꧁ চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পর্ব ১ ꧂☆
☆꧁ চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পর্ব ১ ꧂☆
সকল কে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালোই আছি। আর আপনারা সবাই সব সময় ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে চায়না ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। খুবই চমৎকার হতে পারে এই অভিজ্ঞতা । শুরুতে যদি প্রস্তুতি এবং প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলি, তাহলে গল্পটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে:-
পর্ব ০১: প্রস্তুতি এবং প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা
চায়না ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময়, প্রথমে ভিসা এবং ফ্লাইট টিকিটের ব্যবস্থা করতে হয়। চায়না ভিসার জন্য প্রয়োজন হয় পাসপোর্টের ফটোকপি, প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ, এবং ভ্রমণের পরিকল্পনা। ফ্লাইট টিকিট কেটে নেয়ার পর, ঠিক করতে হয় হোটেল বুকিং এবং শহরে চলাফেরার মাধ্যম। যদিও এগুলো কোনোটাই আমাকে করতে হয়নি। কারণ আমরা ৪৫ জনের একটি টিম গিয়েছিলাম HZS কোম্পানির মাধ্যমে। আর তাই ভিসা সহ বাকি সকল প্রসসিং তারাই করেছিলেন।
প্রথম দিন: আগমনের অভিজ্ঞতা
চায়না পৌঁছে প্রথম দিনটি খুবই ছিল খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। বিমানবন্দরে নামার পর, ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস পার হওয়ার সময় বেশ সময় লেগে যায়।। চায়না বিমানবন্দরগুলো সাধারণত খুবই ব্যস্ত থাকে, তাই এখানে সময় মতো পৌঁছানো এবং প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এয়ারপোর্টে চলে আসার পরপরই।আমাদের জন্য ছিল দারুণ সারপ্রাইজ। কোম্পানির প্রতিনিধিরা আমাদেরকে যেভাবে বরণ করলেন তা আমার কাছে রূপকথার গল্পের মত। নানা ধরণের ফুলের তোড়া ফেস্টুন বেলুন দিয়ে,নানা আয়োজনের মধ্য দিয়েই আমাদেরকে বরণ করে নেন এয়ারপোর্টে।
এয়ারপোর্ট থেকে শহরে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি, বাস অথবা মেট্রো ব্যবহার করা যায়। মেট্রো খুবই সুবিধাজনক এবং তুলনামূলক সস্তা। তবে কোম্পানি আমাদের জন্য দুটি এসি বাস ঠিক করে রেখেছিলেন।
বাসের ভেতরের পরিবেশটা যতটা সুন্দর।সিট্ট গুলো ততটাই আরামদায়ক। আমরা মূলত চায়নায় গুয়াংজু শহরে অবস্থান করেছিলাম। আর তাই গুয়াংজু শহর সম্পর্কে একটু ধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
চীনের গুয়াংজু শহর, যাকে ক্যান্টন নামেও ডাকা হয়, চীনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী। এটি একটি প্রধান বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং চীনের অন্যতম প্রধান বন্দর শহর। নিচে গুয়াংজু শহরের কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:
১. ইতিহাস ও সাংস্কৃতি:
গুয়াংজু শহরের ইতিহাস প্রায় দুই হাজার বছরের পুরানো। এটি প্রাচীন "সিল্ক রোড" এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। শহরের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনা যেমন চেন ক্ল্যান একাডেমি, হুয়াচেং মসজিদ, এবং শামিয়ান দ্বীপ শহরের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করে।
২. বাণিজ্য ও অর্থনীতি:
গুয়াংজু চীনের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানে বছরে দুবার ক্যান্টন ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়, যা বিশ্বের বৃহত্তম এবং প্রাচীনতম বাণিজ্য মেলা। এই শহরটি চীনের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি।
