড়া তৈরি করলেন তাহলে দারুন ছিল খেতে। আর ফল হচ্ছে এগুলো প্রকৃতির দান। যে গাছ থেকে ফলমূল মানুষকে অনেক বেশি বন্টন করা হয় সেই গাছের মধ্যে সৃষ্টিকর্তার রহমত অনেক বেশি থাকে। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি দেখে।
আমার রেসিপিটি ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
নারিকেল দিয়ে যে রেসিপি তৈরি করা হোক না কেন সেটাই খেতে ভালো লাগে। আমি নারিকেলের নাড়ু বেশি পছন্দ করি। খুব সুন্দর করে আপনি নারিকেলের বড়া তৈরি করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো দেখে।
ঠিক বলেছেন নারিকেল দিয়ে যে কোন কিছু খেতে খুবই ভালো লাগে।
আপু, আপনার রেসিপিটা আমার কাছে খুবই বিশেষ এবং ইউনিক মনে হয়েছে। নারকেল দিয়ে যেকোনো কিছুই খেতে দারুন লাগে, আর আপনি যেহেতু বড়া তৈরি করেছেন, সেটা খেতে মনে হয় খুবই স্বাদু ছিল।আপনার রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
সত্যি অনেক টেষ্টি বড়া এগুলো।
আপনাকে দেখি বেশিরভাগ ইউনিক ও লোভনীয় রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হন। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। আপনার নারকেলের বড়া রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। নারকেলের বড়া এই প্রথম দেখলাম আপনার রেসিপিতে। খুব সহজ করে আপনি রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সহজে যে কেউ রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে।
এতো সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নারিকেল দিয়ে এভাবে বড়া কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার এমন লোভনীয় রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। পরিবারের সবাই খেয়ে নিশ্চয়ই খুব মজ পেয়েছে। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খেয়ে দেখবেন বেশ ভালো লাগবে। সবাই মজা করে খেয়েছি আপু বড়া গুলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নারিকেল বড়া রেসিপি রেসিপি আপনি তৈরি করেছেন। অনেকদিন হয়েছে নারিকেল বড়া খাওয়া হয় না আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করছে। তাছাড়া তৈরি করার প্রতিটি ধাপও আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জন্য।
কর্তামা বেঁচে থাকতে যখন আমরা সবাই এক বাড়িতে বসবাস করতাম তখন প্রায় দিনই নারিকেলের বড়া করা হতো আমাদের বাড়িতে।তখন অবশ্য খেতে খুব একটা ভালো লাগতো না তার কার হলো ক'দিন পর পরই নারিকেল বড় কর্তামার জন্য হতো ঘন ঘন দেখে কেমন একটা বিরক্ত লাগতো!কিন্তু ইদানীং খুব মিস করি সেই দিনগুলোত।অনেক দিন পর তোমার রেসিপি দেখে পুরোনো দিনের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেলো।সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
নারিকেল দিয়ে এত সুস্বাদু একটি বড়া তৈরি করেছেন দেখেই লোভ লেগে গেল আপু ।
নারিকেল দিয়ে সব সময় মিষ্টি খাবার তৈরি করেছি কিন্তু ঝালের বড়া কখনো খাওয়া হয়নি। দারুন একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় ও ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।