খিরার বড়া রেসিপি ❤️
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো খিরার বড়া রেসিপি । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
খিরা খুবই পুষ্টিকর। আমরা বেশি ভাগ সময় খিরার সালাদ ও এমনি কেটে খেয়ে থাকি।গ্রাম অঞ্চলে অনেকেই আবার খিরা রান্না করে খেয়ে থাকে তবে আমি কখনো খাইনি খিরার তরকারি। এখন চলছে খিরার সিজন।গ্রাম অঞ্চলে খিরা চাষ হয় প্রচুর পরিমাণে এবং আমদানি বেশি হওয়াতে খিরার দাম একদমই কম হয়ে থাকে।বর্তমান খিরা বিশ থেকে তিরিশ টাকা কেজি কিন্তুু আমি যখন ছোট ছিলাম তখন তিন টাকা ও পাঁচ, ছয় টাকা করে ছিলো।এখনো মনে পড়ে পাশের গ্রামের খিরা ক্ষেতে গিয়ে বেঁচে কচি খুরা কিনে আনতাম এবং মজা করে খেতাম।চৈত্র মাসের খরতাপে খিরা খেলে মন,প্রাণ একদমই জুড়িয়ে যেতো।খিরা কচি খেতে ভালো লাগে তাই আমি বাজারে গেলে বেছে কিনি কচি খিরা।সব খিরা হচি তবে ছোট সাইজের বেশি কচি খিরা কিনি আমি।খিরার বড়া খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি।একদমই কম উপকরণে মুচমুচে সুস্বাদু খিরার রেসিপি করে খেতে দারুণ লাগে।
তো চলুন দেখা যাক রেসিপি টি কেমন
শসা |
---|
চালের গুড়ি |
লবন |
হলুদ |
ভোজ্য তেল |
প্রথম ধাপ
প্রথমে খিরা কেটে নিয়েছি চাক চাক করে।
দ্বিতীয় ধাপ
এখন চালের গুড়ি নিয়েছি ও তাতে হলুদ, লবন ও তেল দিয়ে শুকনায় ময়াম দিয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
ভালো করে ময়াম দেয়ার পর তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে গোলা তৈরি করে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি এবং তেল গরম হয়ে গেলে তাতে আগে থেকে চাক চাক করে কেটে রাখা শসা গোলায় ডুবিয়ে নিয়েছি ও গরম তেলে দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন এপিঠওপিঠ ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
ভালো করে মুচমুচে ভাজা হয়ে গেছে তাই নামিয়ে নিয়েছি ও গরম গরম পরিবেশন করেছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকের চমৎকার সুন্দর খিরার রেসিপি।খুবই সুস্বাদু মুচমুচে খিরার বড়া রেসিপি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
এই রেসিপিটা সত্যিই ভিন্নরকম লাগলো। খিরাইয়ের সালাদ তো অনেকবার খেয়েছি, কিন্তু এভাবে তৈরি করা যায়, সেটা জানা ছিল না। একদম নতুন একটা স্বাদ কেমন হতে পারে, তা কল্পনা করেই ভালো লাগছে! নিশ্চয়ই দারুণ মজার হয়েছে। ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
খিরার সালাদের পাশাপাশি এভাবে বড়া তৈরি করে খাবেন দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।
জীবনে প্রথমবার শুনলাম খিরার বড়া বানানো। রেসিপিটি বেশী ইউনিক মনে হল দেখি এবারের রমজানে হয়তো ট্রাই করবো। কেমন হবে সেটা জানিনা তবে আপনি যেহেতু রেসিপি শেয়ার করেছেন আশা করছি খেতে ভালই হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি আপু।রমজানে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে।
আরে বাহ এভাবে আমি আলু টমেটো বড়া বানিয়ে খেয়েছি । কিন্তু খিরা দিয়ে কখনো বড়া তৈরি করা হয়নি। আপনি আজকে খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এই ধরনের রেসিপি গুলো বিকেলের নাস্তায় বেশ ভালো হয়। ধন্যবাদ আপু রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
আপনার এই রেসিপিটা আমার কাছে ইউনিক মনে হল আপু। এর আগে কখনো আমি এই রেসিপি তৈরি করতে দেখি নাই কাউকে আর খেয়ে দেখা হয়নি। খিরাইয়ের সালাদ খাওয়া হয় প্রতিনিয়ত। তবে এমন রেসিপি দেখে খুশি হলাম। রেসিপিটা মনে করব অনেক অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
এভাবে বড়া বানিয়ে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খিরার বড়া রেসিপি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে খিরার বড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা বড়া রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
একদিন বানিয়ে খেয়ে নিন ভালো লাগবে।
লিংক
খিরা দিয়ে বড় হয় কখনোই জানা ছিলো না। তরকারি খেয়েছি অনেক বার কিন্তু কখোন বড়া খাওয়া হয়নি।নতুন একটি রেসিপি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
তরকারি খেতে আমার অতোটা ভালো লাগে না তবে বড়া খেতে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক লোভনীয় একটা রেসিপি ছিল এটা। দেখেই তো আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে কার না লোভ লাগবে। এত সুন্দর ভাবে একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এটা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খিরা দিয়ে বড়া তৈরি করা যায় এটা আগে জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে আজকে অনেক ইউনিক একটা রেসিপি তৈরি শিখে নিতে পারলাম। তবে দেখে তো মনে হচ্ছে এটা খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। মাঝেমধ্যে ইউনিক কোনো কিছু তৈরি করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমি অবশ্যই একদিন তৈরি করার জন্য চেষ্টা করবো এটি।
খিরার বড়া অনেক সুস্বাদু একটি খাবার।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।