৩. স্থাপত্য ও আধুনিকতা:
গুয়াংজু শহরে প্রচুর আধুনিক স্থাপত্য রয়েছে। ক্যান্টন টাওয়ার, যা ৬০০ মিটার উচ্চ এবং বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম টাওয়ার, শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এছাড়া আধুনিক শপিং মল, থিয়েটার এবং কনভেনশন সেন্টার শহরের আধুনিকতার প্রতীক।
৪. পর্যটন আকর্ষণ:
গুয়াংজু শহরে প্রচুর পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। ইয়ুয়েশিউ পার্ক, যা শহরের সবচেয়ে বড় পার্ক, এবং বাইয়ুন পর্বত শহরের প্রধান প্রাকৃতিক আকর্ষণ। চিমেলং সাফারি পার্ক এবং চিমেলং ওয়াটার পার্কও জনপ্রিয় পর্যটন স্থান।
৫. খাদ্য:
গুয়াংজু ক্যান্টোনিজ খাবারের জন্য বিখ্যাত। এই অঞ্চলের খাবার সারা বিশ্বের খাবার প্রেমীদের প্রিয়। ডিম সাম, রোস্ট পর্ক, এবং ওয়ানটন নুডল সুপ গুয়াংজুর কিছু বিখ্যাত খাবার।
৬. শিক্ষা ও গবেষণা:
গুয়াংজুতে বহু প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সান ইয়াট-সেন বিশ্ববিদ্যালয় এবং দক্ষিণ চীন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এই শহরের দুটি বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
৭. পরিবহন ব্যবস্থা:
গুয়াংজুতে একটি অত্যন্ত উন্নত এবং কার্যকর পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে। শহরটি চীনের বৃহত্তম বিমানবন্দরগুলির মধ্যে একটি, গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দ্বারা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া মেট্রো, বাস, এবং ট্রেনের সুব্যবস্থা শহরের মধ্যে যোগাযোগ সহজ করে তোলে।
গুয়াংজু শহর তার ইতিহাস, সংস্কৃতি, আধুনিকতা, এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বের জন্য একটি অন্যতম প্রধান চীনা শহর। এটি ভ্রমণ, বাণিজ্য এবং শিক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
আমরা শহরে পৌঁছে হোটেলে চেক-ইন করার পর, প্রথমে একটু ফ্রেস হয়ে বিশ্রাম নিলাম । তারপর শহরের আনতম একটি ফাইভ স্টার মানের রেস্টুরেন্ট বুফেটে খাওয়া শুরু করলাম। যদিও সেখানকার খাবার আমার খেতে খুবই কষ্ট হয়েছিল। তবে আমি বিভিন্ন ধরনের ফল খেয়েছি, জুস খেয়েছি আর ডিম খেয়েছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবার হোটেলে এসে রুমে বিশ্রাম নিলাম কিছুক্ষণ। এরপর সন্ধ্যায় ছিল জমকালো একটি অনুষ্ঠান। এবং সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় 15 টি দেশের লোক।
তাদের সাথে পরিচিতি একই সাথে খাওয়া দাওয়া এরপর নাচ গান সব মিলিয়ে খুবই চমৎকার একটি সন্ধ্যা আমরা উপভোগ করেছিলাম। এবং খুবই চমৎকার কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।
সেখানে প্রায় সবাই ড্রিঙ্ক করছিল। এভাবে ড্রিঙ্ক করা কোন পার্টিতে এর আগে আমি কখনোই অংশগ্রহণ করি নাই আমার পূর্ব কোন অভিজ্ঞতাও ছিল না। আমাদের বাংলাদেশ থেকে যারা গিয়েছিলেন তারাও অনেকেই ড্রিঙ্ক করলেন। কিন্তু আমি চোরের মত পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। ঐরকম পরিবেশে আমি বড় বেশি বেমানান। তেমন কিছু খেতে না ফেললেও ইনজয় করেছি বেশ। সেদিনের উপলব্ধিতে এতটুকু বুঝেছি, যত বেশি ভ্রমণ,তত বেশি অভিজ্ঞতা।
বন্ধুরা আমরা চীনে অবস্থান করেছিলাম প্রায় ৭ থেকে ৮ দিন। এই আট দিনের অভিজ্ঞতা আস্তে আস্তে আপনাদের সাথে আমি পর্ব আকারে শেয়ার করব। তো আজকের প্রথম পর্বের এখানে ইতি টানছি। সকলেই ভাল থাকবেন। খুব বেশি ভালো থাকবেন। এই প্রত্যাশায় টা টা,,,,
