অসচেতনতার কারণে ছড়িয়ে পড়েছে জল বসন্ত।
হ্যালো,
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের আশীর্বাদ ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো একটি অসচেতন পক্স আক্রান্ত পরিবারের জন্য কি ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই ছোঁয়াচে রোগটি।
বসন্ত রোগ মারাত্মক ছোঁয়াচে একটি রোগ এই রোগটি হাঁচি,কাসিও আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে গেলে হবেই হবে।এই বসন্ত রোগ প্রতিরোধে দরকার সচেতনতা।বসন্ত অতি সংক্রমণাত্মক একটি রোগ তাই এটি প্রতিহতের একমাত্র উপায় রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে বেশিক্ষণ অবস্থান না করা।আগের দিনে বসন্তরোগ হলে সেই গ্রামের পাশ দিয়ে হাটতো না।এটাকে বর্তমানে কুসংস্কার বলে থাকি আমরা।কিন্তুু অনেক কুসংস্কার আছে যা সমাজের উপকারী। আগের দিনে বাচ্চা হলে আলাদা রাখা হতো আতুর ঘরে তখনকার মানুষরা বাচ্চা হলে আতুড়ে রাখতেন শৌচ মনে করে।আজকের দিনেও ডাক্তার কিন্তুু বলে থাকে নবজাতকের ঘরে কেউ প্রবেশ না করাই মঙ্গল কিংবা প্রবেশ করলে অবশ্যই স্যানিটাইজার করে প্রবেশ করতে হবে নইলে নবজাতকের নানান রকমের রোগজীবাণু আক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।আজকের দিনে আতুর ঘরকে আমরা কুসংস্কার বলে থাকলেও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কিন্তু নবজাতকের মঙ্গল।
এখন আসি আসল কথায়।বসন্ত রোগ যেহেতু মারাত্মক ছোঁয়াচে একটি রোগ তাই এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেজন্য আমাদের কে ঘর থেকে বের হওয়া একদমই অনুচিত। যেমনটি আমি করছি।আমার মেয়ে আক্রন্ত হওয়ার কারণে আমি ওকে একদমই রুমের বাইরে বের করিনি যাতে করে বাড়ির অন্য সদস্যরা আক্রান্ত না হয়।ছোট মানুষ তাই সব টুকু সময় আমি পাশে ছিলাম এবং আমিও রুম থেকে বের হইনি বলতে গেলে একদমই কোয়ারান্টাইনে ছিলাম।
স্কুল থেকে ছুটি নিয়েছিলাম, প্রাইভেট বন্ধ রেখেছিলাম ও অন্য বাচ্চাদেরকে আমার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছিলাম।
আমার হয়েছে আমিও কিন্তুু ঘর থেকে বের হচ্ছি না। একদমই কোয়ারান্টাইনে আছি।এটাই সচেতনতা। আমরা যদি সবাই এরকম সচেতনতা অবলম্বন করি তাহলে কোন ভাবেই এই রোগ বেশি ছরাবে না।
এদিকে যে পরিবার থেকে আমরা আক্রান্ত হলাম তারা এতোটাই অসচেতন যে তাদের ঘরে মন টেকে না। ছোট বড়ো সবাই আমার বাড়ির সামনে এসে বসে আক্রান্ত অবস্থায় আড্ডা দিতো।আমার মেয়ে তো তখন তাদের বাচ্চাদের সাথে খেলতো।নিষেধ করার পরেও অগোচরে হঠাৎ চলে যেতো।আমার মেয়ের সাইকেল বাইরে থাকতো এবং আক্রান্ত বাচ্চারা সেই সাইকেলে এসে বসতো।এগুলো বাচ্চাদের দোষ নয় এগুলো ওই বাচ্চাদের মা,বাবার অসচেতনতা।
কি দরকার ছিলো আক্রান্ত বাচ্চাদেরকে বাইরে পাঠানোর। আমারও তো বাচ্চা আক্রান্ত হয়েছিলো এবং আমি যেতে দেইনি বাইরে আর সে যায় নি।শুধু কি বাচ্চা বড়োরাও বাইরে আসতো এবং আমরা যদি বলতাম বাইরে আসা যায় না তখন আমাদের কে বলতো এসব রোগকে অবহেলা ও হিংসা করতে নেই তাহলে হয়।বলেন তো আপনারা কি করে তাহলে বোঝাবো যে এগুলো রোগ সংক্রামক রোগ।আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকেই ছড়ায়।তাদের ভাষ্য সৃষ্টি কর্তা চাইলে হবেই।আরে বাবা সৃষ্টি কর্তা তো সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষ কে পাঠিয়েছেন পৃথিবীতে আর ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন। কোন রোগ সংক্রমক তাও মানুষ কে ধরিয়ে দিয়েছেন তাহলে আমাদের তো উচিত সেগুলো মানার।আমি যদি ঘরে বসে কোন কাজ না করে বলি সৃষ্টিকর্তা আমাকে খাবার এনে দেবেন তা কখনো হবে হবে না।কেন হবে না কারণ সৃষ্টি কর্তা কর্মকরার জন্য সব দিয়েছেন আমাদেরকে। আমাদের উচিত সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে যে কর্ম করা ও জীবিকা নির্বাহ করা।
আমার খুব খারাপ লাগছে এখন যে ঐ অসচেতন পরিবারের জন্যই আজ আমার এ অবস্থা। এই বসন্ত রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছিলো তারাই শুধু এই রোগটির যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পারবে।আমার অস্য লাগছে।বিশেষ করে গলায় ব্যাথা ও মুখ বিষের মতো তেঁতো হয়ে আছে এবং পুরা শরীরের অসংখ্য পক্স গুলোর চুলকানি আমাকে পাগল বানিয়ে ফেলছে।সত্যি আমার ওই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি ভীষণ রাগ হচ্ছে। যতো বেশি কষ্ট পাচ্ছি তত বেশি রাগ হচ্ছে।আমার মেয়েটাও এরকম কষ্ট অনুভব করেছে ঝটপট করেছে সারারাত দিন।চুলকিয়ে চেয়েছে দেইনি ঘা হবে বলে এখন আমি চুলকাই আর ভাবি কি হবে হোক চুলকাই আগে।
এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি পাবো কে জানে।আমি সত্যি আর সহ্য করতে পারছি না।এই পোস্ট টি লিখতে আধা ঘন্টার ও কম সময়ের দরকার ছিলো কিন্তুু লিখলাম একদিন সময় নিয়ে।কি আর করার চুলকালে তো আর লেখা এগুবে না।কমেন্ট করছি নগন্য।দুচোখে ঘুম নেই সারাদিন রাত । জানি না এ অসস্তির শেষ হবে কবে।আমি সত্যি খুব কষ্টে দিন পার করছি।সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করছি তারাতাড়ি আমাকে সুস্বা করে নেক বিশেষ করে চুলকানি ভালো হয়ে যাক। সবার কাছে আশির্বাদ প্রার্থী।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আবারও দেখা হবে অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন।
টাটা
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
আমার কখনো পক্স হয়নি তাই জানিনা কেমন যন্ত্রনা তবে যাদের হয়েছে তাদের মুখ থেকে শুনেছি অনেক বেশি কষ্ট হয়। তবে এই রোগটি ছোঁয়াচে তাই সবাইকে সাবধানে থাকতে হয়। আপনাদের বাড়ির পাশে কিছু মানুষের হয়েছিল আজকে এতে আপনার হয়ে গেছে। সত্যি আপু কিছু কিছু মানুষ আছে বললে রাগ করে কিন্তু বাস্তবতাটাকে মেনে নিতে হয়। এখন বলেও আর কিছু করার নেই আপনাদের অসুখ হয়ে গেছে। তবে দোয়া করছি খুব দ্রুত যেন ঠিক হয়ে যায়। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আপনার হয়নি জন্য এর যন্ত্রণা বুঝবেন না আপু।আমিও আগে বুঝিনি এখন বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
এই জিনিসটা ভয়ংকর।আমাদের বাড়িতে সবারই হয়েছিল।তবে কেউই বাইরে যাইনি,তবুও কোনো না কোনোভাবে হয়ে গিয়েছিল সবার।আর এই রকম পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে হয়। না হলে সবারই অসুস্থতা ভোগ করতে হবে। আপনাদের ওই পরিবারটি যদি সচেতন থাকতেও হয়তো বা এভাবে ছড়িয়ে পড়তো না। আপনারা মা মেয়ে যেহেতু এখন কোয়ারেন্টাইনের মত আছেন এক্ষেত্রে আপনারা খুব ভালো কাজ করেছেন আপু। তবে ওষুধ খান চুলকালে অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এই পক্সের দাগ গুলো সহজে যায় না। আপনার এবং আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করছি আপু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।
এই রোগ বায়ুবাহিত তাই বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়।ধন্যবাদ আপু সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু সবাই যদি এভাবে সচেতন হতো আমাদের দেশ এত ধ্বংসের দিকে যেত না। অথবা আমরা একজনের কারণে আরো অনেক জন কষ্ট পেতাম না। ঠিক তেমনটা আমাদের হয়েছিল গত বছর। এইত আপনার মেয়ে কষ্ট পাচ্ছে অন্য বাড়ির বাচ্চার আক্রমণের কারণে। এ ধরনের রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে ভালো হয়। আমার বাচ্চার হয়েছে আমি যদি সাবধানতা অবলম্বন করি তাহলে অন্যের ঘরের বাচ্চার হবে না। এই মানবিকতা যদি সবার ভিতরে থাকে তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেত আরো।
ধন্যবাদ আপু সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।
এই বসন্ত রোগ গুলো অসচেতন হলেই ছড়িয়ে পড়ে।শুনেছি পরিবারের একজনের হলেই বাকিদের হয়।খুবই মারাত্মক একটি রোগ এটি।বাচ্চাদের এই বসন্ত গুলো বেশি হয়।ওরা তো অত বাছ বিচার বোঝেনা।আপনার বাচ্চার হলো অন্য বাচ্চার কারণে।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।আপনারা সবাই সাবধানে থাকবেন।
ঠিক বলেছেন মারাত্মক একটি ছোঁয়াচে রোগ এটি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যারা অসচেতন তাদের ক্ষেত্রে আর কিছু বলার নেই দিদি। খুব খারাপ লাগলো এই বিষয়টা জানতে পেরে যে, অন্যের অসচেতনতার জন্য আপনাদের সাফার করতে হলো এই ভয়ানক রোগে। এই জল বসন্ত আসলেই খুব মারাত্মক একটি ছোঁয়াচে রোগ দিদি। এটা একজনের থেকে আরেকজনের মাঝে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। যাই হোক, আপনার যে জল বসন্ত হয়েছিল, সেই সম্পর্কে আমি পূর্বেই জেনেছিলাম। তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেই প্রার্থনাই করি দিদি আপনার জন্য।