মিরপুর বেনারসি পল্লীতে আজ প্রথমবার
নমস্কার,,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। হ্যাঁ আমিও মোটামুটি চলছি। নতুন ছন্দ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি রোজ। দিনটাও বেশ ভালোই ছিল। হালকা মেঘলা। গরমের তীব্রতা খুব বেশি লাগে নি। আসলে রুমে থেকে খুব একটা বোঝা যায় না।
দুপুরে খাওয়া শেষ করে একটু শুয়েছিলাম। সাথে সাথে ফোন আসলো। অমিত দা ফোন করলো। বলে রাখি অমিত দা আমার স্কুল কলেজ এর বন্ধু অন্তু এর বড় দাদা। আমাকে একদম নিজের ভাইয়ের মতোই ভালোবাসে। অনেকটা বন্ধুর মতোই মেশে আমার সাথে। তো অমিত দা ফোন দিয়েই বলছে বিকালে চলে আয় কাজ আছে। আমি তো একটু দোটানা করলাম। আসলে শুক্রবারের দিন ঢাকাতে বিকেলবেলা বের হতে ইচ্ছে করে না একদম। প্রচন্ড রকমের জ্যাম থাকে সন্ধ্যার দিকে। দাদা থাকেও সেই মিরপুর ১১ তে। যানজট ছাড়া যাওয়ার কোন উপায় নেই একদম।
ভেবেছিলাম পাঁচটার দিকে রওনা দেব। কিন্তু ঘুমিয়ে যাওয়ায় আর জাগা পাইনি। তারপর দাদা যখন আবার ফোন করলো জাগা পেয়ে তাড়াহুড়ো করে রওনা দিলাম। প্রায় এক ঘন্টা লেগে গেল শ্যামলী থেকে মিরপুর ১১ পর্যন্ত যেতে। বেশ বিরক্ত লেগে যাচ্ছিল। পৌঁছার পরে দাদাকে জিজ্ঞেস করলাম হঠাৎ কেন এত জরুরি তলব। দাদা আমাকে বলছে চল বেনারসি পল্লী যাব। আমি তো রীতিমতো অবাক। আসলে সামনে দাদার বিয়ে। তাই টুকটাক কিছু কেনাকাটা করতে হবে। বিয়ের শাড়িটা পরে কিনবে আজকে জাস্ট নরমালি দেখবে। এছাড়া আরো ১০ থেকে ১২ টা শাড়ী কিনতে হবে। কথাগুলো শুনে আমি হাসতে শুরু করে দিলাম। আমি বলছি আমি এসবের কি বুঝি। দাদা বলছে তুই শুধু পছন্দ করে দিবি। তোর আর কোন কাজ নেই। কি আর করার। কষ্ট করে যখন চলেই গেছি তখন যেতেই হবে।
আমি আর অমিত দা দুজন মিলে রিকশা করে রওনা দিলাম মিরপুর বেনারসি পল্লী। আমার অবশ্য এটা প্রথমবার যাওয়া বেনারসি পল্লীতে। সন্ধ্যার পরে বেশ ফাঁকা ছিল চারপাশ। দাদার একটা পরিচিত দোকান ছিল। আমরা সেখানেই গিয়ে বসলাম। বাহারি রকমের শাড়ি দেখলাম। বেশ ভালো লাগছিল। সবচেয়ে মজার ব্যাপার আমি তো কখনো ঢাকায় জামদানি শাড়ি ওভাবে চিনতাম না। আজকে প্রথমবার ঢাকায় জামদানি শাড়ি দেখলাম এবং পছন্দ করে নিলাম। বিভিন্ন রকমের দাম ছিল। তবে একটা ব্যাপার দেখলাম যেই দামে শাড়িগুলো নেয়া হয়েছে তার থেকে দ্বিগুণেরও বেশি দাম চাইছিল শুরুর দিকে। সব মিলিয়ে আমরা দশটা শাড়ি নেই। ২৪ হাজার টাকার একটু বেশিই লাগলো শাড়িগুলো নিতে। শেষের দিকে এসে বিয়ের কয়েকটা বেনারসি দেখছিলাম। বেনারসি গুলোর দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। এত দামের শাড়ি পড়ে মানুষ বিয়ে করে ! 😍।