আমি ছন্দের রাজ্যে, ছন্দরাণী কাব্যময়ী-কাব্যকন্যা বর্তমান প্রজন্মের নান্দনিক ও দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি সেলিনা সাথী। একধারে লেখক, কবি, বাচিক শিল্পী, সংগঠক, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার, মোটিভেটর ও সফল নারী উদ্যোক্তা।আমার পুরো নাম সেলিনা আক্তার সাথী। আর কাব্যিক নাম সেলিনা সাথী। আমি নীলফামারী সদর উপজেলায় ১৮ মার্চ জন্মগ্রহণ করি। ছড়া কবিতা, ছোট গল্প, গান, প্রবন্ধ, ব্লগ ও উপন্যাস ইত্যাদি আমার লেখার মূল উপজীব্য। আমার লেখনীর সমৃদ্ধ একক এবং যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ১৫ টি। আমার প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই- সাথীর শত কবিতা,অশ্রু ভেজা রাত, উপন্যাস মিষ্টি প্রেম, যৌথ কাব্যগ্রন্থ একুশের বুকে প্রেম। জীবন যখন যেমন। সম্পাদিত বই 'ত্রিধারার মাঝি' 'নারীকণ্ঠ' 'কাব্যকলি' অবরিত নীল সহ আরো বেশ কয়েকটি বই পাঠকহমলে বেশ সমাদৃত। আমি তৃণমূল নারী নেতৃত্ব সংঘ বাংলাদেশ-এর নির্বাচিত সভাপতি। সাথী পাঠাগার, নারী সংসদ, সাথী প্রকাশন ও নীলফামারী সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। এছাড়াও আমি জেলা শাখার সভাপতি উত্তোরন পাবনা ও বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। আমি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০১৪ সালে নীলফামারী জেলা ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ জয়িতা অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি। এছাড়াও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় আমি বহু সম্মামনা পদক অর্জন করেছি। যেমন সাহিত্যে খান মইনুদ্দিন পদক ২০১২। কবি আব্দুল হাকিম পদক ২০১৩। শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র কর্তৃক সম্ভাবনা স্মারক ২০১৩। সিনসা কাব্য সম্ভাবনা ২০১৩। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মামনা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ২০১৩। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৫ তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ২০১৪। দৈনিক মানববার্তার সম্মামনার স্মারক ২০২৩। চাতক পুরস্কার চাতক অনন্যা নারী সম্মাননা ২০২৩ ওপার বাংলা মুর্শিদাবাদ থেকে মনোনয়ন পেয়েছি। এছাড়াও ,ওপার বাংলা বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন ভারত বাংলাদেশ। কবিগুরু স্মারক সম্মান ২০২৪ অর্জন করেছি।
বিষয়:
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......
সবাই তো আর সবকিছুতে অভ্যস্ত না। চায়নাতে প পার্টিতে আপনি প্রথম গিয়েছেন, আর এসব বিষয়ে যারা নতুন যায় তারা একটু লজ্জাবোধ করে। যাইহোক আপনি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, অনেক কিছু দেখেছেন, অনেক কিছু জেনেছেন। এটাই আপনার সবথেকে বড় অর্জন। আশা করি প্রত্যেকটা পর্বে আমরা নতুন কিছু দেখতে পারবো। ধন্যবাদ।
প্রত্যেকটি পর্বে আমি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার চেষ্টা করব আশা রাখছি। এটা একদম ঠিক যে, ভ্রমণ করলে অভিজ্ঞতা বাড়ে। 💕
