মূলা ভর্তা রেসিপি❤️
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো মূলা ভর্তা রেসিপি।মূলা শীতকালীন সবজি।সারাবছর পাওয়া গেলেও মূলা শীতকালেও মতো সুস্বাদু ও সুন্দর হয় না অন্য সময়।একমাত্র শীতকালেই বড়া বড়া তরতাজা মূলা পাওয়া যায়।মূলার তরকারি ও শাক দুটোই খাওয়া যায়।মূলায় অনেক পুষ্টিগুনও রয়েছে যেমন মূলায় রয়েছে এই সবজিতে ভিটামিন ই, এ, সি, বি৬, ফাইবার, জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাংগানিজ রয়েছে।
মুলা খেলে হজমশক্তি বাড়ে,ওজন কমাতে সাহায্য করে, প্রসবের সমস্যা দূর করে,হার্ড ভালো রাখে।এতো পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজিটি আমরা তেমন পছন্দ করি না এর সঠিক রেসিপি করতে পারি না বলে।আমি গত বেশ কয়েকদিন আগে এই রেসিপিটি করেছিলাম আজ পোস্ট করি কাল করি করে করে হয়ে উঠছিলো না।মূলোর খুব সুন্দর সুন্দর রেসিপি করা যায় যা খেতে দারুণ হয়।
গতকাল মূলার মজার মজার কথা শুনলাম হ্যাংআউটে।মূলা নিয়ে বেশ মজা করলো সবাই। মুড়ি দিয়ে মূলা খাওয়া কথা শুনে আমার দিদুর কথা মনে পড়লো তিনি কাঁচা মূলা ভাত দিয়ে খেতেন।মূলা সম্পর্কে নানা গল্প হাসি তামাশার মাঝে বার বার মনে পড়লো আমার মূলার সুস্বাদু রেসিপিটির কথা। বলেই ফেল্লাম আজকেই ভাগ করে নেবো সবার সাথে।সত্যি অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি। আমি খেয়ে খুব মজা পেয়েছি।আমরা কখনো অতিথি কে মূলার তরকারি খাওয়াই না তবে এরকম রেসিপি খাওয়ালে খাবে এবং রেসিপিটিও জানতে চাইবে।
তো চলুন দেখা যাক মজাদার মূলার রেসিপিটি কেমন।
১.মূলা | তিনটি |
---|---|
২.টমেটো | দুটো |
৩.কাঁচা মরিচ | পাঁচটি |
৪.শুকনা মরিচ | চারটি |
৫.গোল মরিচ | সাতটি |
৬.রসুনে | একটি |
৭.লবন | স্বাদ মতো |
৮.ভোজ্য তেল | পরিমাণ মতো |
৯.সরিষার তেল | পরিমান মতো |
১১.লেবু | একটি |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আমি কথাটারে সাহায্যে মূলা কুচি করে কেটে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি ও তা গরম হয়ে গেলে তাতে জিরা,ধনিয়া,শুকনা মরিচ, গোল মরিচ, মৌরি দিয়ে ভেজে তুলে নিয়েছি। তেল ছারা ভাজতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
এখন চুলায় কড়াই বসিয়েছি ও তাতে সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিয়েছি ও টমেটো ভেজে নিয়েছি ভালো ভাবে।
চতুর্থ ধাপ
রসুন ভেজে নিয়েছি ও ভাজা রসুন বেটে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এখন আগে থেকে ভেজে নেয়া মৌরি, গোল মরিচ,শুনকা মরিচ গুলো বেটে চাট মসলা তৈরি করে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
এবার আগে থেকে ভেজিটেবল কাটার দিয়ে কুচি করে রাখা মূলা গুলোতে একে একে সব উপকরণ যেমন কাঁচা মরিচ কুচি করে দিয়েছি,টমেটো ভাজা দিয়েছিও ভাজা রসুন বাটা দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
এখন লেবু চিপে দিয়েছি মূলা সহ সব উপকরনে।
অষ্টম ধাপ
এখন আগে থেকে বেটে রাখা চাট মসলা দিয়েছি।
নবম ধাপ
এখন টমেটো গুলো হাতের সাহায্যে মেখে নিয়েছি ।
দশম ধাপ
এখন পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে সব গুলো উপকরণ মেখে নিয়েছি।
একাদশ ধাপ
পুরাপুরি ভাবে আমার মূলা মাখা সম্পূর্ণ হয়েছে তাই পরিবেশনের জন্য তৈরি করে নিয়েছি।
পরিবেশন
এই ছিলো আমার আজকে লোভনীয় ইউনিক মূলা ভর্তা রেসিপি।খেতে ভীষণ সুস্বাদু ও মুখরোচক রেসিপিটি।আপনাদের কেমন লাগলো নিশ্চয়ই ভালো।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আবারও দেখা হবে অন্যকোন নতুন পোস্টের মাধ্যমে।
সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | রেসিপি |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
মূলা যে এভাবে ভর্তা করা যায় আমার জানা ছিল না। যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।ভর্তা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটি তৈরি করবেন জেনে ভালো লাগলো।অনেক ভালো লাগবে খেতে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।