যাইহোক মোটামুটি এক ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। দাদা পরে আমাকে বলছে, আমরা ছেলে মানুষ এসেছি বলেই এত তাড়াতাড়ি শাড়ি কেনার কাজটা শেষ করতে পেরেছি। কোন মেয়েকে সাথে নিয়ে আসলে আজ সারারাত পার হয়ে যেত 🤪। শাড়িগুলো দোকানে রেখেই পাশে বেরিয়ে দুজন অনেকদিন পর মিরিন্ডা খেয়ে গলা ঠান্ডা করলাম। আসলে খিদে ছিল না একদম পেটে। অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছিল না । সব কাজ সেরে ফেরার পথেও ঘন্টাখানেক জ্যাম ভোগ করে বাড়ি ফিরলাম। আর তারপর ফ্রেশ হয়েই পোস্টটা লিখে ফেললাম।
সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা ছিল আজকে আমার জন্য। ভালোই লেগেছে শাড়ি পছন্দ করে কেনার ব্যাপারটা। যাই হোক আজ এখানেই রাখছি। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমি তো শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম যে আপনার বিয়ের শাড়ি কিনতে গেলেন নাকি? না পরে দেখলাম যে অন্য একজনের শাড়ি কিনতে গিয়েছেন । আসলে বেনারসি পল্লীতে আমার এ জন্য একদম যেতে ইচ্ছা করে না। কারণ দামাদামি করতে না পারলে ব্যাপক আকারের ঠকে আসার সম্ভাবনা আছে। এদের অরজিনাল দামের সঙ্গে প্রথমের চাওয়া দামের কোন মিল থাকেনা। অবশেষে আপনারা শাড়ি কিনতে পেরেছিলেন দেখে ভালো লাগলো। কিছুটা অভিজ্ঞতা হলো আপনার শাড়ি কেনার। পরবর্তীতে কাজে লাগবে আশা করি।
আর মেয়েদের অত সময় লাগে না পছন্দ করতে যত সময় বললেন।
আপু কে না জানিয়ে বিয়ে করতে যাব এমন হতে পারে!
প্রথম বার গিয়ে বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে আপু। দামের ব্যাপারটা নিয়েও খুব ভালোই বুঝে গেছি। অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সব সময়।
মেয়েরা শাড়ি কিনতে মোটেও সারা রাত লাগায় না। আপনার দাদার এই কথার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হা হা হা।
বেনারসি পল্লীতে গেলে মনে হয় সব শাড়ি উঠে বাসায় নিয়ে আসি। দাদার বিয়ের শপিং করতে গিয়ে ঢাকায় জামদানি শাড়ি চিনতে পেরেছেন এটা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।
আমার শপিং করলে খুবই আনন্দ লাগে। আর মানুষের শপিং করা দেখলেও খুব ভালো লাগে। তাই আপনার এই পোস্টটি পড়ে আজ খুবই মজা পেলাম।
বেনারসি পল্লীতে গেলে মনে হয় সব শাড়ি উঠে বাসায় নিয়ে আসি। দাদার বিয়ের শপিং করতে গিয়ে ঢাকায় জামদানি শাড়ি চিনতে পেরেছেন এটা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। আর আপনার লেখা পড়ে আমার অতীত মনে পড়ে গেল।
হিহিহিহি,, খুব গায়ে লেগে গেছে দেখি 🤪। সবাই অবশ্য এক রকম না। আবার বেশির ভাগই এমন। আর হ্যা এটা সত্যি যে ভালো একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ধন্যবাদ টা দিতে ভুলে গিয়েছেন 🤪
নিজে নিজেই নিয়ে নিলাম।
হিহিহিহি,,, ছোট্ট একটু মিসটেক। ধন্য আর বাদ দিলাম না,, ধন্য যোগ দিয়ে দিলাম 🥰