আপনি দারুণভাবে চীন ভ্রমণের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন আমাদের সাথে। তবে আপনি পার্টিতে ড্রিংকস করেননি, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। চীনের খাবার খেতে আসলেই ভালো লাগে না। আমি চীনের গুয়াংজুতে একবার গিয়েছিলাম,তাছাড়া বেইজিং এবং সাংহাইয়ে গিয়েছিলাম ৩ বার। মোট ৪ বার চীন ভ্রমণ করেছিলাম আমি। এটা ঠিক ভ্রমণ করলে অভিজ্ঞতা বাড়ে। যাইহোক এতো সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমি আপনার মন্তব্য পড়ে অভিভূত হলাম।যে আপনি এর আগে চারবার চিনে গিয়েছিলেন। আমি তো শুধু একবারই গিয়েছি তবে অনেকগুলো জায়গা আমরা ঘুরে দেখেছি। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য💕
আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো যেন চীনের গুয়াংজু শহরের এক অপূর্ব ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিজের চোখে দেখলাম। আপনার লেখনীর মাধ্যমে শহরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আধুনিকতা এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। আপনার বর্ণনা এতটাই জীবন্ত যে, পাঠক হিসেবে আমি নিজেকে সেই সব মুহূর্তে উপস্থিত মনে করছি। আপনার পরবর্তী পর্বগুলোর জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য করে আমারও ভীষণ ভালো লাগছে।
ভেবে রেখেছি প্রতি সপ্তাহে একটি কোরে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা পোস্ট শেয়ার করব। ধারাবাহিকভাবে চীন সফরের অভিজ্ঞতা সবার আগে শেয়ার করব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।💕
কী সুন্দর নিখুঁত করে লিখেছ। প্রতি মুহুর্ত তুলে ধরেছ তোমার নৈপুণ্যে। ছবিগুলোও অসাধারণ হয়েছে৷ সর্বপরি তোমায় দারুণ লাগছে৷ এর পর বিদেশে গেলে একদিন শাড়ি পরো, দেখবে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে৷
বিদেশের পার্টিগুলোতে ড্রিঙ্ক করা আর জল বা কোল্ডড্রিঙ্ক খাওয়ার মধ্যে বিশেষ একটা তফাৎ নেই৷ কিন্তু আমরা তো আর ওই সংস্কৃতিতে বড় হইনি তাই অসুবিধে হয়। দেখতেও কেমন লাগে৷ তবে ধীরে ধীরে আবার সহজও হয়ে যায়৷
চাইনিজরা রান্না করে এমন ভাবেই যে তাতে খাবারের গন্ধটা বজায় থাকে৷ আমরা মাংস বা মাছ বা ডিম রান্না করলে শুধু মশলার গন্ধ পাই৷ ওদের দেশের খাবার ওরম না৷ মাছে মাছের গন্ধ মুরগীতে মুরগির গন্ধ৷
কলকাতার লোকেরা যখন হাপুসহুপুস করে চাইনিজ খাবার খায় বা বলে তাদের চাইনিজ খাবার খুব প্রিয় আমার ইচ্ছে করে ওদের নিয়ে গিয়ে চায়নাতে কদিন দিয়ে আসি৷ কেমন করে প্রিয় খাবার খায় দেখা যেত৷ হা হা হা।
এই ভ্রমণের অনেকগল্প তুমি আমায় সামনে বলেছিলে৷ মনে আছে?
পরের লেখাগুলোর জন্য অপেক্ষা করে থাকলাম
তুমি এটা ঠিক বলেছ একদম।ওদের মাঝে মাছের গন্ধ থাকে এবং মাংসতে মাংসের গন্ধ থাকে। মুরগির মাংসগুলোতে দেখেছিলাম মুরগির লোমগুলো লেগে আছে। তারপরেও সবাই পরম তৃপ্তিতে খাচ্ছিল। যাইহোক হাজার বছর থাকলেও বুঝি ওদের খাওয়া অভ্যস্ত করতে পারবো না।
তবে চায়নার রাস্তাঘাট এত বেশি পরিচ্ছন্ন এবং ট্রাফিক আইন গুলো এত চমৎকার এই বিষয়টা আমাকে বেশ অভিভূত করেছিল। আরো মজার বিষয় হচ্ছে সাত থেকে আট দিন আমরা চায়নার রাস্তায় ঘুরেছি কোথাও জ্যাম পাইনি।
খুব অল্প সময়ে তোমার সাথে অনেক কথা হয়েছিল তাই কখন বলেছি সঠিক মনে করতে পারছি না। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 💕
চীন ভ্রমণের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে চীন শহরের অনেক কিছু জানতে পারলাম। চীনের খাবারগুলো দেখতেই সুন্দর খেতে অতটা ভালো লাগেনা। পার্টিতে গিয়েছিলেন এবং আনন্দ করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। আর আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে আপু। ধন্যবাদ দারুণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য দ্বিতীয় পর্বের আশায় রইলাম।