মোমবাতি প্রজ্জলন। ২১শে ফেব্রুয়ারি -নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করেছি যেটা আগেই করা উচিত ছিল।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় একুশে ফেব্রুয়ারি বিভিন্নভাবে পালিত হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদযাপনটা নড়াইল বাসি একটু ভিন্নভাবে করে থাকে। প্রত্যেক বছর একুশে ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করে আসছে বহু বছর যাবত। সেই ২০০৮-১০ সাল থেকে শুনে আসছি এটার কথা। আপুদের বাড়ি একুশে ফেব্রুয়ারিতে কখনো যাওয়া হয়নি বলে এটা দেখা হয়নি।
এবার কোন কারনে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আপুদের বাড়িতেই ছিলাম। এই জমকালো আয়োজন কিভাবে মিস করা যায়? সকাল থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম সন্ধ্যা হলেই চলে যাব ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে। বিকেলবেলাতেই আমার ছোট শালীকা আর ভাগ্নেকে নিয়ে চলে গেছিলাম নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠে। সেখানে যেতেই দেখলাম প্রচন্ড জনসমাগম। আমরা প্রথমে পুরো মাঠ ঘুরে দেখলাম একবার।
সম্পূর্ণ মাঠ ঘোরাঘুরি শেষ করে একটা জায়গা নির্ধারণ করলাম যেখানে দাঁড়িয়ে আমরাও পুরো অনুষ্ঠান টা দেখব। বিকেল শেষে সন্ধ্যা হবে হবে ভাব , মোমবাতি জ্বালিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হলো। মাছরাঙ্গা টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করছিল সেটি।
https://www.youtube.com/live/ndZ-tsMm3fk?si=F91oI6XQNr1MfoUl
যারা দেখতে এসেছিল তাদের মধ্য থেকেই ইচ্ছুক জনতা মোমবাতিগুলোতে আগুন দিচ্ছিল। লাখো মোমবাতি প্রজ্জলন শুধুমাত্র স্বেচ্ছাসেবক কিছু লোক দিয়ে কাভার করা সম্ভব নয়। আমরা আর মোমবাতি ধরাতে যাইনি। কারণ যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম সেই জায়গাটা ছাড়লে আর পাওয়া যাবে না।
মোমবাতি জ্বালানো শেষে সবাই মাঠ ত্যাগ করে নির্ধারিত বাউন্ডারির বাইরে চলে আসলো। এইবার সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যটা চোখে পড়ল। চোখ জোড়ানো একটা দৃশ্য। হালকা শীতে মোমবাতির আলো উষ্ণতা ছড়াচ্ছিল। এই দৃশ্যটা উপর থেকে দেখলে সবচেয়ে সুন্দর লাগবে। উপরে ইউটিউবের যে লিংকটি দিলাম সেখান থেকে আপনারা সুন্দর ভিউ টা দেখতে পারবেন।
মোমবাতি জ্বল জ্বল করে জ্বলছে। প্রায় ২০ মিনিট ওখানে থাকার পর আমরা স্থান ত্যাগ করলাম। শেষের দিকে যেতে গেলে বেশি ঝামেলা হবে কারণ সবাই একসাথে তখন মাঠ ত্যাগ করবে। আমরা আগে আগে বেরিয়ে চলে আসলাম।
নতুন একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে সেদিন। ছবিতে বাস্তব সৌন্দর্যের ১০% ও হয়তো ধরা পড়েনি। লাখো মোমবাতি প্রজ্বলনের এমন সুন্দর দৃশ্য যে কারোরই ভালো লাগবে। যাইহোক অনেক বছর ধরে এটি দেখার শখ ছিল, এবার সখটা মিটেছে । আশা করি আপনাদেরও ভালো লেগেছে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 1.13% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex
বাহ্! এককথায় অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। নড়াইল বাসী তো দেখছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস চমৎকার ভাবে উদযাপন করে থাকে বহু বছর আগে থেকেই। ভিক্টোরিয়া কলেজের মাঠ কতোটা সুন্দর ভাবে মোমবাতি দিয়ে সাজিয়েছে, সেটা যতই দেখলাম ততই মুগ্ধ হলাম। ভিডিওগ্রাফিটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলোও চোখ ধাঁধানো ছিলো। সামনা-সামনি এমন দৃশ্য দেখতে অবশ্যই আরও বেশি ভালো লাগবে। আপনার আপুর বাসায় বেড়াতে গিয়ে তো দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পোস্ট এর পিকচার গুলো দেখে এক কথায় এটুকু বলা যায় ভাইয়া অসাধারণ হয়েছে। নড়াইলের মানুষজন যে এভাবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে উদযাপন করে সেটা আপনার এই পোস্টের মাধ্যমেই জানতে পারলাম ও দেখতে পারলাম। সেই সাথে আপনারও সেটি উপভোগ করার এইবার সুযোগ হয়েছে। আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছে সন্ধ্যার পরে মোমবাতিগুলো জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে একটি অসাধারণ দৃশ্য তৈরি হয়েছে। আর যে ছবিগুলো উপর থেকে তুলেছেন ওগুলো দেখতে আরো ভালো লাগছে। আজকের পোস্টটি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে ভাইয়া।
নড়াইলে আপনার বোনের বাসায় গিয়ে এই জমকালো আয়োজনটা উপভোগ করেছেন। আসলে এরকম কোন আয়োজন দেখার যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে আগে থেকেই কিন্তু মনের মধ্যে আলাদা একটা ইচ্ছে কাজ করে এই জন্যই সকাল থেকেই আপনার সেখানে যাওয়ার প্ল্যানিং ছিল। লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজের মাঠ আলোয় আলোকিত করে রাখা হয়েছিল। দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাবে এই দিনটি উদযাপন করা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনার নড়াইল জেলার মধ্যে প্রতিবছর একটু ভিন্ন ভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করে।তারা কয়েক লাখ মোমবাতি জ্বালিয়ে মাঠের মধ্যে সাজিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করে, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। মোমবাতি গুলো জ্বালানোর পর মাঠের সৌন্দর্য অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল। আসলে সামনাসামনি এরকম অনুষ্ঠান দেখতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগতো।
নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজে যে এত সুন্দর করে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয় তা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো না দেখলে হয়তো কখনোই জানতে পারতাম না। লাখো মোমবাতি দিয়ে সাজিয়েছে পুরো মাঠটা সত্যি এরকম মনোরম দৃশ্য যদি নিজের চোখে দেখা যায় তাহলে কার না ভালো লাগবে ভাইয়া। আপনার অনেকদিনের শখ ছিল তাই এবার বোনের বাসায় গিয়ে সে শখটা পূরণ হল এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আর আমাদের সাথেও এই সুন্দর মুহূর্তটা ভাগ করে নিয়েছেন এই জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য আজকে খুব সুন্দর একটি বিষয় জানতে পারলাম। সত্যি বলতে আপনার আজকের এই পোস্টটি দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।