ছোট্ট ঘটনার বড় পরিণতি।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের ভেতরে একজন মসজিদ কমিটির সভাপতির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে সেই সভাপতি ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে স্থানীয় মুসল্লীরা তাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। এখন সেই প্রতিবন্ধী কিশোরের আত্মীয়স্বজন সবাই পলাতক রয়েছেন। দেখুন ছোট্ট একটা ঘটনা কিভাবে আমাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। গতকাল দুপুরের আগ পর্যন্তও এই দুটি পরিবার পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু ছোট্ট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি পরিবারের জীবন পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে গেলো।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ভদ্রলোক মারা গেলেন। আর তাকে খুন করার অপরাধ মাথায় নিয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরদের পরিবার এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরকেও একসময় বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। কতোদিন আর পালিয়ে বেড়াবে? এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই রয়েছে। সাময়িক উত্তেজনার বসে কখনোই নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণ হারানো উচিত না। তাতে ছোট্ট একটা ঘটনা থেকে অনেক বড়ো সমস্যা তৈরি হয়ে যেতে পারে। এমনকি জীবনও চলে যেতে পারে। এইজন্য আমাদের উচিত এই ধরনের পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা। তাহলে অনেক সময় অনেক বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যাবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
দুঃখজনক ঘটনা। আসলে ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়েই অনেক বড় আকার ধারণ করে। এজন্য খুব সাবধানতার সঙ্গে আমাদেরকে চলা উচিত কি করলে ভালো হবে কি করলে খারাপ হবে এগুলো ভাবা উচিত। সুন্দর দুটি পরিবার ভুলের কারণে নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। প্রতিবন্ধী বাচ্চার সাথে ও রকম চেচামেচি না করলেও পারতেন আবার প্রতিবন্ধী বাচ্চার মামারা এসে গায়ে না হাত তুলে অন্যভাবেও বোঝাতে পারতেন বিষয়টা । ঘটনাটি তুলে ধরে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঘটনাটি জেনে আসলেই খুব খারাপ লাগলো। রাগের বশে আমরা বেশিরভাগ সময়ই ভুল কাজ করে ফেলি। তাইতো সবসময় রাগ কন্ট্রোল করা উচিত। নয়তোবা এমন অনাকাঙ্খিত বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। তবে এখানে মসজিদ কমিটিরও দোষ রয়েছে। প্রতিবন্ধী কিশোরকে থাপ্পড় দেওয়া মোটেই উচিত হয়নি। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।