মুলা অনেক ভাবে রান্না করে খেয়েছি আপু কিন্তু আপনার কাছে আজকে এই রেসিপিটা দেখে খুবই ভালো। নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। খুবই সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
এভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে আপু।
তাহলে ওজন কমানোর জন্য হলেও নিয়মিত মুলা খেতে হবে। তবে হ্যাঁ টমেটোর সাথে মুলার কম্বিনেশন টা বেশ মজা লাগবে বিশেষ করে টমেটো যুক্ত করায় বেশি লোভনীয় লাগছে দিদি। মজাদার রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
টমেটো যুক্ত করায় যেমন লোভনীয় হয়েছে খেতেও তেমনি খেতে সুস্বাদু হয়েছে।
মুলা ভর্তা করার সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এমন রেসিপি এর আগে আমি কোনদিন দেখেছিলাম না। এটা দেখে মনে হচ্ছে যেন এটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
সত্যি অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি ভাইয়া।
মুলা ভর্তা আমরাও বাসায় বানিয়ে খাই। তবে আজ আপনার মুলা ভর্তাটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। এভাবে করে কখনো খাওয়া হয়নি। আজ আপনার কাছ থেকে নতুন একটি নিয়মে মুলা ভর্তা শিখে নিলাম। বেশ দারুন ভাবে মূলা ভর্তা র রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনিও মূলা ভর্তা খান বাসায় বানিয়ে জেনে ভালো লাগলো।
জীবনে মনে হয় প্রথম দেখলাম মূলা ভর্তা করতে। তাও আবার অনেক সুন্দর আইটেম করে। জানিনা কতটা সুস্বাদু হয়েছে। তবে ইউনিক একটা রেসিপি আপনার মাধ্যমে দেখার সুযোগ পেলাম। খুব সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন।
অনেক সুস্বাদু রেসিপিটি না খেলে বোঝা সম্ভব নয়।
ঠিক বলেছেন, মুলা অন্য সময় পাওয়া গেলেও শীতকালের মত সুস্বাদু হয় না। কালকে হ্যাংআউটে মুলা নিয়ে মজার মজার কথা শুনে আজকে তো মুলা দিয়ে দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন। মুলা অনেকভাবে খেয়েছে তবে ভর্তা করে কখনোই খাওয়া হয়নি। মুলা ভর্তা বেশ লভনীয় লাগছে খেতে নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিলো।আপনার রেসিপিটি তৈরি করা দেখে আমারও ইচ্ছে করছে রেসিপিটি তৈরি করে একবার খেয়ে দেখার।মুলা ভর্তা রেসিপি টি আমাদের সাথে ধাপে ধাপে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
একদিন বানিয়ে খেয়ে ফেলুন ভালো লাগবে।
ঠিক বলেছেন মুলা ওজন কমাতেও হজম করতে সাহায্য করে ।বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খেয়েছি কিন্তু কোনদিন টমেটো মুলার সমন্বয়ে ভর্তা খাওয়া হয়নি । ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার
জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মুলা আসলেই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য একটি পুষ্টিকর সবজি। কিন্তু আমরা এই মুলাকে পছন্দ করি না। আপনি আজকে মুলা এবং টমেটোর সমন্বয়ে লোভনীয় একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। মুলা খাওয়ার নতুন একটি আইডিয়া পেয়ে গেলাম। আপনার পোষ্টের রন্ধন প্রণালী গুলি অনুসরণ করে বাসায় একদিন এভাবে তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করবো। দারুন ছিলো মজার ভর্তা রেসিপি টি।
আপনি একদিন আমার এই রেসিপিটি বাসায় ট্রাই করবেন জেনে ভালো লাগলো।
যেকোনো ভর্তা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি মজার ভর্তা রেসিপি করেছেন মুলার। আর যে কোন ভর্তা দিয়ে গরম ভাত এবং পান্তা ভাত খেতে অন্যরকম মজা লাগে। তবে এটি ঠিক হ্যাংআউটে এ মুলা নিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায় অনেক সময় বলা হয়। ভালো লাগলো আপনার ভর্তা রেসিপিটি দেখে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করেছেন জন্য।