Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২০
Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ২০
পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ১৯
শুভ অপরাহ্ন বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন । বিটকয়েন মার্কেটে একটা হিউজ কারেকশন চলছে । এই জন্য গোটা ক্রিপ্টো কয়েন মার্কেটটাই ১০-২০% ধ্বসে গিয়েছে । স্টিমও সেই পথ ধরেছে । তবে এতে আমাদের চিন্তিত হওয়ার কিছুই নেই । মার্কেটে উত্থান পতন হর হামেশাই হয়ে থাকে । যত বেশি পাম্প , তত বেশি ডাম্প । আর ডাম্পিং না হলে পাম্পিং হওয়ারও চান্স নেই । সো, বি কুল ।
ব্লগিং করতে থাকুন । নিজে আনন্দ পান অন্যকেও আনন্দ দিন । শীত আর করোনা মিলে একটা বিশ্রী পরিবেশ তৈরী হয়েছে সবখানে ।বাঁচাই দায় ।খুব সাবধানে থাকবেন সবাই ।
আজকে আমার কলকাতা মিউজিয়াম পরিভ্রমণের ২০ তম পর্ব । আজকে নিম্নলিখিত প্রাণীর স্টাফ করা দেহ ও কঙ্কালের ফটোগ্রাফ থাকছে -
১. বেবুন, ওরাং ওটাং, গোরিলা, ম্যানড্রিল ও শিম্পাঞ্জী
২. সিল
৩. Anteater বা পিপীলিকাভূক
৪. বোর্ণিও ওরাং ওটাং
৫. ওয়েস্টার্ন গোরিলা
৬. ওয়ালরাস বা সিন্ধুঘোটক
তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে !
এপ বা বাঁদর জাতীয় প্রাণীদের কঙ্কাল । এখানে আছে - বেবুন, ওরাং ওটাং, গোরিলা, ম্যানড্রিল ও শিম্পাঞ্জী -র কঙ্কাল ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
সিল । এরা এমন এক প্রজাতির জীব যে অভিযোজিত হয়ে এদের সামনের দুই পা ফ্লিপার আর পেছনের দুই পা একটি লেজে পরিণত হয়েছে । এরা স্তন্যপায়ী প্রাণী । অথচ তিমি বা ডলফিনের মতো সমুদ্রে কাটাতে পছন্দ করে ।তবে এরা সমুদ্রে শিকার, খেলা ধুলা বা সাঁতার কাটলেও স্থল ছাড়া এরা বেঁচে থাকতে পারে না । সিল বহু প্রকারের আছে । প্রজাতিভেদে এরা লম্বায় ৩ ফুট থেকে শুরু করে ১০-১২ অব্দি লম্বা হয় এবং ওজনে ৪০-৪৫ কেজি থেকে শুরু করে ৩০০০-৪০০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি বেবুন (বাঁয়ে) ও একটি ম্যানড্রিলের(ডানে ) কঙ্কাল । বেবুন হলো আফ্রিকার একটি অতি পরিচিত বাঁদর জাতীয় প্রাণী । এরা প্রকৃতিতে বেশ হিংস্র স্বভাবের । মুখ ও লেজ অনেকটা সিংহের মতো দেখতে । ম্যানড্রিলও এক জাতের বাঁদর । আফ্রিকার কঙ্গোতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় এদের । এরা দেখতে অনেকটাই বেবুনের মতো এবং স্বভাবেও অনেকটাই হিংস্র ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
একটি Anteater বা পিপীলিকাভূক । মূলত ল্যাটিন আমেরিকায় এদের বসতি । মুখটা অদ্ভুত সুচালো আর মুখের ভিতর থাকে অনেক লম্বা একটি সুতোর মতো লিকলিকে জিব্বা । মুখের আকৃতি আর জিব্বার গড়ন এরকম হওয়ার কারণ হলো এরা পিঁপড়ার গর্ত থেকে পিঁপড়া ধরে ধরে খায় ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
বাঁ দিকের প্রাণীটা হলো বোর্ণিওর ওরাং ওটাং, বোর্ণিওর জঙ্গল এদের বাসস্থান । আর ডানদিকের প্রাণীটা হলো একটি ওয়েস্টার্ন গোরিলা, আফ্রিকার কঙ্গোয় এদের বসতি । বাঁদর জগতের সব চাইতে বৃহদাকার আর শক্তিশালী বাঁদর হলো এরা । মানুষের মাথার খুলি এদের দুই হাতের একটি মাত্র চাপেই একদম ডিমের খোলার মতো ভেঙে যেতে পারে । এতটাই শক্তিশালী হয় এরা ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
