রেসিপিঃ মজাদার সরিষা কৈ ।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। আজ ১৪ই আষাঢ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ২৮শে জুন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে সরিষা দিয়ে কৈ মাছের রেসিপি। আমি সব সময় নতুন নতুন রেসিপি বানাতে পছন্দ করি। সবাই সরষে ইলিশ রেসিপি তৈরি করে। কিন্তু আমার মনে হলো সরিষা কই রেসিপি করি আজ। সাধারন কৈ মাছ আমি ভেজে বা ভুনা করে খেতে পছন্দ করি। কিন্তু সব সময় একই রকম রেসিপি খেতে ভালো লাগে না। তাই আজ উপস্থাপন করছি রান্নার ব্লগ সরিষা কৈ । মাঝে মাঝে মাছ অন্য রকম করে রান্না করলে খেতে ভালই লাগে। সরিষা দিয়ে কৈ মাছ রান্না করায় খেতে বেশ মজা হয়েছিল। বন্ধুরা, প্রবাদ আছে আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। মাছ হলো প্রোটিনের বড় উৎস । তাই মাছ আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রেসিপিটি তৈরি করতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি কৈ মাছ ও সরিষা । তাছাড়া আরও কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছি। আর কিভাবে মজাদার কৈ সরিষা রেসিপিটি তৈরি করলাম, চলুন তা দেখে নেই। আশাকরি,আমার আজকের উপস্থাপন রান্নার ব্লগ মজাদার সরিষা কৈ রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কৈ মাছ | ২পিস |
পিঁয়াজ | ৩টি |
রসুন | ২ কোয়া |
কাঁচা মরিচ | ৪টি |
সরিষার তেল | ১ টেঃ চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
ধনে গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/৪ চাঃ চামচ |
হলুদ গুড়া | ১/২ চামচ |
মরিচ গুড়া | ১/৪ চাঃ চামচ |
সরিষা বাটা | ১ চাঃ চামচ |
রন্ধন প্রণালী
ধাপ-১
রসুন,পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ বেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
কৈ মাছ কেটে ধুয়ে পরিস্কার নিয়েছি।
ধাপ-৩
সামান্য লবন ও হলুদ দিয়ে মাছ মেখে রেখেছি ১৫ মিঃ এর জন্য।
ধাপ-৪
পরিমাণ মতো তেল দিয়ে চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে দিয়েছি। তাওয়া গরম হয়ে এলে তাতে মশলা মাখানো মাছ দিয়ে ভালোভাবে ভেজে অন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৫
পুনরায় চুলায় একটি হাড়ি বাসিয়ে দিয়েছি পরিমান মতো তেল দিয়ে। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
পিঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে সকল মশলা দিয়ে দিয়েছে। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সে জন্য সামান্য পানি দিয়ে দিয়েছি। এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।মশলা থেকে তেল যখন ছেড়ে আসবে তখন মাছ দিয়ে মাশলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। মাছ কষানো হয়ে এলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এরপর একটি বাটিতে ১ চামচ সরিষা বাটা নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। সেই সরিষার মিশ্রণটি মাছে দিয়ে দিয়েছি। আরও ৫-৭ মিঃ জ্বল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
যখন ঝোল মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন ২টি কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। আর এভাবে রান্না করে নিলাম সরিষা কৈ রেসিপিটি।
উপস্থাপন
আশাকরি আজকের মজাদার সরিষা কৈ রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। পরিবারের সকলের যত্ন নিন।নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ২৮শে জুন,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
দারুন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। কই মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি সরিষা দিয়ে চমৎকার ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। তাছাড়া রেসিপির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে দেখানোর জন্য।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা হয়েছিল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন আপু সব সময় একই রকমের খাবার খেতে ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে যদি একটু ভিন্নতা আনা যায় তাহলে খেতে ভালো লাগে। যদিও রান্নাবান্না খুব একটা করা হয় না। তবে নতুন নতুন রেসিপি দেখে ভালো লাগে। সরিষা কই রেসিপি অসাধারণ হয়েছে আপু। একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করবো।
মাঝে মাঝে রেসিপি তৈরিতে ভিন্নতা আনলে খেতে বেশ ভালো লাগে। বেশ হয়েছিল খেতে সরিষা কই। একদিন করে খাবেন ।আশাকরি ভালো লাগবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি টোনাটুনির সংসারে কই মাছ কিন্তু অনেক মজা করেই রান্না করেছেন । আর ঠিকই বলেছেন সব সময় সরিষা ইলিশ না খেয়ে মাঝে মাঝে সরিষাটাকে একটু অন্যভাবে কাজে লাগালে হয় । আপনি সেই কাজটি করেছেন আমিও এর আগে অন্য একটি মাছ এভাবে সরিষা দিয়ে রান্না করে খেয়েছিলাম ভালোই লেগেছিল । আপনার সরিষা কৈ মাছ দেখে তো মনে হচ্ছে টেস্টি হয়েছে আপনি খুব মজা করে রান্না করেছেন।
কেমন হবে বুঝতে পারিনি ।তাই কম করে রান্না করেছি। কিন্তু খেতে বেশ মজা হয়েছিল ।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
সব সময় এক রকম রান্না খেতে সত্যিই ভালো লাগে না। কিছুটা ভিন্ন ভাবে রান্না করলে কিন্তু খাবারে যেমন টেস্ট আসে তেমনি খেতেও ভালো লাগে। যাই হোক, তবে আমি ভাবছি আপনার বাসায় কয়জন মানুষ 🤔মাত্র দুইটা কই মাছ রান্না করেছেন।তবে অল্প কিছু রান্না করলে এমনিতেই কিন্তু টেস্ট বেশি লাগে দেখতেও খুব লোভনীয় লাগছে।
আমরা দু'জন বাসায় । আর যখন নতুন কোন রেসিপি করি,তখন কম করে করি,যদি মজা না হয়।তখন তা ফেলে দিতে হবে। প্রথম করলাম সরিষা কই। তাই দু'টো রান্না করেছি। খেতে বেশ মজা হয়েছিল। পরে মনে হয়েছে আরও বেশি করলে ভালই হতো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
ও আচ্ছা,তাই তো আমি ভাবি এত অল্প রান্না কেন।যাইহোক এবার ইচ্ছে হলে বেশি করে রান্না করে খেতে পারবেন।
রেসিপিটা দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। দেখেই অনেক লোভ লাগছে, মনে হচ্ছে যেন এখনি খেয়ে ফেলি! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
https://x.com/selina_akh/status/1806739614071431516
সরিষা দিয়ে কই মাছ রান্নার খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। অনেকদিন পরে কৈ মাছের রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। কতদিন যে এই মাছের রেসিপিটা খাইনি তা মনে পড়ছে না।
আমার সরিষা কৈ রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
কই মাছ ভাজি আমার খুব পছন্দের। আপনার মজাদার সরিষা কই রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আসলে এতো চমৎকার লোভনীয় রেসিপি দেখলে খাওয়ার লোভ কন্ট্রোল করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। দেখে মনে হচ্ছে সরিষা কই বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমারও বেশ পছন্দ কৈ মাছ । তাই বিভিন্ন ভাবে রান্না করি। আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মজাদার সরিষা কৈ দেখে তো খুবই লোভ লাগছে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন প্রতিটি ধাপ। আমার কাছে খুবই ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।