হঠাৎ পিজ্জা খেতে ডমিনোজ
বন্ধুরা ,
সবাই তোমরা কেমন আছো ? আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছো। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। |
---|
আজকাল যা গরম পড়ছে বাড়ি থেকে বের হতেই ভয় করছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে দিনে বাড়ি থেকে একদমই বের হচ্ছি না কিছুদিন ধরে। গতকালকে দুপুরের দিকে আমার এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল গরম রিলেটেড বিষয় নিয়ে। আমাদের এইখানে গরম যে পরিমাণে পড়ছে তা চর্চা করার মতোই বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাইহোক বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে আমরা অনেকদিন দেখা করি না সেই প্রসঙ্গ চলে আসে। আমার সেই বন্ধুর বাড়ি, মধ্যমগ্রাম স্টেশনের কাছেই। কথা বলতে বলতে আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নি সন্ধ্যার দিকে যখন গরমের প্রভাবটা একটু কম পাওয়া যাবে তখন আমরা দুইজন একটু বের হয়ে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করবো কোন রেস্টুরেন্টে বসে। সন্ধ্যায় সূর্যের তাপ সরাসরি না থাকলেও গরম বেশ থাকে তাই খাওয়া দাওয়া করার জন্য কোন এসি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নি আমরা।
যথারীতি সন্ধ্যার দিকে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। বের হয়ে দেখি বেশ গরম রয়েছে । মধ্যমগ্রামে যেতে হলে আমাকে ট্রেনে করে যেতে হয়। যাওয়ার পথে ট্রেনে খুব একটা ভিড় পাইনি তাই যেতে তেমন একটা কষ্ট হয়নি ।মধ্যমগ্রাম স্টেশনে নেমে সেখান থেকে কিছু দূর হেঁটে গিয়ে বন্ধুর সাথে দেখা হয়। বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার পর সে অনেক খুশি হয়। তারপর দুই বন্ধু মিলে ঠিক করলাম পিজ্জা খেতে ডোমিনোজে যাব। প্রথমে ডোমিনোজের সামনে গিয়ে দেখি ডোমিনোজে আর কোনো বসার জায়গা নেই । তারপর দুই বন্ধু মিলে বাইরে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকি। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে কিছুটা অস্বস্তি লাগছিল গরমের মধ্যে। প্রায় কুড়ি মিনিট দাড়িয়ে থাকার পর ডোমিনোজে বসার সুযোগ পাই আমরা। সেখানে গিয়ে অর্ডার দিতেও আমাদের একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল কারণ অর্ডার দেওয়ার জায়গাতে লোকের সিরিয়াল ছিল।
যাই হোক বসার জায়গা পেয়ে দুই বন্ধু বসে আরো কিছু সময় গল্প করি। আমরা গতকালকে যে পিজ্জাটা খেয়েছিলাম সেটা ছিল চিজ ডমিনেটর পিজ্জা। ৩৭০ টাকার মতো নিয়েছিল পিজ্জা টি। পিজ্জার সাথে কোল্ড ড্রিঙ্ক এবং অরেঞ্জ জুসও অর্ডার করি আমি। আমাদের পিজ্জা টেবিলে আসার পর দুই বন্ধু মিলে পিজ্জাটি খুব সুন্দরভাবে এনজয় করি । আমরা একটি পিজ্জাই অর্ডার করেছিলাম দুজনের জন্য কারণ এই গরমে বাইরের খাবার বেশি না খাওয়ার কথা আমরা দুজনে আলোচনা করি। সেখানে পিজ্জা খেতে খেতে আমরা প্রায় ৩০ মিনিটের মতো সময় গল্প করেছিলাম। বেশ ভালই সময় কাটিয়েছিলাম গতকালকে পিজ্জা খেতে গিয়ে। ডোমিনোজ থেকে বের হয়ে বাইরে আর আমরা বেশি সময় দাঁড়ায়নি কারন বাইরে গরমের প্রভাবটা ছিল। তারপর দুই বন্ধু যে যার মত বাড়িতে ফিরে আসি।
ক্যামেরা: স্যামসাং
মডেল: SM-M317F
ফটোগ্রাফার: @ronggin
অবস্থান: নেয়ার মধ্যমগ্রাম স্টেশন ,ওয়েস্ট বেঙ্গল।
আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
আসলে ভাই ঠিক বলেছেন অত্যাধিক গরম পড়েছে যা অসহনীয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে আপনি দেখি সন্ধ্যার দিকে বের হয়ে আপনার বন্ধুর সাথে বেশ সুন্দর একটি সময়ে পিজা খেতে খেতে অতিবাহিত করেছেন যা দেখে আমার বেশ ভালো লাগলো। এমন একটি শুভকার সময়ের মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এত পরিমাণে গরম পড়েছে যা সহ্য করার মত আর নেই। এই গরমের মধ্যে বন্ধুদের সাথে একটু ভালো সময় কাটাতে পারলে বেশ ভালই লাগে।
এই গরমে তো দুপুরে বেরোনো আসলেই বেশ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আর AC ছাড়া কোনো রেস্টুরেন্টে খাওয়াটাও বেশ চাপের। তবে ডোমিনোজের এই ব্রাঞ্চটাতে আমিও বেশ কিছুদিন আগে গিয়ে খেয়ে আসলাম। তাদের কোয়ালিটিতে কোন পরিবর্তন নেই, সব সময় তারা একই কোয়ালিটি মেন্টেন করে।
এয়ারকন্ডিশন ছাড়া কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া এখন সত্যিই অনেক চাপের বিষয়। ডোমিনোজে খাবারের কোয়ালিটির মান সব সময় বজায় রাখে।
ভাইয়া গরমের কথা মোটামুটি সবার পোষ্টেই পড়তেছি। সব মিলিয়ে বুঝতে পালাম এপার বাংলা ওপার বাংলা সব জাগায় গরম আছে। আপনার হঠাৎ পিজ্জা খেতে ডমিনোজে যাওয়া,পিজ্জা খাওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভাল লাগলো। আমিও চিন্তা করতেছি আজকে পিৎজা খেতে যাবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এপার বাংলা, ওপার বাংলা সব জায়গাতেই গরমের ছড়াছড়ি। হ্যাঁ ভাই চিন্তা না করে , গিয়ে পিজ্জা খেয়ে আসেন দেখবেন বেশ ভালই লাগবে।
প্রচন্ড গরম পরছে তাই এখন দিনের বেলা কোথাও বের হতেই মন চায় না। যদি ও আপনি সন্ধ্যার পর আপনার বন্ধুর সাথে পিৎজা খেতে গিয়েছেন ।বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে দেখে তো আমারও খেতে ইচ্ছে করছে।
আপু এই গরমের মধ্যে দিনে বের হওয়া খুবই কঠিন কাজ। সন্ধ্যার পরে গরম একটু কম পাওয়া যায়, সেই সময় তাও কোন রকম বের হওয়া যায়।
আসলেই যে গরম পড়েছে তাই কাজ না থাকলে বাহিরে না যাওয়া ভালো। সন্ধ্যার পর দুই বন্ধু দেখা করে বেশ ভালোই গল্প গুজব করলেন। ডমিনোজ এর পিজ্জা আমার খুব পছন্দ। পিজ্জাটি দেখে খুব ইয়াম্মি লাগছে। পিজ্জা এবং কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে বাসায় ফিরেছেন। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডোমিনোজ এর পিজ্জা আপনারও খুব ফেভারিট জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই । ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।