এটি হলো একটি ওয়ালরাস বা সিন্ধুঘোটক । বিশাল থলথলে দেহ, মুখ ভর্তি গোঁফ আর বিশাল বিশাল দুটি হাতির দাঁতের মতো দাঁত রয়েছে এদের । একটি পুরুষ সিন্ধুঘোটক সর্বোচ্চ ২,০০০-৩,০০০ কিলো গ্রামের হয়ে থাকে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
ঠিক বলেছেন দাদা, তবে দাম কমলে ইউজার কমে যায়।
ওয়ালরাস বা সিন্ধুঘোটক প্রথম বার দেখলাম দাদা। আপনি এক এক করে কলকাতা মিউজিয়ামের সব কিছু উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। আমরা হয় তো এতো কিছু দেখতেই পারতাম না। আপনি প্রতিটি ছবির সাথে সুন্দর ভাবে বনর্না করেছেন দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আপনি সুস্থহয়ে খুব দ্রুত আমাদের মাঝে ফিরে আসুন।
আপাতত মাথা ঠান্ডা রেখেছি ভাই । তবে আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই । ঈশ্বর সহায় হোক। ❤🙏
যথার্ত বলেছেন দাদা, আশা করছি সবাই এখন কিছুটা নিশ্চিন্ত হবেন কারন অনেকেই এই বিষয় নিয়ে বেশ হতাশায় ভুগছেন। আর এটা সত্যি চারপাশে নতুন করে একটা বিশ্রি পরিবেশ তৈরী হচ্ছে আবার, জানি না কি অপেক্ষা করছে সম্মুখে আমাদের জন্য। আপনিও সাবধানে থাকবেন এবং নিজের যত্ন নিবেন। আজকের ফটোগ্রাফিগুলোও বেশ ছিলো, আমার কাছে সিল দেখতে সব সময়ই ভালো লাগে। ধন্যবাদ
দাদা আজকের পর্বের স্টাফ করা সব প্রাণী দেহ এবং কঙ্কালের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে ওয়ালরাস বা সিন্ধুঘোটক প্রাণী সম্পর্কে আমি আগে কখনো জানতাম না। এই পর্বে আরও একটি নতুন প্রাণীর সাথে পরিচিত হলাম। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা কালকের পোস্টে বলেছিলেন আপনি অসুস্থ এখন কেমন আছেন দাদা।দাদা করোনা যেই হারে বাড়ছে দুআ করি আল্লাহ যেনও সবাইকে সুস্থ রাখে।
দাদা কলকাতা মিউজিয়াম পরিভ্রমণের ২০ তম পর্বে স্টাফ করা দেহ বা কঙ্কালের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন।দাদা সব গুলো ফটোগ্রাফি বেশ অসাধারণ। দাদা আপনার জন্য এতো সুন্দর স্টাফ করা দেহ বা কঙ্কালের ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হয়েছে।
দাদা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ওয়ালরাস বা সিন্ধুঘোটক, এর সাথে বিবরণ গুলো বেশ ভালো লেগেছে দাদা।
দাদা আপনার জন্য অনেক দুআ ও শুভকামনা রইলো।
দাদা শুনতে পেলাম আপনি অসুস্থ। শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও কিভাবে যে আপনি দৈনিক পোস্ট কিউরেশন সহ নিজের পোস্টগুলো করেন ভাবতেই অবাক লাগে।ডেডিকেটেড না হলে আসলে এ পর্যায়ে আসা যায় না।ভাবতেই ভালো লাগে যে আমরা আপনার মত একজন দাদাকে পেয়েছিলাম আমাদের কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। আর বাঁদর জাতীয় প্রাণী দের কঙ্কাল দেখে আমি ভেবেছিলাম এগুলো বোধহয় মানুষেরই কঙ্কাল। দয়া করে সাবধান থাকবেন আর নিজেকে সুস্থ্য রাখবেন।
এই প্রাণীটার নাম আমি আগে কখনো শুনিনি তবে নতুন কিছু জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আপনার ইন্ডিয়ান জাদুঘর ভ্রমণের আজকে ২০তম পর্ব হলো। এই পর্বে চমৎকার সব জিনিস দেখলাম ।খুব ভালো লাগছে বিশেষ করে কঙ্কালগুলো দেখতে আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে । ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সবকিছুর উত্থান এবং পতন রয়েছে 🥀। তবে সবথেকে বড় বিষয় হলো আপনার মতো অভিজ্ঞ মানুষ যখন আমাদের সাথে আছেন আর চমৎকারভাবে উৎসাহ প্রদান করেন তখন আশাহত হবার কোন কারন নেই 💜।
ছবিগুলো সব সময়ের মতোই সুন্দর ✨